খুঁটিতে বেঁধে হাত-পা বিচ্ছিন্ন করে বিএনপি কর্মীকে হত্যা: মূল হোতাসহ গ্রেপ্তার ৭
Published: 24th, April 2025 GMT
ফেনীর সোনাগাজীতে আবুল হাশেম (৫৫) নামে খুঁটিতে বেঁধে হাত-পা বিচ্ছিন্ন করে বিএনপি কর্মীকে হত্যার ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারীসহ সাতজন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ও বুধবার নোয়াখালী ও সোনাগাজীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল বুধবার বিকেলে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন- হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী আক্তার হোসেন (৩৫), রাকিব (২৫), সোলেমান (৪৫), শেখ রাসেল (৩০), শিপন (৩০), বেলায়েত হোসেন (৩০) ও আবুল হোসেন (৪৬)।
পুলিশ সূত্র জানায়, চার বছর আগের বিরোধের জেরে বিএনপি কর্মীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনাটি পরিকল্পিত। মঙ্গলবার ভোরে সোনাগাজী উপজেলার ওলামা বাজার এলাকায় বোরকা পরা একদল দুর্বৃত্ত আবুল হাসেমের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে। সেখানে রাস্তার পাশের একটি বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে বেঁধে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার বাম হাত ও পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে তারা। পরে তাকে সড়কে ফেলে চলে যায় হামলাকারীরা। এ ঘটনায় সোনাগাজীর চরদরবেশ ও নোয়াখালীর চরজব্বার এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এছাড়া বেলায়েত হোসেনকে দাগনভুইয়া থেকে এবং আবুল হোসেনকে চর দরবেশ গ্রাম থেকে বুধবার দুপুরে গ্রেপ্তার করা হয়। আক্তার ও রাকিবের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার দুপুরে ঘটনাস্থলের পাশ থেকে তিনটি বোরকা, রক্তমাখা দুটি লোহার রড, একটি দা ও ওড়না উদ্ধার করে পুলিশ।
এ দিকে নিহতের বাবা আব্দুস শুক্কুর বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় আরও পাঁচজনকে আসামি করে সোনাগাজী থানায় হত্যা মামলা করেছেন।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি বায়েজিদ আকন বলেন, বুধবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ হত য গ র প ত র কর
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে হামলার মামলায় গ্রেপ্তার ৫ জন কারাগারে
রাজধানীর উত্তরায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বহনকারী ‘ক্ষণিকা’ বাসে হামলার ঘটনায় করা মামলায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আজ বুধবার আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠান।
বাসে হামলার এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন বিভাগের একজন কর্মকর্তা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন।
উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আজ ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করে উত্তরা পশ্চিম থানা–পুলিশ। পরে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
ওসি হাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত একজনের পরিকল্পনায় নাশকতার উদ্দেশ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বহনকারী ক্ষণিকা বাসে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে মামলা হয়। সেই মামলায় জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পেয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি হাফিজুর রহমান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তির তথ্য বলছে, গত রোববার (২৭ এপ্রিল) উত্তরার বিএনএস সেন্টারের সামনে বিআরটিসির ট্রাকের চাপায় একজন এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা। এ সময় কিছু শিক্ষার্থী ও বহিরাগত ব্যক্তিরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বহনকারী ক্ষণিকা বাসে হামলা ও ভাঙচুর চালান। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন।
জনসংযোগ দপ্তর আরও বলেছে, হামলার ঘটনায় অভিযোগ জানাতে মঙ্গলবার রাতে উত্তরা পশ্চিম–থানায় যান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান ও প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদ। উপাচার্য শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার বিষয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের আটক করতে অনুরোধ করেন।
আরও পড়ুনঢাবির ‘ক্ষণিকা’ বাসে হামলা, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও ছাত্রসংগঠনগুলোর নিন্দা২২ ঘণ্টা আগে