গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন চলচ্চিত্রের তারকা অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া। বর্তমানে তিনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন এবং চিকিৎসার অংশ হিসেবে বাইরের সঙ্গে তাঁর সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে। এমনকি ফোন ব্যবহারের ওপরও রয়েছে কড়াকড়ি নিষেধাজ্ঞা। আজ দুপুরে এক ফেসবুকে স্ট্যাটাসে এমন তথ্য জানান তিনি। 

এ প্রসঙ্গে ফারিয়া লেখেন, ‘আমি জানি, আপনারা অনেকেই আমার খোঁজখবর, ইন্টারভিউ নেওয়ার জন্য বারবার চেষ্টা করছেন। আপনাদের ভালোবাসা ও উদ্বেগ আমাকে সত্যিই ছুঁয়ে যাচ্ছে। অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাতে হচ্ছে, বর্তমানে আমি গুরুতর অসুস্থতায় ভুগছি এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছি।’
তিনি জানান, চিকিৎসকের পরামর্শে এখন কিছু সময়ের জন্য বাইরের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে, যার ফলে কারও সঙ্গে কথা বলতে না পারায় তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

গত কয়েক দিনে দুঃসহ সময় উল্লেখ করে ফারিয়া আরও বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, এই কঠিন সময়টা দ্রুতই পেরিয়ে আবার সুস্থভাবে আপনাদের মাঝে ফিরে আসতে পারব। গত কয়েক দিন ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে দুঃসহ ও সংবেদনশীল সময়। মানসিক ও শারীরিকভাবে অনেকটাই ভেঙে পড়েছিলাম। আপনাদের ভালোবাসা, সমর্থন ও সাহচর্য আমাকে এগিয়ে চলার শক্তি দিয়েছে।’

বিবৃতির শেষ অংশে তিনি সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাতে চাই সাংবাদিক ও গণমাধ্যমের বন্ধুদের, যাদের মানবিকতা ও ইতিবাচক ভূমিকাটি এই সময়ে আমার জন্য ছিল অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ও অনুপ্রেরণাদায়ক।’ ফারিয়ার স্ট্যাটাসে মুহূর্তে ভরে যায় মন্তব্যের ঘর। সেখানে তাঁর সুস্থতা কামনা করেছেন ভক্ত ও অনুরাগীরা। 

বলা দরকার, ১৮ মে নুসরাত ফারিয়াকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে রাজধানীর ভাটারা এলাকায় অনুষ্ঠিত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় হত্যাচেষ্টার ঘটনায় দায়ের করা একটি মামলায় ফারিয়াসহ ২৮৩ জনকে আসামি করা হয়। গত মঙ্গলবার জামিনে মুক্তি পান তিনি। এরপর থেকেই তাঁর শারীরিক ও মানসিক অবস্থা নিয়ে ভক্ত ও সহকর্মীদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছিল। জেল থেকে মুক্তির পর ফেসবুকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এই নায়িকা। এরপর থেকে আড়ালে ছিলেন তিনি। গতকাল শুক্রবার এক ফেসবুক পোস্টে এ অভিনেত্রী জানালেন তাঁর অসুস্থতার কথা। 
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অভ ন ত র চ ক ৎসক র

এছাড়াও পড়ুন:

দেশে স্টারলিংকের পার্টনার কারা, গ্রাহক হবেন কীভাবে

স্যাটেলাইট-ভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা ‘স্টারলিংক’ আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করেছে। তিন মাস পরীক্ষামূলক বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালাবে ইলন মাস্কের কোম্পানিটি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের গ্রাহকদের জন্য আপাতত দুটি প্যাকেজ চালু করেছে।

ইন্টারনেট সংযোগ পেতে ওয়েবসাইট থেকে লজিস্টিক সহযোগিতা ও পছন্দের প্যাকেজ কিনতে হবে। এই লজিস্টিক সহযোগিতা দেবে ছয় থেকে সাতটি দেশীয় প্রতিষ্ঠান। পাশাপাশি গ্রাউন্ড স্টেশন ঘিরে নেটওয়ার্ক তৈরিতেও দেশীয় উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে ফাইবার অপটিক সেবা নিচ্ছে স্টারলিংক।

সংযোগ নিতে অর্ডার যেভাবে
বাংলাদেশের গ্রাহকরা সরাসরি স্টারলিংকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে অর্ডার করতে হবে। নিজের ঠিকানায় পছন্দের কিট এককালীন ৪৭ হাজার টাকায় অর্ডার করতে হবে। এর সঙ্গে ২ হাজার ৮০০ টাকা যুক্ত হবে শিপিং ও হ্যান্ডেলিং চার্জ হিসেবে। একটা সাধারণ কিটে ডিশ, ওয়াইফাই রাউটার, মাউন্টিং ট্রাইপড ও ক্যাবল থাকে। এরপর সংযোগ খরচ। তিন থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে এই কিট গ্রাহকের কাছে পৌঁছাবে।

