সারাদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনায় ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের চেষ্টা শক্তভাবে প্রতিহত করা হবে বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। শুক্রবার রাতে প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুকে পেজে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।

এতে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকার গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছে যে কতিপয় ব্যক্তি ও গোষ্ঠী সারাদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করছে। সরকার এ ধরনের কর্মকাণ্ড শক্তভাবে প্রতিহত করবে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকার নাগরিকদের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় প্রস্তুত। কোনো ধরনের উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হলে দায়ী ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেবে এবং দোষীদের বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করাবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সরক র সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

যমুনা নদীতে বারুণীর স্নানে পুণ্যার্থীর ঢল

শিবালয়ের হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের আড়াইশ বছরের পুরোনো বারুণীর স্নান অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার যমুনা নদীর তীরে এ স্নান করার জন্য ভারতসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে লাখো পুণ্যার্থী জড়ো হন। এ উপলক্ষে নদীতীরে হাজারো পুণ্যার্থীর উপস্থিতি মিলনমেলায় পরিণত হয়।

স্নান উপলক্ষে মাসব্যাপী গ্রাম্যমেলার আয়োজন করা হয়েছে। এতে খই, বিন্নি, কসমেটিকস, নাগরদোলা, ফার্নিচারের দোকানসহ পাঁচ শতাধিক দোকান বসেছে। এ উপলক্ষে এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।

যমুনা নদীর তীরে হিন্দু ধর্মাবলম্বী পুণ্যার্থীদের নির্বিঘ্নে স্নান করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান শিবালয় মডেল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলাল উদ্দিন আলাল। জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সত্যেন কান্ত পণ্ডিত ভজন বলেন, বারুণীর স্নান উপলক্ষে পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

স্নান করতে আসা টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার আরুতী সাহা, কবিতা মণ্ডল, অঞ্জনা সরকার, মিনু দে, পাখি বসু, লিপি সরকার ও সরস্বতী ঘোষ জানান, তারা প্রায় ৪০-৫০ বছর ধরে শিবালয় যমুনা নদীর তীরে বারুণীর স্নান করে আসছেন। প্রতি বছর এভাবে পুণ্য লাভ করছেন। এভাবে হাজার হাজার পুণ্যার্থী পুণ্য লাভ করেন। 

শিবালয় বন্দর ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি ইকবাল হোসেন বলেন, বারুণীর স্নান শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য ফ্রন্টের সভাপতি নিখিল মালো জানান, এবারও বারুণীর স্নান উপলক্ষে পুণ্যার্থীদের মধ্যে গঙ্গা পূজার প্রসাদ বিতরণ করেছেন তারা।

শিবালয় থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের নিরাপদে বারুণীর স্নান করার জন্য বাড়তি পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। ইউএনও মো. জাকির হোসেন বলেন, বারুণীর স্নান উপলক্ষে পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