‘জুলাই অভ্যুত্থানে আমি আমার একমাত্র ছেলে শ্রাবণকে হারিয়েছি। আজ এক বছর হতে চলল, এখনো আমার ছেলে হত্যার বিচার শুরু হয়নি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখনো জুলাই সনদ ঘোষণা করেনি। ছেলেকে তো আর ফিরে পাব না। প্রয়োজনে আমি রক্ত দেব, তবু জুলাই সনদ আমাদের চাই। স্বজন হারানো সব বাবা-মায়ের দাবি জুলাই সনদ ঘোষণা।’

আজ মঙ্গলবার বিকেলে ফেনী শহরের জিরো পয়েন্ট দোয়েল চত্বরে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এমন বক্তব্য দেন শহীদ ইশতিয়াক আহমদ শ্রাবণের মা ফাতেমা আক্তার।

‘জুলাই যোদ্ধা ফেনী জেলা’র ব্যানারে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের দাবিতে ‘মার্চ ফর আওয়ার রাইট’ শিরোনামে এ বিক্ষোভ সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়। কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বিকেল পৌনে চারটায় শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে শহরের খেজুর চত্বর, প্রেসক্লাব, কেন্দ্রীয় বড় মসজিদ, ট্রাংক রোড ঘুরে দোয়েল চত্বরে এসে শেষ হয়। এরপর ঘণ্টাব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন বিক্ষোভকারীরা।

বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচিতে ‘জুলাই আমার অহংকার’, ‘হয়তো জুলাই সনদ নয়তো মৃত্যু’, ‘নতজানু হয়ে সারা জীবন বাঁচার চেয়ে আমি এখনই মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত’, ‘গন্তব্য এখানে শেষ নয়’সহ নানা স্লোগান–সংবলিত ফেস্টুন প্রদর্শন করেন বিক্ষোভকারীরা।

অবস্থান কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামী ফেনী জেলা শাখার আমির মুফতি আবদুল হান্নান, ইসলামী আন্দোলনের ফেনী জেলা সেক্রেটারি ইকরামুল হক ভূঁইয়া, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় সংগঠক আজিজুর রহমান রেজভী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফেনী জেলার সংগঠক আবদুল্লাহ আল যোবায়ের, সাবেক সমন্বয়ক মুহাইমিন তাজিম, আবদুল আজিজ প্রমুখসহ নিহত ব্যক্তিদের স্বজনেরা বক্তব্য দেন।

বক্তারা অবিলম্বে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবি জানান। অন্যথায় ভবিষ্যতে আরও বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি ব্যক্ত করেন।

ঘণ্টাব্যাপী চলা অবস্থান কর্মসূচিতে গত বছরের ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত ব্যক্তিদের স্বজন, আহত ব্যক্তি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: জ ল ই সনদ

এছাড়াও পড়ুন:

যুদ্ধে আটকে পড়া ২৮ বাংলাদেশি ইরান থেকে দেশে ফিরলেন

যুদ্ধের সময় ইরানে আটকে পড়া ২৮ বাংলাদেশি মঙ্গলবার দেশে ফিরেছেন। আমিরাতের দুবাই ও পাকিস্তান হয়ে তারা ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। এসব বাংলাদেশি বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা।
 
বিমানবন্দর প্রবাসীকল্যাণ ডেস্কের (বিএমইটি) সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহেদ হোসেন সমকালকে বলেন,  পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও তেহরানে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের সহায়তায় তারা দেশে ফিরতে সক্ষম হন। 

বিমানবন্দর কর্মকর্তারা জানান, গত ১৩ জুন ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরু হলে তেহরানে আটকা পড়েন এসব বাংলাদেশি। ইসরায়েল ইরানের সামরিক, পারমাণবিক ও বেসামরিক স্থাপনায় ব্যাপক হামলা চালানোর পর থেকেই তারা বিপাকে ছিলেন। পরে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলে দেশে ফেরার পথ তৈরি হয়। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