নতুন দুই প্যাকেজ সম্পর্কে স্টারলিংক জানিয়েছে, রেসিডেনশিয়াল প্যাকেজ কিনতে খরচ হবে ৬ হাজার টাকা। আর রেসিডেনশিয়াল লাইটের জন্য মাসে খরচ হবে চার হাজার ২০০ টাকা। এ ছাড়া ঘুরতে গেলে অথবা চলন্ত অবস্থায় স্টারলিংক সংযোগ পেতে রোম নামের প্যাকেজে কিনতে হবে। যার জন্য প্রতি মাসে দিতে হবে নূন্যতম খরচ ৬ হাজার টাকা। রোমের ছয় হাজার টাকার প্যাকেজে ৫০ জিবি পর্যন্ত ডেটা পাওয়া যাবে। আর আন-লিমিটেড ডেটার জন্য নিতে হবে ১২ হাজার টাকার রোম আন-লিমিটেড প্যাকেজ।

ওয়েবসাইটে আরও বলা হয়েছে, গ্রাহক স্টারলিংক সংযোগ ৩০ দিন ব্যবহার করার পর সেবা ‘সন্তোষজনক’ মনে করলে সম্পূর্ণ টাকা ফেরত পাবে।

ব্যবসায়িক অংশীদার কারা
গ্রাউন্ড স্টেশন থকে আশেপাশের টাওয়ার পর্যন্ত নেটওয়ার্ক তৈরিতে প্রয়োজনীয় লজিস্টিক সহযোগিতা নেওয়া হবে এনটিটিএন কোম্পানি ফাইবার এটহোম থেকে। দেশের অভ্যন্তরে গ্রাহকদের ভবনে স্টারলিংক কিট স্থাপনসহ অন্যান্য লজিস্টিক সহযোগিতার জন্য ৬-৭টি কোম্পানির সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে বলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে। এরমধ্যে দেশের তিন বেসরকারি মোবাইল অপারেটর– গ্রামীণ, রবি ও বাংলালিংক রয়েছে বলে জানা গেছে।

স্টারলিংককে স্থানীয় গেটওয়ে ব্যবহার বাংলাদেশে সেবা দিতে হবে। এজন্য একাধিক আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট গেটওয়ের (আইআইজি) সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হতে হবে।

ভাগাভাগি করে ব্যবহার
একটা ‘ডিভাইস’ থেকে ২০ থেকে সর্বোচ্চ ৫০ মিটার পর্যন্ত ইন্টারনেট পাওয়া যাবে। এই সীমার মধ্যে একাধিক ব্যক্তি মিলে একটা কিট কিনে তা ভাগাভাগি করে ব্যবহার করতে পারবে।

প্রসঙ্গত স্টারলিংক বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করছে ২০২১ সাল থেকে। সে বছর ও ২০২২ সালে তারা বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) সঙ্গে যোগাযোগ করে। তবে সে সময় সরকার থেকে কোনো সাড়া পায়নি। এরপর ২০২৩ সালের জুলাইয়ে বাংলাদেশে স্টারলিংকের প্রতিনিধিরা আসেন এবং তৎকালীন মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তখন স্টারলিংকের প্রযুক্তি এনে পরীক্ষাও করা হয়। তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার স্টারলিংকের বাংলাদেশে প্রবেশ নিয়ে আলোচনা শুরু করে। তবে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় এসে বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে দ্রুততম সময়ে লাইসেন্স দিয়ে স্টারলিংককে দেশে ব্যবসার সুযোগ করে দেয়, যা নিয়ে সমালোচনা রয়েছে। গত ২৯ মার্চ স্টারলিংককে বিনিয়োগ কর্তৃপক্ষ নিবন্ধন দেয়। বিটিআরসি ১০ বছরের জন্য লাইসেন্স দেয় ২৯ এপ্রিল।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আপত্তিকর ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ২১ ভরি স্বর্ণালঙ্কার হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ
  • কৌতূহলে গলায় ফাঁস, প্রাণ গেল কিশোরের
  • পুতিন যা চান, ট্রাম্প তাঁকে সেটাই দিলেন
  • গুলির শব্দে থামল কুতিনিওর সাক্ষাৎকার
  • অমিত-সোহানের ব্যাটে বাংলাদেশ এ দলের লড়াই 
  • ছিলেন ভিক্ষুক, হয়েছেন চিকিৎসক
  • নজিরবিহীন পরিণতির শিকার দিল্লি
  • ভিক্ষুক থেকে ৩১ বছর বয়সে হলেন চিকিৎসক
  • দেশে স্টারলিংকের পার্টনার কারা, গ্রাহক হবেন কীভাবে