দেশের বেসরকারি খাতের অর্ধেকের বেশি ব্যাংকের বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন আটকে গেছে। ফলে এসব ব্যাংক আর্থিক প্রতিবেদন চূড়ান্ত করতে পারছে না, আবার লভ্যাংশও ঘোষণা করতে পারছে না। আর্থিক প্রতিবেদন চূড়ান্ত করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মনীতি পরিপালন করতে গিয়ে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এ কারণে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ২১টি কোম্পানি আর্থিক প্রতিবেদন চূড়ান্ত করতে সভা ডেকেও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। ফলে আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন ছাড়া কিছু ব্যাংকের সভা শেষ হয়েছে। আর কিছু ব্যাংক পর্ষদ সভা বাতিল করেছে।

একই অবস্থা রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকগুলোরও। ব্যাংকগুলোর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কোনো কোনো ব্যাংক আর্থিক প্রতিবেদন চূড়ান্ত করলেও বাংলাদেশ ব্যাংকের অনাপত্তি পায়নি। আবার কোনো কোনো ব্যাংককে অনাপত্তি দেওয়ার পর শেষ মুহূর্তে সেটি প্রত্যাহার করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে শেষ মুহূর্তে এসে কিছু ব্যাংকের পর্ষদ সভা বাতিল হয়ে যায়। শেয়ারবাজারের নিয়ম অনুযায়ী, আর্থিক বছর শেষ হওয়ার সর্বোচ্চ চার মাসের মধ্যে আর্থিক প্রতিবেদন চূড়ান্ত করতে হয়। সেই হিসাবে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর এপ্রিলের মধ্যে গত বছরের আর্থিক প্রতিবেদন চূড়ান্ত করার কথা। গত ডিসেম্বরে এসব ব্যাংকের আর্থিক বছর শেষ হয়েছে।

নিয়ম অনুযায়ী, আর্থিক বছর শেষ হওয়ার চার মাসের মধ্যে আর্থিক হিসাব চূড়ান্ত করে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর লভ্যাংশ ঘোষণা করতে হয়। কিন্তু তালিকাভুক্ত বেশির ভাগ ব্যাংকের ক্ষেত্রে এবার সেটি হয়নি। এ কারণে তালিকাভুক্ত ৩৬ ব্যাংকের মধ্যে ১৬টি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পেরেছে।

জানা যায়, গত মার্চে ব্যাংকগুলোর লভ্যাংশ ঘোষণাসংক্রান্ত নতুন নীতিমালা জারি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তাতে বলা হয়, নিরাপত্তা সঞ্চিতি সংরক্ষণে বা যথাযথ প্রভিশনিংয়ে ব্যর্থ যেসব ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বিলম্ব সুবিধা নিয়েছে, তারা ২০২৪ সালের জন্য কোনো লভ্যাংশ দিতে পারবে না। এই শর্তের বেড়াজালে আটকে গেছে বেশির ভাগ ব্যাংকের লভ্যাংশ। এ ছাড়া গত ৫ আগস্টের পর মালিকানা-ব্যবস্থাপনা পরিবর্তিত হওয়া ব্যাংকগুলোর লুকিয়ে রাখা খেলাপি ঋণ, নিরাপত্তা সঞ্চিতিসহ আর্থিক বিভিন্ন সূচকের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বনিবনা হয়নি। এ কারণে এসব ব্যাংক আর্থিক প্রতিবেদন চূড়ান্ত করতে পারছে না। ফলে আর্থিক প্রতিবেদন চূড়ান্ত করতে গিয়ে ব্যাংকগুলোতে হযবরল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, বর্তমান সময়ে প্রভাবশালী এক রাজনৈতিক নেতা তাঁর মালিকানায় থাকা ব্যাংকের ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা দিতে বাংলাদেশ ব্যাংককে চাপ দিয়েও সমস্যার কোনো সুরাহা করতে পারেনি। ফলে ওই ব্যাংকটির আর্থিক প্রতিবেদনও ঝুলে গেছে। এর আগে সময়মতো আর্থিক প্রতিবেদন চূড়ান্ত করতে না পারায় অনেক ব্যাংক জরিমানার মুখেও পড়েছে। এবার বেশি সংখ্যক ব্যাংক নির্ধারিত সময়ে প্রতিবেদন চূড়ান্ত করতে না পারায় এ জন্য সরকারের কাছে চিঠি দিয়ে বাড়তি সময় চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সে ক্ষেত্রে সরকারের কাছ থেকে আইনি ছাড় দেওয়ার অনুমোদন পেলে এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান প্রথম আলোকে বলেন, ব্যাংকগুলোর বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদনের সময় শেষ হয়ে গেছে। এখন সরকারের অনুমতি পেলে এসব ব্যাংককে বাড়তি সময় দেওয়া হবে। এ জন্য সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

