মহাকাশ গবেষণায় নাসার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ
Published: 6th, May 2025 GMT
মহাকাশে থাকা দূরবর্তী বিভিন্ন গ্যালাক্সির (ছায়াপথের) অসংখ্য ছবি তুলেছে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ। এসব ছবি বিশ্লেষণের পর শ্রেণিবদ্ধ করা বেশ কঠিন। আর তাই জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের তোলা দূরবর্তী বিভিন্ন গ্যালাক্সির ছবি বিশ্লেষণের পর শ্রেণিবদ্ধ করতে সাধারণ মানুষের সহযোগিতা চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। ‘গ্যালাক্সি জু’ নামের এক প্রকল্পের আওতায় পরিচালিত এ কার্যক্রমে আগ্রহী ব্যক্তিরা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করার সুযোগ পাবেন বলে জানিয়েছে নাসা।
নাসার তথ্যমতে, বর্তমানে বিভিন্ন গ্যালাক্সির পাঁচ লাখের বেশি ছবি সংগ্রহে রয়েছে। এসব ছবি শতকোটি বছর ধরে গ্যালাক্সি কীভাবে বিবর্তিত হয়েছে, তা জানতে সহায়তা করবে। কাজের প্রয়োজনে প্রাচীনতম বেশ কিছু গ্যালাক্সির ছবি দেখার সুযোগ পাবেন স্বেচ্ছাসেবকেরা। এর ফলে গ্যালাক্সির আকারসহ বিভিন্ন বিষয় পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে বৈজ্ঞানিক গবেষণায় সরাসরি অবদান রাখতে পারবেন তাঁরা।
কয়েক বছর ধরে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ দূরবর্তী বিভিন্ন গ্যালাক্সির অসংখ্য ছবি তুলেছে। এসব ছবি বিশ্লেষণ করতে মানুষের পাশাপাশি ‘জু–বট’ নামের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ব্যবহার করছে নাসা। তবে এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি জটিল বা অস্পষ্ট ছবি বিশ্লেষণ করতে পারে না। এ সমস্যা সমাধান করতেই স্বেচ্ছাসেবকদের সহযোগিতা নিতে চায় নাসা। স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করতে আগ্রহীরা গ্যালাক্সি জু ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কাজ করতে পারবেন।
নাসার গ্যালাক্সি জু প্রকল্প ২০০৭ সালে চালু করা হয়। এর আগে এই প্রকল্পের আওতায় স্বেচ্ছাসেবকেরা স্লোয়ান ডিজিটাল স্কাই সার্ভে ও নাসার হাবল স্পেস টেলিস্কোপের মতো টেলিস্কোপের ছবি ব্যবহার করে গ্যালাক্সি শ্রেণিবদ্ধ করার সুযোগ পেয়েছেন।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স ব চ ছ স বক ক জ কর
এছাড়াও পড়ুন:
জাতীয় যুবশক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক নিরব রায়হানের নেতৃত্বে বিজয় র্যালি
৩৬ জুলাই বিপ্লবের ঐতিহাসিক বিজয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে বিজয় র্যালি করেছে জাতীয় যুবশক্তি, নারায়ণগঞ্জ জেলা। জাতীয় যুবশক্তি'র কেন্দ্রীয় সংগঠক নিরব রায়হানের নেতৃত্বে এই বিজয় র্যালির মাধ্যমে এই ঐতিহাসিক বিজয়কে উদযাপন করা হয়।
মঙ্গলবার (৫ আগষ্ট) বিজয় র্যালি নগরীর চাষাঢ়া বিজয়স্তম্ভ থেকে শুরু করে হাজীগঞ্জ জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে এসে শেষ হয়। পরে চব্বিশের সকল শহীদদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের জন্য দোয়া করা হয়। সর্বশেষ জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ এলাকায় মিষ্টি বিতরণের মাধ্যমে বিজয় র্যালির উদযাপন সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।
এ সময় নিরব রায়হান বলেন, গত ৫ই আগস্ট তথা ৩৬ জুলাই ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে স্বৈরশাসক হাসিনার পতন হয়। বাংলার ইতিহাস মুক্ত হয় এক কলঙ্কিত অধ্যায় থেকে। এই দিনটি মুক্তিকামী সকল দেশপ্রেমী মানুষের কাছে অত্যন্ত খুশির একটি দিন। যা আমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতা।
যে স্বাধীনতা অর্জন কোনোভাবেই সহজ ছিলো ন্া। ৪ বছর বয়সের শিশুরও দিতে হয়েছে জীবন। ছাদে খেলতে যেয়ে আমাদের ৬ বছরের রিয়া গোপও হারিয়েছেন তাঁর প্রাণ। এই প্রাপ্তির স্বাধীনতাকে আমরা উদযাপন করছি স্বগৌরবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা স্মরণ করছি, সেইসব শহীদদের যারা জীবন বাজি রেখে এই দিনটি এনে দিয়েছেন৷ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি সেইসব আহত যোদ্ধাদের প্রতি—যাদের অঙ্গহানির মাধ্যমে এই বিজয় এসেছে।