বাঁচতে চায় তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থী শ্রাবণী
Published: 3rd, July 2025 GMT
মরণব্যাধী ক্যানসারে আক্রান্ত সরকারি তিতুমীর কলেজের মেধাবী শিক্ষার্থী ফাতেমা আক্তার শ্রাবণী বাঁচতে চান। তিনি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
চলতি বছরের এপ্রিলে ঘাড়ে একটি টিউমার জাতীয় মাংসপেশীর বৃদ্ধি দেখা দিলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন তিনি। কিন্তু ক্রমেই সেটা শরীর জুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে বলে জানানো হয়েছে। বর্তমানে পরীক্ষানিরীক্ষা চলছে।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, পর্যায়ক্রমে চিকিৎসা পরিকল্পনা নির্ধারণ করা হবে। তবে চরম আর্থিক সংকটে রয়েছে শ্রাবণীর পরিবার।
আরো পড়ুন:
রাবি ফোকলোর বিভাগ সংস্কারের দাবিতে ফের বিক্ষোভ
ডিপ্লোমা কোটা বাতিলসহ ৩ দাবি রুয়েট শিক্ষার্থীদের
শুধু শ্রাবণী নয়, তার পরিবারও বহুদিন ধরে কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি। তার বাবা দীর্ঘদিন ধরে পক্ষাঘাতে আক্রান্ত। একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি তার মা সেলাইয়ের কাজ করে সংসার চালান। পাশাপাশি শ্রাবণী টিউশনি করে মায়ের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।
শ্রাবণীর মা শাকিলা পারভীন বলেন, “এই রোগের চিকিৎসায় এখন পর্যন্ত অনেক টাকা খরচ হয়ে গেছে। সামনে আবার একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা করাতে হবে। কিন্তু টাকার অভাবে কিছুই করতে পারছি না। মেয়েকে বাঁচাতে সবাই পাশে দাঁড়াক, এই আশা করছি। আমরা ইতোমধ্যে শ্রাবণীর বিভাগ ও কলেজ কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানিয়েছি।”
শ্রাবণীর সহপাঠী সানজিদা ইসলাম রোজা বলেন, “আমরা বন্ধু-বান্ধব মিলে সাধ্যমতো সাহায্য করার চেষ্টা করেছি। বিভিন্ন জায়গা থেকে যতটুকু সম্ভব ফান্ড সংগ্রহ করেছি। কিন্তু চিকিৎসার ব্যয় অনেক বেশি, কারো একার পক্ষে সম্ভব নয়। আমরা চাই, সবার কাছে বিষয়টি পৌঁছাক। সবাই যেন এই মেধাবী ছাত্রীর পাশে দাঁড়ায়।”
এ বিষয়ে কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক সিরাজুম মুনিরা বলেন, “শ্রাবণীর অসুস্থতার কথা আমরা জেনেছি। ব্যক্তিগত উদ্যোগে, শিক্ষকদের মাধ্যমে এবং বিভিন্ন বিভাগের সহায়তায় অর্থ সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। কলেজ অধ্যক্ষকেও বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। আমরা শ্রাবণীর পাশে আছি, যতটা সম্ভব সহযোগিতা করব।”
শ্রাবণীর চিকিৎসায় সহযোগিতা করতে চাইলে নিচের নাম্বারে বিকাশ বা নগদের মাধ্যমে অর্থ পাঠানো যাবে।
সাহায্য পাঠানো ঠিকানা: বিকাশ- 01540523381 (শ্রাবনী), নগদ- 01682995523 (শ্রাবনীর মা)।
ঢাকা/হাফছা/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পরিবারের খোঁজে ৪৮ বছর পর চুনারুঘাটে
৬ বা ৭ বছর বয়সে হারিয়ে যান হবিগঞ্জের চুনারুঘাট থেকে। এরপর ৪২ বছর কেটে গেছে। হারিয়ে যাওয়া শিশুটির বয়স এখন ৪৮ বছর। সুনামগঞ্জে বেড়ে ওঠা এই ব্যক্তি জানেন না, তাঁর আসল নাম-পরিচয়। শুধু এটুকু মনে আছে, তাঁর জন্মভূমি চুনারুঘাট।
জাহাঙ্গীর নামের এই ব্যক্তি এখন
চুনারুঘাটে খুঁজছেন তাঁর হারিয়ে যাওয়া শিকড়। বৃহস্পতিবার তিনি সুনামগঞ্জ থেকে চুনারুঘাট এসে ট্রাভেলস ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম শ্যামলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং তাঁর বাবা-মাকে খুঁজে পেতে সহায়তা চান।
জাহাঙ্গীর জানান, ছোটবেলায় হারিয়ে গিয়ে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের পশ্চিম মাতগাঁও গ্রামের এক ব্যক্তির হাতে পড়েন। তাঁর নাম জারু মিয়া। তিনিই তাঁকে ‘ছেলে’ হিসেবে পরিচয় দিয়ে লালন-পালন করেন। পরবর্তী সময়ে তাঁকে (জাহাঙ্গীর) বিয়ে দেন। বর্তমানে তাঁর চার সন্তান। তবে জারু মিয়া মৃত্যুর আগে তাঁর দুই সন্তানকে সম্পদ দিয়ে গেলেও তাঁকে (জাহাঙ্গীর) কিছুই দেননি। এতে তাঁর মনে সন্দেহ দেখা দেয়, জারু মিয়া হয়তো তাঁর প্রকৃত বাবা ছিলেন না। এরপর এলাকার মানুষের মুখে শুনে তিনি জানতে পারেন, তাঁর শৈশবকাল কেটেছে চুনারুঘাটে।
বর্তমানে জাহাঙ্গীর অবস্থান করছেন মিরাশী ইউনিয়নের চামলতলী গ্রামের মিলন মিয়ার বাড়িতে। তিনি চুনারুঘাটবাসীর কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন, যদি ১৯৮০ থেকে ১৯৮৩ সালের মধ্যে কোনো পরিবার তাদের ৬/৭ বছর বয়সী ছেলে সন্তান হারিয়ে থাকে, তারা যেন যোগাযোগ করেন।
ট্রাভেলস ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম শ্যামল বলেন, তিনি চেষ্টা করছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার চালাতে, যাতে জাহাঙ্গীরের পরিবারকে খুঁজে পাওয়া যায়।