‘কভু মরে না সে জন, প্রেম যার পরানে বাঁচে—বিশ্বের পাতায় চিরস্থায়ী আমাদের এই অমরত্বের প্রেম লেখা রবে’—জাতীয় কবি কাজী নজরুলের অনুবাদে এভাবেই আমরা পারস্য কবি হাফিজ শিরাজির সঙ্গে আত্মার মেলবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছি। পারস্যের এই মহান কবি প্রেম-ভালোবাসার অফুরন্ত বন্ধনে পুরো বিশ্বকে জাগিয়ে তোলার নিরন্তর চেষ্টা করে গেছেন। যদিও জীবদ্দশায় প্রেমিকা শখে নাবাতকে হাফিজ পেয়েছিলেন কি না আমরা জানি না; এ ছাড়া শখে নাবাত নামে কোনো নারীর অস্তিত্ব আদৌ হাফিজ শিরাজির জীবনে ছিল কি না, তা-ও আমাদের অজানা।

পারস্য সাহিত্যে হাফিজই একমাত্র কবি, যিনি তাঁর প্রেমিকা শখে নাবাতকে উৎসর্গ করে রুকনাবাদ নদীর তীরে বসে অসংখ্য পঙ্‌ক্তি রচনা করেছেন? বলা হয়ে থাকে, হাফিজ রূপসী শখে নাবাতের প্রেমে মোহাচ্ছন্ন হয়ে পড়েন। এ প্রেম তাঁর মধ্যে কবিত্ব জাগিয়ে তোলে এবং প্রেমের মোহে অন্ধ হয়েই তিনি কবিতার দ্বারস্থ হন। অসংখ্য গবেষকের মত, এ ধরনের প্রমাণহীন কেচ্ছার শেষ পরিণতি হলো অহেতুক সময়ক্ষেপণ।

প্রিয় কবির সমাধিতে প্রতিদিন এভাবেই ভিড় করেন হাজারো তরুণী.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কেরানীগঞ্জে যুবদল নেতার হাতের রগ কাটা লাশ উদ্ধার

ঢাকার কেরানীগঞ্জে ডান হাতের রগ কাটা অবস্থায় সাইদুল ইসলাম (২৫) নামের এক যুবদল নেতার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সাইদুল ইসলাম কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন রোহিতপুর ইউনিয়নের ধর্মসূর এলাকার বাসিন্দা আনোয়ার হোসেনের ছেলে। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রি ছিলেন। তিনি রোহিতপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের প্রচার সম্পাদক ছিলেন।

আজ সোমবার সকালে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন তেঘরিয়া বাসস্ট্যান্ডের পাশের আলফা গলি সড়ক এলাকা থেকে সাইদুলের লাশ উদ্ধার করা হয়। সুরতহাল শেষে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সাইদুলের মামা ইব্রাহিম হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার ভাগনে সাইদুল রাজমিস্ত্রির কাজ করত। বর্তমানে কাজ না থাকায় গত দুই দিন ধরে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালাচ্ছিল। গতকাল সকালে সে অটোরিকশা নিয়ে বাসা থেকে বের হয়। এর পর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। সারা দিন খোঁজাখুঁজি করে তার সন্ধান না পেয়ে রাতে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি জিডি করেছি। আজ সকালে লোকমুখে শুনে সেখানে গিয়ে দেখি ভাগনের রগ কাটা লাশ পড়ে আছে। কে বা কারা তাকে হত্যা করেছে, জানি না। আমি হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।’

লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মহররম আলী। তিনি জানান, ডান হাতের রগ কাটা ছাড়া শরীরের আর কোনো জায়গায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ আকতার হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। তবে তাঁর অটোরিকশাটি এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। কী কারণে কে বা কারা তাঁকে হত্যা করেছে, সেটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