ইসরায়েলের কাছে ৫১ কোটি ডলারের বোমার সরঞ্জাম বিক্রির সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের
Published: 1st, July 2025 GMT
ইসরায়েলের কাছে ৫১ কোটি ডলার মূল্যের বোমার সরঞ্জাম বিক্রির প্রস্তাব অনুমোদন করেছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। এর মধ্যে কোনো হামলায় বোমাকে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত ‘বম্ব গাইডেন্স কিট’ও আছে।
ইরানের সঙ্গে সাম্প্রতিক সংঘাতে ইসরায়েল প্রচুর গোলাবারুদ ব্যবহার করার পর যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এমন ঘোষণা এল।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা নিরাপত্তা সহযোগিতা সংস্থা (ডিএসসিএ) এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘(প্রস্তাবিত) এ বিক্রি ইসরায়েলকে এখনকার ও ভবিষ্যতের হুমকি মোকাবিলায় সাহায্য করবে। এর মাধ্যমে তারা নিজেদের সীমান্ত, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও মানুষের বসতি আরও ভালোভাবে রক্ষা করতে পারবে।’
২০১৮ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদ চলাকালে তিনি ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করেন। কয়েক সপ্তাহ ধরে ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তিতে ফেরার জন্য তিনি কূটনৈতিক সমাধানের পথ খুঁজছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেন এবং দেশটির পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে মার্কিন হামলার নির্দেশ দেন তিনি।বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের নিরাপত্তা রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ। ইসরায়েলের আত্মরক্ষার সক্ষমতা যেন দৃঢ় ও প্রস্তুত থাকে, তা নিশ্চিত করাটা যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বার্থের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর ইসরায়েলের কাছে এসব সরঞ্জাম বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে। আর ডিএসসিএ বিষয়টি কংগ্রেসকে জানিয়েছে। তবে এ ব্যাপারে কংগ্রেস এখনো অনুমতি দেয়নি।
গত ১৩ জুন ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্র, বিজ্ঞানী ও শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে ইসরায়েল বড় ধরনের বিমান হামলা চালায়। ইসরায়েল চায় ইরান যেন তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধ করে দেয়। আর ইরান বলে আসছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচির উদ্দেশ্য বেসামরিক। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্ররা মনে করে, ইরান আসলে পারমাণবিক অস্ত্র বানাতে চায়।
২০১৮ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদ চলাকালে তিনি ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করেন। কয়েক সপ্তাহ ধরে ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তিতে ফেরার জন্য তিনি কূটনৈতিক সমাধানের পথ খুঁজছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেন এবং দেশটির পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে মার্কিন হামলার নির্দেশ দেন তিনি।
গত সপ্তাহে ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি হয়েছে। তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, তিনি কখনোই তেহরানকে আবারও পারমাণবিক স্থাপনা গড়ে তুলতে দেবেন না। এতে ভবিষ্যতে আবার সংঘাত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র র ইসর য় ল র র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
ভোট পর্যবেক্ষণ করতে ৩১৮ সংস্থার আবেদন
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে নিবন্ধনের জন্য ৩১৮টি পর্যবেক্ষক সংস্থা নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আবেদন করেছে।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) ইসির জনসংযোগ শাখার কর্মকর্তা মো. আশাদুল হক গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, “ভোট পর্যবেক্ষণ করতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পর্যবেক্ষণ সংস্থা হিসেবে ইসির নিবন্ধন পেতে ৩১৮টি সংস্থা আবেদন করেছে। নির্ধারিত সময়ের পর ১৩টি আবেদন এসেছে।”
আরো পড়ুন:
পুরো আসনের ফল বাতিল করতে পারবে ইসি, ফিরছে ‘না’ ভোট
হারল পাকিস্তান, র্যাংকিংয়ে অবনমন বাংলাদেশের!
গত ২৭ জুলাই পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন আবেদন আহ্বান করে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ইসি। এক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী আবেদন জমা দেওয়ার জন্য ১৫ দিন সময় দেওয়া হয়েছিল, যা গত রবিবার (১০ আগস্ট) শেষ হয়েছে।
গত ১৭ জুলাই দেশীয় পর্যবেক্ষক নীতিমালা-২০২৫ জারি করা হয়। বাতিল করা হয় ২০২৩ সালের নীতিমালা। পাশাপাশি ওই সময়ের সংস্থাগুলোর নিবন্ধনও বাতিল হয়েছে।
জানা যায়, ২০০৮ সাল থেকে ভোট পর্যবেক্ষণের জন্য পর্যবেক্ষক নিবন্ধন দিচ্ছে ইসি। সে সময় ১৩৮টি সংস্থা নিবন্ধন পেয়েছিল। ২০১৮ সালে ১১৮টি সংস্থাকে নিবন্ধন দেয় ইসি। ২০২৩ সালে ৯৬টি পর্যবেক্ষক সংস্থাকে নিবন্ধন দেওয়া হয়।
প্রতি সংসদ নির্বাচনের আগে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য দেশীয় সংস্থাগুলোকে নিবন্ধন নেওয়ার জন্য আহ্বান জানায় নির্বাচন কমিশন। এক্ষেত্রে নিবন্ধন পেয়ে সংস্থাগুলো পরবর্তী পাঁচ বছর স্থানীয় নির্বাচনও পর্যবেক্ষণ করতে পারে।
গত সংসদ নির্বাচনে দেশীয় বিভিন্ন সংস্থার ২০ হাজার ৭৭৩ জন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে আবেদন করেন। ইসি কেন্দ্রীয়ভাবে ৪০টি পর্যবেক্ষক সংস্থার ৫১৭ জন এবং স্থানীয়ভাবে ৮৪টি পর্যবেক্ষণ সংস্থার ২০ হাজার ২৫৬ জনকে ভোট পর্যবেক্ষণের অনুমোদন দিয়েছিল।
২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ওআইসি ও কমনওয়েলথ থেকে ৩৮ জন, বিভিন্ন মিশনের ৬৪ জন এবং বাংলাদেশস্থ বিভিন্ন দূতাবাসে বা হাইকমিশনে কর্মরত বাংলাদেশি ৬১ জনসহ মোট ১৬৩ জন পর্যবেক্ষক ভোট পর্যবেক্ষণ করেন।
২০০৮ সাল থেকে ভোট পর্যবেক্ষণের জন্য পর্যবেক্ষক নিবন্ধন দিচ্ছে ইসি। সে সময় ১৩৮টি সংস্থা নিবন্ধন পেয়েছিল। আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য নতুন নীতিমালার আলোকে নিবন্ধন দেবে সাংবিধানিক সংস্থাটি।
ঢাকা/হাসান/মাসুদ