ভারতে রাসায়নিক কারখানায় বিস্ফোরণে নিহত ৩৪
Published: 1st, July 2025 GMT
ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় তেলঙ্গানা রাজ্যের সাঙ্গারেড্ডি জেলার পাসামিলারাম শিল্প এলাকার রাসায়নিক কারখানায় একটি চুল্লিতে বিস্ফোরণের ঘটনায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ৩৪ জন নিহত হয়েছেন আহত হয়েছেন আরও ৩৫ জন।
মঙ্গলবার এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, সিগাচি কেমিক্যালস কারখানায় ঘটে যাওয়া এই দুর্ঘটনায় চারজনকে শনাক্ত করা হয়েছে; বাকি ২৩ জনকে শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে লিখেছেন, “তেলেঙ্গানার সাঙ্গারেড্ডিতে কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির ঘটনায় আমি শোকাহত। যারা তাদের প্রিয়জনদের হারিয়েছেন তাদের প্রতি আমাদের সমবেদনা। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।”
প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে প্রতিটি নিহতের পরিবারকে ২ লাখ রুপি এবং আহতদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, সোমবার সকালে তেলঙ্গানার সাঙ্গারেড্ডি জেলায় পাসামিলারাম শিল্প এলাকায় ওই রাসায়নিক কারখানা থেকে হঠাৎই বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। স্থানীয়রা দৌড়ে গিয়ে দেখেন, কারখানার ছাদ উড়ে গিয়ে ১০০ মিটার দূরে পড়েছে। ভেতর থেকে বেরিয়ে আসছে কালো ধোঁয়া।
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছিল, বিস্ফোরণের ঘটনায় ১২ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন বেশ কয়েক জন। কিন্তু ক্রমশ মৃতের সংখ্যা বাড়তে থাকে। দমকল বাহিনী আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে উদ্ধারকাজ শুরু হয়। তখনই উদ্ধার হতে থাকে একের পর এক মরদেহ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদের দ্রুত আইনি ভিত্তি দিতে হবে: মাওলানা ইমতিয়াজ
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দ্রুত দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মাদ ইমতিয়াজ আলম।
তিনি বলেছেন, “আইনী ভিত্তি না থাকলে অচিরেই কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহল এই অভ্যুত্থানকে ষড়যন্ত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে।”
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
জুলাই সনদের ভিত্তি নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে ইমতিয়াজ আলম বলেন, “দেশের পরিস্থিতি এবং কতিপয় নামধারী বুদ্ধিজীবীর কথাবার্তা দিনদিন অবনতি হচ্ছে। জুলাই সনদের আইনি কোনো ভিত্তি না থাকায়, জুলাই অভ্যুত্থানকে মুছে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। তাই, দ্রুত জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদান করতে হবে।”
বিভিন্ন সময় বিভিন্ন চেতনার ব্যবসা করে দেশকে গোল্লায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “জুলাই বিপ্লব নিয়ে কোনো ধরনের চেতনা ব্যবসা এদেশের মানুষ মেনে নেবে না।” অন্তর্বর্তীকালীন সরকার থাকা অবস্থায় রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় জুলাইয়ের সঠিক ইতিহাস লেখার আহ্বান জানান তিনি।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এই নেতা বলেন, “জুলাইয়ে শহীদ এবং আহতরা হলো এই আন্দোলনের মূল মাস্টারমাইন্ড। তাদেরকে দেখেই সাধারণ জনতা আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েন। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি না থাকলে সহস্রাধিক শহীদ এবং লক্ষাধিক আহতদের কোনো একসময় দেশদ্রোহী, বিশ্বাসঘাতক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করলেও কিছু করার থাকবে না। আহতদের পরিপূর্ণ চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতেও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অনেকটাই ব্যর্থ হয়েছে।” আহতদের পরিপূর্ণ পুনর্বাসন জরুরি বলে মনে করেন তিনি।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/মাসুদ