2025-11-02@14:35:56 GMT
إجمالي نتائج البحث: 164

«জ বনয ত র»:

    দক্ষিণ কোরিয়ার বন্দর নগরী বুসানের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে সারিবদ্ধ করে রাখা হয়েছে কফিন। দেশটিতে ভবিষ্যতের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া পরিচালকদের প্রশিক্ষণের জন্য এগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ায় ব্যাপক জনসংখ্যাগত পরিবর্তনের ফলে মৃত্যুর ব্যবসায় ক্রমবর্ধমান সংখ্যক লোক কাজ খুঁজে পাচ্ছে। কারণ দেশটিতে জন্মহার বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে কম এবং জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেকের বয়স ৫০ বা তার বেশি। বুসান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির শিক্ষার্থীরা ঐতিহ্যবাহী কোরিয়ান অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার কাপড়ে সাবধানে একটি পুতুল জড়িয়ে, কাপড়টিকে আসল চামড়ার উপর মসৃণ করে, তারপর আলতো করে কফিনে নামিয়ে দিচ্ছিল। অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া প্রশাসনের শিক্ষার্থী ২৭ বছর বয়সী জ্যাং জিন-ইয়ং বলেন, “আমাদের সমাজের বয়স বাড়ার সাথে সাথে, আমি ভেবেছিলাম এই ধরণের কাজের চাহিদা আরো বাড়বে।” আরেক ছাত্র, ২৩ বছর বয়সী ইম সে-জিন তার দাদীর মৃত্যুর পর মাঠে নামার...
    দারিদ্র্য মানুষের জীবনের একটি বড় চ্যালেঞ্জ। দারিদ্র্য যখন ঘিরে ধরে, তখন শুধু অর্থের অভাবে সীমিত থাকে না; বরং জীবনের মান, নিরাপত্তা ও সুযোগও নষ্ট করে ফেলে। কোরআনে এ সমস্যার উল্লেখ এসেছে বারবার।যেমন সুরা কুরাইশে বলা হয়েছে, ‘কুরাইশের অভ্যাসের জন্য, শীত ও গ্রীষ্মের সফরের অভ্যাসের জন্য, তারা যেন এই ঘরের প্রভুর ইবাদত করে, যিনি তাদের ক্ষুধায় খাদ্য দিয়েছেন এবং ভয় থেকে নিরাপত্তা দিয়েছেন।’ (সুরা কুরাইশ, আয়াত: ১-৪)।নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে যে সকালে নিরাপদে, সুস্থ শরীরে এবং দিনের খোরাকি নিয়ে জেগে ওঠে, তার জন্য যেন পুরো দুনিয়া দেওয়া হয়েছে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬৪১২)যদি জনপদের লোকেরা ইমান আনত ও তাকওয়া অবলম্বন করত, তবে আমরা তাদের জন্য আকাশ ও পৃথিবী থেকে বরকতের দ্বার খুলে দিতাম।সুরা আরাফ, আয়াত: ৯৬ইসলামি ফিকহে দারিদ্র্যের সংজ্ঞা, এর মাত্রা...
    ‘ক্যাঙারুর দেশ’ অস্ট্রেলিয়া যেন এক স্বপ্নের ভূখণ্ড। দিগন্তজোড়া আকাশ, সোনালি রোদে ঝলমলে সমুদ্রতট আর প্রাণবন্ত বহুসংস্কৃতির দেশ। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের মতো এখানকার শিক্ষাব্যবস্থাও সমৃদ্ধ ও বিশ্বমানের। শিক্ষার্থীদের জন্য এটি কেবল উচ্চশিক্ষার গন্তব্য নয়, বরং আত্মনির্ভরতা, গবেষণা ও আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতার এক বিস্তৃত ক্ষেত্র। দেশটির ক্যানবেরা, মেলবোর্ন, সিডনি, ব্রিসবেন, অ্যাডিলেড, পার্থ শহরে রয়েছে বিশ্বের প্রথম সারির অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। পড়াশোনার মধ্য কাজের সুযোগসহ নানা সুবিধার কারণে দেশটিতে বৃত্তি নিয়ে অনেকেই পড়তে যেতে চান। দিন দিন এ সংখ্যা বাড়ছে।বিশ্বমানের শিক্ষা ও বিশ্ববিদ্যালয়অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরা, মেলবোর্ন, সিডনি, ব্রিসবেন, অ্যাডিলেড ও পার্থ শহরে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিশ্বের প্রথম সারির। বিজ্ঞান, প্রকৌশল, ব্যবসা, চিকিৎসা, কৃষিবিজ্ঞান, মানবিক শাস্ত্রসহ প্রায় সব বিষয়েই এখানে আধুনিক শিক্ষার সুযোগ রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান গবেষণানির্ভর শিক্ষাব্যবস্থা, ব্যবহারিক জ্ঞান ও নতুন দক্ষতা অর্জনের ওপর জোর দেয়।আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি...
    ‘খাদ্যাভ্যাস আর জীবনযাপনপদ্ধতিতে পরিবর্তন না আনলে ক্যানসার ঠেকানো কঠিন।’ আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর রেডিসন ব্লু হোটেলে অনকোলজি ক্লাব আয়োজিত দুই দিনব্যাপী বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল ক্যানসার কংগ্রেস ২০২৫–এর উদ্বোধনী দিনে বক্তারা এ কথা বলেন।এবারের সম্মেলনে বিশ্বের ১৬টি দেশের ৩১ জন খ্যাতনামা ক্যানসার–বিশেষজ্ঞসহ মোট ১ হাজার ২০০ জন ক্যানসার–বিশেষজ্ঞ, ক্যানসার–সংশ্লিষ্ট পেশাজীবী ও গবেষক অংশগ্রহণ করেছেন। খাদ্যাভ্যাস আর অনিয়মতান্ত্রিক জীবন যাপনের জন্যই দেশে ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশে প্রতিবছর আড়াই লাখ মানুষ নতুন করে ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন। এর পেছনে খাদ্যে ভেজাল আর বায়ুদূষণকেও দুষলেন দেশ–বিদেশের স্বনামধন্য ক্যানসার–বিশেষজ্ঞরা।সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অনকোলজি ক্লাব বাংলাদেশ ও ক্যানসার কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. এম এ হাই বলেন, বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল বিশ্বে ক্যানসার রোগীর ক্রমবর্ধমান সংখ্যা আশঙ্কাজনক। দেশে বর্তমানে বিপুল জনগোষ্ঠী এই রোগে আক্রান্ত, যার অধিকাংশই চিকিৎসার আওতার...
    বাংলাদেশের অনেক তরুণ-তরুণী উচ্চশিক্ষা, গবেষণা ও ক্যারিয়ার গঠনের জন্য বেছে নিচ্ছেন ‘সূর্যোদয়ের দেশ’ খ্যাত জাপানকে। উন্নত প্রযুক্তি, গবেষণাবান্ধব পরিবেশ এবং আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষাব্যবস্থার কারণে জাপান এখন বিদেশে পড়াশোনার অন্যতম জনপ্রিয় গন্তব্য।উচ্চশিক্ষা-পরামর্শক প্রতিষ্ঠান মেইসেসের ম্যানেজিং পার্টনার ও চিফ কাউন্সেলর রুহাম মনজুর বলেন, জাপানের শিক্ষা-সংস্কৃতি শিক্ষার্থীদের শুধু একাডেমিক নয়, পেশাগতভাবে প্রস্তুত হতে সাহায্য করে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ফলে তাঁরা গবেষণা, ইন্টার্নশিপ ও ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার পরিকল্পনায় শক্ত ভিত গড়ে তুলতে পারেন।জাপানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পরিশ্রম ও অধ্যবসায়কে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন গবেষণায় ব্যস্ত থাকেন আর শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীদের প্রতি অত্যন্ত সহানুভূতিশীল ও সহযোগিতা পরায়ণ।আরও পড়ুনবিদেশে উচ্চশিক্ষার প্রস্তুতি নেবেন যেভাবে২৬ অক্টোবর ২০২৫স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে পড়াশোনার সুযোগদক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো থেকে প্রতিবছর অনেক শিক্ষার্থী জাপানে স্নাতক পর্যায়ে পড়তে আসেন। উচ্চমাধ্যমিকের পর সরাসরি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে...
    বিদেশে উচ্চশিক্ষা শুধু একটি ডিগ্রির লক্ষ্য নয়; এটি নিজের জ্ঞান, চিন্তাশক্তি ও গবেষণার পরিসরকে বিস্তৃত করার এক দীর্ঘ যাত্রা। মাস্টার্স থেকে পিএইচডি—এই পথচলায় শিক্ষার্থীরা যেমন নিজেদের একাডেমিক দক্ষতা বাড়ান, তেমনি আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলেন, নতুন সংস্কৃতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে শেখেন এবং গবেষণার মাধ্যমে নিজের আগ্রহের ক্ষেত্রকে গভীরভাবে জানতে পারেন।সঠিক পরিকল্পনা বিদেশে মাস্টার্স বা পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি হতে হলে পরিকল্পনা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রথমেই নির্ধারণ করতে হবে নিজের উদ্দেশ্য। আপনি কি শুধুই ডিগ্রি অর্জন করতে চান নাকি গবেষণার মাধ্যমে একাডেমিক বা পেশাগত ক্ষেত্রে অবদান রাখতে চান? এরপর আসে দেশ ও বিশ্ববিদ্যালয় বাছাইয়ের বিষয়টি। বিভিন্ন দেশের উচ্চশিক্ষা কাঠামো, টিউশন ফি, জীবনযাপনের খরচ ও গবেষণার পরিবেশ আলাদা। যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি বা নেদারল্যান্ডস—প্রতিটি দেশেরই রয়েছে নিজস্ব গবেষণা ফোকাস ও আলাদা একাডেমিক...
    বিদেশে উচ্চশিক্ষা অর্জনের জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ একজন শিক্ষার্থীর জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ, সঠিক দেশ নির্বাচন আবেদনকারীর শিক্ষা, ক্যারিয়ার ও ভবিষ্যৎ জীবনের ওপর গভীর প্রভাব ফেলে। কোন দেশ উচ্চশিক্ষার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত, তা নির্ধারণের সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন। এর মধ্যে রয়েছে শিক্ষার মান, পড়াশোনার খরচ, ভাষা ও সংস্কৃতি, ভিসাপ্রক্রিয়া, স্কলারশিপের সুযোগ ও পড়াশোনা শেষে কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা।প্রতিটি বিষয় গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করলে নিজের প্রয়োজন ও লক্ষ্য অনুযায়ী সেরা দেশ নির্বাচন করা সহজ হয়। কারণ, যে দেশ আপনার শিক্ষাগত আগ্রহ, আর্থিক সামর্থ্য ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ—সেই দেশেই আপনার উচ্চশিক্ষার যাত্রা হবে সবচেয়ে সফল ও ফলপ্রসূ।দেশ বাছাইয়ের আগে... বিদেশে পড়তে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে নিজের লক্ষ্য স্পষ্ট করতে হবে। আপনি কি গবেষণাভিত্তিক পড়াশোনা করতে চান নাকি ক্যারিয়ারভিত্তিক, না...
    বিদেশি শিক্ষার্থীদের ফুল-ফান্ডেড স্কলারশিপ দিচ্ছে সুইডেন সরকার। এর আওতায় স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামে পড়াশোনার সুযোগ পাবেন শিক্ষার্থীরা। এ স্কলারশিপটির কেতাবি নাম সুইডিশ ইনস্টিটিউট স্কলারশিপ ফর গ্লোবাল প্রফেশনাল বা এসআই স্কলারশিপ। বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৩২টি দেশের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। সুইডিশ ইনস্টিটিউট (এসআই) ৭৫০টির বেশি মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য স্কলারশিপ দেয়। সম্পূর্ণ অর্থায়িত এ স্কলারশিপে স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামের সময় এক বা দুই বছর হতে পারে। এসআই স্কলারশিপে আবেদনের জন্য প্রথমে সুইডেনে মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তির আবেদন করতে হবে।বৃত্তির সুযোগ-সুবিধা—*জীবনযাত্রার খরচের জন্য শিক্ষার্থীদের মাসে ১২ হাজার সুইডিশ ক্রোনার দেবে*ভ্রমণের জন্য ১৫ হাজার সুইডিশ ক্রোনার অনুদান দেবে*স্বাস্থ্যবিমা প্রদান করবে*এসআই নেটওয়ার্ক ফর ফিউচার গ্লোবাল প্রফেশনালসের মেম্বারশিপ ও এসআই অ্যালামনাই নেটওয়ার্কের মেম্বারশিপ প্রদান করবে, যা শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গঠনের সুযোগ করে দেবে।সুইডিশ ইনস্টিটিউট ৭৫০টির বেশি মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য স্কলারশিপ দেয়
    যে সমাজে প্রশ্ন করতে ভয় হয়, রাতে নির্ভয়ে পথ চলতে ভয় হয়, নিজের মত প্রকাশ করতে ভয় হয়, বুঝতে হবে, সেখানে মানবাধিকারের ঘাটতি রয়েছে। ভয় যত কম, মানবাধিকার তত বেশি—মানবাধিকারের এমন সহজ অথচ গভীর ব্যাখ্যা তুলে ধরে ভয়হীন সমাজ গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন।আজ শুক্রবার রাজশাহী নগরের অলকার মোড়ে রাজশাহী অ্যাসোসিয়েশনের সম্মেলনকক্ষে জাতিসংঘ দিবস উপলক্ষে ‘মানবিক সংকট উত্তরণে আমাদের করণীয়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। প্রথম আলোর রাজশাহী জেলা বন্ধুসভা আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী কলেজ, রাজশাহী নিউ গভ. ডিগ্রি কলেজ, রাজশাহী আলোর পাঠশালাসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।জাহিদ হোসেন তাঁর বক্তব্যে ফিওদর দস্তয়েভস্কির বিখ্যাত উপন্যাস ‘দ্য ইডিয়ট’-এর প্রসঙ্গ টেনে বলেন, বৈচিত্র্যই পৃথিবীকে সুন্দর রেখেছে এবং এই সৌন্দর্যকে গ্রহণ করার মাধ্যমেই মানবতা মুক্তি...
    ডিমেনশিয়া কীডিমেনশিয়া এমন এক শারীরিক পরিস্থিতি, যাকে অনেক রোগের ‘ছাতা’ হিসেবে চিহ্নিত করা যায়। এসব রোগের কারণে মস্তিষ্ক ও এর চিন্তা করার ক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে দৈনন্দিন কাজকর্মে পড়ে ভীষণ নেতিবাচক প্রভাব। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এ রোগের প্রকোপ বাড়তে থাকে। একসময় স্বাভাবিক জীবনযাপনকে বাধাগ্রস্ত করে।দ্রুত রোগ শনাক্ত, পরিবারের সহায়তা, জীবনযাপনের রীতিতে পরিবর্তন ও ওষুধপথ্যের মাধ্যমে এ রোগের প্রকোপ কমানো এবং জীবনযাপন স্বাভাবিক রাখা সম্ভব।বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডিমেনশিয়ার প্রকোপ বাড়তে থাকে
    মুসলিম সভ্যতার স্থাপত্য শুধু মসজিদ, মাদরাসা বা প্রাসাদের গল্প নয়, সাধারণ মানুষের বাড়িঘরের গল্পও এখানে অনেক। ঘরবাড়ির স্থাপত্য নকশা ছিল তাদের জীবন, সংস্কৃতি আর অর্থনৈতিক অবস্থার প্রতিফলন। মুসলিম শহরগুলোর পুরোনো মহল্লায় হাঁটলে আজও সেই স্থাপত্যের জৌলুশ চোখে পড়ে।এই লেখায় আমরা সাধারণ ও মধ্যবিত্ত মানুষের বাড়ির নকশা, নির্মাণশৈলী আর তাদের জীবনযাত্রার ছোঁয়া নিয়ে আলোচনা করব। প্রাসাদ বা দুর্গের গল্প এড়িয়ে আমরা সাধারণ মানুষের ঘরের গল্পে প্রবেশ করব—তাদের দরজা থেকে ছাদ, ঘর থেকে সুবিধা এবং আলো ও শীতলতার ব্যবস্থা পর্যন্ত দেখার চেষ্টা করব।সাধারণ জীবনের স্থাপত্য ইসলামের প্রথম দিনগুলোতে আরবের বেদুইন অঞ্চলে বাড়ি বলতে ছিল তাঁবু, চামড়ার বিস্তার বা খেজুরপাতার ছাউনি। কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহ তোমাদের জন্য তোমাদের ঘরকে শান্তির আশ্রয় করেছেন এবং পশুর চামড়া থেকে ঘর তৈরি করেছেন।’ (সুরা নাহল, আয়াত: ৮০)মক্কা...
