আইজিপির সঙ্গে ইউনেস্কো প্রতিনিধির সাক্ষাৎ
Published: 3rd, July 2025 GMT
ইউনেস্কোর সেকশন ফর ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশন, ডিভিশন অব ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশন অ্যান্ড মিডিয়া ডেভেলপমেন্ট, কমিউনিকেশন অ্যান্ড ইনফরমেশন সেক্টরের জ্যেষ্ঠ প্রকল্প কর্মকর্তা মেহেদী বেনচেলাহ বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিচালক (আইজিপি) বাহারুল আলমের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) পুলিশ সদর দপ্তরে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আরো পড়ুন:
মুরাদনগরে পর্নোগ্রাফি মামলায় ৪ যুবক ৩ দিন রিমান্ডে
মমেকে স্বামীর ছুরিকাঘাতে আহত স্ত্রীর মৃত্যু
তিনি জানান, সাক্ষাৎকালে ইউনেস্কো প্রতিনিধি বাংলাদেশ পুলিশের সক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত আলোচনা করেন।
আইজিপি ইউনেস্কো প্রতিনিধিকে ধন্যবাদ জানান। তিনি ইউনেস্কোর সঙ্গে বাংলাদেশ পুলিশের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
এ সময় বাংলাদেশ পুলিশ এবং ইউনেস্কোর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/মাকসুদ/সাইফ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতির জন্য আবেদন করতে আসা নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের এক নেতাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন ছাত্রদলের নেতা–কর্মীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের কক্ষ থেকে তাঁকে আটক করা হয়।
আটক ছাত্রলীগ নেতার নাম শরিফুল ইসলাম সাজিদ। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং বিভাগের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। সাজিদের গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলা সদরের ব্যাংকপাড়া এলাকায়।
জানা যায়, নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ওই নেতা বিভাগে ‘রিটেক’ পরীক্ষার জন্য এসেছিলেন। এ সময় ছাত্রদলের নেতারা খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে তাঁকে আটক করেন। তখন তাঁর সঙ্গে ছাত্রদল নেতাদের ধস্তাধস্তি হয়।
ছাত্রদল নেতাদের অভিযোগ, পরিকল্পনা করে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেছেন ছাত্রলীগ নেতা শরিফুল ইসলাম সাজিদ। বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘সাজিদ ইসলাম’ নামের একটি আইডি থেকে পোস্ট করে লেখা হয়, ‘কাল থেকে একদল তরুণের প্রবেশ হবে, যাঁদের হারানোর কিছুই নেই; না একটা গোছানো রুম, না সম্মান, না বন্ধু, না কোনো আপনজন, না সার্টিফিকেট। কিছুই নেই, নেই ভয়, নেই লজ্জা, নেই আবেগ, নেই দরদ। তাঁরা হবে নির্ভীক, তাঁরা হবে ভয়ংকর সুন্দর!!!’
তবে এই পোস্ট সম্পর্কে সাজিদ বলেন, ‘আইডিটি আমার নয়। আমি এমন কোনো পোস্ট করিনি। আমি এসেছিলাম রিটেক পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুল হাসান খান বলেন, ‘বিগত ফ্যাসিস্ট সময়ে তারা আমাদের ওপর নির্মম জুলুম-নির্যাতন করেছে। আমাদের শহীদ সাজিদ একাডেমিক ভবনের আন্ডারগ্রাউন্ডে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে রেখে নির্যাতন করেছে। তার উপযুক্ত বিচার নিশ্চিত করতে হবে প্রশাসনকে।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তাজাম্মুল হক বলেন, ‘ছাত্রদলের কিছু নেতা–কর্মী অ্যাকাউন্টিং বিভাগের ছাত্রলীগের সেক্রেটারিকে ধরে আমাদের প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসে। তাঁর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও মামলা থাকায় আমরা তাঁকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করি।’
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার কর্মকর্তা নাসির উদ্দীন বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। তবে মামলা হয়েছে কি না, তা খোঁজ করে দেখতে হবে।