ঢাকা কলেজের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, সিটি কলেজ দুই দিন বন্ধ ঘোষণা
Published: 22nd, April 2025 GMT
রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব মোড়ে ঢাকা কলেজ ও ঢাকা সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। আগামী দুই দিন সিটি কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১২টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত দফায় দফায় শিক্ষার্থীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে অবস্থান নেয়। দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। পুলিশও লাঠিপেটা ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে শিক্ষার্থীদের রাস্তা থেকে দফায় দফায় সরিয়ে দেয়। বেলা ৩টার পর থেকে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়।
সায়েন্স ল্যাব মোড়ে ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলে।আজ মঙ্গলবার দুপুরে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: কল জ র
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাবির ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বাজেট প্রকাশ, অবহেলিত গবেষণা ও স্বাস্থ্য খ
২০২৫-২৬ অর্থবছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জন্য ১ হাজার ৩৫ কোটি ৪৫ লাখ টাকার প্রস্তাবিত বাজেট প্রকাশ করা হয়েছে। তবে এ বাজেটে বড় কোনো ধরনের সংস্কার বা মৌলিক উন্নয়ন ভিত্তিক কোনো পরিকল্পনা দেখা যায়নি।
গবেষণা খাত, স্বাস্থ্য খাত, মূলধন অনুদানসহ বেশ কয়েকটি খাত একেবারেই অবহেলিত থাকতে দেখা গেছে।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনস্থ অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক বাজেট উপস্থাপন শীর্ষক এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বছরের প্রস্তাবিত বাজেট সম্পর্কে বিস্তারিত জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম জাহাঙ্গীর আলম।
আরো পড়ুন:
বাজেটের ত্রুটি সংশোধনের আহ্বান
নির্দেশনামূলক বাজেট দিতে অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ: এবি পার্টি
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ১ হাজার ৩৫ কোটি ৪৫ লাখ টাকার মধ্যে সরকার থেকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের মাধ্যমে ৮৮৩ কোটি ৪ লাখ টাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ৯০ কোটি টাকা আয়ের পরিকল্পনা ঢাবি প্রশাসনের। এ হিসাবে বাজেটে ঘাটতি দেখানো হয়েছে ৬২ কোটি ৪১ লাখ টাকা। অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন থেকে প্রত্যাশিত অর্থ মোট প্রস্তাবিত বাজেটের শতকরা ৮৫.২৮ ভাগ, অভ্যন্তরীণ উৎস ৮.৬৯ ভাগ এবং ঘাটতি ৬.০৩ ভাগ।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে ঢাবির সংশোধিত বাজেট ছিল ৯৯৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকা; বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন থেকে পায় ৮১৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা, অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে পায় ১১০ কোটি টাকা এবং ঘাটতি ছিল ৬৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাজেট ছিল ৯২ হাজার ৭৬৭ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।