    ১. নিজের ভেতরের জগৎ নিয়ে ব্যস্ততাঁরা অনেকটাই আত্মমুখী। নিজেদের চিন্তা, অনুভূতি আর লক্ষ্য নিয়ে সময় কাটান। বাইরের প্রতিক্রিয়া বা লাইক–কমেন্ট তাঁদের কাছে খুব জরুরি নয়। তাঁদের কাছে নিজের মানসিক শান্তি ও আত্মবিশ্বাসই আসল বিষয়।জীবনযাপনে পরামর্শ: প্রতিদিন কিছু সময় রাখুন নিজের জন্য। চুপচাপ বসে ভাবুন, আপনি কেমন আছেন, কী করতে চান, আর কী আপনাকে শান্তি দেয়।২. সময়কে মূল্য দেনঅকারণ স্ক্রল, ট্রেন্ড ফলো করা বা অন্যের জীবনের আপডেট দেখা—এসব থেকে তাঁরা দূরে থাকেন। তাঁরা বুঝে ফেলেছেন, সময় অমূল্য।এই সময় তাঁরা ব্যবহার করেন পড়াশোনায়, প্রিয়জনের সঙ্গে কথা বলায় বা নিজের সঙ্গ উপভোগে।জীবনযাপনে পরামর্শ: এক দিন চেষ্টা করুন এক ঘণ্টা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম না দেখে থাকতে। দেখুন, সময়টা কত বেশি অর্থবহ মনে হয়।আজই এমন কারও সঙ্গে কথা বলুন, যাঁর সঙ্গে আপনি সত্যিই খোলামেলা হতে পারেন
    ১. ইউরিক অ্যাসিড বাড়ায় এমন খাবার কমানপিউরিন এমন এক যৌগ, যা আমাদের শরীরে বর্জ্য পদার্থ হিসেবে ইউরিক অ্যাসিড তৈরি করে। ফলে যেসব খাবারে পিউরিন বেশি থাকে, সেসব হজমের পর ইউরিক অ্যাসিডে রূপ নেয়। তাই এসব খাবার সীমিত খাওয়াই ভালো। লাল মাংস, লিভার বা অন্যান্য অভ্যন্তরীণ অঙ্গ, মাছ, শামুকজাত খাবার ও পোলট্রিতে পিউরিন বেশি থাকে।তবে সব ধরনের পিউরিন খারাপ নয়। সবজিতে থাকা পিউরিন আবার ইউরিক অ্যাসিড তেমন বাড়ায় না। তাই সবজি খেলে সমস্যা নেই। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ভারসাম্য। এসব খাবার একদম বাদ না দিয়ে পরিমাণে কমান।২. অতিরিক্ত চিনি ও মিষ্টি পানীয় এড়িয়ে চলুনচিনি, বিশেষ করে ফ্রুকটোজ ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা দ্রুত বাড়িয়ে দিতে পারে। প্রক্রিয়াজাত খাবারে থাকা সংযোজিত চিনি ও হাই ফ্রুকটোজ কর্ন সিরাপ যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। কোমল পানীয় বা...
    রাতে ঘুমের কিছু লক্ষণ দেখে অনেক সময় লিভারের জটিলতা সম্পর্কে সজাগ হওয়া যায়। আগে থেকে এসব লক্ষণ টের পেলে সময়মতো চিকিৎসাগ্রহণ থেকে শুরু করে জীবনযাপনের ধরনে পরিবর্তন আনা সম্ভব। এতে আরও বড় জটিলতা থেকে লিভারকে রক্ষা করা যায়।যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিনে ‘লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত ব্যক্তির ঘুমের ব্যাঘাত: প্রাদুর্ভাব, প্রভাব ও ব্যবস্থাগ্রহণে চ্যালেঞ্জ’ শিরোনামে প্রকাশিত গবেষণায় এসব বিষয়ে আলোকপাত করা হয়।ওই গবেষণায় বলা হয়, যাঁরা লিভারের রোগে আক্রান্ত, তাঁরা সাধারণত ঘুমাতে দেরি হওয়া, হঠাৎ ঘুম ভেঙে যাওয়াসহ পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়ার সমস্যায় ভোগেন। তাঁরা দিনের বেলায়ও প্রচণ্ড ঘুম ঘুম ভাবের সমস্যায় পড়েন।গবেষণায় বলা হচ্ছে, এসব সমস্যার মূল রোগটি হচ্ছে লিভারজনিত মানসিক অসুস্থতা বা হেপাটিক এনসেফ্যালোপ্যাথি। এটা মস্তিষ্কের এমন একটি অবস্থা, যখন লিভার বিকল হওয়ার কারণে তা আর শরীরের বিষাক্ত পদার্থ...
    বিশ্ব হার্ট দিবস উপলক্ষে জাতীয় হৃদ্‌রোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে বৈজ্ঞানিক সেমিনার ও শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার শেরেবাংলা নগরে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনের সার্বিক সহায়তায় ছিল রেনাটা পিএলসি।দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির মধ্যে সকাল সাড়ে আটটায় রঙিন ব্যানার-প্ল্যাকার্ড হাতে শোভাযাত্রা বের করা হয়। এতে চিকিৎসক, শিক্ষার্থী ও স্বাস্থ্যকর্মীরা অংশ নেন। পরে সকাল নয়টায় ইনস্টিটিউটের কনফারেন্স হলে বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়। এতে বক্তারা হৃদ্‌রোগের কারণ, প্রতিরোধ এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির গুরুত্ব তুলে ধরেন।অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কার্ডিয়াক সোসাইটির সদস্যসচিব অধ্যাপক ডা. এ এফ খবির উদ্দিন আহমেদ। কার্ডিওলজি বিভাগ, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. খালেকুজ্জামান স্বাগত বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, ‘সুস্থ হৃদয়ই সুস্থ জীবনের ভিত্তি। প্রায় ৮০ শতাংশ হৃদ্‌রোগ প্রতিরোধযোগ্য, যা হাঁটা, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, পরিমিত ঘুম...
    শতবর্ষী মানুষদের হামেশাই একটি প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। প্রশ্নটি হলো, ‘আপনার এই দীর্ঘ জীবনের রহস্য কী?’ এমন প্রশ্নে কেউ কেউ কথায় কথায় দীর্ঘায়ু ও সুস্থ একটি জীবন পেতে কিছু পরামর্শও দেন। কিন্তু শুধু কথায় নয়, বৈজ্ঞানিকভাবে এই রহস্য উদ্‌ঘাটনের চেষ্টা করছেন গবেষকেরা।কিছু মানুষ কেন অন্যদের চেয়ে বেশি দিন বাঁচেন? তাঁদের জিনগত গঠনে বিশেষ কী আছে? রোগে ভুগে যখন বহু মানুষ প্রতিনিয়ত প্রাণ হারাচ্ছেন, তখন কেন তাঁদের এসব রোগ হয় না? যদি কোনো রহস্য থেকেই থাকে, তাহলে তা কি অন্যদেরও দীর্ঘজীবী হওয়ার ক্ষেত্রে কোনো সাহায্য করবে?উল্লিখিত, এমন বহু প্রশ্নের উত্তর মিলবে সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গবেষণা নিবন্ধে। গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক চিকিৎসা সাময়িকী সেল রিপোর্টস মেডিসিন-এ নিবন্ধটি প্রকাশিত হয়েছে। গবেষকেরা ১১৭ বছর ১৬৮ দিন বেঁচে থাকা এক নারীর জিনগত বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে তুলে...
    শাহেদ একটি বহুজাতিক কোম্পানিতে চাকরি করেন। বয়সে তরুণ ও প্রাণোচ্ছ্বল। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা অফিসের পর শহরের যানজট পার হয়ে বাসায় পৌঁছাতে রাত নয়টা। এরপর ফ্রেশ হয়ে খেয়েদেয়ে ঘুম। সাপ্তাহিক ছুটিতে কিছুটা বিশ্রাম, তাও অফিসের কিছু কাজ বাকি পড়ে থাকে। সেটা ল্যাপটপে সেরে নিতে হয়। সেদিন এক বন্ধুর সঙ্গে একটি করপোরেট হাসপাতালে গিয়ে চেকআপ করাতে গিয়ে চিকিৎসককে দেখালেন। সেখানে ধরা পড়ে তাঁর উচ্চ রক্তচাপ। বিশ্বব্যাপী অসংক্রামক ব্যাধিগুলোর মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ অন্যতম। ধারণা করা হতো যে উচ্চ রক্তচাপ বয়স্ক জনগোষ্ঠীর রোগ। কিন্তু উদ্বেগজনক ব্যাপার হলো, ইদানীং তরুণদের মধ্যেও উচ্চ রক্তচাপের হার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের মতে, তাদের জনগোষ্ঠীর ২০ থেকে ৪০ বছর বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে প্রতি আটজনে একজন উচ্চ রক্তচাপ রোগে আক্রান্ত। বাংলাদেশেও তরুণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে এই রোগের...
    ঝকঝকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মিনিবাস। এই মিনিবাসের ভেতরে মিনি বা ছোট আকারের হাসপাতাল গড়ে তোলা হয়েছে। রোগী দেখার জন্য আছে একটি বিছানা। রোগীর প্রয়োজনে অক্সিজেন দেওয়ার ব্যবস্থাও রয়েছে। চোখ পরীক্ষার জন্য বিশেষায়িত যন্ত্রের পাশাপাশি আছে বিভিন্ন অক্ষর ও সংকেত-সংবলিত বোর্ড। কিছু পরীক্ষার সুবিধাও থাকছে। রোগীদের সেবা দেবেন অভিজ্ঞ চিকিৎসকেরা। স্বল্প আয়ের মানুষকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দিতে এই ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল ছুটে চলবে দেশের ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল। শুরুতে ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার স্বল্প আয়ের মানুষ এই সেবা পাবেন। তারপর শিল্প এলাকার শ্রমিকেরাও এই স্বাস্থ্যসেবার আওতায় আসবেন। শুরুতে একটি মিনিবাস দিয়ে কার্যক্রম হলেও পরবর্তী সময়ে ভ্রাম্যমাণ এই হাসপাতালের সংখ্যা বাড়বে।স্কয়ার গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা স্যামসন এইচ চৌধুরীর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে ‘ছাপ্পান্ন হাজার স্কয়ার মাইল জুড়ে’ শীর্ষক ভ্রাম্যমাণ স্বাস্থ্যসেবার এই অলাভজনক ও স্বেচ্ছাসেবামূলক উদ্যোগটি নিয়েছে দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয়...
    নিজের অনুগত সি‌ন্ডি‌কেট দি‌য়ে আইটি প্রতিষ্ঠান ফ্লোরা লি‌মি‌টে‌ডের এম‌ডি মোস্তফা শামসুল ইসলাম ও তার স্ত্রী অপা‌রেশন ডি‌রেক্টর সোফিয়া ইসলাম প্রতিষ্ঠা‌নের টাকা হু‌ন্ডির মাধ‌মে বি‌দে‌শে নি‌য়ে যা‌চ্ছেন ব‌লে অভিযোগ ক‌রে‌ছেন কোম্পা‌নির ক্ষ‌তিগ্রস্ত ও ব‌ঞ্চিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। কো‌নো কারণ ছাড়াই পর্যায়ক্রমে কর্মকর্তা- কর্মচারীদের চাক‌রিচ‌্যুত ক‌রে প্রতিষ্ঠা‌নের সম্পদ বি‌ক্রি ক‌রে বি‌দে‌শে নি‌য়ে গি‌য়ে স্থায়ীভা‌বে দেশ ছাড়ার প্রক্রিয়া ক‌রছেন ব‌লেও অভিযোগ ক‌রে‌ছেন তারা। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপু‌রে জাতীয় প্রেস ক্লা‌বে এক সংবাদ স‌ম্মেলন ক‌রে প্রতিষ্ঠান‌টির নির্যা‌তিত কর্মচারীরা এসব অভিযোগ ক‌রেন। সংবাদ স‌ম্মেল‌নে লি‌খিত বক্তব‌্য দেন ফ্লোরা লি‌মি‌টে‌ডের নির্যা‌তিত কর্মচারীদের প‌ক্ষে মোহাম্মদ মিলন হো‌সেন। কর্মচারী‌দের পাওনা টাকা প‌রি‌শো‌ধ, বি‌দে‌শে পাচারকৃত টাকা দে‌শে ফি‌রি‌য়ে আনা এবং ফ্লোরার এম‌ডি ও তার স্ত্রীসহ বি‌দে‌শে টাকা পাচা‌রে জ‌ড়িত‌দের বিরু‌দ্ধে দ্রুত ব‌্যবস্থা গ্রহ‌ণের জন‌্য সরকা‌রের প্রতি দা‌বি...
    বাংলাদেশের শহুরে জীবন যেমন নানা সুযোগ এনে দিয়েছে, তেমনি সমস্যারও অন্ত নেই। ঝকঝকে ভবন, আধুনিক অফিস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান—সবকিছুই মানুষকে শহরমুখী করছে। কিন্তু এই আকর্ষণের আড়ালে সবচেয়ে বড় সংকট হলো ভাড়া বাড়ির ক্রমবর্ধমান চাপ। ঢাকার মতো মহানগরে, যেখানে কাজ, শিক্ষা ও ব্যবসার সুযোগ সবচেয়ে বেশি, সেখানে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রাকে এ সমস্যা গভীরভাবে প্রভাবিত করছে।প্রতিবছর ভাড়া বাড়ছে, কিন্তু আয়ের হার তার সঙ্গে পাল্লা দিতে পারছে না। একজন চাকরিজীবীর বেতনের অর্ধেক বা তার বেশিই চলে যায় ভাড়ার পেছনে। এরপর বাজার, বিদ্যুৎ-গ্যাস, চিকিৎসা ও সন্তানের পড়াশোনা সামলাতে গিয়ে পরিবারগুলোকে কঠিন চাপে পড়তে হয়। কেউ খরচ কমিয়ে চালায়, কেউ ঋণ নেয়। এ কারণে মানসিক অশান্তি বাড়ে, পারিবারিক দ্বন্দ্বও তৈরি হয়।শহরে নতুন আসা শিক্ষার্থী বা চাকরিজীবীদের অবস্থা আরও দুর্বিষহ। নিরাপদ ও সাশ্রয়ী বাসা পাওয়া প্রায় অসম্ভব। ভালো...
    প্রায় তিন বছর ধরে মূল্যস্ফীতির হার ১০ শতাংশের কাছাকাছি ঘোরাফেরা করছে, যা মানুষের জীবনযাত্রাকে কঠিন করে তুলেছে। এমন পরিস্থিতিতে স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য সরকারের ভর্তুকি মূল্যে পণ্য বিক্রি একটি গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক ব্যবস্থা হিসেবে কাজ করে। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) ট্রাকে ট্রাকে সেই পণ্য বিক্রি করে থাকে। কিন্তু চাহিদা থাকা সত্ত্বেও এই ট্রাক সেল কার্যক্রম হঠাৎ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বাজেট সীমাবদ্ধতার কথা বলা হলেও এই সিদ্ধান্ত বাস্তবতার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। অর্থনীতিবিদদের মতে, উচ্চ মূল্যস্ফীতির ফলে দেশে দারিদ্র্যের হার উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা তিন বছরে প্রায় ১০ শতাংশ বেড়ে এখন ২৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। একটি পরিবারের মাসিক আয়ের প্রায় ৫৫ শতাংশই খাবার কিনতে খরচ হয়ে যাচ্ছে, যা তাদের জীবনধারণের অন্যান্য মৌলিক চাহিদা পূরণের ক্ষমতাকে সীমিত করে তুলছে। এমন চরম আর্থিক সংকটের সময়ে,...
    ক্রিসা টোলেন্টিনো দীর্ঘদিন ধরে বন্যার মধ্যেই জীবনযাপন করছেন। সরকারি স্কুলের ৩৬ বছর বয়সী এই শিক্ষিকা প্রায় প্রতিদিনই তার নিজের প্লাবিত এলাকা থেকে নৌকা দিয়ে ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলার কাছাকাছি অবস্থিত অ্যাপালিট শহরতলিতে যান। অবশ্য বছরের মাত্র দুই মাস তিনি যাতায়াতের জন্য শুকনো সড়ক ব্যবহার করতে পারেন। দুর্ভোগের শিকার ক্রিসা চলতি বছর খুব রেগে আছেন। অস্বাভাবিকভাবে তীব্র বর্ষা দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশটিতে দৈনন্দিন জীবনকে আগের চেয়ে অনেক বেশি বিপর্যস্ত করে তুলেছে এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ ও ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। বৃষ্টিপাতের ফলে লাখ লাখ মানুষকে মাঝেমধ্যেইষ মাঝপথে আটকা পড়তে হয়। রাস্তাগুলো নদীতে পরিণত হয় এবং গাড়ি ভাসতে থাকে সড়কগুলোতে। এর পাশপাশি নর্দমার ইঁদুরের মলমূত্রের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে লিভারের রোগ লেপ্টোস্পাইরোসিস। ক্রিসা বলেন, “আমি নিজেকে বিশ্বাসঘাতকতার শিকার বলে মনে করছি।...
    বয়সটাই যখন ঝুঁকিবয়স বাড়লে, অর্থাৎ বয়স ৫০ বছর পেরোলেই প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে। বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে। তাই দেশে বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষের সংখ্যাও আগের চেয়ে বেশি। এই বিপুলসংখ্যক পুরুষের প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি তরুণদের তুলনায় অনেক বেশি।জীবনযাত্রার ধরনে বাড়ে আরও ঝুঁকিজীবনযাত্রার আধুনিকায়ন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। অতিরিক্ত চর্বিজাতীয় খাবার এবং লাল মাংস খাওয়ার অভ্যাস, শারীরিক পরিশ্রমের অভাব, মানসিক চাপ ও অনিয়মিত ঘুমের কারণে প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে। নগরভিত্তিক ব্যস্ত জীবনে মানুষ যানবাহন এবং নানা ধরনের যন্ত্রের প্রতি অনেক বেশি নির্ভরশীল। প্রক্রিয়াজাত খাবারও সহজলভ্য আধুনিক শহুরে জীবনে। এসবই প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়।আরও পড়ুননারীর ভেতর যে ৫ বৈশিষ্ট্য খোঁজে পুরুষ১৯ এপ্রিল ২০২৪যা করা প্রয়োজনস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন কম বয়স থেকেই
    নারায়ণগঞ্জ শহর ও শহরতলীতে নিত্যপণ্যের বাজারে দফায় দফায় দাম বৃদ্ধির ফলে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে পড়ছে। কয়েক সপ্তাহ ধরে আলু ছাড়া প্রায় সব সবজির দাম চড়া। এর মধ্যে ব্রয়লার মুরগির দামও বেড়েছে। তবে ডিমের দামে সামান্য স্বস্তি এসেছে। বাজারে দফায় দফায় দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে অনেকেই বলছেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কৃত্রিমভাবে দাম বাড়াচ্ছে। শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মাছ, শাক, ডাল, আটা, ময়দা ও চা পাতার দামও গত দুই সপ্তাহে বেড়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিপ্রতি ১০-২০ টাকা বেড়ে ১৮০-২০০ টাকায় উঠেছে। তবে গরুর মাংস কেজিপ্রতি ৭৫০-৭৮০ টাকা এবং খাসির মাংস ১১০০-১২০০ টাকায় অপরিবর্তিত রয়েছে। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, পশুর সরবরাহ স্বাভাবিক থাকায় মাংসের দাম বাড়েনি। এদিকে বাজারে সবজির দামেও অস্থিরতা। আলু ও...
