ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কেয়ার স্টারমার এবং ফ্রান্স ও কানাডার নেতাদের তীব্র সমালোচনা করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, এই নেতারা ‘চান হামাস ক্ষমতায় থাকুক।’

তিনি স্টারমার, ইমানুয়েল ম্যাক্রন এবং মার্ক কার্নিকে “গণহত্যাকারী, ধর্ষক, শিশুহত্যাকারী ও অপহরণকারীদের” পক্ষ নেওয়ার অভিযোগও করেছেন।

বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে ইসরায়েলি দূতাবাসের কর্মীদের উপর হামলার পর নেতানিয়াহু বক্তব্য রাখছিলেন। কয়েকদিন আগে, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং কানাডা গাজায় ইসরায়েলি আক্রমণের তীব্র নিন্দা জানিয়েছিল এবং মানবিক পরিস্থিতিকে ‘অসহনীয়’ বলে বর্ণনা করেছিল।

ওয়াশিংটনে ইসরায়েলি দূতাবাসের কর্মীদের উপর হামলার ঘটনায় অবশ্য নিন্দা জানিয়েছে ডাউনিং স্ট্রিট ওয়াশিংটন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কেয়ার এক পোস্টে বলেছেন, ইহুদি-বিদ্বেষকে “আমাদের অবশ্যই নির্মূল করতে হবে।”

১৯ মাস আগে গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতি সমর্থন জানিয়েছিল ইহুদিবাদী দেশটির ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও কানাডা। তবে সম্প্রতি ইসরায়েল গাজায় সবধরনের আন্তর্জাতিক ত্রাণের প্রবেশ বন্ধ করে দেয় এবং সাধারণ মানুষের ওপর নির্বিচারে হামলা শুরু করে। এ ঘটনায় ইসরায়েলের তীব্র সমালোচনা করে যুক্তরাজ্য, কানাডা ও ফ্রান্স। ইসরায়েল যদি পথ পরিবর্তন না করে তবে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকি দিয়েছিল তিনটি দেশ। ইতিমধ্যে যুক্তরাজ্য ইসরায়েলের সঙ্গে সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা স্থগিত করেছে।

বৃহস্পতিবার নেতানিয়াহু তিন দেশের সমালোচনা করে বলেছেন, “আমি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রন, প্রধানমন্ত্রী কার্নি এবং প্রধানমন্ত্রী স্টারমারকে বলছি, যখন গণহত্যাকারী, ধর্ষক, শিশু হত্যাকারী ও অপহরণকারীরা আপনাদের ধন্যবাদ জানায়, তখন আপনারা ন্যায়বিচারের ভুল দিকে আছেন। আপনারা মানবতার ভুল দিকে আছেন এবং আপনারা ইতিহাসের ভুল দিকে আছেন।”
 

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল

এছাড়াও পড়ুন:

শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ ১০ জুলাই 

জুলাই অভ্যুত্থানের হত্যা মামলায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ আগামী ১০ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে। আজ সোমবার দ্বিতীয় দিনের মতো শুনানি শেষে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এই আদেশ দেন।

শেখ হাসিনা ছাড়াও এ মামলার অপর দুই আসামি হলেন- সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।

এদিন শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালের পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, গত জুলাই আগস্ট মাসে দেশে কোনো যুদ্ধ হয়নি। ওটা ছিল রাজনৈতিক বিরোধ। তাই, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে-১৯৭৩-এর আইনে এসব অপরাধের বিচার হতে পারে না। 
তাছাড়া শেখ হাসিনা রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ে দায়িত্ব থাকায় তিনি পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, রুপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র ও কর্ণফুলী টানেলসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত ছিলেন। 

তিনি আরও বলেন, ১৪ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত কোনো হত্যাকাণ্ডের নির্দেশনা দেননি শেখ হাসিনা। তাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এসব মামলায় জড়ানো হয়েছে। ট্রাইব্যুনালে তার বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সঠিক নয়। এটা শেখ হাসিনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। তিনি কোন অনুষ্ঠানে রাজাকারের নাতি-পুতি বলতে চাননি। এ বিষয়ে কোনো দালিলিক প্রমাণ নেই। 

রাষ্ট্রপক্ষ ট্রাইব্যুনালে এর স্বপক্ষে কোনো দালিলিক প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এ মামলা থেকে শেখ হাসিনা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের অব্যাহতি দাবি করেন এই আইনজীবী। 

এদিকে অভিযোগ গঠনের শুনানিকে কেন্দ্র করে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। এদিন সকালে তাকে প্রিজন ভ্যানে করে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

এর আগে গত মঙ্গলবার জুলাই হত্যার মামলায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনে প্রথম দিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

এছাড়া পলাতক আসামিদের পক্ষে সেদিন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন উপস্থিত ছিলেন। আলোচিত এ মামলার শুনানিটি ওইদিন বিটিভিতে লাইভ সম্প্রচার করা হয়।

তারও আগে গত ১২ মে জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা। তদন্ত প্রতিবেদনে জুলাই গণহত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে শেখ হাসিনার নাম উঠে এসেছে।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত ২০ এপ্রিলের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। প্রসিকিউশনের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওইদিন আদালত এ আদেশ দেন।

প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর গুলি, হত্যার নির্দেশদাতা ও পরিকল্পনাকারী হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ ১০ জুলাই 
  • গাজায় গণহত্যার প্রতিক্রিয়া দেখাতে বিশ্বকে লুলার আহ্বান
  • টেকনাফে যৌথবাহিনীর সঙ্গে ডাকাত-অপহরণকারীদের গোলাগুলি, অস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধার
  • টেকনাফের অপহরণকারীদের সঙ্গে যৌথ বাহিনীর গোলাগুলি, অপহৃত একজনকে উদ্ধার
  • শাসক পরিবর্তনের মার্কিন নীতি ইরানিদের ‘স্বাধীন’ করবে?