গাজীপুরে বিস্ফোরণের ঘটনায় আরো ১ জনের মৃত্যু
Published: 4th, May 2025 GMT
গাজীপুরের বাসন থানা এলাকায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ঘটনায় পারভীন আক্তার (৩২) নামে আরো একজন মারা গেছেন। বিস্ফোরণের এই ঘটনায় দগ্ধ ৪ জন মারা গেলেন।
রবিবার (৪ মে) ভোরে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এর আগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক শিশুসহ তিন জন মারা যান।
জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক মোহাম্মদ শাওন বিন রহমান রাইজিংবিডিকে জানান, আগুনে পারভীন আক্তারের শরীরের ৩২ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিলো। তানজিলা বেগম নামে আরেক নারী চিকিৎসাধীন আছেন। তার শরীরে ৯৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
এর আগে গত ২৭ এপ্রিল সন্ধ্যায় গাজীপুরের বাসন থানা এলাকায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে নারী-শিশুসহ একই পরিবারের পাঁচ জন দগ্ধ হন। রাত ১১টার দিকে তাদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
তাদের আত্মীয় মফিজুল ইসলাম জানান, ওই দিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে রান্না করার জন্য চুলা জ্বালালে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে এবং আগুন ধরে যায়। ধারণা করা হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ ঘটেছে।
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গ্যাসের আগুনে প্রায়ই দগ্ধ হচ্ছে মানুষ। তাদের অনেকে চিকিৎসা নিতে ঢাকায় আসছেন। কিন্তু সবাইকে বাঁচানো যাচ্ছে না বলে জানান চিকিৎসকরা।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের হিসাবে, শুধু ২০২৪ সালে আগুনে দগ্ধ হয়ে ১২ হাজার ৮১১ জন রোগী জরুরি বিভাগে এসেছিলেন। তাদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হন ৪৬৮০ জন রোগী। ভর্তি রোগীদের মধ্যে মারা যান ১০০২ জন। অর্থাৎ হাসপাতালে ভর্তি হওয়া প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ঢাকা/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
স্বাধীন গণমাধ্যমই প্রশাসনের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে পারে: ইসলামী আন্দোলন
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমেদ বলেছেন, পতিত স্বৈরাচার গণমাধ্যম থেকে প্রকৃত সাংবাদিকদের উৎখাত করেছিল। ৫ আগস্টের পর সেই অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। এর প্রতিফলন দেখা গেছে বৈশ্বিক জরিপেও। কিন্তু সাংবাদিকদের জন্য নিরাপদ, স্বাধীন ও সহনশীল কর্মপরিবেশ তৈরিতে এখনো অনেক কাজ করতে হবে।
মাওলানা ইউনুস আহমেদ বলেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা একটি রাষ্ট্রের বিকাশের অপরিহার্য উপাদান। তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত না হলে নাগরিকদের মতপ্রকাশের অধিকারও ক্ষুণ্ন হয়। তাই মুক্ত গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠায় ইসলামী আন্দোলন সংগ্রাম অব্যাহত রাখবে।
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে আজ রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব এ কথাগুলো বলেছেন। ৩ মে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালিত হয়েছে। এই দিবস উপলক্ষে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ) বিশ্ব সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচক প্রকাশ করে। এই সূচকে গত বছরের তুলনায় ১৬ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। গত বছরের তুলনায় এবার সূচকের পাঁচটি বিষয়ের (ইন্ডিকেটর) প্রতিটিতে ভালো করেছে।
ফ্যাসিবাদী শাসনামলে দেশের গণমাধ্যমগুলোকে তাদের হাতিয়ারে পরিণত করা হয়েছিল বলে বিবৃতিতে বলা হয়। সেখানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব বলেন, ফ্যাসিবাদের দোসর একশ্রেণির ব্যবসায়ীর কাছে মিডিয়া হাউসগুলো (গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান) জিম্মি ছিল। অসৎ ও লোভী একদল ব্যক্তি সাংবাদিক পরিচয় ধারণ করে গণমাধ্যমে ফ্যাসিবাদের পক্ষে সমর্থন তৈরি করত, ফ্যাসিবাদের বয়ানকে সমাজে প্রতিষ্ঠা করত, ভিন্নমতের বিরুদ্ধে ‘মিডিয়া ট্রায়াল’ পরিচালনা করত। গণমাধ্যম থেকে প্রকৃত সাংবাদিকদের উৎখাত করেছিল পতিত স্বৈরাচার।
সম্প্রতি মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে অগ্রগতি আশাব্যঞ্জক হলেও সাংবাদিকদের জন্য নিরাপদ, স্বাধীন ও সহনশীল কর্মপরিবেশ তৈরিতে এখনো অনেক কাজ করতে হবে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করেন ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব। তিনি বলেন, বিশেষ করে সাইবার নিরাপত্তা আইন এবং অন্যান্য নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থার কারণে সাংবাদিকেরা যে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছেন, তা দ্রুত নিরসন করতে হবে। একটি স্বাধীন গণমাধ্যমই পারে জনগণের কণ্ঠস্বর তুলে ধরতে, প্রশাসনের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে এবং নীতিনির্ধারকদের সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করতে।
আরও পড়ুনসংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে গত বছরের তুলনায় ১৬ ধাপ এগোল বাংলাদেশ০২ মে ২০২৫মাওলানা ইউনুস বলেন, স্বাধীন গণমাধ্যম যেমন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যয়, তেমনি ব্যক্তির স্বাধীনতাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা অন্যের অধিকার হরণ করে নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠাকে স্বাধীনতা বলা যায় না। তাই মুক্ত গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সংগ্রাম চালিয়ে যাবে।