    নেপালের জেন-জি এর নেতৃত্বে বিক্ষোভের ফলে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। বিক্ষোভকারীদের উপর পুলিশের দমন-পীড়নে কমপক্ষে ৩১ জন নিহত এবং এক হাজারেরও বেশি আহত হন। এই অস্থিরতার ফলে সরকারি ভবন, সিনিয়র রাজনীতিবিদদের ব্যক্তিগত বাসভবন এমনকি পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে অবস্থিত হোটেলগুলোতেও অগ্নিসংযোগ করা হয়।  এই অস্থিরতার মূলে রয়েছে নতুন প্রজন্মের ক্ষোভ। যেখানে সাধারণ নেপালিরা বেকারত্ব, ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি এবং তীব্র দারিদ্র্যের সাথে লড়াই করছে, সেখানে রাজনৈতিক নেতাদের সন্তানরা যারা ‘নেপো কিডস’ নামে পরিচিতি, তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিলাসবহুল গাড়ি, ডিজাইনার হ্যান্ডব্যাগ এবং আন্তর্জাতিক ছুটির দিনগুলো উপভোগ করার ছবি পোস্ট করেছে। এক হিসেবে বলা যায়, সন্তানদের বিলাসবহুল জীবন যাপনের ছবি পোস্ট করাই কাল হয়েছে নেপালের রাজনীতিবিদদের জন্য। রাজনীতিবিদদের সন্তানদের অমিতব্যয়ী জীবনযাত্রা তুলে ধরা পোস্ট এবং ভিডিওগুলো টিকটক, ইনস্টাগ্রাম,...
    বাংলাদেশের স্বনামধন্য মানবিক সংগঠন মাস্তুল ফাউন্ডেশন বাংলাদেশে অবস্থানরত ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীদের জন্য এক বিশেষ মানবিক সহায়তার হাত বাড়িয়েছে। চলমান সংঘাতের কারণে বিপর্যস্ত ৭১ জন ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীকে তাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা ও পড়াশোনা নির্বিঘ্নে চালিয়ে যাওয়ার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে সংগঠনটি। সম্প্রতি ফিলিস্তিন দূতাবাসের মাধ্যমে এই সহায়তা হস্তান্তর করা হয়, যা শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত খরচ মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।  মাস্তুল ফাউন্ডেশন দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি সময় ধরে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে থেকে কাজ করে আসছে। এই উদ্যোগের মধ্য দিয়ে তা আবারো প্রমাণ হলো। এছাড়া মাস্তুল ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘Stand with Palestine’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে ফিলিস্তিনের মানুষের সংগ্রামের কথা দেশবাসীর সামনে তুলে ধরা এবং ছাত্রদের সহায়তা প্রদান করা হয়। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত ইউসুফ রামাদান।  শুধু তাই...
    বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার অন্যতম গন্তব্য কানাডা। দেশটি বিদেশি শিক্ষার্থীদের নানা ধরনের বৃত্তি দেয়। তেমনি একটি বৃত্তি ‘ম্যাককল ম্যাকবেইন’ স্কলারশিপ। দেশটির ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটি এ বৃত্তি দেয়। এ বৃত্তির আওতায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা বিনা মূল্যে স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামে পড়ার সুযোগ পান। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা আবাসন ও মাসিক ভাতাসহ নানা সুবিধা পাবেন। ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটি কানাডার গবেষণাভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়টি ১৮২১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটি কানাডার কুইবেক প্রদেশের মন্ট্রিয়ল শহরে। প্রতিবছর হাজারো শিক্ষার্থী এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেন।বৃত্তির সুযোগ–সুবিধা*সম্পূর্ণ টিউশন ফি দেবে ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটি।*জীবনযাত্রার ব্যয়ের জন্য প্রতি মাসে ২ হাজার ৩০০ ডলার মিলবে।*মন্ট্রিয়লে যেতে এককালীন স্থানান্তর অনুদান মিলবে।*নতুনদের জন্য ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটি ফ্রেঞ্চ ভাষার কোর্স করাবে।*আবাসন খরচ মিলবে।*শিক্ষার্থী বা গবেষক তাঁদের নিজ ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ পেশাদারদের কাছ থেকে মেন্টরশিপ পাবেন, যা তাঁদের একাডেমিক ও ক্যারিয়ার গঠনে...
    এ দেশের শিল্প-সংস্কৃতিতে এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম এস এম সুলতান, যিনি তাঁর শিল্পচর্চার পথে দীপ্ত পায়ে হেঁটে পৌঁছেছিলেন এই গ্রামবাংলার প্রকৃতি ও মানুষের কাছে। সুলতানের রংতুলি আজও আমাদের ডেকে নিয়ে যায় এই বাংলার আদিম প্রকৃতির পরম ভালোবাসায়; যে ভালোবাসার ডাকে সাড়া দিয়ে সুলতান একের পর এক দৃশ্য রচনা করেছিলেন। সংগ্রামী ও শক্তিশালী মানুষের সুঠাম দেহে রোপণ করেছিলেন মুক্তির চারা গাছ। তাঁর ছবিতে কিষান-কিষানির তামাটে রোদে পোড়া ঘর্মাক্ত দেহের রেখা যেন তিরের মতো তীব্র গতিতে এগিয়ে চলে টিকে থাকার লড়াইয়ে।এ দেশের গ্রামের মাটিতে প্রতিনিয়ত জীবনযুদ্ধের বিশালদেহী, ক্রোধে কম্পিত পেশির মানুষগুলো যূথবদ্ধ হয়ে দৌড়াতে থাকে স্থির লক্ষ্যে। শত্রুর মোকাবিলা করে শক্তসমর্থ পেশিবহুল পুরুষ ও নারী উভয়েই। এই মানুষগুলোই সুলতানের অনুপ্রেরণা। তাঁর ছবিতে নারী চরিত্র কোনো অংশে কম শক্তিশালী নয়। বরং কোথাও কোথাও...
    জমিদারির কাজে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কুষ্টিয়ার শিলাইদহ, শাহজাদপুর, নওগাঁর পতিসরে বহুবার ভ্রমণ করেছিলেন। পদ্মায় বোটে করে ভাসতে ভাসতে দেখেছেন বাংলার সজল সবুজ প্রকৃতি। নদীর দুই পারের মানুষের জীবনযাত্রা। বাউল, ভাটিয়ালি গানের সুরে মোহিত হয়েছে কবির চিত্ত। কবি সেই সব দেখা ও শোনার অভিজ্ঞতা, আবেগ, অনুভব প্রকাশ করেছেন গানে, কবিতায়, গল্পে আর ‘ছিন্নপত্র’ নামের চিঠিতে। কবির প্রয়াণ দিবসের আয়োজনে সেই রচনা থেকে পাঠ আর গানে গানে শ্রদ্ধা নিবেদন করল ছায়ানট।গতকাল বুধবার ২২ শ্রাবণ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণ দিবসে ‘অন্তরতর হে-বাংলাদেশের রবীন্দ্রনাথ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট। সন্ধ্যা সাতটায় ধানমন্ডির ছায়ানট সংস্কৃতি–ভবন মিলনায়তনে অনুষ্ঠান শুরু হয়েছিল সম্মেলক কণ্ঠে ‘অন্তর মম বিকশিত কর অন্তরতর হে’ গানটি দিয়ে। পরে ইফফাত বিনতে নাজি গেয়েছেন ‘চিত্ত পিপাসিতরে গীত সুধার তরে’। গানের ফাঁকে ফাাঁকে পদ্মাপারের জীবনযাত্রা...
    “আল্লাহর কাছে হাজার শুকরিয়া যে আমি বেঁচে ফিরতে পেরেছি, বাবা-মায়ের মুখ দেখতে পারছি। জীবনে এমন পরিস্থিতি দেখব ভাবিনি।” বিছানায় শুয়ে অস্ফুট স্বরে কথাগুলো বলছিলেন মোহাম্মদ আলী (১৬), যার পিঠে এখনও বয়ে বেড়াচ্ছেন গত জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের সময়ের গুলিবিদ্ধ হওয়ার যন্ত্রণা। ঢাকার রাজপথে স্রেফ মিছিল দেখতে গিয়ে জীবনটাই হারাতে বসেছিলেন লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার কুমড়ীরহাট এস সি স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেণির এই শিক্ষার্থী।  মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এলেও ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীর শঙ্কা আর চিকিৎসার বিপুল খরচ কীভাবে জুটবে, সেই চিন্তায় দিশেহারা মোহাম্মদ আলী ও তার দিনমজুর পরিবার। শুধু নিজের জীবন হারাতে বসেছিলেন তাই নয়, চোখের সামনে হারিয়েছেন খালাতো ভাই মিরাজকে।  মিরাজ মহিষখোচা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি উত্তীর্ণ হয়ে কলেজে ভর্তি হয়েছিল। তিনি ঢাকায় গার্মেন্টসে কাজ করতেন।...
    তাজউদ্দীন আহমদের ডায়েরি ১৯৪৭-৪৮ (প্রথম খণ্ড)অনুবাদ: বেলাল চৌধুরীপ্রকাশক: প্রথমা প্রকাশনপ্রচ্ছদ: মাসুক হেলাল; মূল্য: ৫০০ টাকাপৃষ্ঠা: ২১৬; প্রকাশ: ডিসেম্বর ২০২০এই ডায়েরিতে উঠে এসেছে এক ২২ বছর বয়সী স্বল্পবিত্ত ছাত্র ও রাজনৈতিক কর্মীর নিবিষ্ট জীবনের প্রতিদিনের খতিয়ান। প্রত্যুষে ওঠা, পড়াশোনার অগ্রগতি, দিন কেমন কাটল—সবকিছুই তিনি নিয়মিতভাবে লিপিবদ্ধ করেছেন। শত ব্যস্ততার মধ্যেও তাঁর শিক্ষা বিষয়ে নিষ্ঠা ও সতর্কতা গভীরভাবে অনুধাবনযোগ্য। ডায়েরির পাতায় রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত দায়িত্ব পালনের বিবরণ যেমন রয়েছে, তেমনি স্থান পেয়েছে ছাত্ররাজনীতির ঘটনাপঞ্জি ও সময়ের উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক পরিবেশের সংক্ষিপ্ত বিশ্লেষণ। এতে ধরা পড়ে সেই সময়কার ছাত্র ও রাজনৈতিক কর্মীদের জীবনযাত্রা, আন্তসম্পর্ক ও সংগ্রামী বাস্তবতা। আর প্রতিদিনের শেষে আবহাওয়ার চুম্বক বিবরণ একজন প্রকৃতিপ্রেমী, সংবেদনশীল তরুণের আত্মজৈবনিক চেতনার জানান দেয়। এই ডায়েরি কেবল একজন কর্মীর দিনলিপি নয়, বরং তা এক যুগসচেতন তরুণের আত্মপ্রত্যয়ের দলিল।তাজউদ্দীন...
    রাজধানীর গুলশানে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেপ্তার গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের বহিষ্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলমের (অপু) বাড়ি জয়পুরহাটের আক্কেলপুরের পুনঘরদীঘি গ্রামে। স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য, জানে আলম নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। গণ-অভ্যুত্থানের কিছুদিন পর হঠাৎ করেই বদলে যায় তাঁর জীবনযাপন। দামি পোশাক, প্রাইভেট কারে চলাফেরা, প্রভাবশালী রাজনীতিক ও পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ছবি—এসব তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেখা যায়।জয়পুরহাটের পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানে আলমকে সমীহ করতেন। গণ-অভ্যুত্থানের পর প্রথম তিনি ১১ আগস্ট জয়পুরহাট আসেন। সে সময়কার জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নুরে আলম তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। বর্তমান পুলিশ সুপার মুহম্মদ আবদুল ওয়াহাবও তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন। এসব ছবি এখনো ফেসবুকে আছে। জানে আলম এলাকায় এসে নিজেকে বিরাট ক্ষমতাধর ব্যক্তি বলে পরিচয় দিতেন। গুলশানে চাঁদাবাজিতে তাঁর জড়িত থাকার...
    দেশের প্রতি চারজনের একজন মানুষ এখনো বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করছে। জাতীয় বহুমাত্রিক দারিদ্র্য সূচক (এমপিআই) বিষয়ক এক সেমিনারে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পরিকল্পনা কমিশনে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) পক্ষ থেকে ‘বাংলাদেশের জাতীয় বহুমাত্রিক দারিদ্র্য সূচক’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক আনিসুজ্জামান চৌধুরী। এতে সভাপতিত্ব করেন জিইডির সদস্য (সচিব) মনজুর হোসেন। আলোচক ছিলেন পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) নির্বাহী চেয়ারম্যান হোসেন জিল্লুর রহমান এবং বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) মহাপরিচালক এ কে এনামুল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব আলেয়া আখতার এবং বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স।বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো বিবিএসের ২০১৯ সালের মাল্টিপল ইন্ডিকেটর ক্লাস্টার সার্ভের (এমআইসিএস) তথ্য ব্যবহার করে...
    মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের পদত্যাগ দাবি দেশটির রাজধানী কুয়ালালামপুরে শনিবার হাজারো মানুষ বিক্ষোভ করেছেন। জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি ও প্রতিশ্রুত সংস্কার বাস্তবায়নে ব্যর্থতার অভিযোগে এই বিক্ষোভের আয়োজন। সদ্য ১০০ বছরে পা দেওয়া দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদও বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন।বিক্ষোভকারী প্রায় সবাইকে কালো টি-শার্ট ও কপালে ফেট্টি পরতে দেখা গেছে। এতে লেখা ছিল, ‘তুরুন আনোয়ার’। যার অর্থ হলো, সরে দাঁড়াও আনোয়ার। বিক্ষোভকারীরা শহরের কেন্দ্রীয় এলাকায় মিছিল করে স্বাধীনতা স্কয়ারে জড়ো হন। সেখানে বিরোধী দলের শীর্ষ নেতারা বক্তৃতা দেন। পুলিশের তথ্যমতে, বিক্ষোভে প্রায় ১৮ হাজার মানুষ অংশ নিয়েছেন।সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০২২ সালের নভেম্বরে ক্ষমতায় আসেন আনোয়ার ইব্রাহিম। সরকারের রাজস্ব বাড়াতে তাঁর সরকার সম্প্রতি বিক্রয় ও সেবার ওপর কর (এসএসটি) বাড়িয়েছে এবং ভর্তুকি ঢেলে সাজিয়েছে। জনগণের একাংশের আশঙ্কা, এসব পদক্ষেপের কারণে ভোক্তা পণ্যের...
    শোকের ছায়ায় বিষণ্ন হয়ে আছে উত্তরা। দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় নিষ্পাপ শিশুসহ ৩২ জনের মর্মান্তিক মৃত্যুর শোক যেন কালো মেঘের মতো ঘনিয়ে এসেছে উত্তরা এলাকার বাসিন্দাদের মনে। ঘরে ঘরে বেদনা।গত সোমবার বিমান দুর্ঘটনার পর থেকেই কোমলমতি শিশুদের মৃত্যু ও যন্ত্রণায় দেশবাসীর মন বেদনাবিধুর হয়ে ওঠে। তবে উত্তরার পরিবেশ ছিল হৃদয়বিদারক। সেদিন বিকেল থেকেই জীবনযাত্রা অনেকটা মন্থর হয়ে পড়ে। সেক্টরগুলোর হোটেল–রেস্তোরাঁ, ব্যস্ত বিপণিবিতান, তরুণদের আড্ডায় প্রাণবন্ত হয়ে থাকার জনপরিসরগুলো সন্ধ্যার পর থেকে অনেকটাই জনবিরল হয়ে যায়। সেক্টরের ভেতরের সড়কগুলোতেও যানবাহন চলাচল কমে আসে। জীবনযাত্রার স্বাভাবিক প্রাণচাঞ্চল্য ছিল ম্লান–মন্থর। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বিধ্বস্ত স্থান ঘিরে রেখেছেন। গতকালের ছবি
    গত এপ্রিলে অনুষ্ঠিত এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হইয়াছে। শুক্রবার প্রকাশিত সমকালের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, কৃতকার্যের হার ৬৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ। অর্থাৎ প্রায় ৩২ শতাংশ শিক্ষার্থী জীবনের প্রথম পাবলিক পরীক্ষায় অকৃতকার্য হইয়াছে– সংখ্যার হিসাবে যাহা ছয় লক্ষাধিক। ইংরেজিতে প্রবচন রহিয়াছে ‘উইনার টেকস অল’– পাদপ্রদীপের সকল আলো কৃতকার্যেরাই কাড়িয়া লয়; অকৃতকার্যদের ভাগ্যে থাকে কেবলই অন্ধকার। আমাদের সমাজও এই ক্ষেত্রে দুর্ভাগ্যবশত ব্যতিক্রম নহে; তাই এসএসসি পরীক্ষায় যাহারা সাফল্য লাভ করিয়াছে তাহাদেরই জয়জয়কার সর্বত্র। সকল প্রকার সংবাদমাধ্যমেও ইহারই প্রতিফলন ঘটিয়াছে। অথচ যাহারা অকৃতকার্য হইল, তাহারা এই কৃতকার্যদেরই সহপাঠী, উক্ত উদযাপনের সময় তাহাদের কথা কাহারও মনে থাকিল না। আবারও প্রমাণিত হইল, এই সমাজে পরীক্ষায় অকৃতকার্য হইবার অর্থ প্রত্যাখ্যাত হওয়া। আর প্রত্যাখ্যান মানেই বিষাদ ও হতাশা।  প্রতি বৎসর পরীক্ষায় অকৃতকার্যতাজনিত হতাশা হইতে...
