নীল ও সাদা দলের সমন্বয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবের নতুন কমিটি
Published: 1st, July 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি-জামায়াতপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল ও আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন নীল দলের শিক্ষকদের নিয়ে সমন্বিতভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবের নতুন কমিটি ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন, সাদা দলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান খান ক্লাবের ২০২৫-২৬ সেশনের ১৫ সদস্যে কার্যকরী কমিটি ঘোষণা করেন। এ কমিটিতে সাদা দলের সাতজন ও নীল দলের সাতজন শিক্ষক রয়েছেন।
কমিটি ঘোষণার সময় নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান খান, সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড.
ঘোষিত কমিটিতে সভাপতিসহ ছয়জন সাদা দলের ও সেক্রেটারিসহ ছয়জন নীল দলের সদস্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সেক্রেটারি হিসেবে আছেন রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক কামরুল আহসান। তিনি আওয়ামী লীগপন্থি শিক্ষকদের প্যানেল নীল দলের হয়ে শিক্ষক সমিতিতে দুইবারের নির্বাচিত সদস্য ছিলেন। সহ-সভাপতি করা হয়েছে ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. রেজাউল করিমকে, যিনি নীল দলের হয়ে সিনেট সদস্য ছিলেন। যুগ্ম সম্পাদক করা হয়েছে ড. রাদ মুজিব লালনকে, তিনি নীল দলের সিন্ডিকেটের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. খালেদ মাহমুদ (নীল দলের আহ্বায়ক, আইবিএ) এবং কারুশিল্প বিভাগের জাহাঙ্গীর হোসেন (যুগ্ম আহ্বায়ক, চারুকলা অনুষদ নীল দল)। আরেক সদস্য আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত (যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য) অধ্যাপক জাভীদ ইকবাল বাঙালী। জুলাই আন্দোলনের বিরোধিতা করায় শিক্ষার্থীরা তাকে বয়কট করেছেন।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার ও কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সিদ্দিকুর রহমান খান বলেন, ‘আমি নির্বাচন কমিশনার ছিলাম। আমি একটা প্যানেলই পেয়েছি। এ কারণে এই কমিটিকে নির্বাচিত ঘোষণা করেছি। ক্লাব গঠনের দীর্ঘদিনের একটা রেওয়াজ আছে। এ অনুযায়ী, সাধারণত যেসব শিক্ষক ক্লাবে যাতায়াত করেন, তাদের মধ্যেই দলমত নির্বিশেষে সবাইকে নিয়ে আলোচনার ভিত্তিতে কমিটি গঠন করা হয়। তবে এবার ফ্যাসীবাদের সহযোগীদের না রাখার কথা ছিল। এ বিষয়ে ঢাবি সাদা দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ভালো বলতে পারবেন।’
এ বিষয়ে কথা বলতে সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খানকে একাধিকবার কল করা হয়। তবে তিনি কল ধরেননি।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: শ ক ষকদ র ন ল দল র দল র স সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
বিবিসির বিশ্লেষণ: শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় কেন ভারতকে বিব্রত করবে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেওয়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মৃত্যুদণ্ডের রায় ভারতকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলে দিয়েছে বলে মনে করছেন বিবিসির গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স রিপোর্টার অ্যানবারাসান ইথিরাজান।
তিনি লিখেছেন, এখন আশা করা হচ্ছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হাসিনাকে ফেরানোর জন্য প্রত্যর্পণের অনুরোধ পাঠাবে। ২০২৪ সালের আগস্টে দেশ ছাড়ার পর থেকে তিনি ভারতে বসবাস করছেন।
আরো পড়ুন:
শেখ হাসিনার রায় নিয়ে ভারতের প্রতিক্রিয়া
বিচার স্বচ্ছ ও আন্তর্জাতিকমানের, প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই: জামায়াত
ঢাকার আগের দাবিগুলোর জবাব ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে দেয়নি। দুই দেশের মধ্যে একটি প্রত্যর্পণ চুক্তিও রয়েছে।
তবে আইনি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি মনে হয় হাসিনার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বা সৎউদ্দেশ্যে করা হয়নি, তাহলে ভারত সেই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করতে পারে।
ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার প্রধানমন্ত্রিত্বের সময়ে তিনি ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন। ভারতে তাকে ফেরত না পাঠানোর ব্যাপারে দেশটির সর্বদলীয় রাজনৈতিক পর্যায়েও এক ধরনের ঐকমত্য রয়েছে।
দিল্লির কাছে বাংলাদেশ শুধু প্রতিবেশী নয়, এটি কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সীমান্ত নিরাপত্তার জন্য।
অ্যানবারাসান ইথিরাজান লিখেছেন, ভারত যেন টানটান করে বাঁধা দড়ির ওপর হাঁটছে; কারণ হাসিনাকে ফেরত পাঠাতে অস্বীকার করলে তা কূটনৈতিক অবজ্ঞা হিসেবে দেখা যেতে পারে, যা দুই দেশের সম্পর্ককে আরো খারাপ করতে পারে।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে মামলায় সোমবার (১৭ নভেম্বর) ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকেও মৃত্যুদণ্ডাদেশ এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই রায় ঘোষণা করেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
এর আগে গত ১৩ নভেম্বর রায় ঘোষণার জন্য আজকের তারিখ নির্ধারণ করেন আদালত।
ঢাকা/রাসেল