গণঅভ্যুত্থানের সরকারকে হটিয়ে বিএনপি ক্ষমতা দখলের পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা। তারা বলেছেন, বিএনপিতে অন্তর্কোন্দল থাকায় দলটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চায় না। এ দল গণঅভ্যুত্থানের সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করার পাঁয়তারা করছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তায় এক বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন এনসিপি নেতারা। নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবিতে দলটির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ (যাত্রাবাড়ী জোন) শাখা এ আয়োজন করে।
সমাবেশে এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব নিজাম উদ্দিন বলেন, নির্বাচন কমিশন শুরু থেকেই একটি রাজনৈতিক দলকে খুশি করতে পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে। ফ্যাসিবাদী আমলের বিতর্কিত আইনে গঠিত সেই ইসির পুনর্গঠন করতে হবে। ইসিকে জবাবদিহিতে আনার জন্য স্বাধীন সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করতে হবে।
বিএনপি ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে নেমেছে মন্তব্য করে এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব মো.
এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আলী নাসের খান বলেন, বিএনপির মতো দায়িত্বশীল বড় দল জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডের বিচার চায়নি; বরং কীভাবে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন করা যায়, তা নিয়ে তারা সর্বদা ব্যতিব্যস্ত।
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন– এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক এস এম শাহরিয়ার, খান মুহাম্মদ মুরসালিন, কদমতলী থানার প্রতিনিধি সাদিকুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম, যাত্রাবাড়ী থানার প্রতিনিধি লাকি আক্তার, মিরাসাদ হোসেন হিমেল, যাত্রাবাড়ী থানার প্রতিনিধি মো. রিয়াদ।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ এনস প র সরক র ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে ছাত্র ফ্রন্টের মাসব্যাপী কর্মসূচি
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচী ঘোষণা করেছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট।
শুক্রবার সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সালমান সিদ্দিকী এবং সাধারণ সম্পাদক রাফিকুজ্জামান ফরিদ এক বিবৃতির মাধ্যমে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে– ১ থেকে ১৫ জুলাই শহীদ পরিবার ও আহতদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা; ১৬ জুলাই দেশব্যাপী ‘শহীদ আবু সাঈদ দিবস’ পালন ও শহীদের স্মরণ করা; ১৭ জুলাই থেকে ৪ আগস্ট বিভিন্ন জেলায় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আলোচনা সভা, র্যালি, সেমিনার, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোকচিত্র প্রদর্শনী, চিত্রাঙ্কন, মোমবাতি প্রজ্জ্বলন, সাইকেল র্যালির আয়োজন কর।
আন্দোলন চলাকালে কারফিউ জারি করা হলে সাংস্কৃতিক কর্মীরা ছাত্র-জনতা সঙ্গে নিয়ে কারফিউ ভেঙ্গে গানের মিছিল আয়োজন করে। ওই দিনকে স্মরণ করে ২৬ জুলাই আয়োজিত হবে ‘কারফিউ ভাঙার গান’। সর্বশেষ ৯ আগস্ট ঢাকায় কেন্দ্রীয়ভাবে সমাপনী সমাবেশ ‘জুলাই জাগরণী’ অনুষ্ঠিত হবে।