    ভঙ্গুর একটি যুদ্ধবিরতি তেহরানের আকাশে পরিচিত হয়ে ওঠা বিস্ফোরণের শব্দ আপাতত বিরতি দিয়েছে। আমার জন্ম হয়েছিল ১৯৮৮ সালে, ইরাক-ইরান যুদ্ধ থামার এক বছর আগে। আমাদের প্রজন্মের কাছে যুদ্ধ ছিল অতীতের বিষয়। এই গ্রীষ্ম আসার আগে তা ছিল অবিশ্বাস্য ও অকল্পনীয় একটা বিষয়।১২ দিন ধরে, আমরা রাজধানীতে বসবাস করেছি ইসরায়েলের নিরবচ্ছিন্ন হামলার মধ্যে। আমরা যা দেখেছি, তা আমাদের চিরদিনের জন্য বদলে দিয়েছে। আমরা দেখেছি, প্রতিবেশীদের মৃতদেহ, ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া বাড়িঘর এবং মানুষের সীমাহীন উদ্বেগ।‘ইরানি জনগণ’ বলার মধ্যে একধরনের স্বস্তি কাজ করে। এতে মনে হয় যেন আমরা সবাই একটি ঐক্যবদ্ধ গোষ্ঠী। কিন্তু অধিকাংশ সমাজের মতো, ইরানিদের মধ্যেও বিভিন্ন মতপার্থক্যের মানুষ রয়েছেন। এমন অনেক মানুষ ছিলেন, তাঁরা (অন্তত যুদ্ধের সূচনালগ্নে) এটা দেখে খুশি হয়েছিলেন তাঁদের অপছন্দের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) শীর্ষ নেতৃত্বকে...
    পঞ্চাশের দশকের জনপ্রিয় অভিনেতা মুরাদের জীবনের শেষটা ছিল বিয়োগান্ত। ৫০০টির বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করা সত্ত্বেও, নিজের একটি বাড়ি কিংবা গাড়িও কখনো কেনা হয়ে ওঠেনি তাঁর। বলিউডের এমন অনেক শিল্পীর গল্পই রয়েছে, যাঁরা জীবনের শেষভাগে এসে পড়েছেন আর্থিক টানাপোড়েনে। সম্প্রতি ইউটিউব চ্যানেল ‘ফিল্মি চর্চা’তে এক সাক্ষাৎকারে এ প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন মুরাদের ছেলে অভিনেতা রাজা মুরাদ। তিনি বলেন, ‘আমি দারিদ্র্য দেখেছি, কষ্টের দিন দেখেছি। আমাদের ভোপালের বাসায় বিদ্যুৎও ছিল না। পরীক্ষা দেওয়ার সময় আমি রাস্তার ল্যাম্পপোস্টের নিচে বসে পড়তাম। রাত ১২টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত পড়াশোনা করতাম।’রাজা মুরাদ আরও বলেন, ‘বলিউডের অনেক পুরোনো দিনের অভিনেতা শেষ জীবনে আর্থিক কষ্টে ভুগেছেন, কিন্তু এর জন্য তাঁরাই দায়ী। টাকা উপার্জনের সময় ভবিষ্যতের কথা ভাবা উচিত ছিল। আমাদের ইন্ডাস্ট্রির টেকনিশিয়ানরাও নিজেদের বাড়ি বানিয়ে নিয়েছে। তারা জানে,...
    হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকে বিশ্বজুড়ে মৃত্যুর হার বাড়ছে। এর অন্যতম কারণ খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপনের ধরন; কিন্তু সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলছে, প্রতিদিনের ভালো খাদ্যাভ্যাস ও সঠিক জীবনযাপনের পাশাপাশি একটি নির্দিষ্ট ভিটামিন গ্রহণ করলে এই ঝুঁকি অনেকটা কমানো সম্ভব। কী সেই ভিটামিনগবেষকেরা বলছেন, ভিটামিন ডি নিয়মিত গ্রহণ করলে স্ট্রোকসহ বড় ধরনের হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি প্রায় ১৭ শতাংশ  কমে যেতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাময়িকী নিউট্রিয়েন্টস-এ প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, ভিটামিন ডি হৃদ্‌রোগ প্রতিরোধে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে। গবেষকেরা ভিটামিন ডি নিয়েছেন বা নেননি, এমন ব্যক্তিদের মধ্যে পার্থক্য বিশ্লেষণ করে এ ধরনের কিছু ফলের কথা জানিয়েছেন। ভিটামিন ডি কোথা থেকে আসেগায়ে রোদ লাগালে মেলে এমন ভিটামিন, যা স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়
    উন্নত গবেষণা সুবিধা, প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থা, আন্তর্জাতিকমানের বিশ্ববিদ্যালয় এবং নিরাপদ ও সাংস্কৃতিকভাবে সমৃদ্ধ পরিবেশ– এসবের সমন্বয়ে জাপান এখন বিশ্বের উচ্চশিক্ষার্থীদের কাছে একটি কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য। প্রতিবছর বিশ্বের হাজার হাজার শিক্ষার্থীর মতো বাংলাদেশ থেকেও উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শিক্ষার্থী জাপানে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন পূরণে পা বাড়াচ্ছেন।  জাপান স্টাডি সাপোর্ট স্কলারশিপ  আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য জাপানে উচ্চশিক্ষা অর্জনের একটি চমৎকার সুযোগ।  এটি মূলত স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযোজ্য। জাপানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা, যাতে তারা টিউশন ফি এবং জীবনযাত্রার ব্যয় নির্বাহ করতে পারে। এই স্কলারশিপ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জাপানি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনে সহায়তা করে। এই স্কলারশিপে সাধারণত আর্থিক সুবিধা প্রদান করা হয়। যদিও বিভিন্ন সেশনে এর পরিমাণ ভিন্ন হতে পারে ২০২৫ সালের জন্য আবেদনের প্রক্রিয়া চলছে। বিশ্বের যে কোনো দেশের...
    বাজারে চাউলের মূল্য পুনরায় বৃদ্ধি পাইবার বিষয়টি শুধু উদ্বেগজনক নহে, বিস্ময়করও বটে। সরু চাউলই শুধু নয়, মোটা চাউলের মূল্যও বৃদ্ধি পাইয়াছে প্রতি কেজিতে অন্তত পাঁচ টাকা, যাহার ভোক্তা হইল নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র শ্রেণির মানুষ। উপরন্তু নূতন করিয়া চাউলের মূল্য এমন সময় বৃদ্ধি পাইয়াছে যখন সার্বিক জীবনযাত্রার ব্যয় নিম্নআয়ের মানুষের তো বটেই, সিংহভাগ মানুষের অন্যতম শিরঃপীড়ার কারণ। বস্তুত রাজনৈতিক অস্থিরতাসহ বিবিধ কারণে বহু কলকারখানা এবং ব্যবসায় ক্ষেত্রেও স্থবিরতা চলিতেছে, যাহার বৃহৎ ধাক্কা পড়িয়াছে উক্ত শ্রেণি-গোষ্ঠীর উপর। ইহাও উল্লেখ্য, গত কয়েক বৎসরে বিভিন্ন সময়ে পরিচালিত জরিপে দেখা গিয়াছে, সমাজের নিম্নবিত্ত ও দরিদ্র পরিবারগুলি প্রায় সম্পূর্ণ ভাতের উপর নির্ভরশীল। তাহাদের আয়ের বৃহৎ অংশ খাদ্য সংগ্রহেই ব্যয় হয়। ফলে বিশেষত মোটা চাউলের বাজারে এহেন ঊর্ধ্বগতির নেতিবাচক প্রভাব সমাজের বিপুল সংখ্যক মানুষের জীবনযাত্রার সংকটকে বৃদ্ধি...
    কিছুদিন আগেও জোহরান মামদানি ছিলেন নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের আইনসভার (স্টেট অ্যাসেম্বলি) এক অখ্যাত সদস্য। গত বছর তিনি যখন মেয়র পদে নিজেকে প্রার্থিতা ঘোষণা করেন, তখন তিনি ছিলেন এক তরুণ আইনপ্রণেতা, যার পরিচিতি ছিল খুব সীমিত। কিন্তু কয়েক মাসের মধ্যে তিনি ডেমোক্রেটিক পার্টির মেয়র প্রার্থীর দৌড়ে এগিয়ে যান, হারান এমন সব পরিচিত ও অভিজ্ঞ প্রার্থীদের, যাঁদের নিউইয়র্ক নগরের ভোটারদের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক ছিল। জোহরান মামদানি এখন ডেমোক্রেটিক পার্টির মনোনীত মেয়র প্রার্থী।উগান্ডা থেকে কুইন্সজোহরান মামদানি জন্মেছেন উগান্ডার কাম্পালায়। সাত বছর বয়সে তিনি পরিবারের সঙ্গে নিউইয়র্কে চলে আসেন। তিনি নিউইয়র্কের বিখ্যাত ব্রঙ্কস হাইস্কুল অব সায়েন্সে পড়াশোনা করেন। পরে বোডইন কলেজে আফ্রিকানা স্টাডিজে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। সেখানেই তিনি ‘স্টুডেন্টস ফর জাস্টিস ইন প্যালেস্টাইন’ নামের একটি ছাত্রসংগঠনের ক্যাম্পাস শাখা প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৮ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের...
    প্রথমে নির্মাতা, পরে হয়ে গেলেন অভিনেতা। ভিন্নধর্মী অভিনয় দিয়ে এখন জয় করছেন দর্শক হৃদয়। তিনি ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা জিয়াউল হক পলাশ। এ অভিনেতা যখনই নতুন কোনো কাজ নিয়ে হাজির হন, দর্শক তা সাদরে গ্রহণ করেন। চেনা ছকের বাইরে গত ঈদে তাঁকে দেখা গেছে ‘কেন এই সঙ্গতা’ নাটকে। পারিবারিক গল্পের এ নাটকটিতে তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে।  পলাশ বলেন, ‘আমি সব সময় ভালো গল্প ও স্ক্রিপ্টের সঙ্গে থাকতে চেয়েছি। কাজের ফর্দ ঘাটলে দেখবেন আমার প্রতিটি কাজই আলাদা। ‘কেন এই সঙ্গতা’ আমার কাছে ভিন্নধর্মী গল্প মনে হয়েছে। এটি আসলে অনেক মানুষের গল্প। তা ছাড়া নির্মাতা আশিকুর রহমান পছন্দের একজন নির্মাতা। তাঁর সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা আমার সবসময় থাকে। সে কারণেই কাজটি করেছি। কাজটিতে দর্শক সাড়াও মিলছে বেশ।’ ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ নাটকে কাবিলা চরিত্রে...
    প্রথমে নির্মাতা, পরে হয়ে গেলেন অভিনেতা। ভিন্নধর্মী অভিনয় দিয়ে এখন জয় করছেন দর্শকহৃদয়। তিনি ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা জিয়াউল হক পলাশ। এ অভিনেতা যখনই নতুন কোনো কাজ নিয়ে হাজির হন, দর্শক তা সাদরে গ্রহণ করেন। চেনা ছকের বাইরে গত ঈদে তাঁকে দেখা গেছে ‘কেন এই সঙ্গতা’ নাটকে। পারিবারিক গল্পের এ নাটকটিতে তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে। পলাশ বলেন, ‘‘আমি সবসময় ভালো গল্প ও স্ক্রিপ্টের সঙ্গে থাকতে চেয়েছি। কাজের ফর্দ ঘাঁটলে দেখবেন আমার প্রতিটি কাজই আলাদা। ‘কেন এই সঙ্গতা’ আমার কাছে ভিন্নধর্মী গল্প মনে হয়েছে। এটি আসলে অনেক মানুষের গল্প। তা ছাড়া নির্মাতা আশিকুর রহমান পছন্দের একজন নির্মাতা। তাঁর সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা আমার সবসময় থাকে। সে কারণেই কাজটি করেছি। কাজটিতে দর্শক সাড়াও মিলছে বেশ।’’ ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ নাটকে কাবিলা চরিত্রে অভিনয় করে রাতারাতি...
    ব্র‍্যাড পিট নামটি শুনলেই চোখের সামনে ভেসে আসে রুপালি পর্দার সুদর্শন এক তারকার অবয়ব, যিনি হলিউডে সফল ক্যারিয়ারের পাশাপাশি বিলাসী জীবনযাপন বা সুন্দরী নায়িকাদের সঙ্গে সম্পর্কের সুবাদে সবসময়ই মিডিয়া বা সাধারণ মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন। গত তিন দশকে ‘ইন্টারভিউ উইথ দ্য ভ্যাম্পায়ার’, ‘ওশানস ট্রিলজি’, ‘ট্রয়’, ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস স্মিথ’, ‘ওয়ার্ল্ড ওয়ার জিয়ে’র মতো বাণিজ্যিকধর্মী ছবির জন্য যেমন তিনি বক্স অফিসে সাফল্যের মুখ দেখেছেন, ঠিক তেমনি ‘টোয়েলভ মাংকিস’, ‘বাবেল’, ‘দ্য ট্রি অব লাইফ’, ‘মানিবল’-এর মতো ছবির মাধ্যমে অভিনেতা হিসেবে নিজের সামর্থ্যটাও ভালোমতো প্রমাণ করেছেন। হলিউডের এই জনপ্রিয় অভিনেতা ও প্রযোজক দীর্ঘসময় ধরে অ্যাঞ্জেলিনা জোলির সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনের কারণে খবরের শিরোনামে ছিলেন। এই সম্পর্কের ইতি টেনে এবার ‘এফ ওয়ান’ সিনেমায় ফিরছেন ব্র্যাড। এফ ওয়ানে ব্র্যাড পিট অভিনয় করেছেন সনি হেইসের চরিত্রে; যিনি...
    ব্যাংকিং, শিক্ষাব্যবস্থা এবং উচ্চ জীবনযাত্রার মানের জন্য বিশ্বের প্রথম সারির দেশগুলোর মধ্যে সুইজারল্যান্ড অন্যতম। মানব সম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে সুইস সরকার বরাবরই শিক্ষার ওপর জোর দিয়ে আসছে। সরকারি তহবিলের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোও দিয়ে থাকে উচ্চশিক্ষায় নানা স্কলারশিপ। প্রতি বছরই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওপর ভিত্তি করে স্কলারশিপগুলোর ধরন হয় বিভিন্ন রকম। জেনে নেওয়া যাক সুইস স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়গুলো।জাপানের স্টাডি সাপোর্ট স্কলারশিপ, ইংরেজি ও জাপানিজ দুই ভাষার দক্ষতা প্রয়োজনসুইজারল্যান্ডে যত স্কলারশিপআন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য সুইজারল্যান্ডের সরকারি স্কলারশিপ হচ্ছে গভর্নমেন্ট এক্সিলেন্স স্কলারশিপ। প্রতিবছর যেকোনো বিষয়ে সুইজারল্যান্ডের বাইরের স্নাতকোত্তর গবেষকদের এই স্কলারশিপটি দেওয়া হয়। এর মধ্যে মাসিক জীবনযাত্রা, পড়াশোনার সম্পূর্ণ খরচ, স্বাস্থ্য বীমা, ভ্রমণ খরচ/বিমান ভাড়া এবং আবাসন খরচ অন্তর্ভুক্ত। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ডক্টরেট বা পোস্ট-ডক্টরাল স্তরে গবেষণার জন্য সুইজারল্যান্ডগামী হয় হাজারো শিক্ষার্থী।সুইজারল্যান্ড স্কলারশিপের জন্য...
    ওশেনিয়া মহাদেশের বৃহত্তম ভূখণ্ড অস্ট্রেলিয়ায় যুগ যুগ ধরে চলছে বিশ্বের সর্বোচ্চ মানের শিক্ষাচর্চা। পড়াশোনার জন্য বিদেশ গমনের ক্ষেত্রে অনেক উচ্চাকাঙ্ক্ষী মেধাবীর কাছেই দেশটি এখন পছন্দে প্রথমের দিকে। চলুন, অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চশিক্ষার আবেদন পদ্ধতি, স্টুডেন্ট ভিসা, জীবনযাত্রার খরচ ও স্কলারশিপ-সংক্রান্ত যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা নিয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।কিউএস ওয়ার্ল্ড র‍্যাঙ্কিংয়ে ২০২৫ সালের জন্য শীর্ষ ১০ শিক্ষার্থীবান্ধব নগরীর মধ্যে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন (৫) ও সিডনি (৬)। জীবনযাত্রার খরচ অনেক বেশি থাকা সত্ত্বেও এই মেগাসিটি দুটিতে অনায়াসেই জায়গা করে নিচ্ছেন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা। তা ছাড়া দুটি শহরসহ আরও বেশ কয়েকটি শহরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রতিবছরই থাকে কিউএস র‍্যাঙ্কিংয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এমন র‍্যাঙ্কিংয়ে থাকার অন্যতম কারণ হলো এগুলোর প্রতিটি দুইয়ের অধিক বিষয়ের পাঠদানের জন্য সেরা। প্রকৌশল, প্রযুক্তি, মেডিসিন, কলা ও মানবিকের নাম করলে প্রায়ই ঘুরেফিরে এই বিদ্যাপীঠগুলোর নাম আসে।আরও পড়ুনসুইডেনে...
    মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বাধাপ্রাপ্ত হলে অথবা রক্তনালি ফেটে মস্তিষ্কের ভেতরে রক্তপাত হলে স্ট্রোক হয়। রক্ত চলাচল বিঘ্নিত হলে মস্তিষ্কের কিছু কোষ পুষ্টির অভাবে মরে যায়। সমস্যা দীর্ঘায়িত হলে ক্ষতি হয় বেশি। তাই স্ট্রোকের লক্ষণ প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা নিতে হবে। কেন বেশি ঝুঁকিতে নারীরাবিশ্বজুড়ে নারীদের স্ট্রোক বা মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের ঝুঁকি পুরুষের তুলনায় বেশি। জীবনযাপনে অনিয়ম ও অসচেতনতার কারণে নারীরা বেশি ঝুঁকিতে থাকেন। এ ছাড়া নারীদের কিছু আলাদা ঝুঁকি রয়েছে। বিশেষ করে ২০ থেকে ৩৯ বছর বয়সী নারীদের স্ট্রোকের ঝুঁকি একই বয়সী পুরুষদের তুলনায় দ্বিগুণ। অথচ এই বয়সের অধিকাংশ নারী স্ট্রোক সম্পর্কে সচেতন নন।বিষণ্নতায় স্ট্রোকের ঝুঁকি ২৯ শতাংশ বাড়তে পারে। বিষণ্নতায় ভোগা নারীদের মধ্যে ধূমপানের প্রবণতা, স্থূলতা, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, শরীরচর্চার অভাব থাকে। ফলে ঝুঁকি আরও বাড়ে। তাই ধূমপান ও...
    ২০ জুন ছিল বিশ্ব শরণার্থী দিবস। সেই দিবস উপলক্ষে ১৯ জুন কক্সবাজার শহরে কোস্ট ফাউন্ডেশন নামের একটি সংস্থার উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় আমার যোগ দেওয়ার সুযোগ হয়। সভায় ‘বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয়দান: ভবিষ্যৎ ও চ্যালেঞ্জ’ শিরোনামে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভাটি ছিল মূলত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিজ দেশে মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার অনিশ্চয়তা ও ক্যাম্পে শরণার্থীদের পরিপোষণের বার্ষিক বাজেট সংগ্রহ হ্রাসের উদ্বিগ্নতাকে ঘিরে। তার সঙ্গে আলোচনায় চলে ছিল ক্যাম্পের ভেতরে ও বাইরে রোহিঙ্গাদের মধ্যে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বৃদ্ধি এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের নানান বিষয়ে বিরোধ ও দ্বন্দ্ব। সম্প্রতি তহবিল ঘাটতির কথা বলে রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা কার্যক্রম হ্রাস করায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্য থেকে নিযুক্ত শত শত শিক্ষকের চাকরিচ্যুতির বিষয়টিও আলোচনায় প্রাধান্য পায়।সভায় বক্তাদের সমস্যার বিবরণ ও তালিকা পেশ ব্যতীত...
    স্বামী বলিউড অভিনেতা সাইফ আলী খানের ওপর দুর্বৃত্তের হামলার পর কারিনা কাপুর বেরিয়ে এসেছেন চেনা জীবনের ছক থেকে। যার সঙ্গে পুরোনো কারিনাকে মেলানো কঠিন। এই বলিউড অভিনেত্রীর কথায়, সময়ের প্রয়োজনে নিজেকে বদলেছেন তিনি। তারকাখ্যাতির কারণেই অভিনয় জগতের অন্যদের মতো করে পথচলা শুরু করেছিলেন। কিন্তু যখন বুঝলেন, এই খ্যাতি ও জৌলুসময় জীবনের কোনো না কোনো সময় ইতি টানতে হয়, তখন থেকেই নতুনভাবে পথচলার কথা ভেবেছেন। ঘর-সংসার আর মাতৃত্বের কারণে আগের দৃষ্টিভঙ্গিও বদলে গেছে তাঁর। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম আজকাল সূত্রে জানা গেছে, যেদিন সাইফ আলী খানের ওপর দুর্বৃত্তের হামলা হয়, সেদিনও নৈশপার্টিতে মত্ত ছিলেন কারিনা। প্রথমে এই খবর ছড়িয়েছিল সিনেমা অঙ্গনে। যদিও পরে তদন্ত রিপোর্টে জানা যায়, সেদিন সাইফ-কারিনা একসঙ্গেই বাড়িতে ছিলেন। তবুও স্বামীর ওপর হামলা হওয়ায় নিজের জীবনযাপনে পরিবর্তন এনেছেন কারিনা। ...
    ‘রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয়, উলুখাগড়ার প্রাণ যায়।’ আর যাঁরা বেঁচে যান? তাঁদের কাছে যুদ্ধ মানে আতঙ্ক, মৃত্যু, ধ্বংস, আহাজারি, পঙ্গুত্ব, খাদ্যসংকট, বিভীষিকা—মানুষের তৈরি সবচেয়ে ভয়াল সম্মেলন। এ সবকিছুর সঙ্গে সামলে নিতে তাঁদের প্রতিনিয়ত পরিস্থিতির সঙ্গে, নিজের সঙ্গে যুদ্ধ করে চলতে হয়। তার মানে রাজায় রাজায় যুদ্ধের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও একধরনের যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হয়। যে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে কোনো সাইরেন বাজানো হয় না।ঠিক তেমনি ইসরায়েল আগ্রাসন চালানোর পর থেকে ইরানে হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত সাধারণ মানুষদের জীবনে নেমে এসেছে ভয় ও অনিশ্চয়তা। সংঘাত শুরু হওয়ার এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও সাধারণ ইরানিদের বহির্বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ দুষ্কর হয়ে পড়েছে। ইন্টারনেট ও মুঠোফোন নেটওয়ার্ক বারবার বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে, বাজার প্রায় বন্ধ। এমন পরিস্থিতিতে আতঙ্কে তেহরান ছাড়ছেন অনেকে। এ ছাড়া প্রতিদিন আরও নানা...
    মূল্যস্ফীতির কারণে বিভিন্ন মহল থেকে করমুক্ত আয়ের সীমা সাড়ে তিন লাখ টাকা থেকে বৃদ্ধি করার দাবি উঠেছিল। বিশেষত, নিম্ন ও নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয়ে কিছুটা স্বস্তি দেওয়াই ছিল এর উদ্দেশ্য। কিন্তু এই প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ায় তাঁরা আশাহত হয়েছেন। অন্যদিকে উচ্চ আয়ের করদাতাদের কিছু ক্ষেত্রে আয়কর যেমন বাড়তে পারে, আবার তেমনি কিছু ক্ষেত্রে আয়করের পরিমাণ কমতে পারে। এককথায় বলা যাবে না, কত টাকা থেকে কত টাকা পর্যন্ত আয় থাকলে কত টাকা আয়কর কমবে বা বাড়বে। অথবা কোন শ্রেণির করদাতার আয়কর কমবে বা বাড়বে। তবে সাধারণভাবে বলা যায়, উচ্চ আয়ের করদাতার ক্ষেত্রে করের পরিমাণ বাড়বে। গত করবর্ষ পর্যন্ত ব্যক্তি করদাতার করধাপ অনুযায়ী সর্বোচ্চ করহার ছিল ২৫ শতাংশ। আগামী করবর্ষ অর্থাৎ ২০২৫-২৬ থেকে সর্বোচ্চ করহার ৩০ শতাংশে উন্নীত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।...
    শহরের ব্যস্ততা, সম্পর্কের টানাপোড়েন, অভ্যাসে বদল, জীবনযাত্রায় জটিলতা—সব মিলিয়ে এক ‘সিটি লাইফ’-এর গল্প। মাছরাঙা টেলিভিশনের আলোচিত ধারাবাহিক নাটক ‘সিটি লাইফ’ স্পর্শ করছে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক—২০০তম পর্ব। প্রতি রবি থেকে বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় প্রচারিত নাটকটির ২০০তম পর্ব সম্প্রচারিত হবে ১৯ জুন বৃহস্পতিবার। নাটকটি রচনা করেছেন শাহরিয়ার তাসদিক, পরিচালনায় রয়েছেন নজরুল ইসলাম। নাটকে অভিনয়ে আছেন এফ এস নাঈম, তানজিকা আমিন, নিশাত প্রিয়ম, পাভেল, তানজিম হাসান অনিক, মুকিত জাকারিয়া, মিলি বাসার, আবদুল্লাহ রানা, শামীমা নাজনীনসহ আরও অনেকে।নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্র মোর্শেদ মাহমুদ। গ্রামে জমি বিক্রি করে স্ত্রী রেনু ও সন্তানদের নিয়ে চলে এসেছেন ঢাকার একটি ফ্ল্যাটে। তাদের যুক্তি—শহরই ভবিষ্যৎ, গ্রামে থেকে পিছিয়ে থাকলে চলবে না। সন্তানদের আধুনিক করে গড়ে তুলতে হবে।শহরের এই জীবনযাত্রা যদিও প্রাথমিকভাবে মনে হয় নতুন সম্ভাবনার দ্বার, ধীরে ধীরে সেটাই পরিণত...
    কানাডাভিত্তিক ফিটনেস ইনফ্লুয়েন্সার ড্যান গো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ জনপ্রিয়। এই ফিটনেস কোচ স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য একঘেয়ে রুটিন মেনে চলার পরামর্শ দেন। তবে তাঁর এই পরামর্শ নতুনত্বের প্রতি মানুষের আকর্ষণকে চ্যালেঞ্জ করে।ড্যানের কথা হলো, স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য কয়েক দিন পরপর নানা হুজুগে মেতে ওঠার চেয়ে সাধারণ কিছু অভ্যাসের (যেমন নিয়মিত ঘুম, একই ধরনের খাবার খাওয়া, নিয়মিত ব্যায়াম করা ইত্যাদি) গুরুত্ব বেশি। এসব কাজ বিপাকক্রিয়া, হৃৎস্বাস্থ্য ও মানসিক সুস্থতার জন্য দারুণ কার্যকর। দীর্ঘ মেয়াদে স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে চাইলে ব্যয়বহুল ডায়েটের চেয়ে এসব অভ্যাস রপ্ত করাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সম্প্রতি এক ভাইরাল পোস্টে ড্যান গো বলেছেন, ‘শরীর সুন্দর রাখার প্রক্রিয়াটি ততটা সুন্দর নয়, যতটা বাইরে থেকে সবাই মনে করে। এ ক্ষেত্রে কঠোর নিয়মানুবর্তিতার সঙ্গে প্রতিদিন একঘেয়ে কিছু কাজ নিয়মিতভাবে করা প্রয়োজন। বিশেষত যেদিন আপনার কাজগুলো করতে...
    আবার এসেছে আষাঢ় আকাশ ছেয়ে। তাই আজ রোববার আষাঢ়ের প্রথম দিনটিকে নাচ-গান-আবৃত্তিতে বরণ করে নেওয়া হলো।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় আজ সকালে ‘বর্ষা উৎসব ১৪৩২’ আয়োজন করা হয়। আয়োজক বর্ষা উৎসব উদ্‌যাপন পরিষদ।সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে শিল্পী সোহানী মজুমদারের সেতারবাদনে ‘আহির ভৈরব’ রাগ পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়।আয়োজনে বর্ষা নিয়ে সংগীত পরিবেশন করেন বিভিন্ন শিল্পী। ইয়াসমিন মুশতারি ‘রিম্ ঝিম্ ঘন ঘন রে বরষে’, সালাউদ্দিন আহমেদ ‘বরষা ঐ এলো বরষা’, বিজন চন্দ্র মিস্ত্রী ‘শাওন আসিল ফিরে সে ফিরে এল না’, নবনীতা জাইদ চৌধুরী ‘শ্যামা-তন্বী আমি মেঘ-বরণা’, অনিমা রায় ‘বাদল-দিনের প্রথম কদম ফুল করেছ দান’, শামা রহমান ‘মেঘের ’পরে মেঘ জমেছে, আঁধার করে আসে’, মকবুল হোসেন ‘আবার এসেছে আষাঢ় আকাশ ছেয়ে’, ফেরদৌসী কাকলি ‘গহন রাতে শ্রাবণধারা পড়িছে ঝরে’ পরিবেশন করেন।বিমান চন্দ্র...
    উন্নত শিক্ষা বা ক্যারিয়ার গড়ার লক্ষ্যে অনেক শিক্ষার্থীরই ভাবনায় থাকে স্বল্প খরচে দেশের বাইরে পড়াশোনার। বিশ্বমানের শিক্ষাব্যবস্থা ও উন্নত জীবনব্যবস্থার সঙ্গে বাজেটের দিকটা মিলে গেলেই উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যে দেশটিতে পাড়ি জমান অনেক শিক্ষার্থী। ইউরোপ, মধ্য-এশিয়া, আমেরিকার বিভিন্ন দেশগুলোর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় কম খরচে অধ্যয়নের সুযোগ আছে। বেশ ভালো শতাংশ ছাড়ের পরও আর্থিক সংকুলান না হলে আছে স্কলারশিপের ব্যবস্থা। এতে টিউশন ফিসহ থাকা-খাওয়ার খরচ অনেকটাই পুষিয়ে নেওয়া যায়। স্বল্প খরচে দেশের বাইরে পড়ার জন্য বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের অন্যতম ১০ গন্তব্য হতে পারে এসব দেশ—জার্মানিবিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য এখন শিক্ষার্থীদের শীর্ষ পছন্দের দেশ জার্মানি। এখানকার অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রের অর্থায়নে পরিচালিত। এগুলোর ব্যাচেলর কোর্স এবং বেশির ভাগ মাস্টার্স কোর্সের জন্য সাধারণত কোনো ফি নেই। কিছু মাস্টার্স প্রোগ্রামে টিউশন ফি থাকলেও তা অন্যান্য দেশের তুলনায় তেমন বেশি নয়। তবে...
    বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এবং কানাডার ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ইউজিসি-ম্যাকগিল পিএইচডি স্কলারশিপ প্রোগ্রামে আবেদন আহ্বান করেছে। পিএইচডি শিক্ষার্থীদের জন্য চার বছর পর্যন্ত আর্থিক সুবিধা দেওয়া হবে।যেসব বিষয়ে আর্থিক সুবিধা দেবে—ইউজিসি-ম্যাকগিল ফেলোরা নানা আর্থিক সুবিধা পাবেন।১. জীবনযাত্রার ব্যয়ের জন্য বার্ষিক ১৫ হাজার কানাডিয়ান ডলার।২. স্বাস্থ্য ও জীবনযাত্রার বিমা পরিকল্পনা জন্য প্রায় ১ হাজার ১০০ কানাডিয়ান ডলার।৩. বেতন থেকে বার্ষিক সহায়তা প্রায় ৯ হাজার ৮০০ কানাডিয়ান ডলার।৪. প্রত্যাবর্তন বিমানভাড়া (প্রায় ৩,০০০ কানাডিয়ান ডলার)।৫. ম্যাকগিল প্রতিবছর কুইবেক উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত শিক্ষার সম্পূর্ণ খরচ (বার্ষিক ২০ হাজার ২১৪ কানাডিয়ান ডলার) বহন করবেন, স্বাস্থ্যবিমা ব্যতীত।আরও পড়ুনসৌদি আরব সরকারের বৃত্তি, স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডির জন্য আবেদনের সুযোগ১২ মে ২০২৫দরকারি তথ্য১. প্রার্থীরা ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সরাসরি তাঁদের পছন্দের ম্যাকগিল ডক্টরাল প্রোগ্রামে আবেদন করতে...
    বয়স ৩০ বছর পেরোলেই উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তারপরও এ নিয়ে আমাদের মধ্যে কিছু ভুল ধারণা চালু আছে। এসব ভুল ধারণার জন্য অনেকে সমস্যাটিকে এড়িয়ে চলতে চান, অনেক সময় যার পরিণাম হয় মর্মান্তিক।আমাদের চারপাশে এমন অনেক মানুষ আছেন, যাঁরা এখনো জানেন না যে তাঁদের উচ্চ রক্তচাপ আছে এবং সে জন্য ধীরে ধীরে ভয়ংকর জটিলতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। বেশির ভাগ মানুষের ধারণা, শারীরিক কোনো সমস্যা নেই মানে তার রক্তচাপও স্বাভাবিকই আছে। এত মাপামাপির কী দরকার? কারও কারও ধারণা, মাপতে গেলেই বা ডাক্তারের কাছে গেলেই কোনো না কোনো সমস্যা ধরা পড়ে, এর চেয়ে যেমন চলছে তেমই চলুক। কোনো সমস্যা তো হচ্ছে না।কিন্তু উচ্চ রক্তচাপ হলো নীরব ঘাতক। কোনো লক্ষণ বা উপসর্গ ছাড়াই এটি শরীরে বাসা বাঁধতে পারে এবং দিনে দিনে শরীরের...
    বলিউড অভিনেত্রী কারিনা কাপুর খান ব্যক্তিগত জীবনে সাইফ আলী খানের সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন। সংসার আলো করে জন্ম নিয়েছে দুই পুত্রসন্তান। স্বামী-সন্তান নিয়েই অধিক ব্যস্ত সময় পার করছেন। তবে ৪৪ বছর বয়সি কারিনার জীবনযাপন পুরোপুরি বদলে গেছে। বন্ধু-সহকর্মীদের সঙ্গে আড্ডা-পার্টিকে ‘না’ বলতে শিখেছেন। কোভিডের অভিজ্ঞতা তার জীবনে এই পরিবর্তন এনে দিয়েছে। নড ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে কথা বলেছেন কারিনা কাপুর খান। খাবার খাওয়া, ঘুমানো ও ঘুম থেকে ওঠার রুটিন বর্ণনা করে ‘ক্রু’ তারকা বলেন, “সন্ধ্যা ৬টায় রাতের খাবার খাই। রাত সাড়ে ৯টার মধ্যে লাইট বন্ধ হয়। পৃথিবীর ঘুম ভাঙার আগে উঠে ওয়ার্কআউট করি।”  পার্টিতে যান না কারিনা কাপুর খান। এ তথ্য উল্লেখ করে এই অভিনেত্রী বলেন, “আমার বন্ধুরা আমাকে পার্টিতে আশা করে না। তারা এটাকে...
