চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত বাংলাদেশি কৃষক ইব্রাহিম বাবুর (২৮) মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। বিজিবি ও বিএসএফের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা জয়নগর চেকপোস্টে আজ মঙ্গলবার রাত পৌনে নয়টার দিকে দর্শনা থানার পুলিশের কাছে লাশ হস্তান্তর করে ভারতের কৃষ্ণনগর থানার পুলিশ।

ইব্রাহিম বাবুর বাড়ি চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা থানার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের ঝাঁঝাডাঙ্গা গ্রামে। পরিবারের সদস্যরা বলছেন, ২ জুলাই দুপুরে গরুর জন্য ঘাস কাটতে গিয়ে ভুল করে ভারতের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়লে বিএসএফ গুলি করে ইব্রাহিম বাবুকে হত্যা করে।

বিজিবি সূত্র জানায়, নদীয়ার কৃষ্ণনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অরিন্দম সরকার চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শহীদ তিতুমীরের কাছে লাশ হস্তান্তর করেন। পরে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এর আগে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক হয়।

ইব্রাহিম বাবুর বাবা মো.

নূর ইসলাম বলেন, ঘাস কাটার সময় ভুল করে ভারতের ভেতরে ঢুকে পড়লে বিএসএফ তাঁর ছেলেকে লক্ষ্য করে পরপর দুটি গুলি ছোড়ে। এতে তাৎক্ষণিকভাবে ইব্রাহিমের মৃত্যু হয়।

বিজিবি সূত্র জানায়, মারা যাওয়ার পর ইব্রাহিম বাবুর মরদেহ ভারতের একটি হাসপাতালে রাখা হয়। এরপর বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনার পর আজ মঙ্গলবার লাশ হস্তান্তর করা হয়।

৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজমুল হাসান লাশ হস্তান্তরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

আরও পড়ুনদর্শনা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে যুবকের মৃত্যুর খবর০২ জুলাই ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এসএফ র

এছাড়াও পড়ুন:

জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক

জঙ্গি সন্দেহে কলকাতা পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে এক বাংলাদেশি নাগরিক। মুফতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ নামে ওই বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয় পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার গয়েশপুর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকা থেকে। এরপর তাকে ফাঁড়িতে নিয়ে এসে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে। 

ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ভারত থেকে নিজের দেশে ফিরে যাননি মাসুদ। তিনি অবৈধভাবে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কাটাগঞ্জ এলাকায় বসবাস করতেন। সম্প্রতি তার বেশ কিছু কর্মকান্ডে সন্দেহ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর পরই মাসুদকে ইসলামী উগ্রপন্থী বলে দাবি করে পুলিশে অভিযোগ করা হয়। যেহেতু তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাই পুলিশ তাকে একজন অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতীয় আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে। 

বিষয়টি সামনে আসার পরই যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়িয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে কলকাতা পুলিশের পক্ষে কিছুই জানানো হয়নি। 

অন্যদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় ভারত বাংলাদেশের দিনাজপুর সীমান্ত ও ভোমরা ঘোজাডাঙা সীমান্তে এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন আরো ১১ জন বাংলাদেশি নাগরিক। 

পুলিশ ও বিএসএফের যৌথ অভিযানে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এক বাংলাদেশি নাগরিককে। আটককৃতে ওই ব্যক্তির নাম পঞ্চানন পাল। তিনি বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গা থানার বাসিন্দা। ভারতে তিনি পরিচয় বদল করে রূপায়ণ পাল নামে বসবাস করছিলেন বলে অভিযোগ। তার কাছ থেকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ছাড়াও ভারতের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ও এমনকি ভারতীয় পাসপোর্ট পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে। 

একইদিনে ভারত থেকে অবৈধ পথে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময়ে ঘোজাডাঙ্গা ভোমরা সীমান্তের কাছে সরুপনগর এলাকার তারালি সীমান্ত থেকে বিএসএফের ১৪৩নম্বর ব্যাটালিয়নের হাতে আটক হয়েছেন আরো বাংলাদেশি নাগরিক। 

সীমান্তরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে আটকের পর তাদের স্বরূপনগর থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে তিন শিশু, তিনজন পুরুষ ও চারজন নারী। এর সবাই বাংলাদেশের সাতক্ষীরা এবং খুলনার বাগেরহাটের বাসিন্দা।

সুচরিতা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক
  • চৌদ্দগ্রাম সীমান্ত দিয়ে ১৯ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল বিএসএফ