হাইকোর্ট নিয়ে বিরূপ মন্তব্য: সারজিসকে লিগ্যাল নোটিশ
Published: 24th, May 2025 GMT
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের মেয়র পদে শপথের রিট খারিজের পর ফেসবুক স্ট্যাটাসে হাইকোর্ট নিয়ে বিরূপ মন্তব্যের কারণে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে এনসিপি নেতা সারজিস আলমকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
শনিবার (২৪ মে) সকালে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জসিম উদ্দিন এ লিগ্যাল নোটিশ পাঠান।
গত ২২ মে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা রিট আবেদন খারিজ করে দেন বিচারপতি মো.
এরপর জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে হাইকোর্ট নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে একটি স্ট্যাটাস দেন।
বিস্তারিত আসছে…
ঢাকা/এম/ইভা
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সংকট সমাধানের একমাত্র পথ হলো গণতান্ত্রিক উত্তরণ: মঈন খান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, আজকের যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে, তার সমাধান একটিই, আর তা হলো- গণতান্ত্রিক উত্তরণ। তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে শুধু সরকার বা রাজনৈতিক দল নয়, দেশের গণমানুষকেও সচেতন থাকতে হবে। ২৪ সালের জুলাইয়ের ঘটনা এবং ৫ আগস্টে দেশের যে পরিবর্তন এসেছিল, তার ৯ মাস পর দেশ এমন পরিস্থিতিতে এসে কীভাবে দাঁড়ালো তা জানতে চাই।’
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিশ্ব মানবাধিকার সংস্থা বাংলাদেশ আয়োজিত ‘গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন’শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মঈন খান বলেন, ‘গণতন্ত্র একটি খারাপ ব্যবস্থা। কিন্তু গণতন্ত্র ছাড়া আর বাকি সব ব্যবস্থা আরও বেশি খারাপ। এই সত্যটি উপলব্ধি করেই ৭১ সালে লাখ লাখ মানুষ গণতন্ত্রের জন্য জীবন দিয়েছে। কিছু ঐতিহাসিক সত্য রয়েছে, যা কখনও অস্বীকার করা যাবে না। সময়ের বিবর্তনে হয়তো তার গুরুত্ব কমে যায়। তবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে যারা অস্বীকার করতে চায়, তাদের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করা উচিত।’
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র প্রক্রিয়া সঠিকভাবে প্র্যাাকটিস করা হলে দেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে ৫ বছর জনগণের সামনে পরীক্ষা দিতে হবে। রাজনীতিবিদদের পরীক্ষা হলো নির্বাচন, সে নির্বাচনে যদি কারচুপি হয়, তাহলে সে পরীক্ষা থেকে বাদ। বলা হয় যে, অনেক নির্বাচনের মাধ্যমেও দেশ নাকি সঠিক পথে আসতে পারেনি। আমি বলতে চাই, বিগত ১৫ বছর দেশে কোনো নির্বাচনই হয়নি। দোষটা নির্বাচনের নয়, দোষটা তাদের যারা নির্বাচনের আয়োজন করেছিলেন।’
মঈন খান বলেন, ‘বিশ্বের কোনো সংবিধানে কিন্তু খারাপ কথা লেখা থাকে না। দেশে ৭২ সালের পর ৭৫ সালে একটা সংবিধান এসেছিল। সে সময় সংবিধানে একটি সেকশন যুক্ত করা হয়েছিল, যার ফলাফল ছিল বাকশাল। পরে সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে সেসব ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে।’
সভায় গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নূরুল হক নূর, সংগঠনের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ মাসুম প্রমুখ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।