পূর্ণ উপজেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠার চার বছর পরও গুরত্বপূর্ণ নানা ক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছে সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলা। যার মধ্যে অন্যতম ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সেবা। এই উপজেলায় কোনো ফায়ার স্টেশন না থাকায় অগ্নিকাণ্ডের মতো ভয়াবহ দুর্ঘটনায় অসহায় হয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। অধিকাংশ ক্ষেত্রে পার্শ্ববর্তী উপজেলা থেকে সহায়তা পাওয়ার আগেই আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় সহায়-সম্পদ।
এ অঞ্চলের জনগণের দীর্ঘদিনের দুঃখ-দুর্দশা লাঘব ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ১৯৭৪ সালে গঠিত হয় মধ্যনগর থানা। প্রশাসনিক সুযোগ-সুবিধা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে পরে ২০২১ সালের ২৬ জুলাই মধ্যনগরকে উপজেলায় উন্নীত করা হয়।
এর পর থেকে গত চার বছর ধরে এই উপজেলাবাসী দাপ্তরিক নানা সুযোগ-সুবিধা ভোগ করলেও এখনও গড়ে ওঠেনি উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা। স্থাপিত হয়নি ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ জনসেবামূলক বিভাগের দপ্তর। ফলে অগ্নিদুর্ঘটনা মোকাবিলার ন্যূনতম সামর্থ্য অর্জন করেনি উপজেলাটি।
গত বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে উপজেলার বংশীকুণ্ডা উত্তর ইউনিয়নের মহিষখলা বাজারে আকস্মিক আগুনের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় মসজিদের মাইকে স্থানীয়দের দেওয়া হয় আগুন লাগার খবর। দ্রুত লোকজন ছুটে এসে বাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে হাত লাগান। তবে এর মাঝেই অনেক দোকানঘর ও মালপত্র পুড়ে যায়।
এদিকে উপজেলা প্রশাসন খবর পেয়ে পার্শ্ববর্তী নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার ফায়ার সার্ভিস স্টেশনকে অবগত করলে দমকল বাহিনী সেখানে পৌঁছায় রাত ১টায়। পরে তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তার আগেই স্থানীয় ব্যবসায়ী মুক্তার হোসেন, হেলাল মিয়া, মোবারক হোসেন, কলন্দর মিয়া, মিজানুর রহমান ও শাহজাহানের দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আর ক্ষতি হয় প্রায় কোটি টাকার।
২০২৪ সালের ৯ মে আরও একটি ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সাক্ষী হয় উপজেলাবাসী। সেদিন বিকেলে মধ্যনগর থানা ব্যারাকে আকস্মিক আগুন ধরে যায়। এতে ব্যারাকে থাকা পুলিশ সদস্যদের আসবাব, ল্যাপটপ, কাপড়সহ প্রয়োজনীয় অনেক নথিপত্র পুড়ে ছাই হয়। খবর পেয়ে ধর্মপাশা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘণ্টাখানেক পরে সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
ধর্মপাশা থেকে মধ্যনগর সদরের দূরত্ব ২০ কিলোমিটার। এই দুই উপজেলার মাঝে রয়েছে পাকা সড়ক। ধর্মপাশা ফায়ার সার্ভিসের দমকল বাহিনীকে মধ্যনগর পৌঁছতে হলে ব্যয় হওয়ার কথা সর্বোচ্চ ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট। কিন্তু অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা আর বেহাল সড়কের কারণে মধ্যনগর বাজারের বাইরে দমকল বাহিনীর অন্য কোথাও যাওয়ার সুযোগ নেই। মধ্যনগর থেকে মহিষখলার সড়ক যোগাযোগ বিছিন্ন। অন্যদিকে কলমাকান্দা থেকে মধ্যনগর সদরের দূরত্ব প্রায় ১৫ কিলোমিটার হলেও যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় শুকনো মৌসুমে কলমাকান্দা ফায়ার সার্ভিসের দমকল বাহিনী চাইলেও মধ্যনগর সদরে পৌঁছতে পারবে না। এদিকে মহিষখলার সঙ্গে কলমাকান্দার সড়ক যোগাযোগ উন্নত হয়েছে, যার কারণে মহিষখলার অগ্নিকাণ্ড সামাল দিতে কলমাকান্দার দমকল বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পেরেছে।
