সাংবাদিক শ্যামল দত্তকে জামিন দেওয়া হবে না কেন, জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট
Published: 6th, May 2025 GMT
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের সময় রাজধানীর ভাষানটেক থানায় করা হত্যা মামলায় কারাগারে থাকা ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্তকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি এ এস এম আবদুল মোবিন ও বিচারপতি কে এম রাশেদুজ্জামান রাজার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টে বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এ রুল দেন। ওই মামলায় জামিন চেয়ে শ্যামল দত্তের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে এ রুল দেওয়া হয়।
আদালতে আবেদনকারীর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী নাজমুস সাকিব। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো.
পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. হেমায়েত উল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, ভাষানটেক থানায় করা হত্যা মামলায় শ্যামল দত্তকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এর আগে ভাষানটেক এলাকায় ফজলুর (৩১) নামের এক যুবককে হত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ১৬৪ জনের বিরুদ্ধে গত বছরের ১১ সেপ্টেম্বর ওই হত্যা মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট ভাষানটেকের দিগন্ত ফিলিং স্টেশনের সামনে ছাত্র-জনতার বিজয় মিছিলে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন ফজলুর।
ময়মনসিংহের ধোবাউড়া সীমান্ত হয়ে অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার সময় সাংবাদিক মোজাম্মেল বাবুর সঙ্গে শ্যামল দত্তকে গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর আটক করেন এলাকাবাসী। পরে তাঁদের পুলিশে দেওয়া হয়। রাজধানীর ভাষানটেক থানায় করা হত্যা মামলায় শ্যামল দত্তকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এ মামলায় শ্যামল দত্তকে ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ভ ষ নট ক
এছাড়াও পড়ুন:
হেফাজতের সমাবেশে ‘নারী অবমাননার’ প্রতিবাদ উদীচীর
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসমাবেশে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সদস্যদের নামে কুৎসা রটানোর অভিযোগ করে এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। প্রকাশ্য সমাবেশে নারীদের অবমাননাকারী হেফাজত নেতাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও জানিয়েছে সংগঠনটি।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে উদীচীর নেতারা এ দাবি জানান। তাঁরা বলেন, এ ধরনের বক্তব্যের মাধ্যমে জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সম্মুখসারির নারী যোদ্ধাদের অবদানকে অস্বীকার করার অপচেষ্টা করা হয়েছে।
উদীচী বলেছে, নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের পক্ষ থেকে সম্পত্তির উত্তরাধিকারে নারী-পুরুষের সমানাধিকারসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ করা হয়েছে; যা প্রকৃতপক্ষে নারীদের প্রতি দীর্ঘকাল ধরে চলে আসা বৈষম্য অবসানের সুযোগ তৈরি করবে। কিন্তু এসবের বিরোধিতা করার মাধ্যমে প্রকৃতপক্ষে হেফাজতে ইসলাম নারীদের অগ্রগতিকে রুদ্ধ করতে চায়। এটি বাংলাদেশের সার্বিক অগ্রগতিকেই বাধাগ্রস্ত করবে।
এমন প্রেক্ষাপটে যাচাই-বাছাই শেষে নারী সংস্কার কমিশনের প্রগতিশীল সুপারিশগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে উদীচী।