সাংবাদিকের সুরক্ষা নিশ্চিতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে শুক্রবার রাতে ফেসবুক পেজে একটি পোস্টে তিনি এ আহ্বান জানান।

মেহেদী হকের একটি কার্টুন শেয়ার করে ওই পোস্টে তারেক রহমান লিখেছেন, বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে আসুন, আমরা নৈতিক ও সততার সঙ্গে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং সত্য সম্পর্কে প্রতিবেদনকারী সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য একত্রিত হই। সাংবাদিকরা গণতন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হিসেবে কাজ করেন। তাদের কাজকে অবশ্যই রক্ষা করতে হবে এবং গ্রহণ করতে হবে, কোনোভাবে হামলা বা সেন্সরের মাধ্যমে দমন করা চলবে না। বাংলাদেশে আমরা সাম্প্রতিক ক্ষমতাচ্যুত কর্তৃত্ববাদী শাসকের পৃষ্ঠপোষকতায় দমন-পীড়নের মাধ্যমে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার নিয়মতান্ত্রিক অবক্ষয় প্রত্যক্ষ করেছি।

এ প্রসঙ্গে তিনি লেখেন, সেই সময় সাহস ও প্রতিশ্রুতির সঙ্গে অনেক সাংবাদিক দুর্নীতি, মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং আর্থসামাজিক ব্যর্থতা থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের বিভিন্ন বিষয়ের ওপর আলোকপাত করেছিলেন। এই সাহসী সাংবাদিকরা সত্যের সন্ধানে, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের জন্য লড়াই করে এবং মতপ্রকাশের মৌলিক মূল্যবোধ রক্ষা করে মূলধারার গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মতামত তুলে ধরেছেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরও লেখেন,  বিএনপি সাংবাদিকতার নতুন ব্র্যান্ডে অনুপ্রাণিত, যা নৈতিকতা ও সততার সর্বোচ্চ মান বহন করে। দলের এজেন্ডার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হলেও আমরা সাহসী ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতাকে সম্মান করি। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা গণতন্ত্রের সাফল্য বা ব্যর্থতা নির্ধারণ করে। নিরপেক্ষ ও সৎ সাংবাদিকতা রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে জনস্বার্থে কাজ করে। আমাদের যদি শক্তিশালী ও স্থিতিশীল গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখতে হয়, তাহলে অবশ্যই সাংবাদিকতার অখণ্ডতা ও স্বাধীনতা বজায় রাখতে হবে। আসুন, আমরা এমন দেশ গড়ে তুলি, যেখানে সরকার মত প্রকাশের স্বাধীনতা, মানবাধিকার এবং সংবাদমাধ্যমসহ সবার জন্য আইনের শাসন নিশ্চিত করবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ ত র ক রহম ন র স ব ধ নত ব দ কত র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

মানবিক সহায়তা করিডরের সঙ্গে জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা জড়িত

জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে শর্ত সাপেক্ষে মিয়ানমারের বেসামরিক লোকজনের জন্য মানবিক করিডর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে এ বিষয়ে আলাপ-আলোচনা ও ঐকমত্য জরুরি বলে মনে করে গণতন্ত্র মঞ্চ। মানবিক সহায়তা করিডরের সঙ্গে জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা জড়িত, এ কথা উল্লেখ করে গণতন্ত্র মঞ্চ আশা প্রকাশ করেছে, যেখানে জাতীয় নিরাপত্তা জড়িত, সেখানে অন্তর্বর্তী সরকার একক সিদ্ধান্ত না নিয়ে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে।

আজ শনিবার এক যৌথ বিবৃতিতে গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতারা এসব কথা বলেছেন। মঞ্চভুক্ত দল নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু (মঞ্চের সমন্বয়ক), রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন এই বিবৃতিতে সই করেছেন।

গণতন্ত্র মঞ্চের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ইতিমধ্যে রোহিঙ্গা সংকট জটিল আবর্তে ঘুরপাক খাচ্ছে। এই সংকটের সুদূরপ্রসারী প্রভাব রয়েছে। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে মানবিক করিডর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে এ বিষয়ে আলাপ–আলোচনা ও ঐকমত্য জরুরি। মানবিক সহায়তা করিডরের সঙ্গে জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা জড়িত। দেশের স্বাধীনতা–সার্বভৌমত্বের সঙ্গে জড়িত এমন একটি স্পর্শকাতর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণকে জানায়নি। এমনকি জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও কোনো আলোচনা করার প্রয়োজন বোধ করেনি।

বিবৃতিতে বলা হয়, বিগত স্বৈরাচারী সরকার একক সিদ্ধান্তে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেয় এবং বর্তমানে প্রায় ১৫ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে বসবাস করছে। এ কারণে বাংলাদেশ নিরাপত্তাসহ সামাজিক নানা সমস্যায় জর্জরিত। সংবাদমাধ্যমের বরাতে আমরা জেনেছি, মিয়ানমার সরকার প্রথম দফায় ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে সম্মত হয়েছে। তবে এরপরই ইতিমধ্যে আরও ১ লাখ ১৩ হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের কথা শোনা যাচ্ছে। এতে করে সমস্যা আরও বাড়বে বলে আমরা আশঙ্কা করছি।

গণতন্ত্র মঞ্চ মনে করে, অনেক ত্যাগের বিনিময়ে গত বছরের ৫ আগস্ট যে নতুন বাংলাদেশের সূচনা হয়েছে, সেটি গণতান্ত্রিক, জবাবদিহিমূলক ও স্বচ্ছতার হবে। তাদের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে রাষ্ট্রের সব সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। আমরা আশা করি, যেখানে আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা জড়িত, সেখানে অন্তর্বর্তী সরকার একক সিদ্ধান্ত না নিয়ে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে। দেশের নিরাপত্তা সবার আগে। তাই স্পর্শকাতর এই বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে বলে গণতন্ত্র মঞ্চ বিশ্বাস করে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফেসবুক পোস্টে নিজের কার্টুন জুড়ে দিয়ে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা চাইলেন তারেক রহমান
  • ন্যূনতম ঐকমত্যে পৌঁছে জাতীয় নির্বাচনের দাবি ১২ দলীয় জোটের
  • কোনো কমিশনের প্রস্তাব বাতিল করার বিপক্ষে বাসদ (মার্ক্সবাদী)
  • সংস্কারের ধোঁয়া দিয়ে এই সরকারকে দীর্ঘায়িত করার সুযোগ নেই: ড. মঈন খান
  • মানবিক সহায়তা করিডরের সঙ্গে জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা জড়িত
  • বিএনপির সমর্থনে ড. ইউনূস টিকে আছেন: দুদু
  • গণতন্ত্রের আকাঙ্ক্ষা এবং বামপন্থিদের উদ্যোগ 
  • বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র আর গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র একই: গয়েশ্বর
  • পুলিশের জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েছে: সলিমুল্লাহ খান