এইচএসসি পরীক্ষায় তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিষয়ে ভালো নম্বর কীভাবে পাবে
Published: 3rd, July 2025 GMT
এইচএসসি পরীক্ষা তোমাদের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা। ভবিষ্যতে উচ্চশিক্ষার জন্য এই ফলাফলের গুরুত্ব অনেক। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিষয়ের সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের ওপর পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের মধ্যে প্রথম অধ্যায়ের ভার্চ্যুয়াল রিয়্যালিটি থেকে ন্যানোটেকনোলজি পর্যন্ত। আর দ্বিতীয় অধ্যায় থেকে পঞ্চম অধ্যায় সম্পূর্ণ থাকবে। ষষ্ঠ অধ্যায় সিলেবাসে নেই। পাঠ্যবইয়ের পাঁচটি অধ্যায় থেকে আটটি সৃজনশীল প্রশ্ন থাকবে। পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। আর বহুনির্বাচনি প্রশ্ন থাকবে ২৫টি।
সৃজনশীল অংশসৃজনশীল প্রশ্নের ‘ক’ ও ‘খ’ অংশের প্রশ্ন অর্থাৎ জ্ঞানমূলক ও অনুধাবনমূলক উত্তর সঠিকভাবে লিখতে হবে। এই অংশের উত্তর যত্নসহকারে লিখবে। কেননা পরীক্ষক এই অংশের উত্তর মনোযোগ দিয়ে দেখেন। জ্ঞানমূলক প্রশ্নের উত্তর একটি শব্দ বা বাক্যে নেওয়া যায়, তবে পূর্ণাঙ্গ বাক্য লিখলে ভালো। আর অনুধাবনমূলক প্রশ্নে প্রথমে এক বাক্যে জ্ঞানমূলক অংশটি লিখে তা পরে চার-পাঁচ লাইনের এক প্যারায় বিশ্লেষণ করবে। খেয়াল রাখতে হবে, যা লিখছ তা যেন অবশ্যই প্রাসঙ্গিক হয়।
প্রয়োগমূলক অংশে জ্ঞান, অনুধাবন ও উদ্দীপকের সঙ্গে পাঠ্যবইয়ের সমন্বয় ঘটাতে হবে।
উচ্চতর দক্ষতা মানেই একটি সিদ্ধান্তের ব্যাপার, এ ক্ষেত্রে জ্ঞান-অনুধাবন-প্রয়োগের প্রয়োজনীয় অংশ লেখার পর একটি সিদ্ধান্তে তোমাকে উপনীত হবে। তাই উদ্দীপকটি ভালো করে পড়ে ও বুঝে প্রশ্নের সঙ্গে মিলিয়ে উত্তরটি সঠিকভাবে লিখতে হবে।
উদ্দীপকের বিষয়বস্তু সঠিকভাবে নির্বাচন না করা বা বুঝতে না পারাটা একটা সমস্যা। যেমন প্রশ্নপত্রে প্রদত্ত উদ্দীপকটি হয়তো বায়োমেট্রিক–সম্পর্কিত, কিন্তু লিখেছ ভার্চ্যুয়াল রিয়্যালিটি বা জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পর্কে। সৃজনশীল প্রশ্নের ‘গ’ বা ‘ঘ’ অংশের উত্তরে এ রকম ভুল করা যাবে না।
মনে রেখো বিষয়টি সহজতথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিষয় নিয়ে অনেকের মধ্যে ভয় কাজ করছে। আসলে বিষয়টি অনেক সহজ এবং ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এ বিষয়টি প্রাত্যহিক জীবনের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভালো করে পুরো প্রশ্নপত্রটি পড়ে সিদ্ধান্ত নেবে—কোন কোন প্রশ্নের উত্তর ভালোভাবে লিখতে পারবে। যে প্রশ্নের উত্তরে জটিলতা রয়েছে, সেই প্রশ্ন ভালো করে বুঝে উত্তর দিতে হবে।
প্রথম অধ্যায়
এই অধ্যায় থেকে একটি সৃজনশীল প্রশ্ন আসার সম্ভাবনা রয়েছে। ভার্চ্যুয়াল রিয়্যালিটি, এআই, রোবোটিকস, বায়োমেট্রিক, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও ন্যানোটেকনোলজি অংশগুলো ভালো করে পড়বে।
