মরণব্যাধী ক্যানসারে আক্রান্ত সরকারি তিতুমীর কলেজের মেধাবী শিক্ষার্থী ফাতেমা আক্তার শ্রাবণী বাঁচতে চান। তিনি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।

চলতি বছরের এপ্রিলে ঘাড়ে একটি টিউমার জাতীয় মাংসপেশীর বৃদ্ধি দেখা দিলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন তিনি। কিন্তু ক্রমেই সেটা শরীর জুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে বলে জানানো হয়েছে। বর্তমানে পরীক্ষানিরীক্ষা চলছে।

চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, পর্যায়ক্রমে চিকিৎসা পরিকল্পনা নির্ধারণ করা হবে। তবে চরম আর্থিক সংকটে রয়েছে শ্রাবণীর পরিবার।

আরো পড়ুন:

রাবি ফোকলোর বিভাগ সংস্কারের দাবিতে ফের বিক্ষোভ

ডিপ্লোমা কোটা বাতিলসহ ৩ দাবি রুয়েট শিক্ষার্থীদের

শুধু শ্রাবণী নয়, তার পরিবারও বহুদিন ধরে কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি। তার বাবা দীর্ঘদিন ধরে পক্ষাঘাতে আক্রান্ত। একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি তার মা সেলাইয়ের কাজ করে সংসার চালান। পাশাপাশি শ্রাবণী টিউশনি করে মায়ের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।

শ্রাবণীর মা শাকিলা পারভীন বলেন, “এই রোগের চিকিৎসায় এখন পর্যন্ত অনেক টাকা খরচ হয়ে গেছে। সামনে আবার একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা করাতে হবে। কিন্তু টাকার অভাবে কিছুই করতে পারছি না। মেয়েকে বাঁচাতে সবাই পাশে দাঁড়াক, এই আশা করছি। আমরা ইতোমধ্যে শ্রাবণীর বিভাগ ও কলেজ কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানিয়েছি।”

শ্রাবণীর সহপাঠী সানজিদা ইসলাম রোজা বলেন, “আমরা বন্ধু-বান্ধব মিলে সাধ্যমতো সাহায্য করার চেষ্টা করেছি। বিভিন্ন জায়গা থেকে যতটুকু সম্ভব ফান্ড সংগ্রহ করেছি। কিন্তু চিকিৎসার ব্যয় অনেক বেশি, কারো একার পক্ষে সম্ভব নয়। আমরা চাই, সবার কাছে বিষয়টি পৌঁছাক। সবাই যেন এই মেধাবী ছাত্রীর পাশে দাঁড়ায়।”

এ বিষয়ে কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক সিরাজুম মুনিরা বলেন, “শ্রাবণীর অসুস্থতার কথা আমরা জেনেছি। ব্যক্তিগত উদ্যোগে, শিক্ষকদের মাধ্যমে এবং বিভিন্ন বিভাগের সহায়তায় অর্থ সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। কলেজ অধ্যক্ষকেও বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। আমরা শ্রাবণীর পাশে আছি, যতটা সম্ভব সহযোগিতা করব।”

শ্রাবণীর চিকিৎসায় সহযোগিতা করতে চাইলে নিচের নাম্বারে বিকাশ বা নগদের মাধ্যমে অর্থ পাঠানো যাবে।

সাহায্য পাঠানো ঠিকানা: বিকাশ- 01540523381 (শ্রাবনী), নগদ- 01682995523 (শ্রাবনীর মা)।

ঢাকা/হাফছা/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