আটকে গেছে কোন ব্যাংক

বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মে, প্রতিটি ব্যাংকের পুরো বছরের কার্যক্রম পরিদর্শন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আগে ব্যাংকগুলো নিজেরা ও বাইরের নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক কার্যক্রম নিরীক্ষা করে থাকে। এতে ব্যাংকটির প্রকৃত খেলাপি ঋণের পাশাপাশি সব ধরনের আর্থিক তথ্য পাওয়া যায়। এরপর ব্যাংক, নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বাংলাদেশ ব্যাংক মিলে আর্থিক প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে। তার ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে ব্যাংকগুলো কত লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারবে, তার সীমা নির্ধারণ করা হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, এবার দীর্ঘদিন পর পেশাদারত্বের সঙ্গে ব্যাংক পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকগুলোর অনেক প্রকল্প পরিদর্শনে যান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা। এ ছাড়া বেসরকারি খাতের ১৪টি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করা হয়। এসব ব্যাংকের বেশির ভাগ লোকসানে চলে গেছে। এর মধ্যে রয়েছে এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে থাকা ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, আল-আরাফাহ্‌ ইসলামী ব্যাংক, কমার্স ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংকের বেশির ভাগই লোকসান চলে গেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। এ ছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের নিয়ন্ত্রণে থাকা আইএফআইসি ব্যাংক, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর ইউসিবি ব্যাংক ও ব্যাংক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিএবির সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারের এক্সিম ব্যাংক, এনআরবি ও এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকও সমস্যায় পড়েছে। এসব ব্যাংকঋণ অনিয়মের নানা ঘটনা রয়েছে।

এর বাইরে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ঢাকা ব্যাংক, এবি ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকসহ আরও কয়েকটি ব্যাংক আর্থিক প্রতিবেদন চূড়ান্ত করতে পারেনি। এর মধ্যে প্রথম প্রজন্মের একটি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের একজন সদস্য প্রথম আলোকে বলেন, ‘বুধবার পরিচালনা পর্ষদের সভায় ব্যাংকটির আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন হওয়ার বিষয়টি এজেন্ডাভুক্ত ছিল। এ জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অনাপত্তি পেলেও সভা শুরুর পর জানতে পারে আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন করা যাবে না। কেন্দ্রীয় ব্যাংক অনাপত্তিপত্র ফেরত দিতে বলেছে। ফলে সভাটি আর হয়নি।’

এ ছাড়া রাষ্ট্রমালিকানাধীন সোনালী, জনতা, রূপালী, অগ্রণী, বেসিক, বিডিবিএলসহ কোনো ব্যাংক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আর্থিক প্রতিবেদন চূড়ান্ত করতে পারেনি।

চূড়ান্ত করেছে যেসব ব্যাংক

এদিকে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ৩৬ ব্যাংকের মধ্যে সিটি ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, ডাচ্‌–বাংলা, ব্যাংক এশিয়া, ইস্টার্ন ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক, মিডল্যান্ড ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামী, ট্রাস্ট ব্যাংক, উত্তরা ব্যাংক ও আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক আর্থিক প্রতিবেদন চূড়ান্ত করেছে। এর মধ্যে ১০ ব্যাংকের মুনাফা কমেছে ও ৫ ব্যাংকের বেড়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অনেক দিন পর ব্যাংকগুলোর প্রকৃত অবস্থা বেরিয়ে আসছে। আগে ব্যাংকগুলো মুনাফা বেশি দেখাতে বা লোকসান কম দেখাতে নানা কৌশল নিত। এখন সেই সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে না। এ ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর দেশের বাইরে থাকায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণও আটকে যায়।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন চ ড় ন ত কর শ য় রব জ র আর থ ক ব এসব ব য সরক র র ল ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

নিরাপদ অভিবাসন ও ন্যায্য নিয়োগ সুবিধায় ঢাকায় ওইপি উদ্বোধন

ঢাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট প্ল্যাটফর্ম (ওইপি) উদ্বোধন করেছে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। নিরাপদ অভিবাসন ও ন্যায্য নিয়োগ প্রক্রিয়া অগ্রগতির ক্ষেত্রে এটি বাংলাদেশের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।

বুধবার (১৯ নভেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে প্ল্যাটফর্মটি উদ্বোধন করা হয়।

আরো পড়ুন:

সোনালী আঁশ লিমিটেডের মুনাফা বেড়েছে ১৭.৮৮ শতাংশ

শেয়ারহোল্ডারদের নগদ লভ্যাংশ দিল ওয়ালটন

বাংলাদেশ সরকারের প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এবং সুইজারল্যান্ড সরকারের যৌথ উদ্যোগে এই প্ল্যাটফর্মটি তৈরি করা হয়েছে।

