আমিরের বিয়ের আনন্দ নষ্ট করেন ক্রিকেটার জাভেদ
Published: 3rd, July 2025 GMT
বলিউডের ‘মি. পারফেক্টশনিস্ট’খ্যাত নায়ক আমির খান। ১৯৮৬ সালে তার বয়স ২১। অন্যদিকে রিনা দত্তর বয়স ১৯। কয়েকজন বন্ধুর সহযোগিতায় ম্যারেজ রেজিস্টার অফিসে গিয়ে বিয়ে করেন এই জুটি। এরপর নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে যান।
আমির খানের এটি প্রথম বিয়ে। কিন্তু বিয়ের আনন্দ নষ্ট করে দিয়েছিলেন পাকিস্তানি ক্রিকেটার জাভেদ মিয়াঁদাদ। কয়েক দিন আগে ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য লালনটপকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানান আমির খান।
আমির খান বলেন, “আমি আর রিনা বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করেছিলাম। আর বাড়িতে অনেকক্ষণ পরে ফিরেছিলাম। তবে যেমনটা হওয়ার কথা ছিল, যে সবাই আমাকে প্রশ্ন করবে এতক্ষণ কোথায় ছিলাম। কিন্তু তেমনটা হয়নি। সেদিন ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ ছিল। তাই সবাই ম্যাচ দেখতেই ব্যস্ত ছিল। কেউ আমাদের দিকে অত খেয়াল করেনি।”
আরো পড়ুন:
প্রেমের গুঞ্জন উসকে দিলেন কার্তিক-শ্রীলীলা
নাক ভেঙেছে আদাহ শর্মার
পাকিস্তানি ক্রিকেটার জাভেদ মিয়াঁদাদ আমিরের বিয়ের আনন্দ নষ্ট করে দিয়েছিলেন। এ তথ্য স্মরণ করে আমির খান বলেন, “সেই ম্যাচে ভারতের জয়ের খুব কাছেই ছিল। আমিও পরিবারের সবার সঙ্গে খেলা দেখা শুরু করি। কিন্তু জাভেদ মিঁয়াদাদের শেষ বলে ছক্কা সব আনন্দ নষ্ট করে দেয়।”
পরে জাভেদ মিয়াঁদাদের সঙ্গে দেখা হয় আমিরের। আর তখন তাকে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করেন আমির। এ অভিনেতার ভাষায়, “পরে মিয়াঁদাদের সঙ্গে এক ফ্লাইটে দেখা হয়েছিল। আমি তাকে বলেছিলাম, আপনি আমার বিয়ের দিনটা নষ্ট করে দিয়েছিলেন। তিনি শুনে অবাক হয়ে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘কীভাবে?”
‘কেয়ামত সে কেয়ামত তাক’ সিনেমার পর আমির-রিনার প্রেমের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতে থাকে। এ জুটির দাম্পত্য জীবনে দুই সন্তান— জুনাইদ ও ইরা। ২০০২ সালে এই দম্পতির বিবাহবিচ্ছেদ হয়।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র আম র খ ন আম র খ ন আম র র
এছাড়াও পড়ুন:
বাস সংকট নিরসনের দাবিতে সুবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের আল্টিমেটাম
বাস সংকট নিরসনের দাবিতে আটদিনের আল্টিমেটাম দিয়েছেন সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুপুরে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় অস্থায়ী ছাত্রাবাসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ আল্টিমেটাম ঘোষণা করেন তারা। আগামী ১০ জুলাইয়ের মধ্যে বাস সংকট নিরসন করা না হলে ক্লাস বর্জনসহ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার হুশিয়ারি দেন তারা।
শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহনের জন্য ইতোমধ্যে দেড় কোটি টাকা বরাদ্দ থাকলেও ইউজিসির অনুমতি না পাওয়ার অজুহাতে তা ব্যবহার করা যাচ্ছে না। ফলে এখনো কোনো বাসের ব্যবস্থা হয়নি। প্রতিদিন শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে সিএনজি, বাসে চড়েই ক্লাসে আসতে হয় শিক্ষার্থীদের।
আরো পড়ুন:
৪৪তম বিসিএসে ক্যাডার হয়েছেন রাবির অন্তত ৬০ শিক্ষার্থী
বাঁচতে চান তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থী শ্রাবণী
এতে একদিকে বাড়ছে সময় ও ব্যয়, অন্যদিকে হাফপাস নিয়ে প্রায়ই যানবাহন চালকদের সঙ্গে বিতর্কে জড়াতে হয় তাদের। অনেক সময় অপমানজনক আচরণেরও শিকার হন বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, আমরা শুধু বাস চাচ্ছি না, আমাদের ন্যায্য অধিকার চাইছি। ক্লাসে পৌঁছাতে প্রতিদিন আমাদের নানা প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হয়। অথচ পরিবহনের জন্য টাকা থাকলেও কর্তৃপক্ষ শুধু অনুমতির কথা বলে দায় এড়াচ্ছে। বাসের পাশাপাশি আমাদের মানসম্মত হল ও লাইব্রেরির ব্যবস্থাও করতে হবে৷
শিক্ষার্থীরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আগামী ১০ জুলাইয়ের মধ্যে বাসের ব্যবস্থা করা না হলে ক্লাস বর্জনসহ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। এর দায়ভার সম্পূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন, জাকারিয়া নাইম, জি এম তাইমুম, সুরভী চৌধুরী, সোহানুর রহমান ও তাকবিল হাসান৷ এসময় উপস্থিত ছিলেন, মিনহাজুল মিনাল, সাব্বির হোসেন, তনুশ্রী দেব, সুদিপ্তা চৌধুরী, আশরাফ হোসেন, লাবন্য মন্ডল, আদিবা জামান নাফি, আব্দুর রহমান নিশাদ, রুবাইয়া বর্ষা, তাসমিম অধরা,পূজা রয়, তাসনিম জাহান, সাফিন আহমেদ, নাহিয়ানসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা/মনোয়ার/মেহেদী