পুঁজিবাজারে সিমেন্ট খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি কনফিডেন্স সিমেন্টের রাইট শেয়ার ইস্যুর আবেদনে সম্মতি দেয়নি নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিসইসি)।

ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই-সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে রবিবার (২৯ জুন) বিএসইসি এ সংক্রান্ত একটি চিঠি ইস্যু করেছে কনফিডেন্স সিমেন্টে।

তথ্য মত, রাইট শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে কনফিডেন্স সিমেন্ট ১০০ কোটি ৬২ লাখ ৯৪ হাজার ২০৫ টাকা সংগ্রহ করতে চেয়েছিল।

সর্বশেষ চলতি হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি থেকে মার্চ, ২০২৫) কনফিডেন্স সিমেন্টের সমন্বিত শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএসই) দাঁড়িয়েছে ২.

৮৮ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সঙ্গে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ৩ টাকা। আর নয় মাসে (জুলাই থেকে মার্চ, ২০২৫) কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএসই) দাঁড়িয়েছে ৯.৬৭ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সঙ্গে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ৮.০৬ টাকা।

৩১ মার্চ ২০২৫ পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৮৩.৪৪ টাকা।

ঢাকা/এনটি/ইভা 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কনফ ড ন স স ম ন ট

এছাড়াও পড়ুন:

এশিয়া কাপ নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটছে

কিছুদিন ধরে সনি স্পোর্টস নেটওয়ার্ক তাদের চ্যানেলগুলোয় এশিয়া কাপের বিজ্ঞাপন প্রচার করে আসছে। বিজ্ঞাপনের কভারে বাংলাদেশের নাজমুল হোসেন, ভারতের সূর্যকুমার যাদব আর শ্রীলঙ্কার চারিত আসালাঙ্কাকে দেখানো হচ্ছে। ভারতীয় চ্যানেল বলেই হয়তো পাকিস্তানের কাউকে রাখা হয়নি।

তবে এর মাধ্যমে ২০২৫ এশিয়া কাপ ক্রিকেট নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে চলা অনিশ্চয়তার জট কাটতে চলেছে বলে অনুমান অনেকের। তাঁদের ধারণা, এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) ‘সবুজ সংকেত’ পেয়েছে বলেই সনি স্পোর্টস নেটওয়ার্ক নিয়মিত এশিয়া কাপের বিজ্ঞাপন দেখাচ্ছে। অনিশ্চয়তা থাকলে তা দেখানোর কথা নয়।

মহাদেশীয় এই প্রতিযোগিতা নিয়ে এবার ক্রিকবাজও সুসংবাদ দিল। ক্রিকেট বিষয়ক ভারতীয় ওয়েবসাইটটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টুর্নামেন্ট ঘিরে আশার আবহ তৈরি হয়েছে। কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলাকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি ভারত–পাকিস্তানের মধ্যে যে সংঘাত ও উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল, ‘যুদ্ধবিরতির’ পর থেকে তা কিছুটা স্বস্তিদায়ক পর্যায়ে আছে।

যদিও এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি; তবে ধারণা করা হচ্ছে, কয়েক দিনের মধ্যেই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে।

ক্রিকবাজ জানিয়েছে, এসিসির আশা, জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে সভা ডেকে ছয় দলের এশিয়া কাপের সূচি চূড়ান্ত করা যাবে। সব ঠিক থাকলে সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হবে। নির্দিষ্ট করে বললে, ১০ সেপ্টেম্বর টি–টোয়েন্টি সংস্করণের এশিয়া কাপ শুরু হতে পারে।

ওয়েবসাইটটি আরও জানিয়েছে, এবারের এশিয়া কাপে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত অংশ নেবে। যদিও প্রাথমিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২০২৪ এসিসি প্রিমিয়ার কাপের রানার্সআপ ওমান ও তৃতীয় হওয়া হংকংয়েরও টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়ার কথা। কিন্তু সর্বশেষ খবর, ওমান ও হংকংকে ছাড়াই হয়তো হবে ২০২৫ এশিয়া কাপ।

