রাজবাড়ীতে পা‌রিবা‌রিক কল‌হের জে‌রে সাবেক স্ত্রী নাজমা বেগমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার দায়ে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দি‌য়ে‌ছেন আদালত।

দণ্ডপ্রাপ্ত ওই ব্যক্তির নাম মো. মকিম মোল্লা (৪৬)। তিনি রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার চরকুলটিয়া গ্রামের আজিজ মোল্লার ছেলে। আজ বৃহস্প‌তিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজবাড়ীর জেলা ও দায়রা জজ আদাল‌তের বিচারক জয়নাল আবেদীন এ রায় দেন। রায়ের সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি পলাতক ছিলেন।

আদালতের রায় ও মামলার নথি থে‌কে জানা যায়, ২০২১ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বোনের বাড়ি থেকে ফেরার পথে কালুখালী উপজেলার কাশমিয়ার বিল এলাকায় ধারা‌লো অস্ত্র দি‌য়ে কুপিয়ে নাজমা বেগমকে হত্যা করা হয়। দ্বিতীয় স্বামী মকিম মোল্লাকে ছেড়ে প্রথম স্বামীর কাছে ফিরে যাওয়ার ক্ষোভে তিনি এই হত্যাকাণ্ড ঘটান। পরদিন ২২ ফেব্রুয়ারি সকালে মরদেহ উদ্ধার করে কালুখালী থানার পুলিশ। ওই‌ দিন রাতেই নিহত নাজমা বেগমের বড় ভাই ইমাম আলী বাদী হয়ে কালুখা‌লী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

রাজবাড়ী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি মো.

আবদুর রাজ্জাক প্রথম আলোকে ব‌লেন, দণ্ডিত ব্যক্তিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হ‌য়।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

পরিবারের খোঁজে ৪৮ বছর পর চুনারুঘাটে

৬ বা ৭ বছর বয়সে হারিয়ে যান হবিগঞ্জের চুনারুঘাট থেকে। এরপর ৪২ বছর কেটে গেছে। হারিয়ে যাওয়া শিশুটির বয়স এখন ৪৮ বছর। সুনামগঞ্জে বেড়ে ওঠা এই ব্যক্তি জানেন না, তাঁর আসল নাম-পরিচয়। শুধু এটুকু মনে আছে, তাঁর জন্মভূমি চুনারুঘাট।
জাহাঙ্গীর নামের এই ব্যক্তি এখন 
চুনারুঘাটে খুঁজছেন তাঁর হারিয়ে যাওয়া শিকড়। বৃহস্পতিবার তিনি সুনামগঞ্জ থেকে চুনারুঘাট এসে ট্রাভেলস ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম শ্যামলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং তাঁর বাবা-মাকে খুঁজে পেতে সহায়তা চান।
জাহাঙ্গীর জানান, ছোটবেলায় হারিয়ে গিয়ে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের পশ্চিম মাতগাঁও গ্রামের এক ব্যক্তির হাতে পড়েন। তাঁর নাম জারু মিয়া। তিনিই তাঁকে ‘ছেলে’ হিসেবে পরিচয় দিয়ে লালন-পালন করেন। পরবর্তী সময়ে তাঁকে (জাহাঙ্গীর) বিয়ে দেন। বর্তমানে তাঁর চার সন্তান। তবে জারু মিয়া মৃত্যুর আগে তাঁর দুই সন্তানকে সম্পদ দিয়ে গেলেও তাঁকে (জাহাঙ্গীর) কিছুই দেননি। এতে তাঁর মনে সন্দেহ দেখা দেয়, জারু মিয়া হয়তো তাঁর প্রকৃত বাবা ছিলেন না। এরপর এলাকার মানুষের মুখে শুনে তিনি জানতে পারেন, তাঁর শৈশবকাল কেটেছে চুনারুঘাটে।
বর্তমানে জাহাঙ্গীর অবস্থান করছেন  মিরাশী ইউনিয়নের চামলতলী গ্রামের মিলন মিয়ার বাড়িতে। তিনি চুনারুঘাটবাসীর কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন, যদি ১৯৮০ থেকে ১৯৮৩ সালের মধ্যে কোনো পরিবার তাদের ৬/৭ বছর বয়সী ছেলে সন্তান হারিয়ে থাকে, তারা যেন যোগাযোগ করেন।
ট্রাভেলস ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম শ্যামল বলেন,  তিনি চেষ্টা করছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার চালাতে, যাতে জাহাঙ্গীরের পরিবারকে খুঁজে পাওয়া যায়। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