অকালেই নিভে গেল দিয়েগো জোটার জীবনপ্রদীপ
Published: 3rd, July 2025 GMT
জীবন কখন যে থমকে দাঁড়ায়, কেউ জানে না। সময়ের স্রোতে ভেসে চলা মানুষটা এক মুহূর্তেই হারিয়ে যায় চিরতরে। এমনই এক মর্মান্তিক পরিণতির নাম আজ দিয়েগো জোটা। পর্তুগিজ ফুটবলের উজ্জ্বল তারা, লিভারপুলের স্ট্রাইকার। আর অনেকে যে তাকে চিনত ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর সতীর্থ হিসেবে।
মাত্র ২৮ বছর বয়সে জীবনের সমস্ত গৌরব, সাফল্য আর স্বপ্নের পথ থেমে গেল এক ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনায়। স্পেনের জামোরা শহরে ঘটে যাওয়া এই দুর্ঘটনায় শুধু জোটা নন, প্রাণ হারিয়েছেন আরও এক তরুণ, জোটার ভাই। গাড়িটি আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। চেষ্টা করেও বাঁচানো যায়নি কারোর জীবন।
জোটা যেন জীবনের সেরা সময়টাই কাটাচ্ছিলেন। কয়েক দিন আগেই নেশন্স লিগ জিতেছেন পর্তুগালের হয়ে। ক্লাব লেভেলে লিভারপুলের হয়ে জিতেছেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ। মাঠে ছন্দে ছিলেন, মাঠের বাইরেও। মাত্র দু’সপ্তাহ আগেই জীবনের নতুন ইনিংস শুরু করেছিলেন, বিয়ে করেছিলেন প্রেমিকাকে।
আরো পড়ুন:
ভারতের কোচের পদত্যাগ
আবেগে নেইমারের স্বাক্ষর করা বল নিয়ে ১৭ বছরের কারাদণ্ড
পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল পোর্তোয়, এরপর অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের সঙ্গে চুক্তি। সেখান থেকে উলভারহ্যাম্পটন হয়ে লিভারপুলে আসেন এই গতিময় ফরোয়ার্ড। জার্গেন ক্লপের অধীনে এফএ কাপ ও লিগ কাপ জিতেছেন। আর নতুন কোচ আর্নে স্লটের নেতৃত্বে সম্প্রতি লিভারপুলকে এনে দিয়েছেন প্রিমিয়ার লিগ শিরোপাও।
এত সাফল্যের মাঝখানে এভাবে বিদায় নেওয়া যেন এক নির্মম পরিহাস। কারও বিশ্বাস হচ্ছে না, যে মানুষটা কয়েকদিন আগেও গোল করে দর্শকদের উল্লাসে ভাসিয়েছিলেন, আজ তিনি নেই।
জীবনের দ্বিতীয় অধ্যায়টা শুরু করতে চেয়েছিলেন হাসিমুখে। কিন্তু ভাগ্য সে সুযোগ দিলো না। বিশ্বকাপের মাঠও আর দেখা হলো না তার। হয়ে রইলেন শুধুই স্মৃতির মানুষ। এক অকালপ্রয়াত নক্ষত্র, যার আলোটা আর দেখা যাবে না, শুধু অনুভব করা যাবে ভক্তদের হৃদয়ে।
জোটার মৃত্যুতে পর্তুগাল শোকে মুহ্যমান। ফুটবল বিশ্ব আজ স্তব্ধ।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল পর ত গ ল জ বন র
এছাড়াও পড়ুন:
শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত
নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।
দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।
ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।
৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।
ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট