সতীর্থ জোটার মৃত্যুতে রোনালদোর আবেগঘন বার্তা
Published: 3rd, July 2025 GMT
ফুটবল মাঠে একসঙ্গে যাদের দৌড়, জয়, উদযাপন আর ট্রফি ভাগাভাগির সম্পর্ক একদিন সেই পথেই এসে থামে দুঃখের সীমানা। এবার সেই করুণ বিদায়ের সাক্ষী হলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো।
দিয়েগো জোটার হঠাৎ মৃত্যুর খবরে ভেঙে পড়েছেন তিনি। লিখেছেন এক হৃদয়বিদারক বার্তা। যেখানে কেবল একজন সতীর্থের চলে যাওয়া নয়, হারিয়ে গেছে সম্পর্ক, স্মৃতি আর জীবনের এক অধ্যায়।
আজ বৃহস্পতিবার (০৩ জুলাই) স্পেনের জামোরা প্রদেশে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান জোটা ও তার ভাই আন্দ্রে সিলভা। গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আগুন ধরে যায় এবং মুহূর্তেই নিভে যায় দুটি প্রতিভাময় জীবন।
আরো পড়ুন:
অকালেই নিভে গেল দিয়েগো জোটার জীবনপ্রদীপ
ভারতের কোচের পদত্যাগ
জোটা মাত্র ২৮ বছর বয়সে পাড়ি জমালেন না ফেরার দেশে। যেখানে ঠিক দুই সপ্তাহ আগেই বিয়ে করেছিলেন দীর্ঘদিনের প্রেমিকা রুতে কার্দোসোকে। তাদের তিনটি সন্তান এখন অনাথ, স্ত্রী নিঃস্ব আর ফুটবল ভুবন শোকাচ্ছন্ন।
এই ঘটনায় নিজের সামাজিক মাধ্যমে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো লেখেন, “সবকিছু যেন অবিশ্বাস্য। এইতো সেদিন আমরা একসাথে জাতীয় দলে খেলেছি, আর এখন তোমার শোকবার্তা লিখছি! তোমার স্ত্রী, সন্তান ও পরিবারের জন্য আমি দোয়া করি। তুমি তাদের হৃদয়ে আজীবন বেঁচে থাকবে। শান্তিতে ঘুমাও দিয়েগো, শান্তিতে ঘুমাও আন্দ্রে। তোমাদের আমরা ভীষণ মিস করব।”
রোনালদোর পাশাপাশি শোক প্রকাশ করেছেন জোটার আরেক জাতীয় দলসঙ্গী রুবেন নেভেস। তার কথায়, “তারা বলে তুমি তখনই হারাও, যখন মানুষ তোমাকে ভুলে যায়। আমি তোমাকে ভুলবো না, দিয়েগো।”
২০১৯ সাল থেকে জাতীয় দলে একসঙ্গে খেলা জোটা ও রোনালদো ছিলেন মাঠের আক্রমণভাগের প্রধান অস্ত্র। উয়েফা নেশন্স লিগ জয় হোক বা প্রীতি ম্যাচের গোল উৎসব; জোটা ছিলেন সেই সব মুহূর্তের নীরব নায়ক। ক্লাব পর্যায়ে লিভারপুলের জার্সিতে তিনি জয় করেছেন প্রিমিয়ার লিগসহ নানা শিরোপা।
আজ সেই প্রাণচঞ্চল স্ট্রাইকার নেই। মাঠের গ্যালারিতে যিনি উদযাপনের সুর তুলতেন, আজ তার জন্য ফুটবলবিশ্ব নীরব। স্মৃতির পাতা জুড়ে থেকে যাবেন দিয়েগো জোটা; একজন ফুটবলার, একজন বাবা, একজন সতীর্থ, আর হাজারো হৃদয়ের ভালোবাসা।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল পর ত গ ল
এছাড়াও পড়ুন:
গল্পটা এই ক্লাসরুম থেকেই শুরু: ইরফান সাজ্জাদ
পুরোনো ভবনের একটি ক্লাসরুম। দেয়ালের রং, পলেস্তারার অবস্থাও খুব একটা ভালো নেই। এ শ্রেণিকক্ষে সারিবদ্ধভাবে সাজানো বেঞ্চ। এক সারির প্রথম বেঞ্চে বসে আছেন টিভি অভিনেতা ইরফান সাজ্জাদের স্ত্রী শারমীন। অন্য সারির শেষের দিকের বেঞ্চে বসা ইরফান সাজ্জাদ। তার কোলে বসে আছে একটি শিশু।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ইরফান সাজ্জাদ তার ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করেন। তাতে এমন লুকে ধরা দিয়েছেন এই দম্পতি। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চা চলছে। কারণ এই ক্লাসরুমে স্ত্রী শারমীনের সঙ্গে তার প্রেমের সূচনা।
আরো পড়ুন:
পনেরো বছরে থেমে গেল শিশুশিল্পীর জীবন
সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছে ‘সহযাত্রী’
ছবির ক্যাপশনে ইরফান সাজ্জাদ বলেন, “গল্পটা শুরু এই ক্লাস রুম থেকেই। সালটা ছিল ২০০৬। আমি ছিলাম ব্যাক বেঞ্চার, সে ছিল প্রথম সারির! ঠিক এই বেঞ্চগুলোতে আমরা বসতাম! সরকারি কমার্স কলেজ চট্টগ্রাম, অ্যাকাউন্টিং ডিপার্টমেন্টের প্রথম বর্ষের ক্লাস তখন মূল ভবনের তৃতীয় তলার ৩০৭ নাম্বার রুমে হতো।”
সময় রিক্রিয়েট করার কথা উল্লেখ করে ইরফান সাজ্জাদ বলেন, “আজকে অলমোস্ট ২০ বছর পর সময়টা রিক্রিয়েট করলাম; যদিও আমার কোলে আরো একজন ব্যাক বেঞ্চার আছে! ক্লাস রুমটা একই আছে, ক্লাসরুম একই থাকে শুধু চরিত্রগুলো বদলায়।”
ইরফান সাজ্জাদের সঙ্গে তার ভক্ত-অনুরাগীরাও স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েছেন নেটিজেনরা। ফারজানা ববি নামে একজন লেখেন, “আহ! সেই দিনগুলোতে নতুন করে ফিরে গেলাম যেন তোমার স্ট্যাটাস পড়ে। তোমাদের তিনজনের গল্পে আমরাও আছি কিন্তু। শারমীনসহ আবার এলে সবাইকে ডাক দিও একদিন। শিঙাড়ারার আড্ডা খুব মিস করি।”
আরেকজন লেখেন, “মৃত্যুর আগ পর্যন্ত একসাথে থাকুন, এটাই চাই ভাইয়া।” অপর্ণা বড়ুয়া লেখেন, “আমিও এ কলেজ থেকে এমবিএ শেষ করেছিলাম। আপনার অভিনয় খুব ভালো লাগে। শুভকামনা রইল আপনাদের জন্য।” এমন অসংখ্য মন্তব্য শোভা পাচ্ছে কমেন্ট বক্সে।
ঢাকা/শান্ত