এনসিসি ব্যাংকের লেনদেন ৫ দিন বন্ধ থাকবে
Published: 3rd, July 2025 GMT
কোর ব্যাংকিং সিস্টেম (সিবিএস) আপগ্রেডের জন্য বেসরকারি ন্যাশনাল ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স (এনসিসি) ব্যাংকের লেনদেন ৮ জুলাই থেকে ১৩ জুলাই পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের অফসাইট সুপারভিশন ডিপার্টমেন্ট (ডিওএস) থেকে আজ বৃহস্পতিবার এ–সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ৮ জুলাই রাত ৮টা থেকে ১৩ জুলাই সকাল ৮টা পর্যন্ত এনসিসি ব্যাংকের সব শাখা ও উপশাখার কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ফলে এ সময়ে ব্যাংকটিতে কোনো ধরনের লেনদেন হবে না। এই সময় ব্যাংকটির ডেবিট কার্ড, এটিএম, ইন্টারনেট ব্যাংকিং, সুইফট, বিসিপিএস, বিএফটিএন, আরটিজিএস, এনপিএসবিসহ সব ধরনের সেবা বন্ধ থাকবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, কোর ব্যাংকিং সিস্টেমের আপগ্রেড কাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে লেনদেন বন্ধের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এনসিসি ব্যাংকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ‘ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১’-এর ৪৫ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ ব্যাংক এই অনুমতি দিয়েছে।
নির্দেশনাটি দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এতে স্বাক্ষর করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের অফসাইট সুপারভিশন ডিপার্টমেন্টের পরিচালক গাজী মো.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
৫ দফা দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু
আগামী ফেব্রুয়ারিতে জুলাই সনদের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ ৫ দফা দাবিতে জামায়াতে ইসলামীর পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ ফটকে এই সমাবেশ শুরু হয়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল। দলের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ও সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর কমিটির নেতারা সমাবেশে বক্তব্য দেবেন। জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।
জামায়াত সূত্র জানিয়েছে, সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হবে। মিছিলটি বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ ফটক থেকে বের হয়ে পুরানা পল্টন মোড়, জাতীয় প্রেসক্লাব ও মৎস্য ভবনের পাশ দিয়ে শাহবাগ পর্যন্ত যেতে পারে।
এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয় সংলগ্ন আল ফালাহ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ৫ দফা দাবিতে তিনদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে দলটি।
জামায়াতের দাবিগুলো হলো- জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজন করা; আগামী জাতীয় নির্বাচনে সংসদের উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করা; অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) নিশ্চিত করা; ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।
একই দাবিতে আগামীকাল ১৯ সেপ্টেম্বর দেশের সব বিভাগীয় শহরে বিক্ষোভ মিছিল এবং ২৬ সেপ্টেম্বর দেশের সব জেলা বা উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল করবে জামায়াতে ইসলামী।