প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাতে স্কুল শিক্ষক নিহত
Published: 6th, May 2025 GMT
শরীয়তপুরের দক্ষিণ মধ্যপাড়া এলাকায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাতে সুজন সাহা (৪৫) নামে এক শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (৬ মে) দুপুরে পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ মধ্যপাড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
নিহত সুজন সাহা দক্ষিণ মধ্যপাড়া এলাকার হরিদাস সাহার ছেলে। তিনি আঙ্গারিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহকারী শিক্ষক ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শিক্ষক সুজন সাহার সঙ্গে প্রতিবেশী শান্তিরঞ্জন সাহার জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এনিয়ে কয়েকবার দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে আবারো তাদের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। একপর্যায়ে শান্তিরঞ্জন সাহার দোকানের কর্মচারী লোকমান হোসেন শিক্ষক সুজন সাহার মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকায় নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
আরো পড়ুন:
শিক্ষক লাঞ্ছনার বিচারসহ ৫ দাবিতে আল্টিমেটাম কুয়েট শিক্ষক সমিতির
ক্ষমা প্রার্থনা ও অবস্থান স্পষ্ট করে কুয়েট শিক্ষার্থীদের খোলা চিঠি
আংগারিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রনজিৎ সাহা বলেন, “ঝগড়ার একপর্যায়ে সুজন সাহাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়। তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে ঢাকায় নেওয়ার পথেই তিনি মারা যান। বিষয়টি খুবই মর্মাহত। সহকর্মীর এমন মৃত্যু মেনে নেওয়ার মতো নয়।”
পালং মডেল থানার ওসি হেলাল উদ্দিন বলেন, “ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। মৃত্যুর বিষয়টি এখনো নিশ্চিত হইনি। এ ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/সাইফুল/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন হত অভ য গ স জন স হ জন স হ র
এছাড়াও পড়ুন:
শিয়াল মারার ফাঁদে জড়িয়ে প্রাণ গেল গৃহবধূর
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে শিয়াল মারার ফাঁদে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে রূপবান বেগম (৪৫) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার দুপুর ২টার দিকে ‘সুন্দরবন প্রজেক্ট নামে একটি মুরগির খামার’ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
রূপবান বেগম শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নের সোনাখালী গ্রামের জহুর আলী মোল্লার স্ত্রী।
এদিকে শিয়াল মারার ফাঁদে জড়িয়ে গৃহবধূর মৃত্যুর খবর জানাজানি হলে প্রজেক্টের কর্মচারীরা পালিয়ে যান।
নিহত গৃহবধূর ছেলে আব্দুর সবুরের ভাষ্য, সকালে তার মা ছাগলের জন্য ঘাস কাটতে সুন্দরবন প্রজেক্টের মধ্যে গিয়েছিলেন। আগের দিন প্রজেক্টের ম্যানেজার মাকসুদ ঘাস কেটে নেওয়ার জন্য তার মাকে বলেছিলেন।
আব্দুর সবুর বলেন, ‘দুপুর গড়িয়ে গেলেও মাকে খুঁজে পাচ্ছিলাম না। একপর্যায়ে প্রতিবেশীসহ আশপাশে বাড়িতে খুঁজতে থাকি। কিন্তু পাওয়া যাচ্ছিল না। একপর্যায়ে আব্দুর রহমানসহ স্থানীয় গ্রামবাসীরা প্রজেক্টের মধ্যে বিদ্যুতের তারে আটকে থাকা মায়ের মরদেহ দেখে খবর দেন।’
দুর্ঘটনার সময় প্রজেক্টে উপস্থিত থাকা মাকসুদ আলমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
সুন্দরবন প্রজেক্টর মালিক নুর ইসলাম জানান, খবর পেয়ে তিনি প্রজেক্টের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। শিয়ালের উপদ্রব বেশি হওয়ায় রাতে প্রজেক্টের চারপাশে জিআই তার দিয়ে তৈরি ফাঁদে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে রাখা হয়। ভুলবশত মাকসুদ সকালে বিদ্যুতের সংযোগ খুলে রাখেননি।
শ্যামনগর থানার ওসি মো. হুমায়ুন কবির বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মরদেহ উদ্ধারের নিহতের পরিবারের লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।