দ্বিতীয় অধ্যায়
এই অধ্যায় থেকে দুটি সৃজনশীল প্রশ্ন আসার সম্ভাবনা রয়েছে। কমিউনিকেশন সিস্টেমস, বিভিন্ন মাধ্যম, ট্রান্সমিশন মোড, মিডিয়া, বিভিন্ন নেটওয়ার্কিং ডিভাইস, টপোলজির প্রকারভেদ এবং তুলনামূলক বিশ্লেষণ সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা রাখতে হবে। টপোলজি–সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তর ঠিকমতো গুছিয়ে লিখতে হবে। যেমন স্টার টপোলজির সম্বন্ধে বললে প্রথমে স্টার টপোলজি কী, তারপর স্টার টপোলজির চিত্র ও শেষে স্টার টপোলজির সুবিধা-অসুবিধাগুলো পয়েন্ট আকারে গুছিয়ে লিখবে।
তৃতীয় অধ্যায়
এই অধ্যায় থেকে দুটি সৃজনশীল প্রশ্ন আসার সম্ভাবনা রয়েছে। সৃজনশীল ‘গ’ প্রশ্নের জন্য বিভিন্ন সংখ্যা পদ্ধতির রূপান্তরগুলোর ভালো ধারণা থাকতে হবে। সৃজনশীল ‘ঘ’–এর জন্য পরিপূরকের যোগ-বিয়োগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বুলিয়ান উপপাদ্য, লজিক গেটগুলো, ব্লক বা ডায়াগ্রাম এবং অন্য বিষয়গুলোতে যথেষ্ট দক্ষতা রাখা দরকার। বিভিন্ন লজিক সার্কিটের প্রয়োগ এবং চিত্রগুলো একাধিকবার অনুশীলন করতে হবে। হাফ অ্যাডার ও ফুল অ্যাডারের সার্কিট ডায়াগ্রাম এবং সত্যক সারণিগুলো অবশ্যই পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন ও নির্ভুলভাবে অঙ্কন করবে। ন্যানো গেট দিয়ে বিভিন্ন ধরনের চিত্র এবং সমীকরণ বাস্তবায়ন অনুশীলন করবে।
চতুর্থ অধ্যায়
এই অধ্যায় থেকে একটি সৃজনশীল প্রশ্ন আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এইচটিএমএল ট্যাগ, আট্রিবিউট, হেডিংয়ের সঙ্গে সঙ্গে হাইপারলিংক, ইমেজ ভালোভাবে পড়তে হবে। লিস্ট ও টেবিল থেকে ‘গ’ ও ‘ঘ’–এর জন্য বেশি গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হবে। ডোমেইন নেম, হোস্টিং এবং ওয়েবসাইট পাবলিশিংয়ের ধারণা থাকতে হবে।
পঞ্চম অধ্যায়
এই অধ্যায় থেকে দুটি সৃজনশীল প্রশ্ন আসার সম্ভাবনা রয়েছে। বিভিন্ন প্রজন্মের প্রোগ্রামিং ভাষা, অনুবাদক প্রোগ্রাম (কম্পাইলার ও ইন্টারপ্রেটার) ও অ্যালগরিদম-ফ্লোচার্টগুলো খুবই মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে।
প্রোগ্রামিং ভাষা থেকে আসা প্রশ্নের উত্তরে সি প্রোগ্রামিং ভাষায় কোড যথাযথভাবে লিখতে হবে। যেমন ইংরেজি ছোট ও বড় হাতের অক্ষর মিশ্র করে লেখা যাবে না, সেমিকোলন (;), কমা (,) ইত্যাদির ব্যবহার সঠিকভাবে করতে হবে ও কোডের সিনট্যাক্স অনুসরণ করতে হবে। ত্রিভুজের ক্ষেত্রফল, তিনটি সংখ্যার মধ্যে বড় সংখ্যাটি নির্ণয়, ধারার যোগফল, ফর লুপ, ডু লুপ ও হোয়াইল লুপ ব্যবহার করে প্রোগ্রাম লেখার কৌশল অনুসরণ করবে।
বহুনির্বাচনি অংশ
ভালো নম্বর পেতে তোমাদের বহুনির্বাচনিতে অবশ্যই ভালো করতে হবে। পূর্ণ নম্বর পাওয়া সহজ যদি তোমার উত্তর সঠিক হয়। পরীক্ষার আগে তোমরা খুব মনোযোগসহকারে বহুনির্বাচনি প্রশ্নগুলো পড়বে।
সংজ্ঞা দিতে হবে
কোনো প্রশ্নের উত্তরে সরাসরি সংজ্ঞা চায় না। কিন্তু বুঝিয়ে লিখতে হয়। তখন সংজ্ঞা চাওয়া না থাকলেও সংজ্ঞা বা সংক্ষিপ্ত পরিচিতি দিতে হবে।
