১. বরফের কিউব

‘রাগী’, ‘জেদি’ আর যন্ত্রণাদায়ক ব্রণকে শান্ত করতে এক খণ্ড বরফের কিউবই যথেষ্ট। দিনে চার–পাঁচবার বিরতি নিয়ে ব্রণের ওপর বরফের কিউব ঘষতে থাকুন। ২৪ ঘণ্টায় ব্রণ অনেকটাই কমে যাবে বা ছোট হয়ে আসবে।

২. অ্যাসপিরিন-পেস্ট

ব্যথা, জ্বর বা প্রদাহ কমাতে দারুণ কার্যকর অ্যাসপিরিন। তাই অনেকেরই ওষুধের বাক্সের কোনায় খুঁজে পাওয়া যাবে এটি। এতে থাকে স্যালিসাইলিক অ্যাসিড। দুটি অ্যাসপিরিন গুঁড়া করে এক বা দুই ফোঁটা পানি দিয়ে পেস্ট বানিয়ে ব্রণের ওপর লাগান। ব্রণের ওপরের তেল বা মরা চামড়া উঠে আসবে। সঙ্গে সারিয়েও তুলবে বেশ খানিকটা।

৩.

স্পট ক্রিম

স্পট ক্রিম বা দাগ দূর করার বিভিন্ন ক্রিমে থাকে স্যালিসাইলিক অ্যাসিড ও বেনজলপারঅক্সাইড। ফলে এটিও মরা চামড়া দূর করবে, ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলবে আর অতিরিক্ত তেলও শুষে নেবে।

৪. মধু ও অ্যালোভেরার মিশ্রণ

উভয়েরই অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণের জন্য নামডাক আছে। এই দুইয়ের মিশ্রণ ব্রণের ওপর লাগান। বিরতি নিয়ে কয়েকবার লাগানোর পর নিজেই দেখুন পার্থক্য।

আরও পড়ুনশিশুর সঙ্গে শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ার জন্য দিনের যে চারটি সময় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ১৬ জানুয়ারি ২০২৫৫. টি ট্রি অয়েল

সুপারশপে ঢুঁ মারলেই মিলে যাবে। টি ট্রি অয়েল অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণসমৃদ্ধ। দিনে কয়েকবার লাগালে ব্রণ কমে আসবে। তবে আপনার ত্বক যদি তৈলাক্ত হয়, তাহলে এই নিয়ম আপনার জন্য নয়!

৬. মাইল্ড ক্লিনজার

মাইল্ড বা কোমল ধরনের ক্লিনজার ব্যবহার করুন। আপনার স্ক্র্যাবার যেন ত্বকের জন্য স্বস্তিদায়ক হয়, সেটি নিশ্চিত করুন। এটিই আপনার ত্বকের ময়লা, মরা কোষ দূর করে, ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করে ব্রণ দ্রুত সেরে উঠতে সাহায্য করবে।

৭. হাইড্রোকলয়েডস

ছোট একটা হাইড্রোকলয়েড ড্রেসিং ব্যবহার করে আপনি ব্রণের ভেতরের তরল বের করে আনতে পারেন। এর ফলে ত্বকে ব্রণের দাগ পড়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমে আসে। ব্রণ দুই হাতের আঙুল দিয়ে টিপ দিয়ে ভেতরের ‘পদার্থ’ বের করে আপনি যতই ‘সুখী’ হোন না কেন, নিজেকে সংবরণ করুন! এর ফলে একে তো আপনি ক্ষত বাড়াচ্ছেন, অন্যদিকে দীর্ঘস্থায়ী দাগ পড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও বাড়ছে। সঙ্গে ব্রণের জায়গাটা দ্রুত সেরে ওঠার চ্যালেঞ্জও বাড়িয়ে দিচ্ছেন।

সূত্র: হেলথলাইন

আরও পড়ুনসুতা বা চুল পেঁচিয়ে আঁচিল ঝরালে কী হয় জানেন ২৮ জুন ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন য দ র কর আপন র

এছাড়াও পড়ুন:

আবার ‘লাস্ট মিনিট শো’, জন্মদিনের রাতে স্লটকে জয় উপহার ফন ডাইকের

লিভারপুল ৩–২ আতলেতিকো মাদ্রিদ

জন্মদিনের রাতে এর চেয়ে ভালো উপহার আর কী হতে পারে!

রেফারি শেষ বাঁশি বাজাতেই মাঠে ঢুকে পড়লেন আর্নে স্লট। লিভারপুলের সমর্থকেরা তাঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে থাকলেন, দল জেতায় অভিনন্দনও জানালেন। মুখে চওড়া হাসি নিয়ে হাত নেড়ে স্লট সেই অভিবাদনের জবাব দিলেন।   

ভার্জিল ফন ডাইকের সঙ্গে আলিঙ্গনের সময় স্লটকে একটু বেশিই খুশি মনে হলো। কারণ, লিভারপুল অধিনায়ক ফন ডাইক ত্রাতার ভূমিকায় আবির্ভূত না হলে তাঁর বিশেষ রাতটা যে অনেকটাই পানসে হয়ে যেত!

২০২৫–২৬ মৌসুমে শেষ মুহূর্তে জয়সূচক গোল করাকে অভ্যাস বানিয়ে ফেলেছে লিভারপুল। যেটিকে বলা হচ্ছে লাস্ট মিনিট শো, কয়েকটি সংবাদমাধ্যম নাম দিয়েছে স্লট টাইম।

এবার সেই শো–এর নায়ক ফন ডাইক। যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে তাঁর হেডারেই আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে ড্রয়ের পথে থাকা ম্যাচটা ৩–২ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়নস লিগে শুভসূচনা করল লিভারপুল।

এ নিয়ে এই মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা পাঁচ ম্যাচ জিতল লিভারপুল। সবকটি ম্যাচে অলরেডরা জয়সূচক গোল করল ৮০ মিনিটের পর; এর তিনটিই যোগ করা সময়ে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