জাতীয় সমন্বিত এই ডিজিটাল গেটওয়ে শ্রম অভিবাসন প্রক্রিয়ার বিভিন্ন পক্ষকে এক প্ল্যাটফর্মে যুক্ত করবে। এর মধ্যে রয়েছেন বিদেশে যেতে আগ্রহী কর্মী, রিক্রুটমেন্ট এজেন্সি, ব্যুরো অব ম্যানপাওয়ার, এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড ট্রেনিং (বিএমইটি), টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার, বিদেশি নিয়োগকর্তা, ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ এবং প্রত্যাবর্তন ও পুনর্বাসন সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ।

এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অভিবাসন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও সেবার মান উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

একই সঙ্গে এটি দালালচক্রের ভূমিকা কমাতে এবং কর্মীদের জন্য অভিবাসন ব্যয় হ্রাসে সহায়তা করবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। পররাষ্ট্র সচিব আসাদ আলম সিয়াম, বাংলাদেশে সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন মি. ডেইপাক এলমার এবং আইএলও বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর মি. ম্যাক্স টুনন।

এছাড়া বিভিন্ন দূতাবাস, উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান, জাতিসংঘ সংস্থা, রিক্রুটমেন্ট এজেন্সি, নিয়োগদাতা সংস্থার সংগঠন, শ্রমিক সংগঠন এবং অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নিয়ামত উল্লাহ ভূঁইয়া।

উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, “নিরাপদ, স্বচ্ছ এবং কার্যকর অভিবাসনের জন্য এই উদ্যোগটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। প্রবাসীরা দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি। দেশের জন্য তাদের অবদান উল্লেখযোগ্য। তাদের এই যাত্রা নিরাপদ, সুরক্ষিত এবং সম্মানজনক করার দায়িত্ব আমাদের। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমরা এই প্ল্যাটফর্মে আরো নতুন ফিচার যুক্ত করতে পারব, যা শ্রমিক, নিয়োগকর্তা ও সরকার, সব পক্ষের জন্যই কাজে আসবে।”

পররাষ্ট্র সচিব আসাদ আলম সিয়াম বলেন, “ন্যায্য ও স্বচ্ছ নিয়োগব্যবস্থা গড়ে তোলার মাধ্যমে গন্তব্য দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক শ্রম চুক্তি আরও শক্তিশালী করা সম্ভব হবে।”

তিনি উল্লেখ করেন, “ওইপি গন্তব্য দেশগুলোর কাছে বাংলাদেশের অভিবাসন ব্যবস্থার প্রতি আস্থা বৃদ্ধি করবে, যা দীর্ঘমেয়াদে আরো বেশি সুযোগ সৃষ্টি করবে।”

আইএলও বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর মি. ম্যাক্স টুনন বলেন, “ওইপি মূলত ন্যায্য নিয়োগ নীতিমালাকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার একটি কার্যকর পদক্ষেপ। এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে তথ্য ও সেবাকে কেন্দ্রীভূত করায় রিক্রুটমেন্ট এজেন্সি আরো ভালোভাবে তদারকি করা সম্ভব হবে, কর্মীরা নির্ভরযোগ্য তথ্য পাবে এবং সামগ্রিকভাবে অভিবাসন প্রক্রিয়া আরো নিরাপদ, সুশৃঙ্খল ও নিয়মতান্ত্রিক হবে।”

বাংলাদেশে সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন মি. ডেইপাক এলমার বলেন, “শুধু প্রযুক্তি দিয়েই অভিবাসন শাসন ব্যবস্থার সমস্যাগুলো সমাধান হবে না। এই প্ল্যাটফর্মের প্রকৃত সাফল্য নির্ভর করবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান, রিক্রুটিং এজেন্সি, নিয়োগকর্তা এবং অভিবাসী নিজে কতটা দায়বদ্ধতা ও আন্তরিকতার সঙ্গে এটিতে যুক্ত হয় এবং ব্যবহার করে তার ওপর। সব অংশীজনের প্রতিশ্রুতি, দায়িত্ববোধ ও জবাবদিহিতাই শেষ পর্যন্ত এর কার্যকারিতা নির্ধারণ করবে।”

সমাপনী বক্তব্যে সিনিয়র সচিব ড. নিয়ামত উল্লাহ ভূঁইয়া বলেন, “ওইপি উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে একটি প্রকল্পের সমাপ্তি নয়, বরং শ্রম অভিবাসন ব্যবস্থাপনাকে নতুন মাত্রায় উন্নীত করার একটি নতুন পর্যায়ের সূচনা হলো। আমরা প্ল্যাটফর্মটির ফিচার আরো সমৃদ্ধ করব, প্রাতিষ্ঠানিক সমন্বয় আরো সুদৃঢ় করব এবং অংশীজনদের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাব, যাতে অভিবাসী কর্মীরা মর্যাদা, নিরাপত্তা ও আস্থার সঙ্গে তাদের বিদেশযাত্রা পরিকল্পনা করতে পারে।”

ঢাকা/এনটি/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