নাটোর শহরের আলাইপুরে একটি আবাসিক মেস থেকে ইয়াছিন হোসেন (১৩) নামের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সকালে মেসের বারান্দার গ্রিল থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

ইয়াছিনের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায়। সে নাটোর শহরের আলাইপুরে একটি কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করত।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কোরবানির ঈদের ১৫ দিন পর এলাকার কয়েকজনের সঙ্গে নাটোর শহরের আলাইপুরে এক কারখানায় কাজে আসে ইয়াছিন। কিছুদিন কাজ করার পর বাড়ি ফিরে যেতে পরিবারের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করে ইয়াছিন। কিন্তু, ব্যর্থ হয়। মা-বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে গত দুদিন ধরে কান্নাকাটি করছিল শিশুটি। বৃহস্পতিবার তার বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, সকালে কাজের বুয়া রান্না করতে এসে দেখেন, বারান্দার গ্রিলে ইয়াছিনের মরদেহ ঝুলছে। থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করে।

ইয়াছিনের সহকর্মী স্বপন বলেন, ‘‘বাড়ি যাওয়ার জন্য ইয়াছিন কান্নাকাটি করছিল। তার বাবা-মাকে ফোন করছিল, কিন্তু তারা মোবাইল রিসিভ করেনি। সকালে কাজ থেকে খাবার খেতে মেসে আসি। সবাই ভাত খেলেও ইয়াছিন খায়নি। খাবার শেষে আমরা আবার কাজে চলে যাই। পরে মেসের খালা এসে দেখেন, বারান্দার গ্রিলে তার মরদেহ ঝুলছে।’’

নাটোর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুর রহমান বলেন, ‘‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, শিশুটি আত্মহত্যা করেছে। ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। শিশুটির পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা এলে মরদেহ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’’

ঢাকা/আরিফুল/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