বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মঙ্গলবার লন্ডন থেকে ঢাকায় ফেরার পর তাঁকে অভ্যর্থনা জানাবেন দলের নেতা-কর্মীরা। ফলে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গুলশান পর্যন্ত যানজটের আশঙ্কা করছে পুলিশ। এমন পরিস্থিতিতে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে ছয় ঘণ্টার জন্য মোটরসাইকেল ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

সেতু বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, খালেদা জিয়ার আগমন উপলক্ষে যানজট ও ভোগান্তির কথা বিবেচনা করে ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে মোটরসাইকেল ও অটোরিকশা এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে চলতে দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সকাল ৭টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে চলতে পারবে এই দুটি যান। প্রতিটি যানের জন্য ২০ টাকা টোল দিতে হবে।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের পরিচালক এ এইচ এম সাখাওয়াত আখতার প্রথম আলোকে বলেন, মোটরসাইকেল ও অটোরিকশা চলতে দেওয়ার সিদ্ধান্তটি সাময়িক। ঢাকা মহানগর পুলিশের অনুরোধেই তাঁরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

যুক্তরাজ্যে চিকিৎসা শেষে সোমবার কাতারের আমিরের পাঠানো এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে দেশের পথে রওনা দিয়েছেন খালেদা জিয়া। কাতারের রাজধানী দোহায় যাত্রাবিরতি দিয়ে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে তাঁর। খালেদা জিয়াকে বহনকারী গাড়ি বিমানবন্দর থেকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসে না এসে নিচের রাস্তা দিয়ে গুলশানে যাওয়ার কথা। এ জন্যই এক্সপ্রেসওয়ের ব্যবহারে কিছুটা শিথিলতা আনা হয়েছে বলে সেতু বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

সোমবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, দলীয় নেতা-কর্মীরা বিমানবন্দর থেকে গুলশান পর্যন্ত অবস্থান নিয়ে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাবেন। এই পথে বিএনপি ও এর বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে কারা কোথায় অবস্থান নেবেন, তাঁরা কী করতে পারবেন, কী করতে পারবেন না—সে বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেন তিনি।

২০২৩ সালে চালুর পর থেকেই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে দুই এবং তিন চাকার যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ। তবে গত বছর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় টোল প্লাজায় ভাঙচুর ও অগ্নিকাণ্ডের পর কয়েক দিন সব ধরনের যানবাহন চলাচল করতে দেওয়া হয়। মূলত এক্সপ্রেসওয়েতে জট ও দুর্ঘটনা এড়াতেই দুই ও তিন চাকার যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এটি করা হয়েছে এর নির্মাণ ও পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের আগ্রহে।

বিমানবন্দর থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ হচ্ছে সরকারি-বেসরকারি যৌথ বিনিয়োগে (পিপিপি)। প্রায় ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই উড়ালসড়কের একাংশ চালু হয়েছে। বাকি পথের নির্মাণকাজ চলমান আছে। এক্সপ্রেসওয়েটি শুরুতে বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত চালু করা হয়। এরপর কারওয়ান বাজর পর্যন্ত তা সম্প্রসারণ করা হয়।

আরও পড়ুনখালেদা জিয়া ঢাকার উদ্দেশে লন্ডন ছেড়েছেন২ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুনখালেদা জিয়া এলে ঢাকার কোন কোন পথে অভ্যর্থনা, রিজভীর নির্দেশনা০৪ মে ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

লাঞ্চের আগে চার উইকেট নিল বাংলাদেশ

কলম্বো টেস্টের প্রথম দিন বল হাতে কর্তৃত্ব করেছে শ্রীলঙ্কা। দ্বিতীয় দিন বাংলাদেশকে শাসন করেছে ব্যাট হাতে। পাথুম নিশাঙ্কার অপরাজিত সেঞ্চুরি ও দিনেশ চান্ডিমালের সেঞ্চুরি ছোঁয়া ইনিংসে ৪৩ রানের লিড নেয় স্বাগতিকরা। তৃতীয় দিন প্রথম সেশনে লঙ্কানদের চার উইকেট নিয়েছে বাংলাদেশ। 

শ্রীলঙ্কা ১০৩ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৪০১ রান করেছে। লিড নিয়েছে ১৫৪ রানের। ক্রিজে থাকা কুশল মেন্ডিস ৪২ রান করেছেন। তার সঙ্গী সোনাল দিনুশা।

সিলভা-কামিন্দুকে ফেরানোর স্বস্তি: তৃতীয় দিন সকালেই তিন উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। নিশাঙ্কা ছাড়াও ছিলেন নাইটওয়াচ ম্যাচ প্রবাথ জয়সুরিয়া ও অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। এর মধ্যে সিলভা ৭ রান করেন। কামিন্দু মেন্ডিস ক্রিজে সেট হয়ে ৩৩ রান করে আউট হয়েছেন।  

সকালেই ফিরলেন নিশাঙ্কা: পাথুম নিশাঙ্কার ব্যাটে দ্বিতীয় দিন দাপট দেখায় শ্রীলঙ্কা। তিনি ১৪৬ রানে অপরাজিত ছিল। তৃতীয় দিন সকালে লঙ্কান ওপেনার ১৫৮ রান করে তাইজুলের বলে আউট হন। 

দ্বিতীয় দিন নিশাঙ্কা-চান্ডিমালের: দ্বিতীয় দিন সকালে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮৮ রানের ওপেনিং জুটি পায় লঙ্কানরা। লাহিরু উদারা ৪০ রান করে ফেরেন। এরপর পাথুম নিশাঙ্কা ও দিনেশ চান্ডিমাল ১৯২ রানের জুটি গড়ে ম্যাচই একপ্রকার বাংলাদেশের থেকে ছিনিয়ে নিয়েছেন। চান্ডিমাল ৯৩ রান করে আউট হন। ১০টি চারের সঙ্গে একটি ছক্কা তোলেন তিনি। 

আড়াইশ’ ছোঁয়া পুঁজি: কলম্বো টেস্টের দ্বিতীয় দিন সকালেই সাজঘরে ফেরেন এবাদত হোসেন। উপায় নেই দেখে ব্যাট চালিয়ে খেলেন তাইজুল ইসলাম। ২২০ রানে প্রথম দিন শেষ হওয়া ইনিংস ২৪৭ রানে নিয়ে যান তিনি। তাইজুল খেলেছেন ৩৩ রানের ইনিংস। 

ব্যাটারদের আত্মহনন: কলম্বোয় ৭৬ রানে বাংলাদেশ ৪ উইকেট হারায়। এনামুল বিজয় শূন্য করেন। মুমিনুল ফিরে যান ২১ রান করে। মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস দলকে সেরা ভরসাটা দিচ্ছিলেন। পুরনো বলে, সহজ হয়ে ওঠা উইকেটে তারা ৬৭ রানের জুটি দিয়ে আত্মঘাতী শট খেলে আউট হন। লিটন ৩৪ ও মুশফিক ৩৫ রান করেন। তার আগে সাদমান ইসলাম ফিরে যান ৪৬ রান করে। মেহেদী মিরাজ ৩১ রান করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