    বলিউড অভিনেত্রী কারিনা কাপুর খান জীবনযাপন নিয়ে বেশ সচেতন। সম্প্রতি নড সাময়িকীতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি তাঁর ক্যারিয়ার, ব্যক্তিজীবন ও ফিটনেস রুটিন নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশেষ করে দুই সন্তানের মা হওয়ার পর দৈনন্দিন রুটিনের পরিবর্তন তুলে ধরেছেন তিনি।কারিনা জানান, এখন তাঁর জীবন অনেক বেশি নিয়মমাফিক। সন্ধ্যা ৬টার মধ্যেই রাতের খাবার খেয়ে নেন তিনি। রাত সাড়ে ৯টার ভেতর ঘুমিয়ে পড়েন। আর যখন তিনি ভোরে শরীরচর্চা শুরু করেন, তখন আশপাশের অনেকেই ঘুমিয়ে থাকেন।সাক্ষাৎকারে কারিনা আরও জানান, তিনি এখন আর কোনো পার্টিতে যান না। তাঁর ভাষ্যে, ‘আমার বন্ধুরা জানে আমি এখন কোনো পার্টিতে থাকি না। ওরা সেটা মেনে নিয়েছে।’কারিনা কাপুর খান। ইনস্টাগ্রাম থেকে
    স্বামী বলিউড অভিনেতা সাইফ আলী খানের ওপর দুর্বৃত্তের হামলার পর কারিনা কাপুর খান বেরিয়ে এসেছেন চেনা জীবনের ছক থেকে। যার সঙ্গে পুরোনো কারিনাকে মেলানো কঠিন। এই বলিউড অভিনেত্রীর কথায়, সময়ের প্রয়োজনে নিজেকে বদলেছেন তিনি। তারকাখ্যাতির কারণেই অভিনয় জগতের অন্যদের মতো করে পথচলা শুরু করেছিলেন। কিন্তু যখন বুঝলেন, এই খ্যাতি ও জৌলুসময় জীবনের কোনো না কোনো সময় ইতি টানতে হয়, তখন থেকেই নতুনভাবে পথচলার কথা ভেবেছেন। ঘর-সংসার আর মাতৃত্বের কারণে আগের দৃষ্টিভঙ্গিও বদলে গেছে তার। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম আজকাল সূত্রে জানা গেছে, যেদিন সাইফ আলী খানের ওপর দুর্বৃত্তের হামলা হয়, সেদিনও নৈশপার্টিতে মত্ত ছিলেন কারিনা। প্রথমে এই খবর ছড়িয়েছিল সিনেমা অঙ্গনে। যদিও পরে তদন্ত রিপোর্টে জানা যায়, সেদিন সাইফ-কারিনা একসঙ্গেই বাড়িতে ছিলেন। তবুও স্বামীর ওপর হামলা হওয়ায় নিজের জীবনযাপনে পরিবর্তন এনেছেন...
    স্বামী বলিউড অভিনেতা সাইফ আলী খানের ওপর দুর্বৃত্তের হামলার পর কারিনা বেরিয়ে এসেছেন চেনা জীবনের ছক থেকে। যার সঙ্গে পুরোনো কারিনাকে মেলানো কঠিন। এই বলিউড অভিনেত্রীর কথায়, সময়ের প্রয়োজনে নিজেকে বদলেছেন তিনি। তারকাখ্যাতির কারণেই অভিনয় জগতের অন্যদের মতো করে পথচলা শুরু করেছিলেন। কিন্তু যখন বুঝলেন, এই খ্যাতি ও জৌলুসময় জীবনের কোনো না কোনো সময় ইতি টানতে হয়, তখন থেকেই নতুনভাবে পথচলার কথা ভেবেছেন। ঘর-সংসার আর মাতৃত্বের কারণে আগের দৃষ্টিভঙ্গিও বদলে গেছে তাঁর।  ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম আজকাল সূত্রে জানা গেছে, যেদিন সাইফ আলী খানের ওপর দুর্বৃত্তের হামলা হয়, সেদিনও নৈশপার্টিতে মত্ত ছিলেন কারিনা। প্রথমে এই খবর ছড়িয়েছিল সিনেমা অঙ্গনে। যদিও পরে তদন্ত রিপোর্টে জানা যায়, সেদিন সাইফ-কারিনা একসঙ্গেই বাড়িতে ছিলেন। তবুও স্বামীর ওপর হামলা হওয়ায় নিজের জীবনযাপনে পরিবর্তন এনেছেন কারিনা। সম্প্রতি...
    অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘বাজেট জনবান্ধব, ব্যবসাবান্ধব। তবে কখনোই পুরোপুরি ব্যবসাবান্ধব করা সম্ভব না। এক দিকে কর কমাতে গেলে আরেকদিকে বাড়াতে হবে। তবে হুট করে রাজস্ব বাড়ানো সম্ভব না। এবার প্রবৃদ্ধি অর্জনের চেয়ে মানুষের জীবন যাত্রা স্বচ্ছ, সহজ করার ওপর বেশি জোর দেওয়া হয়েছে।’ আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সংবাদ স‌ম্মেল‌নে উপ‌স্থিত আছেন শিক্ষা ও প‌রিকল্পনা উপ‌দেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, বিদ্যুৎ জ্বালানি সড়ক সেতু ও রেলপথ উপ‌দেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, স্বরাষ্ট্র ও কৃষি  উপদেষ্টার মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, বাণিজ্য, বিমান বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। আরও উপস্থিত আছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর, মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশীদ ও এন‌বিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান প্রমুখ।...
    ‘মন্দ মেয়ের উপাখ্যান’ সিনেমা দিয়ে শুরু। এরপর ‘রাতের রজনীগন্ধা’, ‘চন্দ্রগ্রহণ’, ‘রংবেরঙের কড়ি’ ও ‘রাজকাহিনী’ সিনেমাতে যৌনকর্মীর চরিত্রে কাজ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। চরিত্র এক হলেও প্রত্যেকটি সিনেমার গল্প ভিন্ন। এই চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে নতুন উপলব্ধি তার মধ্যে জাগ্রত হয়েছে বলেন জানালেন ঋতুপর্ণা। সোমবার আন্তর্জাতিক যৌনকর্মী দিবসে ভারতীয় গণমাধ্যমে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের একটি লেখা প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে যৌনকর্মীর চরিত্রে কাজের অভিজ্ঞতা ও এসংক্রান্ত নানা বিষয় ‍তুলে ধরেছেন তিনি। শুরুতেই ঋতুপর্ণা বলেন, “মন্দ মেয়ের উপাখ্যান’ সিনেমার আগে যৌনকর্মীদের জীবনযাপন নিয়ে একেবারেই অবগত ছিলাম না। তাদের জীবনযাপন বোঝার জন্য যৌনপল্লীতে নিয়ে যাওয়া হয়। ছোট ঘরের মধ্যেও ওদের আন্তরিকতার শেষ ছিল না। যৌনকর্মীর শিশুদের স্কুলের পরিবেশও দেখার সুযোগ হয়েছে আমার। বেশ কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে যৌনকর্মীদের মধ্যে কাজ করতে গিয়ে এই অভিজ্ঞতা হয়েছিল। ‘মন্দ মেয়ের উপাখ্যান’-এ...
    ‘মন্দ মেয়ের উপাখ্যান’ সিনেমা দিয়ে শুরু। এরপর ‘রাতের রজনীগন্ধা’, ‘চন্দ্রগ্রহণ’, ‘রংবেরঙের কড়ি’ ও ‘রাজকাহিনী’ সিনেমাতে যৌনকর্মীর চরিত্রে কাজ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। চরিত্র এক হলেও প্রত্যেকটি সিনেমার গল্প ভিন্ন। এই চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে নতুন উপলব্ধি তার মধ্যে জাগ্রত হয়েছে বলেন জানালেন ঋতুপর্ণা। সোমবার আন্তর্জাতিক যৌনকর্মী দিবসে ভারতীয় গণমাধ্যমে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের একটি লেখা প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে যৌনকর্মীর চরিত্রে কাজের অভিজ্ঞতা ও এসংক্রান্ত নানা বিষয় ‍তুলে ধরেছেন তিনি। শুরুতেই ঋতুপর্ণা বলেন, “মন্দ মেয়ের উপাখ্যান’ সিনেমার আগে যৌনকর্মীদের জীবনযাপন নিয়ে একেবারেই অবগত ছিলাম না। তাদের জীবনযাপন বোঝার জন্য যৌনপল্লীতে নিয়ে যাওয়া হয়। ছোট ঘরের মধ্যেও ওদের আন্তরিকতার শেষ ছিল না। যৌনকর্মীর শিশুদের স্কুলের পরিবেশও দেখার সুযোগ হয়েছে আমার। বেশ কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে যৌনকর্মীদের মধ্যে কাজ করতে গিয়ে এই অভিজ্ঞতা হয়েছিল। ‘মন্দ মেয়ের উপাখ্যান’-এ...
    শূন্য দারিদ্র্য, শূন্য বেকারত্ব ও শূন্য কার্বন নির্গমন—এই তিন লক্ষ্য বাস্তবায়ন ২০২৫-২৬‘ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের অন্যতম উদ্দেশ্য। অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই সমাজ গঠনের রূপরেখা তুলে ধরা হয়েছে এবারের বাজেটে। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে এনে একটি উন্নত সমাজ বিনির্মাণের উদ্দেশ্যে আমরা যেসব কার্যক্রম গ্রহণ করেছি, তার মূল লক্ষ্য হচ্ছে শূন্য দারিদ্র্য, শূন্য বেকারত্ব ও শূন্য কার্বনভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণ। যার মাধ্যমে আমূল পরিবর্তন হবে এ দেশের মানুষের জীবনমানের এবং মুক্তি মিলবে বৈষম্যের দুষ্টচক্র থেকে।’অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস টেকসই উন্নয়নের ‘তিন শূন্য’ তত্ত্ব দিয়েছেন। গ্রামীণ ব্যাংক ও ক্ষুদ্রঋণ চালুর জন্য বিশ্বজুড়ে আলাদা সম্মান পেয়েছে তাঁর এই ‘তিন শূন্য' বা থ্রি জিরো তত্ত্ব।অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘যে স্বপ্নকে ধারণ করে...
    ক্যানসারে আক্রান্ত হলে প্রথমেই যে ধাক্কাটি লাগে, তা মানসিক। রোগী ও রোগীর পরিবারের কাছে এটা একটা বড় রকমের আঘাত হয়ে আসে। অনেকে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। বিপন্নবোধ করেন। অনেকে রোগের কথা গোপন রাখতে চান। কিন্তু এই অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোটাই সব থেকে জরুরি। এ জন্য মনের শক্তির সঙ্গে প্রয়োজন বাস্তবতাকে সহজভাবে গ্রহণ করে সবাই মিলে উত্তরণের চেষ্টা করা। ক্যানসার মানেই থেমে যাওয়া নয়।ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে থাকার কথা এভাবেই বলেছেন ক্যানসার যোদ্ধারা। দেশের বিভিন্ন পেশার ক্যানসার আক্রান্ত মানুষ তাঁদের চিকিৎসা, রোগের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে প্রতিদিনের জীবনযাপন, পেশাগত কাজ, অভিজ্ঞতা ও ভবিষ্যতের স্বপ্নের কথা বলেছেন অনুপ্রেরণাময় ভাষায়। আজ রোববার বেলা তিনটা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আয়োজনটি চলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ওসমান জামিল মিলনায়তনে।ক্যানসার আক্রান্তদের সেবামূলক প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর ক্যানসার কেয়ার...
    নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমাদের জীবনযাপনের খরচও বেড়ে গেছে। কিন্তু আমাদের আয় তো সে অনুপাতে বাড়েনি। দেখা যায় এক খাতে খরচ বাড়লে তার প্রভাব অন্য সব খাতে পড়ে। তখন অন্য জায়গা থেকে খরচ কাটছাঁট করে সমন্বয় করতে হয়। ফলে বাজেটে প্রথম প্রত্যাশা থাকবে আমাদের আয় বাড়ানোর সুযোগ যেন তৈরি হয় ও জিনিসপত্রের দাম যেন কমে। গত কয়েক বছরে সব জায়গাতেই জীবনযাপনের খরচ অনেক বেড়েছে। যেমন ছোটখাটো গন্তব্যের জন্য আমার কাছে রিকশা হচ্ছে নিরাপদ বাহন। কিন্তু ৩০-৪০ টাকার নিচে রিকশা ভাড়া নেই। এভাবে গত দু-তিন বছরের মধ্যে গ্যাস, বিদ্যুতের দামসহ প্রায় সব ধরনের পরিষেবা ব্যয় বেড়েছে। এসব কারণে বেড়েছে সংসার খরচ। পরিবারের বেশির ভাগ বড় ব্যয়ই নির্দিষ্ট থাকে। ফলে বাচ্চাদের শিক্ষা, পরিবহন ব্যয়, নিত্যদিনের বাজার ও ক্ষেত্রবিশেষ ওষুধের ব্যয় থেকে...
    প্রতিটি ঘরে, প্রত্যেকটি শিশুর বেড়ে ওঠার গল্পে একটা সাধারণ উপাদান থাকে—এক গ্লাস দুধ। এটি শুধু একটি খাদ্য নয়; বরং সুস্থতা, পুষ্টি ও জীবনের শক্তির প্রতীক। তাই প্রতিবছর ১ জুন বিশ্বব্যাপী পালিত হয় বিশ্ব দুগ্ধ দিবস। ২০০১ সালে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা দিনটি চালু করে। উদ্দেশ্য, যাতে মানুষ দুধের পুষ্টিগুণ এবং এর সামাজিক ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন হয়। ২০২৫ সালের বিশ্ব দুগ্ধ দিবসের প্রতিপাদ্য ‘আসুন উদ্‌যাপন করি দুগ্ধের শক্তি’—একটি অত্যন্ত সময়োপযোগী আহ্বান।দুধকে বলা হয় ‘পরিপূর্ণ খাদ্য’। এতে রয়েছে উচ্চ মাত্রার প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি ও বি১২, ফসফরাস এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদান, যা শিশুদের হাড় ও দাঁতের গঠনে, বৃদ্ধদের হাড় ক্ষয় প্রতিরোধে এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে দারুণ কার্যকর। নিয়মিত দুধপানে অরোগ, ডায়াবেটিস, এমনকি কিছু ক্যানসার প্রতিরোধেও সহায়তা করে বলে...
    চটপটে স্বভাবের স্পষ্টভাষী অভিনেত্রী, সমালোচকদের কথা গায়ে না মেখে ইচ্ছেমতো ছুটে চলেন। ভালোবেসে মানুষকে আপন করে নিতে পারেন। বলছি, ঢাকাই চলচ্চিত্রের বর্তমান সময়ের অন্যতম গ্ল্যামার নায়িকা পরীমণির কথা। রিল লাইফ থেকে রিয়েল লাইফ—দুই জায়গাতেই তাকে নিয়ে নানা সমালোচনা থাকলেও সবকিছুকে পেছনে ফেলে একজন সংগ্রামী নারী ও মমতাময়ী মা হিসেবেই এখন দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। লাস্যময়ী এ অভিনেত্রী ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন অভিনেতা শরিফুল রাজকে। যদিও সে সংসার বেশি দিন টেকেনি। তবে বিচ্ছেদের পর এখন ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে নিজের মতো করে জীবনযাপন করছেন এই অভিনেত্রী। সব ব্যস্ততা তাকে ঘিরে। আর সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ব্যবসা শুরু করেছেন এই অভিনেত্রী। মা এবং নবজাতকের প্রয়োজনীয় পণ্যের ব্র্যান্ডশপ ‘বডি’। অনলাইনভিত্তিক এ প্রতিষ্ঠানে বিক্রি হচ্ছে মা ও শিশুদের জীবনযাত্রার পণ্যসামগ্রী। চলতি বছরের...
    বৃষ্টিতে বিপন্ন হয়ে পড়েছে নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর পানিবন্দি মানুসের জীবনযাত্রা। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকাল থেকে শুরু হওয়া টানা ভারি বৃষ্টিতে পানির নিচে তলিয়ে গেছে নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর প্রায় সব এলাকা। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কয়েক ঘণ্টার প্রবল বর্ষণে শহরের প্রধান সড়ক বিবি রোডসহ আশপাশের অলিগলি ও মহল্লায় জমেছে হাঁট সমান পানি।  জলাবদ্ধতায় থমকে গেছে শহরের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। রাস্তায় বের হয়ে সবচেয়ে বিপাকে পড়েন শ্রমজীবী মানুষ ও অফিসগামী নাগরিকরা। মহল্লায় মহল্লায় বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতায় তৈরী হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। হাঁটু পানির কারণে নারায়ণগঞ্জ শহরের প্রধান সড়কে কোন যানবাহন চলতে পারছেনা। অধিকাংশ যানবাহন থেমে আছে। ইঞ্জিনে পানি ঢুকেছে। অটো রিক্সার চার্জ ফুরিয়েছে। বেশ বেকায়দায় পড়েছে শ্রমজীবি মানুষজন। বিকেলে শহরের চাষাঢ়া, দেওভোগ, বাবুরাইল, খানপুর, বাংলাবাজার, নিতাইগঞ্জ ঘুরে দেখা যায়, কোথাও রিকশা চলছে ঠেলেঠুলে, কোথাও আবার...