এখানেও রয়েছে সমস্যা। কলমাকান্দা থেকে মহিষখলার দূরত্ব ১৬ কিলোমিটার। মহিষখলা যেতে হলে কলমাকান্দা-পাঁচগাও সীমান্ত সড়ক ব্যবহার করতে হয়। কলমাকান্দা থেকে পাঁচগাও পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার সড়কই ভাঙাচোরা, খানাখন্দে ভরা। ফলে দমকল বাহিনীকে মহিষখলায় পৌঁছতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
বর্ষায় মধ্যনগরে পর্যাপ্ত পানির উৎস থাকলেও শুকনো মৌসুমে হাওর ও নদীর পানি শুকিয়ে গেলে অগ্নিকাণ্ডের সময় অসহায়ত্ব বাড়ে উপজেলাবাসীর। মধ্যনগর বাজারে শতবর্ষী ঐতিহাসিক একটি পুকুর রয়েছে। শুকনো মৌসুমে পার্শ্ববর্তী নদী শুকিয়ে গেলে এই পুকুরের পানিতেই কয়েকটি আগুনের ঘটনায় রক্ষা পেয়েছে এই বাজার। পুকুরটি রক্ষণাবেক্ষণ ও সংরক্ষণের অভাবে বছর বিশেক আগে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে করে শুকনো মৌসুমে মধ্যনগর বাজারে আগুনের ঘটনায় ঝুঁকি বেড়েছে।
একটি পূর্ণাঙ্গ উপজেলা হওয়ার পরও মধ্যনগরবাসীকে এখনও অগ্নিকাণ্ডের মতো ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবিলায় কলমাকান্দা ও ধর্মপাশা ফায়ার সার্ভিসের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে অসন্তোষ দিন দিন বাড়ছে। দ্রুত এই এলাকায় একটি ফায়ার স্টেশন স্থাপনের দাবি তাই জোরদার হয়ে উঠেছে।
বংশীকুণ্ডা উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নূরনবী তালুকদার বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে মহিষখলা বাজারে আগুনের ঘটনায় কলমাকান্দা ফায়ার স্টেশন থেকে সহায়তা দেওয়া হয়েছে। নিজেদের উপজেলায় একটি ফায়ার স্টেশন থাকলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও কম হতো।
ধর্মপাশা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সাব-অফিসার লিয়াকত আলী বলেন, ধর্মপাশা থেকে মধ্যনগর পৌঁছাতে আধা ঘণ্টারও বেশি সময় লাগে। মহিষখলার অগ্নিকাণ্ডের খবর পেলে তারা কলমাকান্দা ফায়ার স্টেশনে যোগাযোগ করতে বলেন বাধ্য হয়ে। কারণ ধর্মপাশা থেকে মধ্যনগর হয়ে মহিষখলায় যাওয়ার সুযোগ নেই।
কলমাকান্দা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সাব-অফিসার আশরাফুল ইসলাম বলেন, কলমাকান্দা থেকে পাঁচগাঁও সীমান্ত সড়ক পর্যন্ত বেহাল সড়ক পাড়ি দিয়ে এবং সীমান্ত সড়ক পার হওয়ার পর কাঁচা রাস্তা দিয়ে মহিষখলা যেতে অনেক বেগ পেতে হয়েছে। সময়ও লেগেছে বেশি।
মধ্যনগরে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপনের ব্যাপারে কোনো আগাম বার্তা নেই জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উজ্জ্বল রায় বলেন, এখনও মধ্যনগরে পর্যাপ্ত সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। ফলে এখন ফায়ার স্টেশন স্থাপনে খুব সুফল পাওয়া যাবে– বিষয়টি এমন নয়। একমাত্র সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা যথার্থ হলেই ফায়ার সার্ভিস স্টেশন পুরোপুরি সুবিধা দিতে পারবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আগ ন য গ য গ ব যবস থ সড়ক য গ য গ দমকল ব হ ন কলম ক ন দ র ঘটন য় উপজ ল ত সড়ক র সড়ক
