ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার ভালকী গ্রামে পরকীয়ার জেরে চাঞ্চল্যকর জসিম হত্যা মামলার রায় হয়েছে। রায়ে নিহতের স্ত্রী রিতা খাতুন ও তার প্রেমিক আব্দুল মালেককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুপুরে ঝিনাইদহ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক উৎপল ভট্টাচার্য্য এ রায় ঘোষণা করেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী মামুনুর রশিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত রিতা খাতুন হরিণাকুন্ডু উপজেলার কেষ্টপুর গ্রামের জয়নাল মন্ডলের মেয়ে এবং তার পরকীয়া প্রেমিক আব্দুল মালেক একই উপজেলার কাপাশহাটিয়া ইউনিয়নের ভালকী গ্রামের জালাল মন্ডলের ছেলে।

আরো পড়ুন:

সুন্দরগঞ্জে গৃহবধূকে হত্যা: ২ নারীসহ গ্রেপ্তার ৫

কুমিল্লায় বাড়িতে হামলা করে ৩ জনকে পিটিয়ে হত্যা

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ১৭ নভেম্বর রিতা খাতুন ও তার পরকীয়া প্রেমিক আব্দুল মালেক কৌশলে বাড়ির পাশে ডেকে নিয়ে জসিম উদ্দিনকে চেতনানাশক খাইয়ে হত্যা করে। পরে ওই ঘটনায় নিহতের ভাই আব্দুর রশিদ বাদী হয়ে হরিণাকুন্ডু থানায় একটি হত্যা মামলায় দায়ের করেন।

দীর্ঘ তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই অনিশ মন্ডল আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আদালত এ রায় দেন।

রায়ে স্বামী হত্যার দায়ে অভিযুক্ত রিতা খাতুন ও তার প্রেমিক আব্দুল মালেককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদাণ্ড দেন আদালত।

বাদীপক্ষে অ্যাডভোকেট রবিউল ইসলাম, নেকবার ও এ্যাডভোকেট রিমা ইয়াসমিন এবং আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন ও গৌতম কুমার মামলাটি পরিচালনা করেন।

রায় ঘোষণার পর মামলার বাদী আব্দুর রশিদ বলেন, “আসামীদের মৃত্যুদণ্ডের রায় হলে আরো খুশি হতাম। আমরা অধিকতর শাস্তির জন্য আপিল করব।”

ঢাকা/শাহরিয়ার/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য

এছাড়াও পড়ুন:

‘দূরে থেকেও আমরা কাছে, এটাই বাস্তব’

ঢাকাই চলচ্চিত্রের ‘প্রিয়দর্শিনী’খ্যাত নায়িকা আরিফা পারভীন মৌসুমী। সোমবার (৩ নভেম্বর) ৫২ বছর বয়স পূর্ণ করলেন এই অভিনেত্রী। বিশেষ এই দিনে দেশে নেই, সন্তানদের সঙ্গে এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন মৌসুমী। 

মৌসুমী যুক্তরাষ্ট্রে থাকলেও বাংলাদেশে অবস্থান করছেন তার স্বামী ওমর সানী। সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে চিত্রনায়ক ওমর সানী কয়েকটি ছবি তার ফেসবুকে পোস্ট করে স্ত্রীকে ভালোবাসার বার্তা দিয়েছেন।  

আরো পড়ুন:

মৌসুমীকে বিয়ে করা কি ভুল ছিল ওমর সানীর

তারকাদের ব্যাংক হিসাব জব্দ

এসব ছবির ক্যাপশনে ওমর সানী লেখেন, “শুভ জন্মদিন প্রিয়দর্শিনী মৌসুমী। দূরে থেকেও আমরা কাছে এটাই বাস্তব, আর যারা আমাদেরকে নিয়ে উল্টাপাল্টা নিউজ করে ওরা হচ্ছে…। শুভ জন্মদিন।” 

জন্মদিনের প্রথম প্রহর থেকে ভক্ত-অনুরাগীরা প্রিয় অভিনেত্রীকে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। ওমর সানীর এই পোস্টে নেটিজেনদের পাশাপাশি শোবিজ অঙ্গনের অনেকেই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মৌসুমীকে।  

চিত্রনায়িকা মুনমুন লেখেন, “শুভ জন্মদিন প্রিয়দর্শিনী, প্রিয় অভিনেত্রী মৌসুমী আপা।” শাহনূর লেখেন, “শুভ জন্মদিন আপু।” আইরিন সুলতানা লেখেন, “শুভ জন্মদিন।” এমন অসংখ্য মন্তব্য কমেন্ট বক্সে ভেসে বেড়াচ্ছে।  

১৯৭৩ সালের ৩ নভেম্বর খুলনায় জন্মগ্রহণ করেন মৌসুমী। তার বাবার নাম নাজমুজ্জামান মনি ও মা শামীমা আখতার জামান। ছোটবেলা থেকেই অভিনেত্রী এবং গায়িকা হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন মৌসুমী। এরপর ‘আনন্দ বিচিত্রা ফটো বিউটি কনটেস্ট’ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন, যার ওপর ভিত্তি করে তিনি ১৯৯০ সালে টেলিভিশনের বাণিজ্যিক ধারার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কাজের সুযোগ পান। 

চিত্রনায়িকা হিসেবে ঢাকাই চলচ্চিত্রে মৌসুমীর অভিষেক ১৯৯৩ সালে সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমার মাধ্যমে। এ সিনেমায় সালমান শাহর সঙ্গে জুটিবদ্ধ হন এ অভিনেত্রী। প্রথম সিনেমাতে নিজেদের মেধার জানান দেন সালমান শাহ ও মৌসুমী। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। দুজনই ঢালিউডে নিজেদের অবস্থান তৈরি করে নেন। তারপর তিন দশকের বেশি সময় ধরে ঢালিউডে মেধার দ্যুতি ছড়াচ্ছেন মৌসুমী। 

নারগিস আক্তার পরিচালিত ‘মেঘলা আকাশ’ ও চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত ‘দেবদাস’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য এই অভিনেত্রী পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