ঋতুপর্ণা চাকমার জোড়া গোলে স্বাগতিক মিয়ানমারকে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। ২০২৬ এএফসি নারী এশিয়ান কাপে জায়গা করে নিয়ে লাল-সবুজের মেয়েরা পৌঁছে গেছে এশিয়ার অভিজাত ফুটবলের আসরে।
বাঁ পায়ে ঋতুর ট্রেডমার্ক গোলে মোহিত হয়েছে সবাই। মিয়ানমারের বিপক্ষে বাংলাদেশের ২–১ গোলের জয়ে একাই জোড়া গোল করেন ঋতুপর্ণা চাকমা। তার জাদুকরী পারফরম্যান্সে আনন্দে ভাসছে তার মা, আত্বীয়-স্বজন ও গ্রামের লোকজন।
বৃহস্পতিবার সকালের দিকে ঋতুর্পণা চাকমার রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার মগাছড়ি গ্রামের বাড়ীতে গিয়ে দেখা গেছে পরিবারের লোকজনের চোখে-মুখে আনন্দ। তবে বাড়ীতে রয়েছেন শুধুমাত্র ঋতুর্পণার মা বসুপতি চাকমা, বড় বোন পুতুলি চাকমা ও তার ছোট ছেলে। ঋতুর্পণা মা বসুপতি চাকমা দীর্ঘ দিন ধরে শরীরিক অসুস্থতায় ভূগছেন। তাকে দু-তিন পর পর চট্টগ্রামে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। তারা জানিয়েছেন, বুধবার রাতে সবাই মিলে ঋতুর্পণার খেলা মোবাইলে দেখছেন।
ঋতুর্পণার গ্রামে লোকজনদের চোখে-মুখেও একই খুশির আনন্দ দেখা গেছে। গ্রামের লোকজন কৃষি কাজসহ শ্রমজীবি হওয়ায় এ আনন্দ-উচ্ছাস তেমন একটা ছিল না। গ্রামের লোকজন জানায় বুধবার ইয়াঙ্গুনে এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে ঋতুর্পণা চাকমার খেলাটি তাদের খুব ভালো লেগেছে।
ঋতুর্পণা চাকমার বড় বোন পুতুলি চাকমা বলেন, ‘ঋতুর্পণার গোলের কারণে আগামী ২০২৬ সালের এশিয়া কাপ খেলার জন্য বাংলাদেশ যোগ্যতা অর্জন করেছে তাই আমরা খুবই আনন্দিত ও গর্ববোধ করছি। এশিয়ান কাপ যাতে বাংলাদেশের ঘরে আনতে পারে তার বোনের জন্য দেশবাসীর প্রতি দোয়া ও আর্মীবাদ কামনা করেছেন।’
ঋতুর্পণা চাকমার মা বসুপতি চাকমা বলেন, ‘বুধবার রাতে মিয়ানমার থেকে মেয়ে ফোন করেছিলেন খেলা দেখেছি কিনা। আমি বলেছি দেখেছি এবং খুশি হয়েছি।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র ল কজন চ কম র আনন দ
এছাড়াও পড়ুন:
বাকৃবিতে ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে ৭.৭১ শতাংশ বাজেট বৃদ্ধি
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের জন্য ৩৮৮ কোটি ২৯ লাখ টাকার বাজেট অনুমোদন হয়েছে। এ বছরের বাজেট গত বছরের তুলনায় ৭.৭১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
বুধবার (২ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা দফতরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৪৫৮ কোটি ২৬ লাখ ৬৯ হাজার টাকার একটি প্রস্তাবিত বাজেট প্রণয়ন করেছিল। তবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) পক্ষ থেকে ৩৮৮ কোটি ২৯ লাখ টাকার সিলিং নির্ধারণ করে দেওয়ার পর সে অনুযায়ী বাজেট পুনর্গঠন করে সিন্ডিকেট সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়।
আরো পড়ুন:
খুবিতে নবীনদের বরণে ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন
নকল সরবরাহের সময় ছাত্রদলের সভাপতি গ্রেপ্তার
মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম বলেন, “গত ৩০ জুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. একে ফজলুল হক ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় কোষাধ্যক্ষ (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবির ২০২৪-২৫ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট এবং ২০২৫-২৬ অর্থবছরের মূল বাজেট উপস্থাপন করেন।”
তিনি বলেন, “২০২৫-২৬ অর্থবছরের এই বাজেটে ইউজিসির বরাদ্দ থেকে ৩৭৪ কোটি ৯৯ লাখ টাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয়ের উৎস থেকে ১৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা আয় হিসেবে ধরা হয়েছে।”
এ বাজেটে বেতন-ভাতা ও বিশেষ সুবিধা বাবদ ১৮৩ কোটি ৬৬ লাখ টাকা, সাধারণ পণ্য ও সেবা খাতে ৫৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকা, মেরামত ও সংরক্ষণ বাবদ ৯ কোটি ১৯ লাখ টাকা, পেনশন ও অবসর সুবিধা বাবদ ১১৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা, গবেষণার জন্য ১৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকা, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা খাতে ৭৫ লাখ টাকা এবং অন্যান্য ও মূলধন অনুদানসহ বিভিন্ন খাতে সর্বমোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৮৮ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
এছাড়াও ২০২৪-২৫ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট অনুযায়ী ৩৭৯ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়।
বাজেট আলোচনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বাস্তব চাহিদার ভিত্তিতে বরাদ্দ বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে। এ লক্ষ্যে পরবর্তীতে সংশোধিত বাজেট প্রণয়নের সময় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি বরাদ্দ পুনর্বিন্যাসের অনুরোধ জানানো হয়।
ঢাকা/লিখন/মেহেদী