এছাড়াও পড়ুন:
অগ্নিদুর্ঘটনায় অসহায় মধ্যনগর
পূর্ণ উপজেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠার চার বছর পরও গুরত্বপূর্ণ নানা ক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছে সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলা। যার মধ্যে অন্যতম ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সেবা। এই উপজেলায় কোনো ফায়ার স্টেশন না থাকায় অগ্নিকাণ্ডের মতো ভয়াবহ দুর্ঘটনায় অসহায় হয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। অধিকাংশ ক্ষেত্রে পার্শ্ববর্তী উপজেলা থেকে সহায়তা পাওয়ার আগেই আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় সহায়-সম্পদ।
এ অঞ্চলের জনগণের দীর্ঘদিনের দুঃখ-দুর্দশা লাঘব ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ১৯৭৪ সালে গঠিত হয় মধ্যনগর থানা। প্রশাসনিক সুযোগ-সুবিধা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে পরে ২০২১ সালের ২৬ জুলাই মধ্যনগরকে উপজেলায় উন্নীত করা হয়।
এর পর থেকে গত চার বছর ধরে এই উপজেলাবাসী দাপ্তরিক নানা সুযোগ-সুবিধা ভোগ করলেও এখনও গড়ে ওঠেনি উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা। স্থাপিত হয়নি ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ জনসেবামূলক বিভাগের দপ্তর। ফলে অগ্নিদুর্ঘটনা মোকাবিলার ন্যূনতম সামর্থ্য অর্জন করেনি উপজেলাটি।
গত বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে উপজেলার বংশীকুণ্ডা উত্তর ইউনিয়নের মহিষখলা বাজারে আকস্মিক আগুনের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় মসজিদের মাইকে স্থানীয়দের দেওয়া হয় আগুন লাগার খবর। দ্রুত লোকজন ছুটে এসে বাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে হাত লাগান। তবে এর মাঝেই অনেক দোকানঘর ও মালপত্র পুড়ে যায়।
এদিকে উপজেলা প্রশাসন খবর পেয়ে পার্শ্ববর্তী নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার ফায়ার সার্ভিস স্টেশনকে অবগত করলে দমকল বাহিনী সেখানে পৌঁছায় রাত ১টায়। পরে তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তার আগেই স্থানীয় ব্যবসায়ী মুক্তার হোসেন, হেলাল মিয়া, মোবারক হোসেন, কলন্দর মিয়া, মিজানুর রহমান ও শাহজাহানের দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আর ক্ষতি হয় প্রায় কোটি টাকার।
২০২৪ সালের ৯ মে আরও একটি ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সাক্ষী হয় উপজেলাবাসী। সেদিন বিকেলে মধ্যনগর থানা ব্যারাকে আকস্মিক আগুন ধরে যায়। এতে ব্যারাকে থাকা পুলিশ সদস্যদের আসবাব, ল্যাপটপ, কাপড়সহ প্রয়োজনীয় অনেক নথিপত্র পুড়ে ছাই হয়। খবর পেয়ে ধর্মপাশা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘণ্টাখানেক পরে সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
ধর্মপাশা থেকে মধ্যনগর সদরের দূরত্ব ২০ কিলোমিটার। এই দুই উপজেলার মাঝে রয়েছে পাকা সড়ক। ধর্মপাশা ফায়ার সার্ভিসের দমকল বাহিনীকে মধ্যনগর পৌঁছতে হলে ব্যয় হওয়ার কথা সর্বোচ্চ ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট। কিন্তু অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা আর বেহাল সড়কের কারণে মধ্যনগর বাজারের বাইরে দমকল বাহিনীর অন্য কোথাও যাওয়ার সুযোগ নেই। মধ্যনগর থেকে মহিষখলার সড়ক যোগাযোগ বিছিন্ন। অন্যদিকে কলমাকান্দা থেকে মধ্যনগর সদরের দূরত্ব প্রায় ১৫ কিলোমিটার হলেও যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় শুকনো মৌসুমে কলমাকান্দা ফায়ার সার্ভিসের দমকল বাহিনী চাইলেও মধ্যনগর সদরে পৌঁছতে পারবে না। এদিকে মহিষখলার সঙ্গে কলমাকান্দার সড়ক যোগাযোগ উন্নত হয়েছে, যার কারণে মহিষখলার অগ্নিকাণ্ড সামাল দিতে কলমাকান্দার দমকল বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পেরেছে।
