বলিউডের ‘মি. পারফেক্টশনিস্ট’খ্যাত নায়ক আমির খান। ১৯৮৬ সালে তার বয়স ২১। অন্যদিকে রিনা দত্তর বয়স ১৯। কয়েকজন বন্ধুর সহযোগিতায় ম্যারেজ রেজিস্টার অফিসে গিয়ে বিয়ে করেন এই জুটি। এরপর নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে যান।  

আমির খানের এটি প্রথম বিয়ে। কিন্তু বিয়ের আনন্দ নষ্ট করে দিয়েছিলেন পাকিস্তানি ক্রিকেটার জাভেদ মিয়াঁদাদ। কয়েক দিন আগে ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য লালনটপকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানান আমির খান।  

আমির খান বলেন, “আমি আর রিনা বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করেছিলাম। আর বাড়িতে অনেকক্ষণ পরে ফিরেছিলাম। তবে যেমনটা হওয়ার কথা ছিল, যে সবাই আমাকে প্রশ্ন করবে এতক্ষণ কোথায় ছিলাম। কিন্তু তেমনটা হয়নি। সেদিন ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ ছিল। তাই সবাই ম্যাচ দেখতেই ব্যস্ত ছিল। কেউ আমাদের দিকে অত খেয়াল করেনি।” 

আরো পড়ুন:

প্রেমের গুঞ্জন উসকে দিলেন কার্তিক-শ্রীলীলা

নাক ভেঙেছে আদাহ শর্মার

পাকিস্তানি ক্রিকেটার জাভেদ মিয়াঁদাদ আমিরের বিয়ের আনন্দ নষ্ট করে দিয়েছিলেন। এ তথ্য স্মরণ করে আমির খান বলেন, “সেই ম্যাচে ভারতের জয়ের খুব কাছেই ছিল। আমিও পরিবারের সবার সঙ্গে খেলা দেখা শুরু করি। কিন্তু জাভেদ মিঁয়াদাদের শেষ বলে ছক্কা সব আনন্দ নষ্ট করে দেয়।” 

পরে জাভেদ মিয়াঁদাদের সঙ্গে দেখা হয় আমিরের। আর তখন তাকে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করেন আমির। এ অভিনেতার ভাষায়, “পরে মিয়াঁদাদের সঙ্গে এক ফ্লাইটে দেখা হয়েছিল। আমি তাকে বলেছিলাম, আপনি আমার বিয়ের দিনটা নষ্ট করে দিয়েছিলেন। তিনি শুনে অবাক হয়ে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘কীভাবে?” 

‘কেয়ামত সে কেয়ামত তাক’ সিনেমার পর আমির-রিনার প্রেমের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতে থাকে। এ জুটির দাম্পত্য জীবনে দুই সন্তান— জুনাইদ ও ইরা। ২০০২ সালে এই দম্পতির বিবাহবিচ্ছেদ হয়। 

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র আম র খ ন আম র খ ন আম র র

এছাড়াও পড়ুন:

অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক

অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।

বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক। 

আরো পড়ুন:

রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী

‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত

সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।

প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের  প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।

জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।

আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে  বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।

লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