সরকারি চাকরির শর্ত লঙ্ঘন করায় কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে পাঁচটি সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজে কর্মরত পাঁচজন ইনস্ট্রাক্টরকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আজ রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরি থেকে অব্যাহতি প্রদানসংক্রান্ত কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে এ বিভাগের সংশ্লিষ্ট নিয়োগ প্রজ্ঞাপনের ‘চ’ নম্বর শর্ত অনিচ্ছাকৃতভাবে লঙ্ঘিত হওয়ায় পাঁচজন ইনস্ট্রাক্টরকে সরকারি চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো।

চাকরির ‘চ’ নম্বর শর্তে বলা ছিল, কেউ যদি চাকরিতে ইস্তফা প্রদান করেন, তবে সরকার কর্তৃক তা গৃহীত হওয়ার পূর্বে যদি তিনি তাঁর কর্তব্য কাজে অনুপস্থিত থাকেন, তবে উপানুচ্ছেদ (ঙ) অনুযায়ী তাঁর নিকট সরকারের প্রাপ্য সমুদয় অর্থ পাবলিক ডিমান্ড রিকভারি অ্যাক্ট, ১৯১৩–এর বিধান অনুসারে আদায় করা হবে এবং সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও পড়ুনমেট্রোরেলে ১২০ পদে চাকরির সুযোগ১০ ঘণ্টা আগে

অব্যাহতিপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন, নাটোরের সিংড়া সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের ইনস্ট্রাক্টর (টেক/কম্পিউটার) মো.

রবিউল ইসলাম, কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের ইনস্ট্রাক্টর (নন-টেক) পদার্থ নিত্যানন্দ রায়, রাজনগর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের ইনস্ট্রাক্টর (নন-টেক) ইংরেজি শিপন মিয়া, তিনি বর্তমানে মৌলভীবাজার সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজে কর্মরত। বাকি দুজন হলেন সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের ইনস্ট্রাক্টর (নন-টেক) মো. রুবেল পারভেজ এবং বাঞ্চারামপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের ইনস্ট্রাক্টর (নন-টেক, বাংলা) মো. লোকমান হোসাইন।

যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুনথাইল্যান্ডের এআইটি স্কলারশিপে উচ্চশিক্ষার সুযোগ, জেনে নিন সব তথ্য১০ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুনপ্রাথমিকে বৃত্তিও চালু করতে যাচ্ছি: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা০৩ মে ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র সরক র নন ট ক চ কর র

এছাড়াও পড়ুন:

ভাইয়ের জমি কিনে অর্থ আত্মসাৎ, ন্যাশনাল লাইফের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা

বাজারমূল্যের চেয়ে বেশি দামে ভাইয়ের জমি কেনার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানির চেয়ারম্যান মোরশেদ আলমসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রোববার রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, গত বুধবার দুদকের উপপরিচালক শেখ গোলাম মাওলা রাজধানীর সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার অন্য দুই আসামি হলেন মোরশেদ আলমের ছেলে বেঙ্গল কনসেপ্ট অ্যান্ড হোল্ডিংস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল আলম এবং ভাই বেঙ্গল কনসেপ্টের পরিচালক মো. জসিম উদ্দিন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৬ সালে ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার গণিপুর মৌজায় শূন্য দশমিক ৮৯৬ একর জমি ও একটি নির্মাণাধীন ১৫ তলা ভবনের চতুর্থ তলার একটি বাণিজ্যিক স্পেস কেনে।

ওই জমির মালিক ছিলেন জসিম উদ্দিন। পাওয়ার অব অ্যাটর্নি নিয়ে জমি বিক্রির দায়িত্বে ছিলেন সাইফুল আলম। আত্মীয় হওয়া সত্ত্বেও এটি গোপন রাখা হয় এবং ইনস্যুরেন্স উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) কাছে জমি কিনতে অনুমোদন দেওয়ার সময় মিথ্যা তথ্য দেওয়া হয়।

এজাহারে বলা হয়, জমিটির প্রকৃত বাজারমূল্য ছিল ৩ কোটি ৭৮ লাখ ৯৩ হাজার ৮৫৫ টাকা। তবে জাল মূল্যায়ন প্রতিবেদনে তা ৬ কোটি ৬৫ লাখ টাকা দেখানো হয় এবং সেই ভিত্তিতে পুরো অর্থ পরিশোধ করা হয়। এতে ২ কোটি ৮৬ লাখ ৬ হাজার ১৪৪ টাকা অতিরিক্ত পরিশোধ হয়, যা আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইডিআরএ-কে মিথ্যা ও ভুয়া তথ্য সরবরাহ, সরকারি মূল্যায়ন প্রতিবেদন উপেক্ষা এবং প্রতারণার অভিযোগও আনা হয়েছে।

শিল্পগোষ্ঠী বেঙ্গল গ্রুপের চেয়ারম্যান মোরশেদ আলম আওয়ামী লীগের টিকিটে নোয়াখালী-২ আসন থেকে তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। গত ৯ এপ্রিল তাঁকে ঢাকার গুলশান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আরও পড়ুনবেঙ্গল গ্রুপের চেয়ারম্যান মোরশেদ আলম গ্রেপ্তার ০৮ এপ্রিল ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