কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ছাইরাখালী এলাকার ভরারচর খাল থেকে মোহাম্মদ ইসমাইল (১৫) নামের এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

মোহাম্মদ ইসমাইল বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের বগাইছড়ি এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ বেলাল উদ্দিনের ছেলে।

স্থানীয় কয়েকজন জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে খালে মরদেহটি ভাসতে দেখে তাঁরা পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় মরদেহটি উদ্ধার করে। সে সময় উপস্থিত ব্যক্তিরা মরদেহটি ইসমাইলের বলে শনাক্ত করেন।

স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য, এক সপ্তাহ ধরে ইসমাইলকে ছাইরাখালী স্টেশন, গাবতলী বাজার ও হাঁসেরদিঘি স্টেশন এলাকায় ঘোরাফেরা করতে দেখা যাচ্ছিল। তার আচরণ ছিল অস্বাভাবিক।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, মরদেহের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও জানান, নিহত কিশোরের পরিবারের সদস্যরা থানায় এসেছেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম হ ম মদ মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীর অস্থাবর সম্পদ ক্রোকের আদেশ, ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর সম্পদ ক্রোক

ফেনী-৩ আসনের (সোনাগাজী-দাগনভূঞা) সাবেক সংসদ সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীর অস্থাবর সম্পদ ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া বরগুনা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর গ্রামের ১টি বাড়ি, ২টি গাড়ি, জমি ও ১৮টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।

সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীর ব্যাপারে দুদক আদালতকে বলেছে, তাঁর বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠানোর নামে প্রতারণা করে বিপুল অঙ্কের অর্থ লেনদেন করার অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক।

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু ও তাঁর স্ত্রী মাধবী দেবনাথের নামে গত ২৯ জানুয়ারি পৃথক দুটি মামলা করেছে দুদক। দুদকের তথ্য অনুযায়ী, ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু সরকারের দায়িত্বশীল পদে থেকে অবৈধ উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ৫ কোটি ৪১ লাখ ২০ হাজার ১২৫ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করেছেন। নিজ নামে ১৬টি ব্যাংক হিসাবে মোট ৪১ কোটি ৯৩ লাখ ২৫ হাজার ৭০২ টাকা অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন।

গত ২১ মে মাধবী দেবনাথের ১২টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন আদালত। দুদকের তথ্য অনুযায়ী, মাধবী দেবনাথের ১২টি ব্যাংক হিসাবে জমা থাকা অর্থের পরিমাণ ৩৪ লাখ ৩৯ হাজার টাকা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