চিত্র দিতে হবে
উদ্দীপকের সঙ্গে মিল রেখে চিত্র উল্লেখ করার প্রয়োজন হলে বা ওই টপিকের চিত্র থাকলে চিত্র দিতে হবে। চিত্রের নিচে চিত্রের নাম উল্লেখ করতে হবে। চিত্রে বিভিন্ন অংশ চিহ্নিত করতে হবে। চিত্র পেনসিল দিয়ে আঁকা ভালো (সুবিধা হলো ভুল হলে মোছা যায়), তবে কলম দিয়ে আঁকা যাবে না, এমন নিষেধাজ্ঞা নেই।
খেয়াল রেখো
প্রকারভেদ (ভাগ) ও প্রকারের মিশ্রণ করা যাবে না। যেমন মুঠোফোনের প্রজন্মকে চার ভাগে ভাগ করা যায়। কিন্তু কেউ যদি লেখে, মুঠোফোনের প্রজন্ম চার প্রকার, তাহলে তার উত্তর পুরোটাই ভুল।
যা মনে রাখবে
সংখ্যাপদ্ধতির অঙ্ক করার সময় এবং ২–এর পরিপূরকের অঙ্কে সঠিক নিয়ম খেয়াল রাখবে। লজিক গেটের চিত্র এক টানে আঁকতে হবে। উদ্দীপক থেকে জ্ঞান, চিত্র, এইচটিএমএলের কোড সঠিক লিখতে হবে। অ্যালগরিদমের ধাপ এবং ফ্লোচার্ট একই ধারায় আঁকতে হবে। প্রোগ্রামিং কোড খুব সাবধানে লিখতে হবে, যাতে কোনো সিনট্যাক্স ভুল না থাকে।
অপ্রাসঙ্গিক উত্তর
ভুল উত্তর দেওয়া ও অপ্রাসঙ্গিক উত্তর লেখা থেকে বিরত থাকতে হবে। তোমরা অনেকেই মনে করো, যত বেশি লেখা যাবে, তত বেশি নম্বর পাওয়া যাবে। আসলে এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। তাই এ বিষয়ে সচেতন থাকবে। মনে রাখবে, উদ্দীপকের সঙ্গে সামঞ্জস্য লেখা ছোট হলেও পূর্ণ নম্বর পাওয়া যায়। এ জন্য তোমাদের প্রশ্নের বিষয়বস্তুর ওপর নির্ভর করে উত্তর নিতে হবে। সেটা ছোট বা বড়, যা-ই হোক না কেন।
সুন্দর হাতের লেখা
হাতের লেখা সুন্দর হতে হবে, যাতে যে কেউ লেখা পড়তে পারে। ভালো করতে হলে অবশ্যই পরীক্ষার খাতায় সুন্দরভাবে নিজেকে উপস্থাপন করতে হবে। এ জন্য অবশ্যই তোমাদের প্রশ্ন বুঝে উত্তর দিতে হবে। মনে রাখবে, খাতায় কোনো ধরনের অপ্রাসঙ্গিক কিছু লিখবে না।
লেখক: সহকারী অধ্যাপক, মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র প রক র র জন য পর ক ষ প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
৪৮ বছর বয়সে এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন বাল্যবিবাহের শিকার সালেহা
সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার কিছুদিন পরই বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হয় সালেহা খাতুনকে। পড়াশোনা ছেড়ে গৃহস্থালির কাজে যুক্ত হন তিনি। কিন্তু পড়াশোনা ছেড়ে দেওয়া মেনে নিতে পারেননি তিনি। ইচ্ছা ছিল আবার পড়াশোনা করার। ধীরে ধীরে সেই ইচ্ছা পূরণ করছেন তিনি। এবার তিনি এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন।
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার তক্তপাড়া গ্রামের গৃহবধূ সালেহা খাতুন (৪৮) এবার ভবানীগঞ্জ কারিগরি অ্যান্ড ব্যবস্থাপনা কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন। তিনি তক্তপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শাহার আলীর স্ত্রী।
