ঈদের আগেই দূরপাল্লার সব বাসে সিসি ক্যামেরা বসানোর নির্দেশ
Published: 26th, May 2025 GMT
ঈদযাত্রায় ডাকাতি ও ছিনতাইসহ নারী যাত্রীদের হেনস্তা রোধে দূরপাল্লার প্রতিটি বাসে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে বাস মালিকদের জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি।
নির্দেশনা বাস্তবায়নে বাস মালিকদের সাত দিন (১ জুনের মধ্যে) সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিটি বাসে ক্যামেরা স্থাপনে ব্যর্থ হলে ঈদযাত্রায় সেসব বাসকে সিরিয়াল না দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
রবিবার (২৫ মে) রাজধানীতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সভায় এ নির্দেশনা দেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম। সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির আয়োজনে সভায় পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতারা অংশ নেন।
আরো পড়ুন:
দেশে ২৪ দিনে এল ২২৫ কোটি ডলার রেমিট্যান্স
ট্রেনে ঈদযাত্রা: আজ মিলবে ৪ জুনের টিকিট
ঈদযাত্রায় ডাকাতি-ছিনতাইসহ নারী যাত্রীদের হেনস্তা বন্ধে দূরপাল্লার বাসে সিসি ক্যামেরা স্থাপনে গতকাল শনিবার জরুরি নির্দেশনা দিয়ে বাস মালিক সমিতিসহ জেলা শাখার অন্তর্ভুক্ত কোম্পানিগুলোকে চিঠি দেয় পরিবহন মালিক সমিতি।
এর আগে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে গত ৮ এপ্রিল পরিবহন মালিক সমিতিকে চিঠি দিয়েছিল বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব সাইফুল আলমের সই করা শনিবারের চিঠিতে বলা হয়, বেশ কিছুদিন ধরে দূরপাল্লার বাসে যাতায়াতের ক্ষেত্রে যাত্রীরা প্রায়শ ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের মুখে পড়ছেন। নারী যাত্রীরা বিভিন্নভাবে লাঞ্ছনা ও হেনস্তার শিকার হচ্ছেন। অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানোর কারণে ঘটছে দুর্ঘটনা।
চিঠিতে আরো বলা হয়, উল্লিখিত ঘটনাগুলো সঠিকভাবে নির্ণয় ও তদন্ত করা এবং বন্ধ করার জন্য দূরপাল্লার প্রতিটি বাসে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা অত্যাবশ্যক হয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে বিষয়টি বাধ্যতামূলক করে আমাদের কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে আরো বলা হয়, দূরপাল্লা রুটে চলাচলকারী প্রতিটি কোম্পানি ও সমিতির বাসে অনতিবিলম্বে আগামী সাতদিনের (১ জুন) মধ্যে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করার জন্য মালিকদের নির্দেশনা দেওয়া হলো। এ নির্দেশনা যথাযথভাবে পালন না করলে স্ব স্ব গাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সিসি ক্যামেরা স্থাপন না করলে এবং গাড়ির গতি নির্দিষ্ট করা না থাকলে প্রয়োজনে সেসব গাড়ি চলাচলে সিরিয়াল দেওয়া বন্ধ রাখতে চিঠিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা/হাসান/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কুমিল্লায় হত্যা মামলার পলাতক আসামি শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার
কুমিল্লার তিতাস উপজেলার কৃষক জহিরুল ইসলাম হত্যা মামলার আলোচিত পলাতক আসামি মো. ডালিম বাবার নাম পরিবর্তন করেও রক্ষা পাননি। গতকাল শনিবার সকালে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনে যাচাইয়ের সময় ডালিমের আচরণ সন্দেহজনক মনে হলে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে তাঁকে বিমানবন্দর থানা–পুলিশে সোপর্দ করা হয়। পুলিশ বিষয়টি তিতাস থানাকে জানায়।
গ্রেপ্তার ডালিম কুমিল্লার তিতাস উপজেলার মানিককান্দি গ্রামের বাসিন্দা এবং ওই গ্রামের ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু মোল্লার ছেলে। ২০২২ সালের ৬ ডিসেম্বর প্রকাশ্যে তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে কৃষক জহিরুল ইসলামকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার পর থেকেই ডালিম পলাতক।
তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদ উল্যাহ প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তার ডালিমকে আজ রোববার সকালে কুমিল্লা আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি ছিল। বাবার নাম নিয়ে বিভ্রান্তি থাকায় যাচাই–বাছাই করে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।