২০২৫-২৬ অর্থবছরে মোট বেতন বাবদ সহায়তা খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২৯৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা, যা মূল বাজেটের ২৮.৩৪ ভাগ। মোট ভাতাদি বাবদ সহায়তা খাতে বরাদ্দ পেয়েছে ২১৫ কোটি ৯১ লাখ ৪৩ হাজার টাকা, যা মোট বাজেটের ২০.৮৪ ভাগ।
মোট পণ্য ও সেবা বাবদ সহায়তা খাতে বরাদ্দ পেয়েছে ২৮৫ কোটি ৯৮ লাখ ২২ হাজার টাকা, যা মোট বাজেটের ২৭.৬২ ভাগ। পেনশন স্কিম বাবদ সহায়তা ধরা হয়েছে ১৩৮ কোটি ৮৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা, যা মোট বাজেটের ১৩.৪১ ভাগ।
গবেষণা অনুদান এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা বাবদ সহায়তা খাতে যথাক্রমে ২১ কোটি ৫৭ লাখ টাকা এবং ১ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, যা যথাক্রমে মোট বাজেটের ২.০৮ ভাগ ও ০.১০ ভাগ। অন্যান্য অনুদান হিসেবে দেখানো হয়েছে ৩৪ কোটি ৩১ লাখ ৯০ হাজার টাকা, যা মোট বাজেটের ৩.৩১ ভাগ।
যন্ত্রপাতি, যানবাহন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং অন্যান্য মূলধন অনুদান বাবদ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে যথাক্রমে ৩৫ কোটি ৪১ লাখ ৯৫ হাজার টাকা, ১৬ কোটি ৮ লাখ টাকা, ৪২ কোটি টাকা এবং ৩০ কোটি টাকা, যা যথাক্রমে মূল বাজেটের ৩.৪২ ভাগ, ০.১৬ ভাগ, ০.৪১ ভাগ এবং ০.২৯ ভাগ।
২০২৪-২৫ অর্থ বছরের তুলনায় ২০২৫-২৬ অর্থবছরে পণ্য ও সেবা বাবদ সহায়তা খাতে ৬৫ কোটি ৪৩ লাখ ১৭ হাজার টাকা (৬.৯২ ভাগ), পেনশন ও অবসর সুবিধা খাতে ২৩ কোটি ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা (২.৪৫ ভাগ), গবেষণা অনুদান খাতে ১ কোটি ৫২ লাখ (০.১৬ ভাগ), প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা সহায়তা খাতে ২৫ লাখ টাকা (০.০৩ ভাগ), যন্ত্রপাতি অনুদান খাতে ৭ কোটি ৬৬ লাখ ৯৫ হাজার টাকা (০.৮১ ভাগ) এবং অন্যান্য মূলধন অনুদান খাতে ১ কোটি টাকা (০.১১ ভাগ) বেশি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
২০২৪-২৫ অর্থ বছরের তুলনায় ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বরাদ্দ কম দেওয়া হয়েছে বেতন বাবদ সহায়তা খাতে ৫ কোটি ৬৯ লাখ টাকা (০.৬০ ভাগ), ভাতা বাবদ সহায়তা খাতে ২৫ কোটি ১ লাখ ৫৭ হাজার টাকা (০.২৭ ভাগ), অন্যান্য অনুদান খাতে ৪৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা (০.০৫ ভাগ) এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অনুদান খাতে ১০ লাখ টাকা (০.০১ ভাগ) টাকা।
বিগত বছরে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি অনুদান খাতে ৪৬০ কোটি টাকা (০.৪৬ ভাগ) বরাদ্দ থাকলেও তা এবার ৪২০ কোটি টাকা (০.৪১ ভাগ) বরাদ্দ রাখা হয়েছে। বিগত বছরে এ খাতে উদ্বৃত্ত ছিল বলে বরাদ্দ বেশি ছিল এবং এবার উদ্বৃত্ত নেই তাই বরাদ্দ কম হয়েছে- এমনটাই ভাষ্য প্রশাসনের। তবে সারা বিশ্ব যেখানে তথ্যপ্রযুক্তিতে এগিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর এবং বাজেট বাড়াতে দায়িত্বশীল, সেখানে ঢাবিতে এ খাতে বাজেট কমেছে।
গত বছর যানবাহন বাবদ কোনো অনুদান না রাখলেও এবার রাখা হয়েছে ১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। মোট ভাতাদি বাবদ সহায়তা খাতে শিক্ষা ভাতা, চিকিৎসা ভাতা, টিফিন ভাতা, ধোলাই ভাতা, অধিকাল ভাতা ও বাংলা নববর্ষ ভাতা কমালেও বাড়ানো হয়েছে বাড়ি ভাড়া ভাতা এবং উৎসব ভাতা।
বিগত বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে অর্জিত রাজস্ব ১১০ কোটি টাকা (১১.০৭ ভাগ) থাকলেও এবার তা কমিয়ে ৯০ কোটি টাকা (৮.৬৯ ভাগ) বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী