গুঞ্জনটা শোনা গিয়েছিল বিখ্যাত ইতালিয়ান ক্রীড়া সাংবাদিক ফ্র্যাব্রিজিয়ো রোমানার একটি ইন্সটাগ্রামের একটি বার্তায়। যেখানে তিনি লেখেন, ‘নেইমার কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন। সান্তোস তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছেন, বৃহস্পিতবার তার শরীরে উপসর্গ দেখা যায়। ফলে অনুশীলন করেননি তিনি। সোমবার আবার পরীক্ষা করা হবে।’
রোমানোর এই বার্তার পর ব্রাজিলের নির্ভরযোগ্য সংবাদমাধ্যম ‘গ্লোবো’ তে খবরটি প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে তারা বলছে নেইমারের ব্রাজিলিয়ান ক্লাব সান্তোসের পক্ষ থেকেই এক বিবৃতিতে তার কোভিড আক্রান্তের খবর নিশ্চিত করেছে।
‘বৃহস্পিতবার থেকেই নেইমারের জ্বর শুর হয়। কয়েক দফা টেস্ট করার পর সান্তোসের মেডিকেল স্টাফরা নিশ্চিত করেছেন যে নেইমার কোভিড আক্রান্ত। যখন থেকে তার মধ্যে করোনার অনুসঙ্গ লক্ষ করা গেছে তখন থেকেই তাকে সব কিছু থেকে আলাদা করে রাখা হয়েছে। চিকিৎসকের পরামর্শেই সে এখন বাড়িতেই নিভৃতবাস করছেন।’
এর আগে বৃহস্পিতবার সান্তোসের একটি ম্যাচ খেলা হয়নি নেইমারের। সোমবার আরেকবার তাকে মেডিকেল পরীক্ষা করা হবে। এর আগে ২০২১ সালে মে মাসে পিএসজিতে থাকার সময় কোভিড আক্রান্ত হয়েছিলেন নেইমার। এ নিয়ে দ্বিতীবারের মতো তিনি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলেন। কাল তার ব্রাজিলের জাতীয় দলের ক্যাম্পে যাওয়ার কথা ছিল, আপাতত সেই কর্মসূচি বাদ দিতে হয়েছে তার।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: কর ন
এছাড়াও পড়ুন:
এখনও লক্ষ্যমাত্রা পূরন হয়নি সাভারের ট্যানারিতে
সাভারে শিল্প নগরীর ট্যানারিগুলোতে কোরবানির পশুর কাঁচা চামড়া গতবারের চেয়ে সরবরাহ কম হয়েছে বলে জানিয়েছেন ট্যানারিমালিকেরা। তাদের দাবি, সরকার বিনামূল্যে লবণ দেওয়ায় অনেক মাদ্রাসা এবং এতিমখানা কর্তৃপক্ষ তাদের সংগৃহীত চামড়া নিজেরাই লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করছেন। ফলে এবার ট্যানারিগুলোতে চামড়া সরবরাহ কমে গেছে। এছাড়া দেশের অন্যান্য জেলা থেকে কোনো চামড়া ঢাকায় প্রবেশ করতে না পারায় চাহিদা মতো চামড়া সরবরাহ করা যাচ্ছে না। এ বছর ট্যানারিতে ৫ লাখ চামড়া সংগ্রহ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও রোববার দুপুর পর্যন্ত ৩ লাখ ৩৫ হাজার সংরক্ষণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ট্যানারি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান।
রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সাভারের হেমায়েতপুর হরিণধরা এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অনেক ট্যানারিতে চামড়ার স্তূপ আগের চেয়ে কম। কাঙ্ক্ষিত চামড়া না থাকায় শ্রমিকদের লবণ লাগানোর কোনো কর্মব্যস্ততা নেই। বেশিরভাগ কারখানায় মালিক অথবা দায়িত্বরত কর্মকর্তার উপস্থিতি দেখা যায়নি।
কিছু কিছু ট্যানারিতে অল্প পরিমাণের চামড়ায় লবণ মাখিয়ে রাখা হয়েছে। কেউ কেউ চামড়ার সঙ্গে থাকা অতিরিক্ত অংশ কেটে লবণ লাগাচ্ছেন। তবে চামড়ার সরবরাহ কম থাকায় অনেক ট্যানারিতেই শ্রমিকদের উপস্থিতি চোখে পড়েনি।
সোনারবাংলা ট্যানারির মালিক আব্দুর শহিদ দুলাল জানান, সারাবিশ্বেই চামড়ার মূল্য কমে যাওয়ায় বাংলাদেশেও চামড়া শিল্পে এখন মন্দা অবস্থা। আমরা বেশি দামে কিনলে সেই চামড়া থেকে লাভ করা কঠিন। তবে আমরা সরকারের নির্ধারিত মূল্যেই চামড়া ক্রয় করছি।
মা সুফিয়া ট্রেডার্সের মালিক মোহন বাদশা বলেন, গতবারের চেয়ে এবার চামড়ার সরবরাহ কম। সরকার নির্ধারিত মূল্যেই আমরা চামড়া আকার ভেদে ৮০০-৯০০ টাকায় ক্রয় করছি। যারা ভালো চামড়া আনতে পারেন, তারা মূল্য ভালো পান। আবার যারা নষ্ট চামড়া নিয়ে আসেন তারা তুলনামূলক দাম কম পান।
বাংলাদেশ ট্যানারি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও সমতা লেদার কমপ্লেক্সের মালিক মিজানুর রহমান সমকালকে বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, ১০ দিনের মধ্যে ঢাকায় বাহিরের চামড়া প্রবেশ করতে পারবে না। রোববার সকাল ১০টা পর্যন্ত ৩ লাখ ৩৫ হাজার চামড়া সংগ্রহ করা হয়েছে। যেটা কমপক্ষে ৫ লাখ হওয়ার কথা ছিল। এর মধ্যে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে সিলেট থেকে ২ হাজার চামড়া এসেছে।
তিনি বলেন, সরকার এ বছর ঢাকার মধ্যে সর্বনিম্ন লবণযুক্ত কাঁচা চামড়ার দাম ১ হাজার ৩৫০ টাকা এবং প্রতি বর্গফুট ৬০ থেকে ৬৫ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে। যেটা সাংঘর্ষিক মনে হয়েছে। চামড়ার দাম ১ হাজার ৩৫০ টাকা হলে প্রতি বর্গফুট পড়বে ৮০ থেকে ৮৫ টাকা। তাই সরকারের এ দাম নির্ধারণ যুক্তিযুক্ত হয়নি।