এবার হোয়াইট হাউসে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্টকে অপদস্থ করলেন ট্রা
Published: 22nd, May 2025 GMT
এবার হোয়াইট হাউসে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসাকে অপদস্থ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই নিয়ে গত তিন মাসে ট্রাম্প দুই বিশ্বনেতাকে অপদস্থ করলেন।
বিবিসি লিখেছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের তিন মাস পর বিদেশী নেতাদের সচেতন থাকা উচিত যে, ওভাল অফিসে লোভনীয় ভ্রমণের সাথে জনসমক্ষে সম্মান হারানো ঝুঁকি থাকে, প্রায়শই উস্কানি ও অপমানের চেষ্টার কারণে বিভ্রান্ত হতে হয়।
বুধবার দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার সাথে পর্বটি ছিল সেই ধরণের একটি ক্লাসিক পর্ব, যেখানে ম্লান আলো, দীর্ঘ ভিডিও স্ক্রিনিং এবং সংবাদের ক্লিপিংয়ের স্তুপের সাথে অতর্কিত আক্রমণের যোগসূত্র ছিল।
টেলিভিশন ক্যামেরা ঘুরানোর সময় এবং কিছু সুশৃঙ্খল আলোচনার পরে একজন সাংবাদিক ট্রাম্পকে প্রশ্ন করেছিলেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় ‘শ্বেতাঙ্গ গণহত্যার’ দাবিগুলো মিথ্যা নিশ্চিত করার জন্য তাকে কী করতে হবে।
রামাফোসা প্রথমে এর উত্তরে বলেছিলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টকে এই বিষয়ে ‘দক্ষিণ আফ্রিকানদের কণ্ঠস্বর শুনতে হবে।’
রামাফোসার বক্তব্য শেষ হতেই ট্রাম্প একজন সহকারীকে ‘আলো নিভিয়ে’ টেলিভিশন চালু করতে বলেছিলেন, যাতে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার নেতাকে ‘কয়েকটি জিনিস’ দেখাতে পারেন। এরপর একটি ভিডিও ও কিছু ছাপা নিবন্ধ দেখিয়ে সেগুলোকে শ্বেতাঙ্গ দক্ষিণ আফ্রিকানদের ওপর নিপীড়নের প্রমাণ অ্যাখ্যা দেন ট্রাম্প।
ট্রাম্পের এমন অভিযোগের জবাব দেওয়ার জন্য রামাফোসা প্রস্তুত ছিলেন। তিনি শান্ত ও সংযতভাবে সব শুনে যুক্তির মাধ্যমে ট্রাম্পের দাবি খণ্ডনের চেষ্টা করেন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্টকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানানো বা সমালোচনা থেকে বিরত থাকেন।
ট্রাম্পকে কাতারের দেওয়া বিলাসবহুল জেট বিমান উপহার দেওয়ার বিষয়টির দিকে ইঙ্গিত করে রসিকতা করে রামাফোসা বলেন, “আমি দুঃখিত যে আপনাকে দেওয়ার মতো কোনো উড়োজাহাজ আমার নেই।”
এর আগে ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে ওভাল অফিসে অপদস্থ করেছিলেন ট্রাম্প। ওই বৈঠকে ট্রাম্প, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ও মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সকে একে অপরের সঙ্গে রীতিমত ঝগড়া করতে দেখা গেছে।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
চবি ছাত্রদলের ৪২০ জনের কমিটিতে নারী মাত্র ১১
আংশিক কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রদলে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে ৪২০ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে নারী সদস্য রয়েছেন মাত্র ১১ জন। যা শতকরা হিসেবে তাদের অংশগ্রহণের হার মাত্র ২.৬২ শতাংশ।
এর মধ্যে, সহ-সভাপতি পদে একজন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদে তিনজন, সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে একজন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক পদে একজন, মানবাধিকার সম্পাদক পদে একজন, সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে একজন, ছাত্রীবিষয়ক সম্পাদক পদে একজন এবং সহ-ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক পদে দুইজন।
আরো পড়ুন:
বগুড়ায় স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে স্বামী আটক
কুমিল্লায় প্রবাসীর স্ত্রীকে মারধর-তালাক, অন্যজনের সঙ্গে বিয়ে
বুধবার (২৯ অক্টোবর) রাতে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সহ-সভাপতি পদে ৬০ জন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ৯২ জন, সহ-সাধারণ সম্পাদক ৬৩ জন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ৬৪ জন এবং সদস্য রয়েছেন ৬২ জন।
এর আগে, ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে মো. আলাউদ্দিন মহসিনকে সভাপতি ও আবদুল্লাহ আল নোমানকে সাধারণ সম্পাদক করে পাঁচ সদস্যের আংশিক কমিটি পায় চবি ছাত্রদল। এরপর নানা জটিলতা ও সাংগঠনিক স্থবিরতায় ২ বছর পেরিয়ে গেলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি দিতে পারেনি সংগঠনটি। অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষা শেষে ৪২০ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
ছাত্রদলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, একটি কমিটির মেয়াদ থাকে সর্বোচ্চ ২ বছর। সেখানে চবি ছাত্রদলের পাঁচ সদস্যের কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন মাস পর কমিটি পূর্ণাঙ্গ করেছে কেন্দ্রীয় সংসদ।
এদিকে, গত ১২ অক্টোবর চাকসু নির্বাচনের আগে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে চবি ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতির পদ থেকে মোহাম্মদ মামুন উর রশিদ মামুনকে সংগঠনের সদস্য পদসহ স্থায়ী বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় সংসদ। পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সিনিয়র সহ-সভাপতির পদটি শূন্য রয়েছে।
পূর্বের আংশিক কমিটিতে সভাপতি ছিলেন মো. আলাউদ্দিন মহসিন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. ইয়াসিন ও সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন হৃদয়। পূর্ণাঙ্গ কমিটিতেও তারা একই পদে বহাল আছেন।
ঢাকা/মিজান/মেহেদী