মূল আয়োজক হিসেবে এখনো ভারতের নাম থাকলেও ২০২৩ এশিয়া কাপ ও ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির মতো এবারের এশিয়া কাপও ‘হাইব্রিড মডেলে’ আয়োজনের আলোচনা চলছে। সে ক্ষেত্রে ভারতের পাশাপাশি সংযুক্ত আরব আমিরাতে টুর্নামেন্ট হতে পারে। গত ডিসেম্বরে বিসিসিআই–পিসিবির মধ্যে একে অপরের দেশে দল না পাঠানোর যে সমঝোতা হয়েছে, তারই ভিত্তিতে এশিয়া কাপে পাকিস্তানের ম্যাচগুলো আমিরাতে সরে যাবে।

এপ্রিলে ভারত–নিয়ন্ত্রিত কাষ্মীরের পেহেলগামে হামলার জেরে মে মাসে ভারত–পাকিস্তান সংঘাতে জড়ায়। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশ ‘যুদ্ধবিরতির’ ঘোষণা দেওয়ার পর সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করে। ক্রিকেটে দুই দলের মুখোমুখি হওয়া না–হওয়া নিয়েও সংশয়ের মেঘ কেটে যায়।

এ বছর মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপে এবং আগামী বছর মেয়েদের টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত–পাকিস্তানকে একই গ্রুপে রেখেছে আইসিসি। কলম্বোয় ওয়ানডে বিশ্বকাপের ম্যাচটি হবে ৫ অক্টোবর আর এজবাস্টনে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচ ২০২৬ সালের ১৪ জুন।

এবার পুরুষদের এশিয়া কাপেও ভারত–পাকিস্তানের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা প্রবলই। কারণ, সনি স্পোর্টস নেটওয়ার্ক সম্প্রচার ১৭ কোটি মার্কিন ডলারে (২০৭১ কোটি টাকা) চার আসরের স্বত্ব কেনার সময় এসিসির সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক সমঝোতা হয়েছিল যে প্রতিটি আসরে অন্তত দুটি ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ থাকবে। দল দুটি যদি ফাইনালে ওঠে, তাহলে তিনবার মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনাও থাকবে।

কিন্তু ভারত–পাকিস্তান ম্যাচ না হলে সনি স্পোর্টস নেটওয়ার্ক স্বাভাবিকভাবেই এসিসিকে বিপুল অর্থ দিতে অস্বীকৃতি জানাবে। এতে এসিসি ক্ষতির সম্মুখীন হবে।

ক্রিকবাজ এর আগে জানিয়েছিল, ২০২৫ এশিয়া কাপ আয়োজন করতে এসিসির প্রায় ৩ কোটি ৮০ লাখ ডলার (৪৬৩ কোটি টাকা) খরচ হবে। এ খরচের বেশির ভাগ অর্থ আসবে সম্প্রচারস্বত্ব থেকে, যার ৭৫ শতাংশ রাজস্ব সমানভাবে ভাগ করে নেওয়ার কথা এসিসির পাঁচ স্থায়ী সদস্য বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানের।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মেসির ইন্টার মায়ামি ছাড়ার গুঞ্জন  
  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (১ জুলাই ২০২৫)
  • চাষাবাদে ৫৬% কৃষি জমির টেকসই ব্যবহার হচ্ছে না
  • সাহিত্য রিপোর্টাস ক্লাব নির্বাচনে প্রিন্স সভাপতি ডালিম সম্পাদক
  • সাধারণ জ্ঞান-১০: মে ২০২৫: বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিশ্ব
  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (৩০ জুন ২০২৫)
  • ইংরেজি ও জাপানি ভাষা জানলে বাড়তি সুবিধা
  • ঢাকা ক্লাবের নতুন সভাপতি শামীম হোসেন
  • এশিয়া কাপ নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটছে