বিশ্ব ফ্যাশন দুনিয়ার সবচেয়ে আলোচিত ও জমকালো ইভেন্ট মেট গালা। এবারের আসর শুরু হতে আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। ভক্তরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন তাদের প্রিয় তারকাদের থিম অনুযায়ী চোখ ধাঁধানো পোশাকে দেখার জন্য। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, যেসব তারকারা অংশ নিতে যাচ্ছেন তাদের নামও প্রকাশ্যে এসেছে। এ তালিকায় রয়েছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, ডেমি মুর, শাকিরা, জেন্ডায়া, নিক জোনাসসহ আরও অনেকে।

প্রতি বছরের মতো এবারও মে মাসের প্রথম সোমবার অনুষ্ঠিত হবে মেট গালা। এবারের থিম ‘সুপারফাইন: টাইলোরিং ব্ল্যক স্টাইল’ এবং ড্রেস কোড নির্ধারিত হয়েছে ‘টাইলোরিং ফর ইউ’।

পেজ সিক্স-এর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, এবারের ইভেন্টে উপস্থিত থাকবেন সংগীতশিল্পী ম্যাডোনা এবং স্টিভি ওয়ান্ডার। ডায়ানা রোজ উপস্থিত থাকবেন তার কন্যা ট্রেসি এলিস রস এবং পুত্র ইভান-কে সঙ্গে নিয়ে। কো-চেয়ার ফ্যারেল উইলিয়ামস-এর আমন্ত্রণে আসবেন লরিন হিল।

রেড কার্পেটে দেখা যাবে আরও বহু তারকাকে। তাদের মধ্যে আছেন বেবে রেক্সা, নিক জোনাস, শাবুজি, অ্যাঞ্জেলা ব্যাসেট এবং ডেমি মুর। অন্যান্য অতিথির তালিকায় রয়েছেন ক্রিস রক, জিমি ফেলন, অ্যাড্রিয়েন ওয়ারেন, সারা স্নুক, ওয়ালটন গগিনস, অ্যাডাম স্কট এবং ক্যালেব ম্যাকলাফলিন। অতিথিদের সাক্ষাৎকার নেবেন ইগো এনউডিম।

এছাড়া শাকিরা, লিজো, মেরি ব্লাইজ, অ্যাশলি গ্রাহাম এবং অ্যামেলিয়া গ্রে-ও ইভেন্টে থাকবেন। ক্রীড়াবিদদের মধ্যে অংশ নিচ্ছেন পেইজ বুকার্স এবং মাইলস চ্যামলি-ওয়াটসন।

সবচেয়ে প্রতীক্ষিত দুই তারকার মধ্যে একজন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া এবং অন্যজন জেনডায়া। হলিউড রিপোর্টার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, প্রিয়াঙ্কা এবারে কাস্টম বালমেইন কৌতুর পোশাক পরবেন। এছাড়া বুলগারির গয়না পরবেন। কারণ, তিনি ব্র্যান্ডটির গ্লোবাল অ্যাম্বাসেডর। এটি তার পঞ্চম মেট গালা উপস্থিতি। তিনি প্রথম আমন্ত্রণ পান ২০১৬ সালে এবং আত্মপ্রকাশ করেন ২০১৭ সালে।

প্রিয়াঙ্কার সব মেট গালা লুকই থিম-অনুযায়ী হয় এবং প্রায়শই সেরা পোশাকের তালিকায় উঠে আসে। এবার তিনি কী পরবেন, তা জানার জন্য ভক্তরা বেশ উত্তেজিত। অন্যদিকে, জেনডায়া কোন ব্র্যান্ডের পোশাক পরবেন তা এখনো প্রকাশ্যে আসেনি, তবে তাঁর স্টাইলিস্ট নিশ্চিত করেছেন যে তিনি উপস্থিত থাকছেন।

গত বছর কো-চেয়ার হিসেবে জেনডায়া দুইটি আলাদা ও অনন্য পোশাকে উপস্থিত হয়ে নজর কেড়েছিলেন। এবারের কো-চেয়াররা হলেন-কোলম্যান ডোমিঙ্গো, লুইস হ্যামিল্টন, ফ্যারেল উইলিয়ামস এবং এএসএপি রকি। লেব্রন জেমস থাকছেন অনারারি চেয়ার হিসেবে।

রিহানাও উপস্থিত থাকবেন, যেহেতু তার সঙ্গী রকি এবারের কো-চেয়ার। তবে নিশ্চিতভাবে দুজন তারকা অংশ নিচ্ছেন না-ব্লেক লাইভলি এবং জিসেল বানচেন। ব্লেক বর্তমানে নিজের প্রকল্পের প্রচার এবং একটি মামলার আইনি বিষয় নিয়ে ব্যস্ত। অন্যদিকে, জিসেল সদ্য সন্তান জন্ম দিয়েছেন। সূত্র: কইমই।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উপস থ ত থ অন য য পরব ন

এছাড়াও পড়ুন:

গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া দলও কি স্বৈরাচারী হয়ে উঠতে পারে

১৫ বছর ধরে অনেক ব্যক্তি, রাজনৈতিক দল আর সংগঠন মিলে স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য চেষ্টা করে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে শেখ হাসিনার শাসনের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতা রাস্তায় নেমে আসেন।

এর ফলে হাসিনা সরকারের পতন হয় ও তিনি এবং তাঁর দলের কর্মীরা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। এ পরিবর্তন শুধু একটা সরকারের পরিবর্তন নয়, বরং দীর্ঘ সময়ের ভয় ও দমনের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের সাহস, আশা ও গণতান্ত্রিক চেতনার একটি বড় জয় ছিল।

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দেখা যায়, কিছু গোষ্ঠী ও রাজনৈতিক দল এই আন্দোলনের সফলতাকে শুধু নিজের নামে দাবি করতে শুরু করে। কেউ কেউ বলতে থাকে, তাদের কারণেই সরকার পতন ঘটেছে। তাই তারাই ভবিষ্যতে ক্ষমতার একমাত্র ভাগীদার।

আবার কিছু ধর্মীয় বা আদর্শিক গোষ্ঠী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে নিজেদের শক্তি বাড়ানোর চেষ্টা করছে, যারা আগে প্রকাশ্যে তেমন সক্রিয় ছিল না। এ ছাড়া কিছু নতুন দল, যারা আগে রাজনীতিতে খুব একটা পরিচিত ছিল না, তারাও হঠাৎ করে সামনে চলে এসেছে। তারা নিজেদের ‘নতুন শক্তি’, ‘ভিন্নধারার দল’ হিসেবে উপস্থাপন করে, কিন্তু তাদের আচরণে কখনো কখনো পুরোনো রাজনীতির কৌশলই দেখা যায়।

আরও পড়ুনশেখ হাসিনা স্বৈরশাসকদের টিকে থাকার দুটি মূলমন্ত্রেই ব্যর্থ২২ আগস্ট ২০২৪

এই আন্দোলনের সময় বিভিন্ন গোষ্ঠী একসঙ্গে থাকলেও আন্দোলনের পর তারা নিজেদের অবস্থান ঠিক করতে গিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। কেউ কেউ আবার নিজেদের মধ্যে ক্ষমতার হিসাব-নিকাশ করছে। এতে আন্দোলনের মূল চেতনা—জনগণের অধিকার, গণতন্ত্র, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা যেন ধীরে ধীরে পেছনের দিকে চলে গেছে।

এ বাস্তবতায় প্রশ্ন ওঠে, যাঁরা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছিলেন, তাঁরাই কি আবার ভবিষ্যতে ক্ষমতায় গিয়ে নতুন একধরনের স্বৈরতন্ত্রের জন্ম দেবেন?

ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। ৫ আগস্ট, ২০২৪

সম্পর্কিত নিবন্ধ