এখানেও রয়েছে সমস্যা। কলমাকান্দা থেকে মহিষখলার দূরত্ব ১৬ কিলোমিটার। মহিষখলা যেতে হলে কলমাকান্দা-পাঁচগাও সীমান্ত সড়ক ব্যবহার করতে হয়। কলমাকান্দা থেকে পাঁচগাও পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার সড়কই ভাঙাচোরা, খানাখন্দে ভরা। ফলে দমকল বাহিনীকে মহিষখলায় পৌঁছতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
বর্ষায় মধ্যনগরে পর্যাপ্ত পানির উৎস থাকলেও শুকনো মৌসুমে হাওর ও নদীর পানি শুকিয়ে গেলে অগ্নিকাণ্ডের সময় অসহায়ত্ব বাড়ে উপজেলাবাসীর। মধ্যনগর বাজারে শতবর্ষী ঐতিহাসিক একটি পুকুর রয়েছে। শুকনো মৌসুমে পার্শ্ববর্তী নদী শুকিয়ে গেলে এই পুকুরের পানিতেই কয়েকটি আগুনের ঘটনায় রক্ষা পেয়েছে এই বাজার। পুকুরটি রক্ষণাবেক্ষণ ও সংরক্ষণের অভাবে বছর বিশেক আগে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে করে শুকনো মৌসুমে মধ্যনগর বাজারে আগুনের ঘটনায় ঝুঁকি বেড়েছে।
একটি পূর্ণাঙ্গ উপজেলা হওয়ার পরও মধ্যনগরবাসীকে এখনও অগ্নিকাণ্ডের মতো ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবিলায় কলমাকান্দা ও ধর্মপাশা ফায়ার সার্ভিসের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে অসন্তোষ দিন দিন বাড়ছে। দ্রুত এই এলাকায় একটি ফায়ার স্টেশন স্থাপনের দাবি তাই জোরদার হয়ে উঠেছে।
বংশীকুণ্ডা উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নূরনবী তালুকদার বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে মহিষখলা বাজারে আগুনের ঘটনায় কলমাকান্দা ফায়ার স্টেশন থেকে সহায়তা দেওয়া হয়েছে। নিজেদের উপজেলায় একটি ফায়ার স্টেশন থাকলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও কম হতো।
ধর্মপাশা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সাব-অফিসার লিয়াকত আলী বলেন, ধর্মপাশা থেকে মধ্যনগর পৌঁছাতে আধা ঘণ্টারও বেশি সময় লাগে। মহিষখলার অগ্নিকাণ্ডের খবর পেলে তারা কলমাকান্দা ফায়ার স্টেশনে যোগাযোগ করতে বলেন বাধ্য হয়ে। কারণ ধর্মপাশা থেকে মধ্যনগর হয়ে মহিষখলায় যাওয়ার সুযোগ নেই।
কলমাকান্দা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সাব-অফিসার আশরাফুল ইসলাম বলেন, কলমাকান্দা থেকে পাঁচগাঁও সীমান্ত সড়ক পর্যন্ত বেহাল সড়ক পাড়ি দিয়ে এবং সীমান্ত সড়ক পার হওয়ার পর কাঁচা রাস্তা দিয়ে মহিষখলা যেতে অনেক বেগ পেতে হয়েছে। সময়ও লেগেছে বেশি।
মধ্যনগরে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপনের ব্যাপারে কোনো আগাম বার্তা নেই জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উজ্জ্বল রায় বলেন, এখনও মধ্যনগরে পর্যাপ্ত সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। ফলে এখন ফায়ার স্টেশন স্থাপনে খুব সুফল পাওয়া যাবে– বিষয়টি এমন নয়। একমাত্র সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা যথার্থ হলেই ফায়ার সার্ভিস স্টেশন পুরোপুরি সুবিধা দিতে পারবে।