সদর উপজেলায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ১০ হাজার গাছ বিতরণ
Published: 3rd, July 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ৯৯ টি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও কলেজের ২ হাজার ৫ শত শিক্ষার্থীদের মাঝে ৪টি করে মোট ১০ হাজার গাছ বিতরণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সকালে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরীর সভাপতিত্বে এই গাছ বিতরণ করা হয়।
এসময় ১০ জন উপস্থিত শিক্ষার্থীদের মাঝে নিম, বেল, জাম ও কাঁঠাল গাছের চারা বিতরণের মাধ্যমে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। এছাড়াও সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাকী চারা গুলো বিতরণের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। অপর দিকে কৃষক ও প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে ৪০০ তাল গাছ ও ১৮০০ লেবু ও নারিকেল গাছসহ বীজ, সার ও অন্যান্য কৃষি উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে।
এসময় ইউএনও জাফর সাদিক চৌধুরী বলেন, জেলা প্রশাসন কর্তৃক গৃহীত 'গ্রিন এন্ড ক্লিন' কর্মসূচির আওতায় নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সকল শিক্ষার্থী, কৃষক ও প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে এই চারা গুলো বিতরণ করা হয়।
এ জেলাকে সবুজ ও পরিচ্ছন্ন করতে জেলা প্রশাসনের সাথে সকল অংশীজনদের পাশাপাশি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অবদান যেন সোনালি ইতিহাস হয়ে থাকে সেটাই কামনা করেন ইউএনও জাফর সাদিক।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে এ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোছাঃ রুপালি খাতুন, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বোরহান উদ্দিন, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আব্দুস সালামসহ অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানগণ ও শিক্ষার্থীবৃন্দরা।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ উপজ ল সদর উপজ ল কর মকর ত ব তরণ কর
এছাড়াও পড়ুন:
জমি লিখে নিয়ে বাবা-মাকে বাড়িছাড়া করলেন দুই ছেলে
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে জমি ও পুকুর লিখে নেওয়ার পর বৃদ্ধ বাবা-মাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দুই ছেলের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কৃষক ছানোয়ার হোসেন মন্ডল (৬৭) তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
ভুক্তভোগী ছানোয়ার হোসেন ও তার স্ত্রী মতিজান নেছা উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের কুসুম্বী গ্রামের বাসিন্দা। তাদের দুই ছেলে—মো. মোক্তার হোসেন মন্ডল (৩৫) ও মো. আব্দুল মানিক মন্ডল (৩০)।
স্থানীয়রা জানান, দুই ছেলে ও তাদের স্ত্রীদের কাছে অল্প সময়েই বোঝা হয়ে পড়েন বৃদ্ধ দম্পতি। প্রায় তিন বছর আগে বয়স্ক ভাতা করে দেওয়ার কথা বলে কৌশলে তাদের জমি ও পুকুর নিজেদের নামে রেজিস্ট্রি করে নেন দুই ছেলে। এর পর থেকেই শুরু হয় অবহেলা, নির্যাতন ও বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া।
ছানোয়ার হোসেন জানান, সম্পত্তি হস্তান্তরের কিছুদিন পর থেকেই ছেলে ও পুত্রবধূরা বিভিন্ন অজুহাতে তাদের গায়ে হাত তোলে। এক পর্যায়ে তিন দফায় মারধরের শিকার হন তিনি ও তার স্ত্রী। বাধ্য হয়ে আশ্রয় নেন স্ত্রীর বড় বোনের বাড়িতে। পরে কর্মসংস্থানের জন্য ঢাকায় গিয়ে নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন। কিন্তু বয়সের ভারে অসুস্থ হয়ে ফিরে এলে আবারও ঘরে উঠতে বাঁধা দেন ছেলেরা।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে মতিজান নেছা বলেন, ‘এ বয়সে কাজ করতে পারি না। যা পাই তাই দিয়ে দিন পার করি। ছেলে-বউদের নির্যাতনে পাগলপ্রায় হয়ে গেছি।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. রাজিব সরকার রাজু বলেন, ঘটনাটি সত্য। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার গ্রাম্য সালিশ হয়েছে, কিন্তু দুই ছেলে কোনো সমাধানে রাজি হয়নি।
জমি লিখে নেওয়া ও নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে ছেলে মো. মোক্তার হোসেন বলেন, ‘বাবা-মা নিজের ইচ্ছায় জমি দিয়েছেন।’
এ বিষয়ে তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুসরাত জাহান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একইসঙ্গে ওই অসহায় দম্পতিকে সহায়তার বিষয়েও আমরা ভাবছি।