কনটেইনার পরিবহনে নতুন রেকর্ড গড়েছে দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রাম। বিদায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এ বন্দর কনটেইনার পরিবহন করেছে প্রায় ৩২ লাখ ৯৬ হাজার টিইইউস। বন্দরের ইতিহাসে এটিই সর্বোচ্চ হ্যান্ডলিং। আগের অর্থবছরের তুলনায় এবারে কনটেইনার পরিবহন বেড়েছে প্রায় ৪ শতাংশ।

চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক জানান, চট্টগ্রাম বন্দরের চারটি টার্মিনাল, কমলাপুর ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো (আইসিডি) ও পাঁনগাঁও নৌ টার্মিনালের মাধ্যমে এসব কনটেইনার পরিবহন হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে আমদানি, রপ্তানি ও খালি কনটেইনারও।

জিপিএইচ ইস্পাতের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলমাস শিমুল বলেন, বাংলাদেশে কনটেইনার পরিবহনের জন্য দুটি সমুদ্রবন্দর রয়েছে। এর একটি চট্টগ্রামে। আরেকটি মোংলাতে। এর মধ্যে ৯৯ শতাংশ কনটেইনার চট্টগ্রাম বন্দর দিয়েই আনা-নেওয়া করা হয়। মোংলার মাধ্যমে হয় মাত্র ১ শতাংশ। এ অবস্থার পরিবর্তন দরকার। দ্বিতীয় বন্দরকে আরও কার্যকর করা দরকার।

বন্দর সচিব জানান, চট্টগ্রাম বন্দরে এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরে সর্বোচ্চ সাড়ে ৩২ লাখ কনটেইনার পরিবহন হয়েছিল। সেই হিসেবে এটা নতুন রেকর্ড। বন্দরের ইতিহাসে এর আগে এত কনটেইনার হ্যান্ডেল হয়নি আর কখনোই।’ 

তিনি জানান, বিদায়ী অর্থবছরে বন্দরের কার্যক্রম নানামুখী বাধার মুখে পড়েছে। অর্থবছরের শেষের দিকে কাস্টমস কর্মকর্তাদের কর্মসূচিসহ কিছু প্রতিবন্ধকতা না থাকলে কনটেইনার পরিবহনের সংখ্যা আরও বাড়ত। ৩৩ লাখের মাইলফলক অল্পের জন্য ছুঁতে পারেনি তারা।  

প্রসঙ্গত ৪৮ বছর আগে কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের কাজ শুরু করে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। তখন থেকে হিসেব করলেও এবার সর্বোচ্চ কনটেইনার হ্যান্ডেল করেছে তারা।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

১২ দিনে প্রবাসী আয় এসেছে ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি

চলতি আগস্ট মাসের প্রথম ১২ দিনে (১ থেকে ১২ আগস্ট) ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি আয় পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এই সময়ে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ১০৫ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংক এই তথ্য জানিয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, আগস্ট মাসের ১২ দিনে দেশে ১০৫ কোটি ৪০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় এসেছে। গত বছরের একই সময়ে (২০২৪ সালের আগস্টের প্রথম ১২ দিন) দেশে এসেছিল ৭২ কোটি ১০ লাখ ডলারের প্রবাসী আয়। এই হিসাবে গত বছরের আগস্টের প্রথম ১২ দিনের তুলনায় চলতি মাসের প্রথম ১২ দিনে প্রায় ৩৩ কোটি ৩০ লাখ ডলার বেশি প্রবাসী আয় দেশে এসেছে। তাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৪ শতাংশ।

ব্যাংক খাত–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, প্রবাসী আয়ের দিক থেকে চলতি অর্থবছরটি ভালোভাবে শুরু হয়েছে। অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে প্রবাসী আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ২৯ শতাংশ। গত জুলাই মাসে প্রবাসীরা ২৪৭ কোটি ডলার বা ২ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন ডলার আয় দেশে পাঠিয়েছিলেন। গত বছরের জুলাই মাসে প্রবাসী আয় এসেছিল ১৯১ কোটি ডলার।

ব্যাংক খাত-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, প্রবাসী আয়ে উচ্চ প্রবৃদ্ধি দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বা মজুতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। মুদ্রাবাজারে ডলারের ওপর চাপও কমেছে। অবৈধ পথে অর্থ পাঠানোর বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর পদক্ষেপ এবং বৈধ পথে প্রবাসী আয় পাঠানোকে উৎসাহিত করতে নানা প্রণোদনা প্রবাসী আয়ের প্রবৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রাখছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, গত কয়েক মাসে বিদেশি সব বকেয়া দেনা পরিশোধ হয়ে গেছে। লেনদেনের ভারসাম্যে উন্নতি হওয়ায় ডলারের ওপর চাপও কমে এসেছে। এ ছাড়া বাংলাদেশের প্রতি বিদেশি ব্যাংকগুলোর আস্থা ফিরে এসেছে, যা বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে স্বস্তি ফিরিয়ে এনেছে।

এদিকে, সদ্যবিদায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিদেশ থেকে রেকর্ড প্রায় ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার প্রবাসী আয় দেশে এসেছিল। দেশের ইতিহাসে এর আগে কোনো এক অর্থবছরে এত বেশি প্রবাসী আয় আর আসেনি। গত অর্থবছরে যে প্রবাসী আয় দেশে এসেছে, তা আগের অর্থবছরের চেয়ে প্রায় সাড়ে ৬ বিলিয়ন ডলার বা ২৬ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি।

প্রবাসী আয় বৃদ্ধি পাওয়ায় ডলারের বাজারও স্থিতিশীল হয়ে এসেছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ), বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ঋণ ছাড়ের ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ বেড়ে গত ১০ আগস্টে ৩০ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। আইএমএফের হিসাবপদ্ধতি বিপিএম ৬ মান অনুযায়ী, ওই দিন রিজার্ভ অবশ্য ২৫ দশমিক ২৩ বিলিয়ন ডলার ছিল।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ট্রাম্পের উচ্চ শুল্কের মুখেও বাড়ল ভারতের ঋণমান, আরও বাড়াতে পারে এসঅ্যান্ডপি
  • গত অর্থবছরে আরও সাত দেশে ওয়ালটনের ব্যবসা সম্প্রসারণ
  • ১২ দিনে প্রবাসী আয় এসেছে ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি
  • ১৬০ কোটি টাকার গৃহকর নিয়ে দ্বন্দ্ব মেটাতে যৌথ কমিটি
  • যুক্তরাষ্ট্রের বাড়তি ক্রয়াদেশ অনেক পোশাক কারখানায়