ভারতীয় অভিনেত্রী শিরিন মির্জা মা হতে যাচ্ছেন। বেবি বাম্পের ছবির সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করে আনন্দের খবরটি জানান এই অভিনেত্রী।
স্বামী হাসান সারতাজের সঙ্গে বেবিবাম্প ফটোশুটের ছবি ও ভিডিও ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন শিরিন। এর ক্যাপশনে লেখেন, “আল্লাহ আমাদের দোয়া শুনেছেন, সঠিক সময় সুসংবাদ দিয়েছেন। নতুন অতিথি আসছে, আমরা জীবনের নতুন অধ্যায়ে প্রবেশের অপেক্ষায়; মা-বাবা হিসেবে আগামীর পথচলা শুরুর অপেক্ষায়। আমাদের জন্য প্রার্থনা করবেন।”
এরপর থেকে ভক্ত-অনুরাগীদের পাশাপাশি তার সহশিল্পীদের শুভেচ্ছা বার্তায় ভাসছেন শিরিন। এ তালিকায় রয়েছেন— সুমিত শর্মা, অদিতি ভাটিয়া, আলী গনি প্রমুখ। ২০২১ সালে বিয়ে করেন এই দম্পতি।
আরো পড়ুন:
কাশ্মীরে হামলা: পাকিস্তানি অভিনেতার সিনেমা মুক্তিতে বাধা
বিতর্কিত ‘জাট’: সানির সাফল্য অব্যাহত
২০১০ সালে এমটিভির ‘গার্লস নাইট আউট’ প্রতিযোগিতা দিয়ে শিরিনের যাত্রা শুরু। এরপর ছোট পর্দায় বেশ কিছু কাজ করেন। এর মধ্যে আছে ‘ইয়ে হ্যায় আশিকি’, ‘২৪’, ‘ধাই কিলো প্রেম’ প্রভৃতি। তবে ‘ইয়ে হ্যায় মোহাব্বতে’ সিরিয়ালে ‘শিম্মি ভাল্লা’ চরিত্রে অভিনয় করে ছোট পর্দার দর্শকদের কাছে ব্যাপক পরিচিতি পান শিরিন।
‘ম্যায় নাহি আন্না’, ‘নট টুডে অ্যান্ড’, ‘লাভ ট্রেনিং’সহ বেশ কয়েকটি সিনেমাও করেছেন শিরিন। তবে তার অভিনীত কোনো সিনেমাই তেমন সাড়া ফেলতে পারেনি।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
১৭ মাস পর দেশের মাটিতে টেস্ট জয় বাংলাদেশের
প্রায় দেড় বছর পর দেশের মাটিতে টেস্ট জয়ের স্বাদ পেল বাংলাদেশ। চট্টগ্রামে দ্বিতীয় টেস্টে জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ও ১০৬ রানে হারিয়ে সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করল টাইগাররা। ঘরের মাঠে ১৭ মাস ও টানা ছয়টি টেস্টে জয়বিহীন থাকার হতাশা ভুলিয়ে দিল এই দুর্দান্ত সাফল্য।
বাংলাদেশের জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান মেহেদী হাসান মিরাজের। প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে তুলে নেন সেঞ্চুরি, এরপর বল হাতে দ্বিতীয় ইনিংসে শিকার করেন ৫ উইকেট। টেস্ট ক্রিকেটে এটি তার ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা পারফরম্যান্স। মিরাজ ছাড়াও ৯ উইকেট শিকার করে ম্যাচে বড় অবদান রাখেন তাইজুল ইসলাম, আর ওপেনার সাদমান ইসলামও তুলে নেন দারুণ এক সেঞ্চুরি।
প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়ে করে ২২৭ রান। জবাবে টাইগাররা তোলে ৪৪৪ রান, পায় ২১৭ রানের লিড। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১১১ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। ফলে মাত্র তিন দিনেই টেস্ট জয়ের উৎসবে মাতে স্বাগতিকরা।
বল হাতে টাইগারদের শুরুটা এনে দেন তাইজুল ইসলাম। ইনিংসের সপ্তম ওভারে ব্রায়ান বেনেটকে ফেরান স্লিপে সাদমানের হাতে ক্যাচ করিয়ে। একই ওভারে এলবিডব্লিউ করেন নিক ওয়েলচকে, রিভিউ নিয়ে পান উইকেটটি। এরপর উইলিয়ামসকেও বিদায় করেন অফ স্পিনার নাঈম ইসলাম, দ্বিতীয় স্লিপে সাদমানের হাতেই ধরা পড়েন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার।
চতুর্থ উইকেটে আরভিন-কারেন জুটি কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও, মিরাজ এসে ভেঙে দেন সেই জুটি। এক ওভারেই ফেরান আরভিন ও মাদেভারেকে। এরপর তাফাদওয়া সিগা, মাসাকাদজা ও কারেনকে ফিরিয়ে ইনিংসে নিজের ফাইফার পূর্ণ করেন মিরাজ। তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে এক টেস্টে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েন তিনি, সাকিব আল হাসান ও সোহাগ গাজীর পাশে নাম লেখান।
শেষ দিকে আবার বল হাতে ফিরে রিচার্ড এনগারাভাকে ফেরান তাইজুল। এরপর রানআউটের মাধ্যমে শেষ হয় জিম্বাবুয়ের ইনিংস। এই জয়ে শুধু সিরিজে সমতায়ই ফিরেনি বাংলাদেশ, বরং দেশের মাটিতে দীর্ঘ দিনের টেস্ট জয়ের অপেক্ষাও ঘুচিয়েছে।