অভিনেতা এজাজ খানের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা
Published: 5th, May 2025 GMT
ওটিটি প্ল্যাটফর্মের বিতর্কিত রিয়েলিটি শো ‘হাউজ অ্যারেস্ট’। এ শো নিয়ে ভারতজুড়ে বিতর্ক চলছে। অনুষ্ঠানটিতে যৌনতা নিয়ে খোলাখুলি মন্তব্য করায় অভিনেতা এজাজ খানের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হয়। এবার অভিনেতা এজাজ খানের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করলেন এক অভিনেত্রী।
বলিউড হাঙ্গামা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মুম্বাইয়ের চরকোপ থানায় এজাজ খানের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছেন এক অভিনেত্রী। ‘হাউজ এরেস্ট’ শো উপস্থাপনার সুযোগ করে দেওয়া এবং বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ অভিনেত্রীর।
এ অভিনেত্রী জানিয়েছেন, গত ২৫ মার্চ অভিনেতা এজাজ খানের বাড়িতে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন। এর কয়েক দিন পর অভিনেত্রীকে মারধর এবং ধর্ষণ করেন এজাজ। অভিনেত্রীকে এজাজ খান জানান, তাদের ধর্মে চার বিয়ের অনুমতি রয়েছে। আশ্বাস দেন তিনি তার সম্পূর্ণ দায়িত্ব নেবেন।
আরো পড়ুন:
সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পবনদীপ
বলিউড ইন্ডাস্ট্রিকে ‘চোর’ বললেন নওয়াজউদ্দিন
৬৪, ৬৪ (২) (এম), ৬৯ এবং ৭৪ ধারায় মামলাটি দায়ের করেছেন অভিনেত্রী। এরই মধ্যে মামলার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
অভিনেতা এজাজ খান ‘হাউস অ্যারেস্ট’ নামের অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। সেই রিয়েলিটি শোর একটি ভিডিও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে প্রতিযোগীদের সঙ্গে যৌনতা নিয়ে কথা বলতে দেখা যায় এজাজকে।
এরপরেই শুরু হয় প্রচন্ড বিতর্ক। অন্তর্জালে অভিনেতার শাস্তি ও অনুষ্ঠানটি বন্ধ করে পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করেন অনেকে। কেউ অভিযোগ করেন, ওটিটি প্ল্যাটফর্মে এ ধরনের শো প্রকাশ্যে অশ্লীলতা ছড়াচ্ছে। এরপর ওটিটি প্ল্যাটফর্ম থেকে বিতর্কিত শোটি সরিয়ে নেওয়া হয়।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
ভোলায় আবার পাঁচ রুটে বাস ধর্মঘট, অটোরিকশা ভাঙচুর-আগুন
ভোলার পাঁচ রুটে আবার অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট ডেকেছে বাস–মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়ন। রোববার বিকেল পাঁচটার দিকে সদর উপজেলার বাংলাবাজার এলাকায় যানজটে আটকে পড়াকে কেন্দ্র করে বাসশ্রমিক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকদের মধ্যে কথা–কাটাকাটি, হাতাহাতি ও সংঘর্ষ হয়। এরপর সাড়ে পাঁচটার দিকে ধর্মঘটের ডাক দেয় বাস শ্রমিক ইউনিয়ন।
সিএনজিচালিত অটোরিকশা মালিক সমিতির দাবি, বাংলাবাজারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাস–মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের কর্মীরা কয়েকটি অটোরিকশা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছেন। তবে বাস শ্রমিক ইউনিয়নের দাবি, অটোরিকশাচালকেরা পাঁচ স্থানে বাসশ্রমিকদের মারধর ও দুটি বাস ভাঙচুর করেছেন।
ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাহাদাৎ মো. হাচনাইন পারভেজ বলেন, তাঁরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন।
এর আগে গত ২৭ এপ্রিল বাস–মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়ন ভোলার পাঁচ রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়। ২৮ এপ্রিল ভোলার প্রশাসন দুই পক্ষকে ডেকে সমঝোতা করিয়ে দিলে শ্রমিক ইউনিয়ন ধর্মঘট তুলে নেয়।
প্রত্যক্ষদর্শী শ্রমিক, অটোরিকশাচালক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভোলার বাংলাবাজার সেতুর আগে দৌলতখানের জয়নগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে ভোলা-চরফ্যাশন মহাসড়কের ওপর ব্যাটারি ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা রাখায় প্রায়ই যানজট লাগে। আজ বিকেলে বিশাল যানজট লেগে গেলে বেশ কিছু বাস আটকে পড়ে। এ ঘটনায় বাসচালকেরা সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকদের দোষারোপ করলে বাসের শ্রমিক ও অটোরিকশাচালকদের মধ্যে কথা–কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এরপর ভোলায় এসে বাস–মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়ন ও বাস মালিক সমিতির নেতারা বৈঠক করে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট ডাকেন। পরে বাসশ্রমিকেরা ভোলার মোস্তফা কামাল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ভোলা-চরফ্যাশন মহাসড়কের ওপর টায়ার জ্বালান। বাস বন্ধ হলে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন। এ সময় অটোরিকশায় যাত্রী পরিবহন শুরু হলে বাসের শ্রমিকেরা কয়েকটি অটোরিকশায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন।
বাস–মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, পরিকল্পিতভাবে পাঁচটি স্থানে সিএনজিচালকেরা বাসশ্রমিকদের গায়ে হাত দিয়েছেন এবং দুটি বাস ভাঙচুর করেছেন। এ কারণে তাঁরা ধর্মঘট ডেকেছেন।
সিএনজিচালিত অটোরিকশা মালিক-শ্রমিক সমিতির সভাপতি মো. জাকির হোসেন বলেন, বাসশ্রমিকেরা ধর্মঘট ডাকার পর যাত্রী পরিবহন করায় বাসস্ট্যান্ডের মধ্যে চারটি সিএনজি নিয়ে তিনটি ভাঙচুর ও একটিতে অগ্নিসংযোগ করেন। পরে ক্ষুব্ধ চালকেরা লালমোহনে দুটি বাস আটকে রাখেন। তবে ভাঙচুর করেননি।