গতকাল সোমবার রাতে তক্তপাড়া গ্রামে শাহার–সালেহা দম্পতির বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, পড়ার টেবিলে বসে আছেন সালেহা। বড় ছেলে চাকরির প্রস্তুতির জন্য যে টেবিলে পড়তেন, এখন সেখানে ছেলের বইয়ের পাশে নিজের বই খুলে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি।
সালেহা খাতুন বলেন, লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহ থেকেই আবার পড়া শুরু করেন। স্বামী ও ছেলেরা সহযোগিতা করায় ২০১৯ সালে নতুন করে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হন উপজেলার শ্রীপুর রামনগর টেকনিক্যাল বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের ভোকেশনাল শাখায়। সেখান থেকে মাধ্যমিক পাস করেন। এরপর ভর্তি হন ভবানীগঞ্জ কারিগরি অ্যান্ড ব্যবস্থাপনা কলেজে। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন গত ২৬ জুন শুরু হওয়া এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন তিনি। তাঁর ভাষ্য, ‘পরীক্ষা ভালো হচ্ছে।’
নিজের জীবনের গল্প শোনাতে গিয়ে সালেহা বলেন, তাঁর বাবার বাড়ি উপজেলার অর্জুনপাড়া গ্রামে। বাবা আবদুস সাত্তার ছিলেন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য। সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় তাঁর বিয়ে হয়। সালেহা বলেন, ‘এই বিয়েতে আমি রাজি ছিলাম না। কিন্তু পরিবারের সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়ার উপায় ছিল না। স্বামীর বাড়িতে এসে সংসার শুরু করি। সন্তানের মা হই।’
স্বামী ও দুই ছেলেকে নিয়ে সালেহার পরিবার। বড় ছেলে শামীম হোসেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। ছোট ছেলে সাগর হোসেন রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজে অনার্স শ্রেণিতে পড়ছেন।
লেখাপড়া আবার শুরু করার বিষয়ে সালেহা বলেন, ‘আমরা ছয় ভাইবোনের মধ্যে চারজনই শিক্ষিত। তাঁরা সবাই শিক্ষকতা পেশায়। আমি কেন পিছিয়ে থাকব? সুযোগ থাকলে স্নাতক শেষ করে এলএলবি পড়ে আইন পেশায় নিয়োজিত হওয়ার ইচ্ছা আছে।’ স্বামী ও সন্তানেরা সব সময় তাঁকে সহযোগিতা করেন ও উৎসাহ দেন।
তক্তপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শাহার আলী বলেন, ‘স্ত্রী সালেহা খাতুনের মধ্যে অদম্য ইচ্ছাশক্তি দেখেছি। লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহ আছে। ছেলেদের সুশিক্ষিত করার পর এখন নিজে শিক্ষিত হওয়ার চেষ্টা করছে। সংসার সামলেই সে লেখাপড়া করছে।’
সালেহার বড় ছেলে শামীম হোসেন বলেন, ‘আমাদের লেখাপড়া শেখানোর জন্য মায়ের অবদান বেশি। এই বয়সে মায়ের লেখাপড়ার টান ও ধৈর্য দেখে আমি অবাক। মায়ের জন্য গর্ব হয়।’
ভবানীগঞ্জ কারিগরি অ্যান্ড ব্যবস্থাপনা কলেজের সহকারী অধ্যাপক আশরাফুল ইসলাম বলেন, সালেহা খাতুন তাঁর প্রতিষ্ঠানের নিয়মিত শিক্ষার্থী। তিনি অন্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসেই পরীক্ষা দিচ্ছেন। এই বয়সেও তাঁর আগ্রহ প্রশংসনীয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।