নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ইসলামি যুব আন্দোলন বাংলাদেশ থানা শাখার উদ্যোগে তিন শতাধিক পথচারী রোজাদার মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করা হয়েছে। বুধবার (২৬ মার্চ) বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জ পুল, ২ নম্বর বাসস্ট্যান্ড ও চৌধুরী বাড়ি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়।

ইসলামি যুব আন্দোলন বাংলাদেশ সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সভাপতি মুহাম্মদ সাহিদুর রহমানের নেতৃত্বে ইফতার বিতরণে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ মোমেন ইসলামসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় থানা সভাপতি মুহাম্মদ সাহিদুর রহমান বলেন, ইসলামি যুব আন্দোলন মানুষের কল্যাণে, ইসলাম, দেশ ও মানবতার স্বার্থে রাজনীতি করে। সেই ধারাবাহিকতায় আজকে রোজাদার পথচারীদের মাঝে ইফতার বিতরণ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, পবিত্র রমজান মাসে অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোই আমাদের মূল লক্ষ্য। ভবিষ্যতেও এ ধরনের মানবিক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ ইফত র ব তরণ স দ ধ রগঞ জ ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

যেভাবে বাংলাদেশের প্রেমে পড়ল এই মার্কিন পরিবার

বাংলাদেশ-ভারত ফুটবল ম্যাচ। শুরু থেকেই টানটান উত্তেজনা। ১১ মিনিটের মাথায় শেখ মোরছালিনের গোল গ্যালারির বাংলাদেশের সমর্থকদের পাগল করে তুলল। টিভি পর্দায় তখন ভিনদেশি এক পরিবারকে বাংলাদেশের জন্য গলা ফাটাতে দেখা গেল। ওই পরিবারের সাত সদস্য বেঙ্গল টাইগারের আদলে সেজেছেন।

মা–বাবা আর পাঁচ শিশুসন্তান। কারও মাথায় লাল-সবুজ ব্যান্ডানা। কারও গালে বাংলাদেশের পতাকা। টিভি পর্দায় আরও কয়েকবারই তাঁদের দেখা গেল। পরিবারটির পরিচয় জানার কৌতূহল হলো। পরে ফেসবুকের মাধ্যমে খুঁজে পেলাম ‘জ্যাকব ভাইয়া’ নামে একটি পেজ। সেই সূত্রেই জানা গেল পরিচয়।

ভিনদেশি এই দম্পতি হলেন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক জ্যাকব বার্লিন আর জয়া বার্লিন। তবে বাংলাদেশই এখন তাঁদের আপন ঠিকানা। জ্যাকব পেশায় কাউন্সেলিং সাইকোলজিস্ট। ঢাকার গুলশানে তাঁর কাউন্সেলিং সেন্টার আছে।

এ ছাড়া ‘অ্যাকশন-জয় এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড’ নামে বাংলাদেশে নিজেদের একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানও গড়ে তুলেছেন জ্যাকব–জয়া। ফরিদপুরের সুবিধাবঞ্চিত নারীদের তৈরি বিভিন্ন সামগ্রী যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রি করেন তাঁরা।

পরিবারটির সঙ্গে আলাপ–পরিচয় করতে একদিন গুলশানে জ্যাকবের কাউন্সেলিং সেন্টারে হাজির হই। প্রথমে এলেন জয়া বার্লিন, কিছুক্ষণ পর আড্ডায় যোগ দিলেন জ্যাকব। জ্যাকবের পরনে কালো পাঞ্জাবি আর গ্যাবার্ডিন প্যান্ট। জয়া পরেছিলেন সালোয়ার–কামিজ। দুজনের পোশাক আর ঝরঝরে বাংলা শুনে ভুলেই গিয়েছিলাম, ভিনদেশি কোনো দম্পতির সঙ্গে আড্ডা চলছে।

আনন্দ–হাসি–খুশি–সুখী–মিষ্টিবাংলাদেশি সাজে বার্লিন পরিবার

সম্পর্কিত নিবন্ধ