সারাদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনায় ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের চেষ্টা শক্তভাবে প্রতিহত করা হবে বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। শুক্রবার রাতে প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুকে পেজে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।

এতে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকার গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছে যে কতিপয় ব্যক্তি ও গোষ্ঠী সারাদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করছে। সরকার এ ধরনের কর্মকাণ্ড শক্তভাবে প্রতিহত করবে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকার নাগরিকদের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় প্রস্তুত। কোনো ধরনের উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হলে দায়ী ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেবে এবং দোষীদের বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করাবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সরক র সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বৈঠকে ইসি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার আগে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ এবং ভোটকেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তা বলয় নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন (ইসি) আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসেছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবসহ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ড, এনএসআই, এনটিএমসি এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিনিধিরা সভায় অংশ নেন।

ইসি সূত্র জানায়, আজকের বৈঠকে ভোটের আগে ও পরে কতদিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে থাকবে, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় কতজন সদস্য মোতায়েন হবে—এসব বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। একই সঙ্গে ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে একটি সমন্বিত ডেপ্লয়মেন্ট স্ট্র্যাটেজি অনুমোদন করা হবে।

এর আগে বুধবার বিজিবির ‘নির্বাচনি মহড়া’ পরিদর্শন শেষে সিইসি নাসির উদ্দিন বলেন, “দেশের বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রকে রেড, ইয়েলো ও গ্রিন জোনে ভাগ করা হবে। ঝুঁকির মাত্রা অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা নির্ধারণ করা হবে। আজকের বৈঠকেই সে স্ট্র্যাটেজি চূড়ান্ত করা হবে।”

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খন্দকার মো. মাহাবুবুর রহমান, ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী, আনসার ভিডিপির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আব্দুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ, ডিবিএফআই মহাপরিচালক মেজর জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম, বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, র‍্যাব মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান, এসবির প্রধান মো. গোলাম রসুল এবং সিআইডির অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মো. ছিবগাত উল্ল্যাহ।

এছাড়া, সেনা, নৌ, বিমানবাহিনী, কোস্টগার্ড ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/এএএম/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