    বিশ্বের যেসব শহরে বৈশ্বিক সংযোগ, আর্থসামাজিক অবস্থান, উন্নত অবকাঠামো আর জীবনমান উন্নত সেসব শহরে বসবাস করেন অতিধনী এবং ধনী ব্যক্তিরা।  ২০২৫ সালের হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্স ও নিউ ওয়ার্ল্ড ওয়েলথের এক যৌথ প্রতিবেদনে বিশ্বের এমন ১০টি শহরের তালিকা প্রকাশ করেছে। শুরুতেই রয়েছে নিউইয়র্ক সিটির নাম।  নিউইয়র্ক সিটি: বিশ্বের অতিধনী এবং ধনীদের বসবাসের জন্য পছন্দের শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটি। এই সিটিতে ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৫০০ মিলিয়নিয়ার, ৮১৮ সেন্টিমিলিয়নিয়ার ও ৬৬ জন বিলিয়নিয়ার থাকেন।শহরটি  উন্নত  অর্থনীতি, সংবাদমাধ্যম, ফ্যাশন ও প্রযুক্তিরও কেন্দ্রবিন্দু। এখানে রয়েছে উন্নত গণপরিবহন, বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি ও উচ্চমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সবমিলিয়ে নিউইয়র্ক সিটি ধনীদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। সান ফ্রান্সিসকো বে এরিয়া: ৩ লাখ ৪২ হাজার ৪০০ মিলিয়নিয়ার, ৭৫৬ সেন্টিমিলিয়নিয়ার ও ৮২ বিলিয়নিয়ার বসবাস করেন সান ফ্রান্সিসকোতে। এই...
    ১. নতুন কিছু শেখাআমরা যখন নতুন কিছু শিখি, সেটা আমাদের মস্তিষ্কের জন্য ব্যায়াম। একাধিক গবেষণায় উঠে এসেছে, নতুন কিছু শেখার প্রক্রিয়া আমাদের মস্তিষ্কের নিউরন কোষগুলোকে কর্মক্ষম রাখতে সাহায্য করে। নিউরোপ্লাস্টিসিটি বা নিউরাল প্লাস্টিসিটি বাড়ায়। মজার ব্যাপার হলো, যেকোনো সৃজনশীল কাজও মস্তিষ্ককে একইভাবে ভালো রাখে। নতুন একটা ভাষা থেকে শুরু করে, সেলাই, কোডিং, ড্রাইভিং—যেকোনো কিছুই হতে পারে আপনার মস্তিষ্কের জন্য ব্যায়াম, মস্তিষ্ক ভালো রাখার কার্যকর উপায়।২. মানুষের সঙ্গে সম্পর্কমানুষের মস্তিষ্ক এমনভাবে নকশা করা যে আরেকজনের সঙ্গে সম্পর্ক যত মজবুত হবে, আপনার মানসিক স্বাস্থ্য ও মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ততটাই ভালো থাকবে। তাই সামাজিক জীবনযাপনের বিকল্প নেই। মা–বাবা, ভাই-বোন, আত্মীয়স্বজনের খোঁজখবর নিন। খুদে বার্তা পাঠান। ছুটির দিনে ফোন করুন। নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচিত হোন, মিশুন, জানুন, গল্প করুন, নিজের সামাজিক বলয়ের যত্ন নিন। এসব...
    বিদেশে পড়াশোনার স্বপ্ন থাকে অনেকেরই। কিন্তু নানা কারণে অনেকে ভর্তি হতে পারেন না—এমন সংখ্যাও অনেক। বিদেশে পড়াশোনার সিদ্ধান্তের পরই আপনাকে আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচনের দিকে যেতে হয়। পড়াশোনার জন্য সঠিকভাবে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্তটাও কঠিন। সঠিক বিশ্ববিদ্যালয় বেছে নিতে পারলে একাডেমিক এবং ব্যক্তিগত ক্যারিয়ার বিকাশে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে। এ সিদ্ধান্ত মানসম্পন্ন শিক্ষা অর্জনের বাইরেও নতুন একটি সংস্কৃতি সম্পর্কে জানার ও মেশার সুযোগ মেলে। পছন্দসই এবং আপনার জন্য সঠিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারলে পেশাদার ক্যারিয়ারের দিকে এগিয়ে যাওয়ার একটি ধাপ হিসেবেও কাজ করে। বিদেশে পড়াশোনার সিদ্ধান্তের পরই আপনার আগ্রহ স্টেম শিক্ষা, শিল্পকলা, ব্যবসা অথবা অন্য যেকোনো ক্ষেত্রেই থাকুক না কেন, কিছু পদক্ষেপ আপনাকে নিতে হবে। এসব পদক্ষেপে আপনার জন্য মনঃপূত বিশ্ববিদ্যালয় খুঁজে পেতে সহায়তার ধাপ হিসেবেও বিবেচনা করা যেতে পারে। ভর্তিপ্রক্রিয়া...
    হাত দিয়ে আমরা সবাই লিখি। বাহার উদ্দিন রায়হান লিখেন মুখ দিয়ে। কারণ, বাহারের এক হাত নেই, আরেক হাত থাকলেও, সেটি আছে কনুই পর্যন্ত। মুখে কলম আটকে কনুইয়ের সাহায্যে লিখে তিনি কয়েকটি পরীক্ষা দিয়েছেন, বাকিগুলো দিয়েছিলেন শ্রুতিলেখকের সহায়তা নিয়ে। এভাবে পরীক্ষা দিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ থেকে ২০১৬-১৭ সেশনে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাস করে সম্প্রতি সমাবর্তন নিয়েছেন তিনি।  সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পঞ্চম সমাবর্তনের ছবি দেখে যোগাযোগ করি তাঁর সঙ্গে। কথা প্রসঙ্গে তিনি জানান জীবনের নানা কথা। বাহার উদ্দিনের বাড়ি কক্সবাজার জেলার চকরিয়ার জহির পাড়ায়। ২০০৪ সালের কথা। বাহার তখন পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সে বছরের ৩০ অক্টোবর সন্ধ্যায় দেখতে পান, বাড়ির পাশে বিদ্যুতের খুঁটিতে বসানো ট্রান্সফরমারে একটি ছোট পাখি ঢুকে পড়েছে। সেই পাখিকে দেখার অদম্য নেশা পেয়ে বসে তাঁর। বৈদ্যুতিক তারে হাত...
    ঈদের আগে পোশাক শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দেওয়ার দাবি জানিয়েছে জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন এবং একতা গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ঈদ বোনাস এবং বেতন-ভাতা না দেওয়া হলে শ্রম মন্ত্রণালয় ঘেরাওয়ের হুমকি দিয়েছেন তারা। শুক্রবার (২৩ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে র‍্যালি এবং সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এ হুমকি দেওয়া হয়। জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিরুল হক আমিনের সভাপতিত্ব এবং সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন—একতা গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান, শ্রমিক নেতা মো. কবির হোসেন, জেসমিন আক্তার, সীমা আক্তার, আলেয়া বেগম, মো. রিয়াদ হোসেন, মো. লোকমান আলী, মনিরা মুন্নি প্রমুখ। সমাবেশে বক্তারা বলেন, প্রতি বছরই ঈদ আসলে শ্রমিকদের ঈদ বোনাস এবং বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ করার সময় মালিকরা মায়াকান্না শুরু করেন। সরকার থেকে...
    উচ্চ রক্তচাপের কারণে প্রতিবছর অনেক মানুষ হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করছেন। তাই এ বিষয়ে সচেতনতার বাড়ানো অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করেন স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞরা। এ জন্য জীবনযাপনে সুস্থ ধারা বজায় রাখাতে হবে। বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবস উপলক্ষে ১৭ মে এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের আয়োজনে বিশেষজ্ঞ মতামত সভায় বিশেষজ্ঞরা এ মত দেন। এতে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন এবং সঠিক ওষুধ নিয়মিত গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। আয়োজনটির সায়েন্টিফিক পার্টনার ছিল ‘কার্ডোবিস’ ও ‘টেমস-এ’। এ বছর বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবসের প্রতিপাদ্য ছিল ‘সঠিকভাবে রক্তচাপ মাপুন, নিয়ন্ত্রণে রাখুন এবং দীর্ঘজীবী হোন’।বাংলাদেশ সোসাইটি অব জেরিয়াট্রিক কার্ডিওলজির সভাপতি অধ্যাপক ডা. আবদুল্লাহ আল সাফী মজুমদারের সঞ্চালনায় বিশেষ এই আলোচনায় অংশ নেন জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীর জামাল উদ্দিন, বর্তমান পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবদুল...
    ছবি: পেক্সেলস
    বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এবং কানাডার ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ইউজিসি-ম্যাকগিল পিএইচডি স্কলারশিপ প্রোগ্রামে আবেদন আহ্বান করেছে। পিএইচডি শিক্ষার্থীদের জন্য চার বছর পর্যন্ত আর্থিক সুবিধা দেওয়া হবে।যেসব বিষয়ে আর্থিক সুবিধা দেবে ইউজিসি-ম্যাকগিল ফেলোরা নানা আর্থিক সুবিধা পাবেন। ১. জীবনযাত্রার ব্যয়ের জন্য বার্ষিক ১৫ হাজার কানাডিয়ান ডলার। ২. স্বাস্থ্য ও জীবনযাত্রার বিমা পরিকল্পনা জন্য প্রায় ১ হাজার ১০০ কানাডিয়ান ডলার। ৩. বেতন থেকে বার্ষিক সহায়তা প্রায় ৯ হাজার ৮০০ কানাডিয়ান ডলার। ৪. প্রত্যাবর্তন বিমানভাড়া (প্রায় ৩,০০০ কানাডিয়ান ডলার)। ৫. ম্যাকগিল প্রতিবছর কুইবেক উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত শিক্ষার সম্পূর্ণ খরচ (বার্ষিক ২০ হাজার ২১৪ কানাডিয়ান ডলার) বহন করবেন, স্বাস্থ্যবিমা ব্যতীত।আরও পড়ুনসৌদি আরব সরকারের বৃত্তি, স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডির জন্য আবেদনের সুযোগ১২ মে ২০২৫আরও পড়ুনথাইল্যান্ডের এআইটি স্কলারশিপে উচ্চশিক্ষার সুযোগ, জেনে নিন সব...
    সামাজিক মাধ্যমে কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের অসংখ্য ভিডিওতে নতুন কেনাকাটার প্রদর্শনী, মাসিক প্রিয় পণ্যের তালিকা আর প্রচারণার ঝড়ের মাঝে একটি নতুন ট্রেন্ড ইন্টারনেটে ঝড় তুলেছে—‘অল্প ভোগ’ বা ‘আন্ডারকনজাম্পশন কোর’। এটি মিনিমালিজম বা সহজিয়া জীবনযাপনের একটি নবীন ও আকর্ষণীয় সংস্করণ। অতিরিক্ত ভোগবাদ, ফাস্ট ফ্যাশন এবং ক্ষণস্থায়ী ট্রেন্ডের চাপে অনেকে ক্লান্ত। কেউ কেউ তাদের বছরব্যাপী পরিকল্পনা শেয়ার করছেন যে তাঁরা কোনো পণ্য—বিশেষ করে কসমেটিকস—শেষ না হওয়া পর্যন্ত নতুন কিনছেন না।ধারণাটি সহজ মনে হলেও অনেকের জন্য এটি একধরনের ‘মুক্তির উদ্যোগ’। কেননা, সামাজিক মাধ্যমের প্রভাব তাদের কেনাকাটায় প্রতিনিয়ত উৎসাহিত করে, যা থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন। ফলে অনেকে ঋণের জালে জড়িয়ে পড়েছেন নতুন কিছু কেনার অবিরাম চাপে। তারা এখন এসব বুদ্‌বুদের ফাঁদ থেকে বাঁচতে চান। ইসলামি মূল্যবোধের সঙ্গে সংযোগইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে অল্প ভোগ পরিবেশ রক্ষা, ন্যায়সংগত ও...
    উর্দুভাষী জনগোষ্ঠীর অধিকার অবজ্ঞা করে দেশে বৈষম্যহীন সমাজ গড়া সম্ভব না বলে মন্তব্য করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. আনু মুহাম্মদ। তিনি বলেন, সংবিধানের প্রতিশ্রুতি হলো শোভন জীবনযাপন নিশ্চিত করা। যা থেকে উর্দুভাষীরা বঞ্চিত। ‘বাংলাদেশ উর্দুভাষী অধিকার আন্দোলন’ এর আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। সংগঠনটির সভাপতি মাজিদ ইকবালের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সংগঠক সুজিত চৌধুরী, ইউএসপিওয়াইআরএম-এর সভাপতি সাদাকাত খান ফাক্‌কু, ব্লাস্টের প্রতিনিধি আহমেদ ইব্রাহিম, রিবের অ্যাডভোকেট রুহি নাজ, এএলআরডির অ্যাডভোকেট রফিক আহমেদ সিরাজী প্রমুখ। সভায় সংগঠনের সভাপতি মাজিদ ইকবাল এবং সাধারণ সম্পাদক মেহনাজ আক্তার সংগঠনটির ঘোষণাপত্র ও দাবিনামা যৌথভাবে তুলে ধরেন। সভায় আনু মুহাম্মদ বলেন, বাঙালি-বিহারী বিভাজন সৃষ্টি করে লুটপাটের কৌশল তৈরি করে...
    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের মুখপাত্র ফাতেমা খানম লিজাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মাদক সেবন ও অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় এমন  সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংগঠনটি।  শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নগর কমিটির আহ্বায়ক আরিফ মঈনুদ্দিন ও সদস্যসচিব নিজাম উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বহিষ্কারাদেশে এ তথ্য জানানো হয়।  আদেশে বলা হয়, সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির মুখপাত্র ফাতেমা খানম লিজার মাদক সেবন এবং অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের ছবি-ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রায় ১৪০০ শহীদ ও অর্ধলক্ষ আহতদের ওপর দাঁড়ানো এই প্ল্যাটফর্মের কোনো সদস্যের এমন অনিয়ন্ত্রিত ও অসামাজিক কার্যকলাপ জনমনে প্রশ্ন তৈরি করেছে। তাই ফাতেমা খানম লিজাকে মহানগর কমিটির মুখপাত্র পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো। সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর...
    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের মুখপাত্র ফাতেমা খানম লিজাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মাদক সেবন ও অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় এমন  সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংগঠনটি।  শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নগর কমিটির আহ্বায়ক আরিফ মঈনুদ্দিন ও সদস্যসচিব নিজাম উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বহিষ্কারাদেশে এ তথ্য জানানো হয়।  আদেশে বলা হয়, সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির মুখপাত্র ফাতেমা খানম লিজার মাদক সেবন এবং অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের ছবি-ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রায় ১৪০০ শহীদ ও অর্ধলক্ষ আহতদের ওপর দাঁড়ানো এই প্ল্যাটফর্মের কোনো সদস্যের এমন অনিয়ন্ত্রিত ও অসামাজিক কার্যকলাপ জনমনে প্রশ্ন তৈরি করেছে। তাই ফাতেমা খানম লিজাকে মহানগর কমিটির মুখপাত্র পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো। সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর...
    ‘পেপে’ নামে পরিচিত উরুগুয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসে মুজিকা মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। বুধবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। ২০১০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত উরুগুয়ে শাসন করা সাবেক এই গেরিলা তার পরিমিত জীবনযাপনের কারণে বিশ্বের সবচেয়ে 'গরিব প্রেসিডেন্ট' হিসেবে পরিচিত ছিলেন। বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইয়ামান্দু ওরসি এক্সে (সাবেক টুইটার) তার পূর্বসূরির মৃত্যুর তথ্য জানিয়ে লিখেছেন, ‘আপনি আমাদের যা কিছু দিয়েছেন ও জনগণের যা করেছেন তার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।’ এই রাজনীতিবিদের মৃত্যুর কারণ জানা না গেলেও তিনি খাদ্যনালীর ক্যান্সারে ভুগছিলেন বলে বিবিসির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি খুব সাধারণ জীবনযাপন করেছিলেন, তিনি ভোগবাদের সমালোচনা করতেন এবং সামাজিক সংস্কার নিয়ে কাজ করেছিলেন। এতে মুজিকা লাতিন আমেরিকা ও এর বাইরেও সুপরিচিত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হয়ে ওঠেন। মাত্র ৩৪...
    বুদ্ধপূর্ণিমা বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান উৎসব, যা বৈশাখ মাসের পূর্ণিমাতিথিতে বিশ্বজুড়ে উদ্‌যাপিত হয়। দিনটি গৌতম বুদ্ধের জীবনের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার জন্য বিশেষভাবে স্মরণীয়—তাঁর জন্ম, বুদ্ধত্ব লাভ ও মহাপরিনির্বাণ। এই তিন ঐতিহাসিক ঘটনা বৈশাখী পূর্ণিমায় সংঘটিত হওয়ায় দিনটি ‘বুদ্ধপূর্ণিমা’ নামে খ্যাত। বৌদ্ধ পরিভাষায় বৈশাখী পূর্ণিমাকে বুদ্ধপূর্ণিমা বলা হয়, যা বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র ও তাৎপর্যপূর্ণ।খ্রিষ্টপূর্ব ৬২৩ অব্দে এই শুভ তিথিতে কপিলবাস্তুর লুম্বিনীতে রাজা শুদ্ধোধন ও রানি মহামায়ার পুত্র সিদ্ধার্থ গৌতম জন্মগ্রহণ করেন। দীর্ঘদিন সন্তানহীন থাকার পর তাঁদের কোল আলোকিত করে এই শিশুর জন্ম হয়। পিতা শুদ্ধোধন তাঁর নাম রাখেন সিদ্ধার্থ, যার অর্থ ‘ইচ্ছাসিদ্ধি’। এই সিদ্ধার্থই পরবর্তী সময় ‘গৌতম বুদ্ধ’ নামে বিশ্বব্যাপী পরিচিত হন। ‘বুদ্ধ’ শব্দের অর্থ পরমজ্ঞানী, যিনি জীবনের সত্যকে উপলব্ধি করে মানবজাতির কল্যাণে তাঁর জ্ঞান প্রচার করেন।খ্রিষ্টপূর্ব ৫৮৮ অব্দে, ৩৫...
