চিকিৎসকের নিবিড় পর্যবেক্ষণে নুসরাত ফারিয়া
Published: 23rd, May 2025 GMT
গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন চলচ্চিত্রের তারকা অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া। বর্তমানে তিনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন এবং চিকিৎসার অংশ হিসেবে বাইরের সঙ্গে তাঁর সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে। এমনকি ফোন ব্যবহারের ওপরও রয়েছে কড়াকড়ি নিষেধাজ্ঞা। আজ দুপুরে এক ফেসবুকে স্ট্যাটাসে এমন তথ্য জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে ফারিয়া লেখেন, ‘আমি জানি, আপনারা অনেকেই আমার খোঁজখবর, ইন্টারভিউ নেওয়ার জন্য বারবার চেষ্টা করছেন। আপনাদের ভালোবাসা ও উদ্বেগ আমাকে সত্যিই ছুঁয়ে যাচ্ছে। অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাতে হচ্ছে, বর্তমানে আমি গুরুতর অসুস্থতায় ভুগছি এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছি।’
তিনি জানান, চিকিৎসকের পরামর্শে এখন কিছু সময়ের জন্য বাইরের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে, যার ফলে কারও সঙ্গে কথা বলতে না পারায় তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
গত কয়েক দিনে দুঃসহ সময় উল্লেখ করে ফারিয়া আরও বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, এই কঠিন সময়টা দ্রুতই পেরিয়ে আবার সুস্থভাবে আপনাদের মাঝে ফিরে আসতে পারব। গত কয়েক দিন ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে দুঃসহ ও সংবেদনশীল সময়। মানসিক ও শারীরিকভাবে অনেকটাই ভেঙে পড়েছিলাম। আপনাদের ভালোবাসা, সমর্থন ও সাহচর্য আমাকে এগিয়ে চলার শক্তি দিয়েছে।’
বিবৃতির শেষ অংশে তিনি সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাতে চাই সাংবাদিক ও গণমাধ্যমের বন্ধুদের, যাদের মানবিকতা ও ইতিবাচক ভূমিকাটি এই সময়ে আমার জন্য ছিল অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ও অনুপ্রেরণাদায়ক।’ ফারিয়ার স্ট্যাটাসে মুহূর্তে ভরে যায় মন্তব্যের ঘর। সেখানে তাঁর সুস্থতা কামনা করেছেন ভক্ত ও অনুরাগীরা।
বলা দরকার, ১৮ মে নুসরাত ফারিয়াকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে রাজধানীর ভাটারা এলাকায় অনুষ্ঠিত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় হত্যাচেষ্টার ঘটনায় দায়ের করা একটি মামলায় ফারিয়াসহ ২৮৩ জনকে আসামি করা হয়। গত মঙ্গলবার জামিনে মুক্তি পান তিনি। এরপর থেকেই তাঁর শারীরিক ও মানসিক অবস্থা নিয়ে ভক্ত ও সহকর্মীদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছিল। জেল থেকে মুক্তির পর ফেসবুকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এই নায়িকা। এরপর থেকে আড়ালে ছিলেন তিনি। গতকাল শুক্রবার এক ফেসবুক পোস্টে এ অভিনেত্রী জানালেন তাঁর অসুস্থতার কথা।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ, চালু হলো ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার
সংস্কার শেষে ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার চালু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ করার মধ্য দিয়ে এ কারার যাত্রা শুরু হয়। এতে চট্টগ্রাম বিভাগের আটটি কারাগারের সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের ও ফেনী জজ আদালতে বিচারাধীন মামলার আসামিদের রাখা হবে।
কারা সূত্র জানায়, দেশের পুরোনো চারটি কারাগারের মধ্যে ফেনী-২ কারাগার একটি। শত বছরের পুরোনো এ কারাগার ভবন ছিল জরাজীর্ণ। এ কারণে ২০১৯ সালে ১২ জানুয়ারি এ কারাগার থেকে বন্দীদের ফেনীর শহরতলির রানীরহাট এলাকার নতুন কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। এরপর থেকে কারাগারটি অনেকটা ‘পরিত্যক্ত’ অবস্থায় ছিল।
নতুন করে চালু হওয়া কারাগারটির অবস্থান ফেনী শহরের মাস্টারপাড়ায়। এটি ১৯১৫ সালে সাবজেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর ১৯৯৮ সালে জেলা এটিকে কারাগারে উন্নীত হয়। এ কারাগারের বর্তমান ধারণক্ষমতা ১৭২ জন। এর মধ্যে ১৭০ জন পুরুষ ও ২ জন নারী। কারাগার চালু করার জন্য গতকাল কুমিল্লা জেলা কারাগার থেকে ২৪ জন ও চট্টগ্রাম থেকে চারজন বন্দীকে আনা হয়েছিল। তাঁরা সবাই সশ্রম সাজাপ্রাপ্ত। এ কারাগারে তাঁরা রান্নার দায়িত্বে থাকবেন।
কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, ধাপে ধাপে সাজাপ্রাপ্ত ও বিচারাধীন বন্দীদের ফেনীর দ্বিতীয় কারাগারে আনা হবে। আপাতত এতে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২৬ জন, কুমিল্লা থেকে ৭৪ জন, নোয়াখালী থেকে ১৫ জন, লক্ষ্মীপুর থেকে ৪ জন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ৩৩ জন বন্দী এখানে স্থানান্তর করা হবে। এতে সেল, রান্নাঘর, কিশোর ওয়ার্ড, মসজিদসহ প্রয়োজনীয় সুবিধা রয়েছে। এ কারাগার নিয়ে বর্তমানে দেশে কারার সংখ্যা ৭১।
জানতে চাইলে ফেনী-২–এর জেল সুপার মো. দিদারুল আলম বলেন, ‘রাষ্ট্র চায়, কারাগার শুধু শাস্তির জায়গা নয়, সংশোধনের কেন্দ্র হোক। এরই অংশ হিসেবে সংস্কার শেষে ফেনী কারাগার-২ চালু হয়েছে।’
কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেলার ফেরদৌস মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ কারাগারে স্থানান্তরিত বন্দীদের সব সুযোগ-সুবিধা ইতিমধ্যে নিশ্চিত করা হয়েছে। চিকিৎসক ও প্রশিক্ষিত নার্সও যোগদান করেছেন। বেশির ভাগ পদে কর্মচারীরাও কাজ শুরু করেছেন।’