আত্মত্যাগের পথ পেরিয়ে সুযোগ এসেছে, হেলায় হারানো যাবে না: আলী রীয়া
Published: 3rd, July 2025 GMT
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, গত ৫৩ বছরে রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে এমন গভীর আলোচনা আর হয়নি। নানা প্রতিকূলতা ও আত্মত্যাগের পথ পেরিয়ে এই সুযোগ এসেছে, তা হেলায় হারানো যাবে না।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের নবম দিনে তিনি এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলো এখন নিজেদের মধ্যেও অনানুষ্ঠানিক আলোচনা করছে, এটা আমাদের অনুপ্রাণিত করছে। সব সিদ্ধান্ত এখানে হবে না, কিন্তু এখান থেকে গঠনমূলক আলোচনার সূচনা হবে।
বৃহস্পতিবার মূলত তিনটি বিষয়ে আলোচনা হয়—রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের ক্ষমতা, বিচার বিভাগের বিকেন্দ্রীকরণ এবং জরুরি অবস্থা ঘোষণার পদ্ধতি।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি বলেছেন, আমাদের প্রত্যাশা, আজ অন্তত একটি বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্যে পৌঁছানো যাবে, সেটাই হবে বড় অগ্রগতি।
তিনি বলেন, দ্বিতীয় ধাপের সংলাপে প্রায় ২০টি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু আছে। এগুলোর মধ্যে একাধিক মৌলিক সংস্কার সুপারিশ আছে। প্রতিটি বিষয়ের পেছনে রাজনৈতিক দলগুলোর যুক্তি বিশ্লেষণ করে এগোতে চায় কমিশন। আমরা প্রতিদিনই প্রাথমিক অবস্থান উপস্থাপন করছি, যাতে দলগুলো নিজেদের ভেতরে আলোচনার সুযোগ পায়। তারপর দেখা যাবে, কোন বিষয়গুলো নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্তে যাওয়া যায়।
সংলাপে রাজনৈতিক অবস্থানে ইতিবাচক পরিবর্তন আসছে, উল্লেখ করে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, আপনারা আলোচনা করছেন, যুক্তি তুলে ধরছেন, এটা গণতন্ত্রের পথে সাহসী অগ্রগতি।
তিনি বলেন, এই যে আমরা এখানে বসেছি, এটা কোনো মেঘ থেকে পড়া মুহূর্ত নয়। এটা বহু বছরের লড়াই-সংগ্রাম আর আত্মত্যাগের ফসল। এই সুযোগ আমাদের সম্মিলিতভাবে কাজে লাগাতে হবে।
বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহম্মদ তাহের, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন, লেবার পার্টির সভাপতি ডা.
ঢাকা/এএএম/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন ত ক ঐকমত য দলগ ল
এছাড়াও পড়ুন:
বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে ঐকমত্য না হলে গণভোট ছাড়া উপায় নেই: এবি পার্টি
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে অংশ নিয়ে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছাতে না পারলে গণভোট ছাড়া উপায় নেই।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে আজ বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক হয়। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এবি পার্টির চেয়ারম্যান এ কথা বলেন।
ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে মজিবুর রহমান বলেছেন, ‘সংবিধান পরিবর্তন, সংস্কার, সংশোধন, নতুন করে লেখা বা বাতিলের চূড়ান্ত ক্ষমতা জনগণের। আমরা ঐক্যবদ্ধ মতামতের ভিত্তিতে জুলাই সনদ তৈরি করেছি, হয়তো কয়েকটি বিষয়ে কারও কারও “নোট অব ডিসেন্ট” (দ্বিমত) আছে। কিন্তু চূড়ান্ত কোনটা হবে, তা নির্ধারণের মূল ক্ষমতা জনগণের।’
কমিশনের আজকের প্রস্তাবে জুলাই ঘোষণাপত্রের ২২ নম্বর অনুচ্ছেদকে রেফারেন্স আকারে উল্লেখ করায় কোনো কোনো রাজনৈতিক দল ও নেতা জুলাই ঘোষণাপত্রের বৈধতা নিয়ে মন্তব্য করেন। এ বিষয়ে এবি পার্টির চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে যাঁরা আজ প্রশ্ন তুলছেন, কাল তাঁরা সংসদে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করবেন এবং এই সনদকে প্রশ্নবিদ্ধ করবেন না, তার নিশ্চয়তা কী?
এবি পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সানী আবদুল হক বলেন, সংবিধানে এটা নেই, ওটা নেই বলে সংবিধান সংস্কার করা যাবে না—এই ধারণা অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাপরিপন্থী। রাজনৈতিক দলগুলো যদি জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতির প্রশ্নে নিজেদের অবস্থান থেকে নমনীয় না হয়, তবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পুরো প্রচেষ্টা মুখ থুবড়ে পড়বে।
আশঙ্কা প্রকাশ করে এবি পার্টির এই নেতা বলেন, এমন পরিস্থিতি জাতিকে এক গভীর সংকটের দিকে ঠেলে দেবে। সুতরাং জাতীয় স্বার্থে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা জরুরি; অন্যথায় গণভোট ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।
আরও পড়ুনবর্ধিত মেয়াদের আগেই জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি চূড়ান্ত করতে চায় কমিশন: আলী রীয়াজ৪ ঘণ্টা আগে