    আমরা অনেক ভাইবোন। দশ বোন, এক ভাই ছিলাম। বড়রা ছোটজনকে দেখাশোনা করতাম। আমি তিন নম্বর, ভাই সবার ছোট। আমার জন্ম ১৯৫৩ সালে। আজকাল ছেলেমেয়েরা যেভাবে মা-বাবার সংশ্রব পায়, আমাদের সময় এমনটা ছিল না। এখনকার বাচ্চাদের মতো মায়ের আহ্লাদ আমরা পাইনি। আমরা খুব প্র্যাকটিক্যাল জীবনযাপন করতাম। নিজের কাজ নিজে করতাম, নিজের পড়া নিজে পড়তাম; বড় সরকারি বাসা সব নিজেদের গোছানো, ঠিকঠাক করা লাগত। সে যুগের মায়েরা যেমন হতেন, আমার মাও তেমনই সবার প্রতি যত্নবান ছিলেন। আমার মায়ের নাম আনোয়ারা বেগম। মা ছিলেন স্বল্পশিক্ষিত, তেমন আউটগোয়িং ছিলেন না; কিন্তু তাঁর জ্ঞানপ্রজ্ঞা অনেক বেশি ছিল। শিক্ষাকে খুব মূল্য দিতেন। মা আমাদের বিলাসী জীবনের শিক্ষা দেননি, এটা পারিবারিক শিক্ষা। আমার বাসায় এখনও গৃহকর্মের স্থায়ী কোনো সহকারী নেই। এটা আমার মায়ের শিক্ষা, আমার বাবাও খুব...
    কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলা নিয়ে উত্তেজনার জেরে নতুন করে যুদ্ধে জড়িয়েছে ভারত-পাকিস্তান। যেটার প্রভাব পড়েছে ক্রীড়াঙ্গনেও। এ নিয়ে কাল উদ্বিগ্নতার কথা জানিয়েছে বিসিবি। কারণ, বাংলাদেশ জাতীয় দলের দুই ক্রিকেটার রিশাদ হোসেন ও নাহিদ রানা যে পিএসএলে খেলতে এই মুহূর্তে পাকিস্তানে অবস্থান করছেন!বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের মনেও প্রশ্ন জেগেছিল, পাকিস্তানে রিশাদ ও নাহিদ কেমন আছেন। তবে আজ দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রিশাদ যে দুটি পোস্ট দিয়েছেন, তা দেখার পর সবার স্বস্তির নিশ্বাস ফেলার কথা।রিশাদ ঘণ্টা তিনেক আগে নিজের দুটি ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘সব ঠিকঠাক চলছে! প্রতিটি আনন্দের মুহূর্ত উপভোগ করছি।’ এক ঘণ্টা আগে রাওয়ালপিন্ডির জিমে নাহিদকে নিয়েও ছবি দিয়েছেন রিশাদ। যার ক্যাপশন, ‘ভ্রাতৃত্ব’। এই ছবিগুলো থেকেই স্পষ্ট, পাকিস্তানে নিরাপদেই আছেন তাঁরা।ভারত–পাকিস্তান যুদ্ধের আঁচ লাগেনি রিশাদ–নাহিদের জীবনযাত্রায়
    অস্ট্রেলিয়ার ২০২৫ সালের জাতীয় নির্বাচনে দেশটির বর্তমান ক্ষমতাসীন দল লেবার পার্টি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে টানা দ্বিতীয় মেয়াদে জয়লাভ করেছে। চূড়ান্ত ফলাফলের আগে প্রায় ৩৪ শতাংশ ভোট গণনার ফলাফলেই লেবার ৭৭টি আসনে জয়লাভ করেছে, যেখানে বিরোধী দল লিবারেল-ন্যাশনাল কোয়ালিশন পেয়েছে ৩৩টি আসন। এর মধ্য দিয়ে আবারও দ্বিতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। অন্যদিকে এই নির্বাচনের সবচেয়ে হতাশাব্যঞ্জক ঘটনা ছিল বিরোধীদলীয় নেতা প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী পিটার ডাটনের নিজ আসন ডিকসন থেকে পরাজয়। ব্রিসবেনের এই আসনে লেবার প্রার্থী আলী ফ্রান্স প্রায় ৬০ শতাংশ ভোট পেয়ে ডাটনকে পরাজয়ের পথে, যেখানে ডাটন ২২ বছর ধরে নির্বাচিত হয়ে আসছিলেন। এবারের নির্বাচনী প্রচারণার কেন্দ্রে ছিল দেশটিতে ক্রমবর্ধমান জীবনযাত্রার ব্যয় ও গৃহনির্মাণ সংকট।সিডনি, মেলবোর্ন, ব্রিজবেনসহ প্রধান শহরগুলোতে প্রবাসী বাংলাদেশিরাও এই নির্বাচনে লেবারের জয়ে আনন্দ প্রকাশ করেছেন। এবারের নির্বাচনে...
    যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্যযুদ্ধের প্রভাবে অর্থনৈতিক ঝাঁকির মধ্যেই আজ শনিবার সাধারণ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে সিঙ্গাপুরে। স্বাধীনতার আগে থেকে ক্ষমতায় থাকা পিপল’স অ্যাকশন পার্টি (পিএপি) এবারও নিরঙ্কুশ জয় পাবে বলে ধারণা সবার। তাই আসন নয়, বিশ্লেষকদের নজর ভোটের ব্যবধানের দিকে। দেশটিতে মাত্র ৯ দিনের নির্বাচনী প্রচার অনুষ্ঠিত হয়। এবারের ভোটের প্রচারে জীবনযাত্রা ব্যয়বৃদ্ধি ও আবাসনের চাহিদাই আলোচনার কেন্দ্রে ছিল। খবর রয়টার্সের আজ শনিবার ভোটের দিন সকালে ভারি বৃষ্টি হলেও কিছুক্ষণেই মধ্যেই তা থেমে যায়। দুপুরের মধ্যেই প্রায় অর্ধেক ভোটার ভোট দিয়েছেন। সিঙ্গাপুরে মোট ১ হাজার ২৪০টি কেন্দ্রে চলছে ভোটগ্রহণ। সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে ভোটগ্রহণ চলবে রাত ৮টা পর্যন্ত। সিঙ্গাপুরে ভোট দেওয়া বাধ্যতামূলক। ১৯৫৯ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত সিঙ্গাপুরের প্রতিটি নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে পিএপি। প্রায় প্রতিবারই পার্লামেন্টের ৯০ শতাংশের বেশি আসনে জয়ী হয়েছেন...
    অস্ট্রেলিয়ায় আজ শনিবার জাতীয় নির্বাচনে ভোট গ্রহণ চলছে। জনমত জরিপগুলোতে লেবার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ রক্ষণশীল প্রতিদ্বন্দ্বী পিটার ডাটনের চেয়ে এগিয়ে আছেন।যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অস্থির কূটনৈতিক নীতি নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকা অস্ট্রেলীয় ভোটারদের মধ্যে পরিবর্তনের প্রতি আগ্রহে ভাটা পড়েছে।অস্ট্রেলিয়ার স্থানীয় সময় সকাল আটটায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়। এবারের নির্বাচনে ভোটারের সংখ্যা ১ কোটি ৮০ লাখ। এর মধ্যে রেকর্ড ৮০ লাখ ভোটার আগেই ভোট দিয়েছেন।আবাসনব্যবস্থার উন্নতি ও অস্ট্রেলিয়ার সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা ‘মেডিকেয়ার’কে আরও শক্তিশালী করার মতো মূলনীতি বাস্তবায়নে আমাদের দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসা প্রয়োজন।অ্যান্থনি আলবানিজ, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীঅস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, বিদেশে অস্ট্রেলিয়ার কয়েক হাজার নাগরিক ভোট দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ৮৩টি দেশে স্থাপিত কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হচ্ছে।প্রধানমন্ত্রী আলবানিজ বলেছেন, তাঁর নেতৃত্বাধীন মধ্য-বামপন্থী সরকার এ মেয়াদে ‘খুবই শক্ত ভিত’ গড়ে তুলেছে। আবাসনব্যবস্থার...
    অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। এ নির্বাচনের মাধ্যমে একজন নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করতে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন এক কোটি ৮০ লাখ ভোটার। এ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ এর বামপন্থী অস্ট্রেলিয়ান লেবার পার্টি পুনরায় জয়ের চেষ্টা করছে। আর তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন পিটার ডাটনের নেতৃত্বাধীন কনজারভেটিভ লিবারেল-ন্যাশনাল কোয়ালিশন। নির্বাচনে বড় ইস্যু: এবারের নির্বাচনে বড় ইস্যু হয়ে উঠেছে জীবনযাত্রার ব্যয়। এছাড়া স্বাস্থ্যসেবা ও আবাসন ব্যয় নিয়েও ভোটারদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা গেছে। নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফল আসতে কয়েক দিন, এমনকি সপ্তাহও লেগে যেতে পারে। তবে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পরপরই দেশটির ইলেকটোরাল কমিশন অনানুষ্ঠানিক প্রাথমিক ফল ঘোষণা শুরু করবে। মূলত এই প্রাথমিক ফল থেকেই ধারণা পাওয়া যাবে যে কে দেশটির পরবর্তী সরকার গঠন করবেন। নির্বাচনে শুধু অস্ট্রেলিয়াতেই ভোটগ্রহণ হচ্ছে না, বরং বিদেশে থাকা দেশটির ভোটাররা যেন...
    অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। এ নির্বাচনের মাধ্যমে একজন নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করতে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন এক কোটি ৮০ লাখ ভোটার। এ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ এর বামপন্থী অস্ট্রেলিয়ান লেবার পার্টি পুনরায় জয়ের চেষ্টা করছে। আর তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন পিটার ডাটনের নেতৃত্বাধীন কনজারভেটিভ লিবারেল-ন্যাশনাল কোয়ালিশন। নির্বাচনে বড় ইস্যু: এবারের নির্বাচনে বড় ইস্যু হয়ে উঠেছে জীবনযাত্রার ব্যয়। এছাড়া স্বাস্থ্যসেবা ও আবাসন ব্যয় নিয়েও ভোটারদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা গেছে। নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফল আসতে কয়েক দিন, এমনকি সপ্তাহও লেগে যেতে পারে। তবে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পরপরই দেশটির ইলেকটোরাল কমিশন অনানুষ্ঠানিক প্রাথমিক ফল ঘোষণা শুরু করবে। মূলত এই প্রাথমিক ফল থেকেই ধারণা পাওয়া যাবে যে কে দেশটির পরবর্তী সরকার গঠন করবেন। নির্বাচনে শুধু অস্ট্রেলিয়াতেই ভোটগ্রহণ হচ্ছে না, বরং বিদেশে থাকা দেশটির ভোটাররা যেন...
    অস্ট্রেলিয়ার রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তাপ ছড়াচ্ছে আসন্ন কেন্দ্রীয় সরকারের নির্বাচন। আগামীকাল শনিবার নির্বাচনকে সামনে রেখে লেবার পার্টি ও লিবারেল-ন্যাশনাল জোটের প্রতিদ্বন্দ্বিতা এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজের নেতৃত্বাধীন লেবার সরকারের প্রথম মেয়াদে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য অর্জন রয়েছে। সাম্প্রতিক জরিপে লেবার কিছুটা এগিয়ে আছে। তবে শেষ মুহূর্তের ভোটারদের সিদ্ধান্তই নির্ধারণ করবে, কে বসবেন ক্ষমতার মসনদে। দিন যত গড়াচ্ছে, অ্যান্থনি অ্যালবানিজের সম্ভাবনা ততই বাড়ছে। বাড়ছে তাঁর বেড়ে উঠা, রাজনীতি ঘিরে মানুষের কৌতূহলও। সরকারি অনুদানের ফ্ল্যাটে শৈশব কেটেছে তাঁর। সেখান থেকে কীভাবে তিনি পৌঁছালেন অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ পদে, জীবনের সেই ঘটনা আলোচনায় এসেছে আবার। একেবারে সাদামাটা এক পরিবারে জন্ম অ্যান্থনি অ্যালবানিজের। ১৯৬৩ সালের এক শীতের সকালে সিডনির ডার্লিংহার্স্ট এলাকার একটি সরকারি অনুদানের ফ্ল্যাটে জন্ম নেন তিনি। টিনের ছাউনির নিচে টয়লেট, সংকুচিত জীবনযাপন। মা ম্যারিয়ান...
    জীবনযাত্রার মান নিয়ে অসন্তোষের কথা ফিজির প্রধানমন্ত্রীকে জানালেন ২৬ বাংলাদেশি প্রধানমন্ত্রী সিটিভেনি রাবুকাকে। বাংলাদেশি শ্রমিকদের অভিযোগ, তাদের জীবনযাত্রার মান সন্তোষজনক নয়। পর্যাপ্ত খাবারও পান না। নিয়োগের চুক্তি লঙ্ঘনেরও অভিযোগ করেছেন তারা। বাংলাদেশি শ্রমিকদের এসব অভিযোগ শুনে জরুরি ভিত্তিতে শ্রমিকদের জীবনযাত্রার মান উন্নত এবং তাদের মৌলিক চাহিদা নিশ্চিতের জন্য নিয়োগদাতাদের প্রতি  আহ্বান জানান রাবুকা। একই সঙ্গে দেশটির কেন্দ্রীয় কর্মসংস্থান মন্ত্রী ও অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রীকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। খবর- দ্য ফিজি টাইমস  সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিজির ‘সেন্ট্রাল ডিভিশনের’ একটি সুপার মার্কেটে কাজ করেন এসব শ্রমিক। চলতি সপ্তাহে রাবুকার সঙ্গে কথা হয় এসব শ্রমিকের। ওই সাক্ষাতে নিজেদের ‘দুর্দশার’ কথা তুলে ধরেন তারা। তাদের অভিযোগ, পরিবেশ-পরিস্থিতির কারণে ফিজিতে কাজ করাটা তারা উপভোগ করতে পারছেন না। অভিযোগ শুনে নিয়োগদাতাদের উদ্দেশ...
    কক্সবাজার জেলা ও ভাসানচরে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ও স্থানীয় মানুষদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে একটি বিস্তৃত পরিকল্পনার জন্য আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থাকে (আইওএম) ৩.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা দিয়েছে জাপান সরকার। সোমবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকাস্থ জাপান দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত সাঈদা শিনিচি এবং আইওএমের বাংলাদেশ মিশনের প্রধান ল্যান্স বোনো এ বিষয়ে একটি চুক্তি  স্বাক্ষর করেছেন। কক্সবাজার জেলা এবং ভাসানচরে প্রায় ৫ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী ও স্থানীয় মানুষ এ প্রকল্প থেকে সহায়তা পাবেন। এ প্রকল্পের আওতায় সুরক্ষা, আশ্রয়, খাদ্যবহির্ভূত পণ্য, পানি, এলপিজি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যসেবার পাশাপাশি ভাসানচরে শরণার্থীদের জীবিকা নির্বাহ এবং কক্সবাজারের স্থানীয় মানুষদের জন্য দুর্যোগঝুঁকি হ্রাস এবং সুরক্ষা পরিষেবা দেওয়া হবে। ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত...
    অস্ট্রেলিয়ার রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তপ্ত বাতাবরণ তৈরি করেছে আগামী ৩ মের ফেডারেল নির্বাচন। এই নির্বাচন শুধু একটি সরকার পরিবর্তনের প্রশ্ন নয়, বরং দেশটির ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা নির্ধারণ করবে বলে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন। নির্বাচনী প্রচারের শেষ পর্যায়ে এসে লেবার ও লিবারেল-ন্যাশনাল কোয়ালিশনের মধ্যে প্রতিযোগিতা তীব্র হয়েছে। অবশ্য স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারেন।বর্তমান প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজের নেতৃত্বাধীন লেবার সরকার তাদের প্রথম মেয়াদে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার করেছে। স্বাস্থ্য খাতে রেকর্ড পরিমাণ ডলার বিনিয়োগ, নবায়নযোগ্য শক্তি প্রকল্পে ২৩ শতাংশ অগ্রগতি এবং সর্বনিম্ন মজুরি বৃদ্ধি তাদের উল্লেখযোগ্য সাফল্য। তবে জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে হতাশা আছে। অস্ট্রেলিয়ান ব্যুরো অব স্ট্যাটিসটিকসের তথ্য অনুযায়ী, গত তিন বছরে গৃহঋণের চাপ ৪০ শতাংশ বেড়েছে, যা মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর জন্য বড় চ্যালেঞ্চ হয়ে দাঁড়িয়েছে।অন্যদিকে পিটার ডাটনের নেতৃত্বাধীন লিবারেল-ন্যাশনাল কোয়ালিশন...
    আজ সকাল সাতটা-আটটার দিকে জার্মানি প্রবাসে নির্বাসিত কবি দাউদ হায়দার, আমাদের দাউদের মৃত্যুর খবর পেলাম। মনটা বড় খারাপ হয়ে গেল। দাউদ আমার বন্ধু। আমি তো ওকে কবি-সাহিত্যিক হিসেবে দেখতাম না। বন্ধু হিসেবেই দেখি। দাউদের ছোট ভাই জাহিদ হায়দার আমাকে কদিন ধরেই বলছিল যে মনটা শক্ত করুন। ডাক্তার বলে দিয়েছে, দাউদ আর ফেরত আসবে না। আমি তাই প্রস্তুত ছিলাম একরকম। কষ্টটা কম করে গেছে আশা করি। ওর জ্ঞান ফিরেছিল। কথা বলতে পারেনি। দাউদ এত কথা বলত, এত এত কথা! আমরা এত আড্ডা-গল্প দিয়েছি। ১৯৬৯ সাল থেকে। হাসান ফেরদৌস আর দাউদ খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু। ওরা একই পাড়ার। ঢাকার মালিবাগ মোড় এলাকার। একসঙ্গে একটা পত্রিকা করতাম আমরা। পত্রিকার প্রধান সম্পাদক ছিল হাসান ফেরদৌস। আমিও ছিলাম সম্পাদনা পর্ষদে। আরেকজন মারা গেছে আমাদের বন্ধু তৌফিক...