বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা উপলক্ষে গাড়ি পার্কিং সংক্রান্ত ৭ দফা নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

গতকাল সোমবার ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনসের বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় খালেদা জিয়া দেশে ফিরবেন। তিনি ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গুলশানের বাসভবনে যাবেন। গুলশান-বনানী এলাকায় তাঁকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য অতিরিক্ত জনসমাগম হয়ে যানজট হতে পারে। তাই সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে আগত অভ্যর্থনাকারীসহ সাংবাদিকদের গাড়ি পার্কিং করার জন্য কিছু নির্দেশনা দেওয়া হলো। নির্দেশনাগুলো প্রতিপালনের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।

৭ নির্দেশনা

*বিমানবন্দরে আগত সব সাংবাদিকের যানবাহন বিমানবন্দরের বহুতল কার পার্কিংয়ে রাখা।

*বিমানবন্দরে আগত অভ্যর্থনাকারীদের যানবাহন ৩০০ ফিট রাস্তাসংলগ্ন স্বদেশ প্রোপার্টিজের খালি জায়গায় পার্কিং করা।

*গুলশানে আগত সব সাংবাদিকদের যানবাহন গুলশান সোসাইটি পার্কের আশপাশের সড়কে এক লেনে পার্কিং করা।

*গুলশানে আগত অভ্যর্থনাকারীদের যানবাহন বিচারপতি শাহাবুদ্দিন পার্কের আশপাশের সড়কে এক লেনে রাখা।

*উল্লেখিত নির্ধারিত জায়গা ছাড়া সড়ক-মহাসড়ক বা অন্য কোনো জায়গায় গাড়ি পার্কিং না করা।

*গমনাগমন রুটে কোনো যানবাহন পার্কিং না করা।

*খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে অননুমোদিত গাড়ি যুক্ত না করা।

খালেদা জিয়া ঢাকায় পৌঁছানোর পর তাঁকে পথে পথে অভ্যর্থনা জানাবেন দলীয় নেতা-কর্মীরা। এ জন্য ইতিমধ্যে দলের পক্ষ থেকে নেতা-কর্মীদের দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কথা বিবেচনায় নিয়ে নেতা-কর্মীরা যাতে সড়কে ভিড় না করে ফুটপাতে অবস্থান নেন, সে অনুরোধ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কেউ যাতে সড়কে নামতে না পারে, সে বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবস্থা নেওয়ারও অনুরোধ করেছেন তিনি।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বেনাপোল দিয়ে দুই দিনে ভারতে গেল ৫৬.২৫ মেট্রিকটন ইলিশ

অনুমোদিত ১,২০০ মেট্রিকটন ইলিশের মধ্যে সরবরাহ সীমিত থাকায় গত দুইদিনে ৫৬.২৫ মেট্রিকটন ইলিশ রপ্তানি হয়েছে। এর মধ্যে মঙ্গলবার রাতে ৩৭.৪৬ মেট্রিকটন এবং বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ১৮.৭৯ মেট্রিকটন ইলিশ ভারতে পাঠানো হয়েছে।

বেনাপোল মৎস্য কোয়ারেন্টিন অফিসার সজীব সাহা বলেন, “মাছের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে তাদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আমরা নিশ্চিত করেছি যে রপ্তানির জন্য নির্বাচিত প্রতিটি ইলিশ স্বাস্থ্যসম্মত, রোগমুক্ত এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী যোগ্য। এই পরীক্ষা ও মান নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে আমরা নিশ্চিত করতে চাই, যে প্রতিটি চালান নিরাপদ ও উচ্চমানের। এছাড়া, সরবরাহ সীমিত থাকায় দুইদিনের রপ্তানি অনুমোদিত পরিমাণের তুলনায় কম হলেও আমাদের মূল লক্ষ্য মানসম্পন্ন ইলিশ রপ্তানি বজায় রাখা।”

এর আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত বছর ৭৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৩,৯৫০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছিল। বেনাপোল ও আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে সব মিলিয়ে ইলিশ রপ্তানি হয় প্রায় ৮০২ টন। এর মধ্যে বেনাপোল বন্দর দিয়েই রপ্তানি হয় ৫৩২.৩ মেট্রিকটন।

স্থানীয় ইলিশ মাছ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান সততা ফিশ-এর ব্যবস্থাপক রেজাউল করিম বলেন, “দূর্গাপূজা ও আসন্ন উৎসবের কারণে ইলিশের চাহিদা বেশি। আমরা চেষ্টা করছি বাজার চাহিদা অনুযায়ী ইলিশ সরবরাহ বজায় রাখতে। তবে মাছের সীমিত পরিমাণ রপ্তানিতে কিছুটা বাধা থাকলেও আমাদের কার্যক্রম সচল রয়েছে।”

ঢাকা/রিটন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