বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেছেন, ‘‘নির্বাচন হলেই তারেক রহমান আল্লাহর রহমতে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। আগামী দিনে আমরা জনগণের পাশে থাকব। বিএনপি জনগণকে নিয়ে পথ চলতে চায়।’’

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক বছর উপলক্ষে টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির রক্তদান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নির্বাচন প্রসঙ্গে সালাউদ্দিন টুকু বলেন, ‌‘‘নির্বাচন দিতে (সরকার) কেন ভয় পাচ্ছে? নির্বাচন নিয়ে কেন বিতর্ক তুলছে। এই দেশের মালিক হচ্ছেন দেশের জনগণ। জনগণ নির্ধারিত করবে কে রাষ্ট্র পরিচালনা করবে। বিএনপি প্রথম থেকেই নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি করে আসছে।’’

আরো পড়ুন:

সদরঘাটে চাঁদাবাজির অভিযোগে তেল ব্যবসায়ীর সংবাদ সম্মেলন

বাকশাল থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের রচনা বিএনপি করেছে: তারেক রহমান

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজগর আলী, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক খন্দকার রাশেদুল আলম, সদস্য সচিব তৌহিদুল ইসলাম বাবু, জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক দুর্জয় হোড় শুভ, সদস্য সচিব এম এ বাতেন প্রমুখ।

ঢাকা/কাওছার/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ব এনপ র

এছাড়াও পড়ুন:

একটি পক্ষ তৈরি হচ্ছে, যাতে বিএনপি ক্ষমতায় আসতে না পারে: মির্জা আব্বাস

বিএনপি যাতে ক্ষমতায় যেতে না পারে, সে জন্য একটি পক্ষ সুচতুর কৌশলে তৈরি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। মঙ্গলবার জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূতি উপলক্ষে ‘গণ-অভ্যুত্থান–২০২৪ জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।

ঢাকায় বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে এই আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিএনপি। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। সভায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ছিলেন প্রধান অতিথি। অনুষ্ঠানে তাঁর ভিডিও বক্তব্য প্রচার করা হয়।

আলোচনা সভায় মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমাদের ঐকমত্য কমিশনে যেখানে বক্তব্য হয়, ওখানে যা শুনি, সোশ্যাল মিডিয়ায় যা দেখি, তাতে মনে হয় যে একটা পক্ষ সুচতুর কৌশলে তৈরি হচ্ছে, যাতে বিএনপি ক্ষমতায় আসতে না পারে। এর জন্য যা করতে হয় করবে, দেশ বিক্রি হয় হবে।’

বিএনপিকে প্রতিপক্ষ ভাবার কোনো কারণ নেই মন্তব্য করে বিএনপির মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমরা প্রতিযোগী হতে চাই, প্রতিপক্ষ নয়। আমরা কেউ বলি না, বিএনপি যেকোনো মূল্যে ক্ষমতায় যাবে। বরং আমরা বলি, আমরা জনগণের ভোট, জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দিতে চাই। সে লক্ষ্যে ১৭-১৮ বছর ধরে বিএনপি আন্দোলন করেছে, বহু নেতা-কর্মী জেল-জুলুমের শিকার হয়েছেন, শহীদ হয়েছেন, আহত হয়েছেন।’

ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘অনেকে বলেন, যদি এটা না হয় তাহলে নির্বাচন হবে না। এ ধরনের বক্তব্য আসলে ঐক্যকে ধ্বংস করার কথা, বিভাজনের কথা। জাতিকে বিভক্ত রেখে উন্নয়ন সম্ভব নয়। ব্যক্তিগত বা গোষ্ঠীগত সুবিধার জন্য ঐক্যকে ব্যবহার করলে দেশ এগোবে না। আমাদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে পথ চলা।’

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অনুষ্ঠানে শহীদ আবু সাঈদ, মীর মুগ্ধ, ওয়াসিমসহ জুলাই শহীদদের অনেকের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় গুম ও খুনের শিকার অনেকের স্বজনেরা। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা ছাড়াও আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), হেফাজতে ইসলামসহ বিভিন্ন দল ও সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতারা অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জনগণের দাবি, একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন : গিয়াসউদ্দিন
  • জুলাই ঘোষণা, জুলাই সনদ এবং গণমাধ্যম
  • জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করতে হবে
  • জুলাই বিপ্লবে ঘরে থাকা ব্যক্তিরা কখনোই জনগণের আনন্দের ভাষা বুঝবে না: বাঁধন
  • জুলাই বিপ্লবে ঘরে থাকা ব্যক্তিরা কখনোই জনগণের ভাষা বুঝবে না: বাঁধন
  • জুলাই পদযাত্রার দ্বিতীয় দিনে রংপুর-কুড়িগ্রামের পথে প্রান্তরে এন
  • আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের ওয়েবসাইটে টার্গেট হামলা
  • ইসরায়েলের প্রধান বিমানবন্দর লক্ষ্য করে হুতিদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
  • একটি পক্ষ তৈরি হচ্ছে, যাতে বিএনপি ক্ষমতায় আসতে না পারে: মির্জা আব্বাস