হাওরে পড়ে ছিল ইজিবাইকচালকের বস্তাবন্দী মরদেহ
Published: 3rd, July 2025 GMT
নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার একটি হাওর থেকে অটোরিকশাচালকের বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জালালপুর হাওর এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত ব্যক্তির নাম রাসেল মিয়া (২৫)। তিনি মদন উপজেলার কুলিয়াটি গ্রামের আবুল মিয়ার ছেলে। পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের ধারণা, দুর্বৃত্তরা অটোরিকশাটি ছিনতাই করার জন্য তাঁকে হত্যা করে বস্তায় ভরে ফেলে যায়।
পুলিশ জানায়, আজ দুপুরে স্থানীয় বাসিন্দাদের কয়েকজন হাওরে সাদা রঙের একটি প্লাস্টিকের বস্তা পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন। পরে বস্তার ভেতর থেকে রাসেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহ পাওয়ার খবরে তাঁর পরিবারের লোকজন সেখানে গিয়ে লাশ শনাক্ত করেছেন।
রাসেলের পরিবার জানায়, গত সোমবার সকালে বাড়ি থেকে অটোরিকশা নিয়ে বের হন রাসেল। এরপর আর বাড়ি ফেরেননি। তাঁরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে রাসেলকে না পেয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
কখন, কীভাবে হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে—তা তাৎক্ষণিকভাবে বলা যাচ্ছে না জানিয়ে কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, বিষয়টি নিয়ে পুলিশ তদন্ত করছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: মরদ হ
এছাড়াও পড়ুন:
ছুটি না পেয়ে অসুস্থ শ্রমিকের মৃত্যু, মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মদনপুর এলাকায় লারিজ ফ্যাশনের পোশাক কারখানায় অসুস্থ হয়ে রিনা আক্তার (৩২) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে তারা মদনপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও শ্রমিকরা জানিয়েছেন, রিনা আক্তার অসুস্থ অবস্থায় কারখানায় কাজ করছিলেন। রোববার তিনি বেশি অসুস্থতা অনুভব করলে ছুটি চেয়ে আবেদন করেন। তবে, কর্তৃপক্ষ ওই শ্রমিকের আবেদনে সাড়া না দিয়ে কাজ করতে বাধ্য করেন। ওই নারী গুরুতর অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে সহকর্মীরা স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অবরোধকারী শ্রমিকদের অভিযোগ, তাদের সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য মালিকপক্ষ দায়ী। রিনা অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও তাকে ছুটি দেওয়া হয়নি। চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন তিনি।
লারিজ ফ্যাশনের মালিকপক্ষ ও কর্মকর্তাদেরকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়েছেন শ্রমিকরা।
এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে লারিজ ফ্যাশন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শিমুল বলেছেন, আমাদের একজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত্যু হয়। এতে আমাদের কোনো গাফিলতি নেই। আমরা আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেছেন, সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য গার্মেন্টস মালিকপক্ষ দায়ী, এমন অভিযোগ করে শ্রমিকরা আন্দোলনে নেমেছেন। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। ঘটনাস্থলে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশও আছে। শ্রমিকরা রাস্তা থেকে সরে গেছেন। যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
ঢাকা/অনিক/রফিক